উইন্ডোজের পাশাপাশি উবুন্টু ইন্সটল করার উপায়
ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন মুখের বড় বড় রোমকূপ
আমরা ত্বকের বিশেষ করে মুখের ত্বকের পরিচর্যা করে যত ভালো করার চেষ্টাই করিনা কেন যদি মুখের রোমকূপ বড় থাকে তাহলে তা মুখের খুঁতকে আরো স্পষ্ট করে তোলে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এবং যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের মুখের রোমকূপ গুলো বড় হতে থাকে। ত্বকের এই বড় রোমকূপ সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে। তবে বাণিজ্যিক উপায়ের চেয়ে ঘরোয়া সমাধান গুলো সাধারণত গুণগত মান ও খরচের দিক থেকে ভালো হয়ে থাকে। এই সমস্যা নারী ও পুরুষ উভয়েরই হতে পারে।
এখানে কিছু প্রাকৃতিক সমাধানের কথা উল্লেখ করা হলো-
মেয়োনেজ
মেয়োনেজ এর মাঝে থাকা ভিনেগার এবং ডিম ত্বকের রোমকূপের আকৃতি সংকোচন করতে এবং ত্বককে টান টান করতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ মেয়োনেজ মুখে মেখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন মুখ। নিয়মিত করলে ভালো ফলাফল পাবেন। তবে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের জন্য এটা উপযুক্ত নয়।
কাঠ বাদামের মাস্ক
১/৩ কাপ কাঠবাদাম নিয়ে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে তাতে পানি মিশিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। তারপর সেটা নাক থেকে লাগানো শুরু করে যেখানে যেখানে দৃশ্যমান রোমকূপ আছে সেখানে লাগিয়ে রেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। ভাল ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।
মাঠা
ত্বকের যত্নে একটি পুরাতন উপকরণ হচ্ছে মাঠা যা খোলা রোমকূপের আকৃতি ছোট করতে সাহায্য করে। রাতে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে একটি তুলা্র বলে মাঠা ভিজিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। রাতপর ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
লেবুর রস
ত্বকের জন্য লেবুর রসের উপকারিতার কথা সবাই জানি। সামান্য লেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে তাতে তুলার বল ভিজিয়ে মুখে মেখে আধা ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন চোখে...
মাসকারা ব্যবহারে যে দারুণ কৌশলগুলো অবলম্বন করেন সেলেব্রিটিরা
চোখের মেকআপ করতে গেলে মাসকারা ছাড়া একেবারেই চলে না। মাসকারা দিলেও আবার অনেকের চোখ দেখতে ছোট লাগে, ঠিক মানায় না। জেনে নিন মাসকারা দেবার ১০টি ট্রিক যাতে কোনো কষ্ট ছাড়াই আপনার চোখ দেখাবে বড় আর গ্ল্যামারাস, ঠিক সেলেব্রিটিদের মত!
১) চোখের পাপড়ি কার্ল করুন
চোখের পাপড়ি যতো ছোটই হোক না কেন, কার্ল করে নিলে সাথে সাথেই তাকে অনেক লম্বা এবং ঘন মনে হবে। কার্লারটা হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে একটু হালকা গরম করে নিন এতে বেশিক্ষন কার্ল হয়ে থাকবে পাপড়ি।
২) প্রাইমার দিন
আই মেকআপ প্রাইমার শুধু আইলাইনারের জন্য নয় বরং মাসকারার জন্যও ব্যবহার করুন। এতে পাপড়ি আরও ঘন মনে হবে। তাছাড়া মাসকারার জন্য খুব ভালো একটি বেস তৈরি করবে এই প্রাইমার। প্রাইমার শুকিয়ে নিয়ে তার ওপরেই মাসকারা ব্যবহার করুন।
৩) বেবি পাউডার দিন পাপড়ির ওপর
শুনতে খুব অদ্ভুত লাগলেও যাদের পাপড়ি খুব পাতলা তাদের জন্য এই কৌশলটি দারুণ কার্যকরি। প্রাইমার দেবার পরে অল্প করে বেবি পাউডার লাগিয়ে নিন পাপড়িতে। এরপর এর ওপর দিয়ে মাসকারা দিন। দেখুন তো, পাপড়ি কতো লম্বা লাগছে না? এমনকি এক কোট মাসকারা দেবার পর পাউডার দিয়ে এর ওপর আরেক কোট মাসকারা দিতে পারেন।
৪) কয়েক পরত মাসকারা
একবার মাসকারা দেবার চাইতে কয়েক বার মাসকারা দিতে পারলে ভালো। এতে পাপড়ি বেশ ঘন লাগে। প্রথমবার মাসকারা দিয়ে শুকিয়ে নিন। এরপর আবার দিন।
৫) দুই রঙের মাসকারা
প্রথমে একটা বাদামি রঙের মাসকারা ব্যবহার করুন। এটা শুকিয়ে গেলে তার ওপরে ব্যবহার করুন সাধারণ কালো রঙের মাসকারা। এতে আপনার চোখের পাপড়ি অনেক বেশি মনে হবে।
৬) ব্রাশ করুন
সবার মেকআপ ব্রাশের সেটেই দেখবেন চোখের পাপড়ি ব্রাশ করার একটা চিরুনি বা ব্রাশ আছে। এটা দিয়ে পাপড়ি ব্রাশ করুন...
আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী বেছে নিন হলুদের কার্যকরী ফেসপ্যাক
রূপচর্চায় কাঁচা হলুদের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকে হয়ে আসছে। আগে ত্বকের যত্নে প্যাক বলতে হলুদের প্যাককেই বোঝানো হত। কাঁচা হলুদে আছে অ্যান্টি এজেনিং উপাদান যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে। কাঁচা হলুদ আমরা একেকজন একেক ভাবে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু ত্বকের ধরণ অনু্যায়ী কাঁচা হলুদের প্যাকে রয়েছে ভিন্নতা। ত্বকের ধরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁচা হলুদের প্যাক ব্যবহার করা উচিত। আসুন তাহলে জেনে নিই কোন ত্বকে কোন প্যাকটি কার্যকর।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
১। হলুদ এবং বেসনের প্যাক
২ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো, ১ চা চামচ দুধের সর এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক যদি অনেক শুষ্ক হয়, তবে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
২। ডিম এবং হলুদের প্যাক
১টি ডিমের সাদা অংশ, কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল, ১/২ চা চামচ গোলাপ জল, লেবুর রস এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি মুখ ও ঘাড়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই প্যাক দুটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
১। টক দই এবং হলুদের প্যাক
২ চা চামচ টক দই, ১ চা চামচ মুলতানি মাটি, গোলাপ জল এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। আপনি চাইলে এতে চন্দনেরগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।এই প্যাকটি ভাল করে মুখ এবং ঘাড়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২।...
চুল দ্রুত লম্বা করার জেনে নিন কিছু পরামর্শ
সেই প্রাচীনকাল থেকে মেয়েদের সৌন্দর্যের বর্ণনায় ঘন কালো লম্বা চুলের বর্ণনা দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানের রুক্ষ আবহাওয়া, যত্নের অভাব এবং আরও নানান কারনে চুলকে লম্বা ও ঘন করতে পারেন না অনেকেই। মনে মনে আশা করে থাকেন লম্বা চুলের কিন্তু তা স্বপ্নই থেকে যায়। ‘লম্বা চুল কিন্তু খুব সামান্য যত্নেই পাওয়া সম্ভব। একটু সচেতনতা এবং সামান্য যত্নের মাধ্যমেই বেশ দ্রুত পেতে পারেন ঘন ও লম্বা চুল’। চলুন জেনে নিই দ্রুত চুল লম্বা করার দারুণ পদ্ধতিগুলো।
যা যা লাগবে:
- ১০০ মিলি ক্যাস্টর অয়েল
- ৫ টেবিল চামচ আলমন্ড অয়েল (কাঠবাদামের তেল)
- ৩ টেবিল চামচ সিসেমি অয়েল (তিলের তেল)
পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধি:
-সব তেল একটি পাত্রে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন যেনো অনুপাতে বেশি-কম না হয়ে যায়।
- এরপর অল্প অল্প করে চুলের গোঁড়ায় ও পুরো মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগিয়ে নিন।
- তারপর ৩-৫ মিনিট আঙুলের ডগা দিয়ে পুরো মাথা ম্যাসেজ করে নিন ভালো করে।
- একটি প্ল্যাস্টিকের পলিথিন বা শাওয়ার ক্যাপ মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন ৫ ঘণ্টা। চাইলে পুরো রাত রেখে দিতে পারেন।
- এরপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করুন এই মিক্সড তেল। বেশদ্রুত চুল বাড়বে।
কার্যকারণ:
ক্যাস্টর অয়েল চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেক প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার করা হয়। এটি চুলের ফলিকল মজবুত করে এবং দ্রুত চুল বাড়তে সহায়তা করে। সেই সাথে কাঠবাদামের তেল মাথার ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে চুলের গোঁড়ার ইনফেকশন জনিত সমস্যা থেকে রেহাই দিয়ে থাকে যার ফলে চুল বিনা বাধায় দ্রুত বাড়তে পারে। সিসেমি অয়েল মাথার ত্বক স্টিমুলেট করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। সিসেমি অয়েল ম্যাসাজের ফলে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং চুলের নানা সমস্যা দূরে...
মাত্র সাতটি উপায়ে হাতের ত্বক রাখুন তরুণ
প্রচুর সময় এবং অর্থ খরচ করে আমরা মুখের ত্বক ভীষণ যত্নে রাখি। হাতের ত্বক নিয়ে কয়জন চিন্তা করি? অথচ হাতের ত্বকের ওপর দিয়েই যায় সবচাইতে বেশি ঝড়ঝাপটা, বয়সের ছাপটাও সবার আগতে হাতের ত্বকেই প্রকট হয়ে ওঠে। তাই একটু হলেও যত্নে রাখুন হাত।
অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ব্যবহার করি অনেকেই। চুলে ধূসরতার ছাপ পড়লে কালার করাতে দেরি হয় না। একইভাবে হাতে দেখা যাওয়া বলিরেখা এবং নিষ্প্রভতার জন্যও কিছু যত্ন নেওয়া জরুরী। জেনে রাখুন হাতের ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কী কী করা উচিত।
১) গ্লাভস পরুন
প্রতিদিন বাসন-কোসন ধোয়াধুয়ি, রান্না এবং কাপড় ধোয়ার কাজগুলো হাতের ত্বক একেবারে রুক্ষ করে দেয়। এমনকি হাতের ত্বক ফেতে ফেটেও যেতে পারে। এমনকি একজিমাও হতে পারে এ থেকে। এ কারণে যখন সম্ভব, পরুন ডিশওয়াশিং গ্লাভস। এ ছাড়াও হাতে ময়লা লাগবে বা সাবান অতিরিক্ত ব্যবহার হবে এমন সব পরিস্থিতিতে গ্লাভস পরে কাজ করার চেষ্টা করুন।
২) ময়েশ্চারাইজ করতে ভুলবেন না
শরীরের অন্য যেকোনো এলাকার ত্বকের থেকে হাতের ত্বক থেকে খুব দ্রুত আর্দ্রতা চলে যায়। এ কারণে হাতের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করা জরুরী। হ্যান্ড ক্রিম এবং লোশন ব্যবহার করুন এর জন্য। শিয়া বাটার, অলিভ অয়েল, ভিটামিন ই, ম্যাকাডেমিয়া নাট অয়েল এসব উপাদান আছে এমন ক্রিম হাতের ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখবে। শাওয়ার বা হাত ধোয়ার পর পরই এসব ক্রিম মেখে নিন। এছাড়াও মুখে অ্যান্টিএজিং ক্রিম দেবার সময়ে হাতেও একটু মেখে নিতে দোষ নেই। আই ক্রিম ম্যাসাজ করলেও অনেকটা উপকার পাবেন।
৩) মানানসই নেইলপলিশ ব্যবহার করুন
খুব রঙচঙে নেইল পলিশ ব্যবহার করতে পছন্দ করেন কেউ কেউ। কিন্তু এগুলো আসলে হাতটাকে বেশি জবরজং এবং বয়স্ক করে তোলে। বরং ব্যবহার করুন এমন একটি শেড যা আপনার হাতের...
পূজার সাজ
অন্যান্য দিনগুলোর তুলনায় উৎসবের দিনগুলোতে একটু ভিন্ন রূপে থাকতে স্পেশাল সাজগোজের দরকার হয়। আর তা যদি হয় পূজার সময় তাহলে তো কথাই নেই। প্রতিদিন ভিন্ন সাজ এবং ভিন্ন পোশাকে নিজেকে আলাদা দেখাতে চেষ্টা করেন সকলেই। পূজার সময় বিশেষ করে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পুরোদমে চলে পূজার উৎসব। আর সে সময়টায় লুকটাও একটু আকর্ষণীয় হওয়া চাই। ষষ্ঠীর হালকা সাজটাই দশমীতে গাঢ় হয়ে উঠে। তাই সতর্ক ভাবে সাজগোজ করা ভালো।
চলুন তবে দেখে নেয়া যাক সময়ভেদে কেমন হতে পারে পূজার সাজগোজ।
পূজায় দিনের সাজ
পূজার সময় দিনের বেলার সাজটা বেশ উজ্জ্বল তবে হালকা হওয়াটাই ভালো। কারণ দিনের বেলা মন্দিরে পূজার অঞ্জলি দেওয়ার সময় শুভ্র ও স্নিগ্ধ ভাবটা যাতে থাকে সেদিকে নজর দেয়া উচিৎ।
– প্রথমে সানস্ক্রিন ত্বকে লাগিয়ে হালকা বেইজ মেকআপ দেয়া উচিৎ ত্বকের রঙের সাথে মিলিয়ে। হালকা করে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন এর ত্বকের ওপর।
– যদি প্যানকেক দিতে চান তবে খুব সাবধানে হালকা করে দিয়ে একটি ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন পুরো ত্বক।
– এরপর এর ওপর লাগিয়ে নিন একটু উজ্জ্বল রঙের মেকআপ পাউডার। ব্যস বেইজ তৈরি হয়ে গেল।
– চোখের সাজে অফ হোয়াইট হাই লাইটস, বাদামি ও কালো রংয়ের মিশ্রনে অথবা পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মিশিয়ে হালকা রংয়ের আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। পেন্সিল আই লাইনার অথবা শুধু কাজলের একটা হালকা রেখা টেনে চোখের সাজে আনতে পারেন স্নিগ্ধতা।
– ঠোঁটে পোশাকের রঙের সাথে মিলিয়ে হালকা যে কোনো রঙের লিপস্টিক বা কোরাল কিংবা হালকা গোলাপি লিপস্টিক অথবা লিপগ্লস লাগাতে পারেন। কিংবা টকটকে লাল রঙের লিপস্টিকও পূজার শাড়ি বা পোশাকের সাথে মিলিয়ে পড়তে পারেন।
– খুব হালকা করে ব্লাশঅন দেবেন দিনের বেলা। হালকা বাদামি, গোলাপি কিংবা পীচ...
স্বাস্থ্যকর নখের জন্য ১০টি অবশ্য পালনীয় কাজ
সুস্থ ও সুন্দর নখ কেবল আপনার হাতের সৌন্দর্যকেই বাড়িয়ে তোলে না, এটি আপনার ব্যক্তিত্বেরও পরিচয় বহন করে। হয়তো স্টাইলিশ ও নানা রঙের নেইলপালিশে নখ ঢেকে রাখতে পারবেন। কিন্তু স্বাস্থ্যের খাতিরে তো কোন কম্প্রোমাইজ চলে না। তাই সুস্থ থাকার জন্যই প্রয়োজন একটু যত্ন নেয়ার।
জেনে নিন স্বাস্থ্যকর নখের জন্য ১০টি অবশ্য পালনীয় কাজ।
সঠিক পদ্ধতিতে পরিষ্কার করুন আপনার নখ, নখ কাটার সময় যত্ন নিয়ে কাটুন। ব্লেড নয়,নেইল কাটার ব্যবহার করুন।
প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নখের কিউটিকলে পেট্রোলিয়াম জেলি বা জলপাই তেল মেখে দিন। এতে নখ ঝলমলে ও মজবুত থাকবে।
অত্যধিক ক্ষতিকর কেমিক্যাল সমৃদ্ধ প্রসাধনী পরিহার করুন। নেইল পলিশ ও রিমুভার তো অবশ্যই।
হাত ও পায়ের ম্যাসাজে নখে রক্ত সরবারহ বৃদ্ধি পায়, এতে আপনার নখ হবে স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন; বিশেষ করে আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার আর প্রচুর সবুজ শাক-সবজি রাখুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।
হাত বা পা বেশিক্ষণ ভেজা রাখবেন না। এতে নখে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। সবসময় শুকনো করে মুছে রাখুন।
দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস আজই ত্যাগ করুন।
সম্ভব হলে মাসে একবার পার্লার থেকে পেডিকিউর ও মেনিকিউর করান।
রান্নাবান্না বা অন্য কোন কাজে নখ হলদে হয়ে গেলে লেবু ঘষে নিন। দেখবেন আবার পরিষ্কার হয়ে গেছে।
নখে সাদা দাগ, ঢেউ বা অন্য কোন অসুবিধা হলে অবহেলা করবেন না। অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান।
নখে যে কোন ধরণের বিকৃতি হতে পারে বিশাল কোন শারীরিক সমস্যার লক্ষণ!
মেনে চলুন সুস্থ নখের জন্য এই ১০টি নিয়ম। সুস্থ থাকুক আপনার নখ, সুস্থ থাকুন আপনি।
নখ লম্বা করুন সহজ ঘরোয়া উপায়ে
হাতের সৌন্দর্যের অন্যতম একটি অংশ হল নখ। নেল পলিশ বা নেল আর্ট যেটা করুন না কেন নখ যদি সুন্দর না হয় তবে কোন কিছুই ভাল লাগে না। top10homeremedies.com এর মতে নখ কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি। হাতের নখ পায়ের নখের চেয়ে দ্রুত বাড়ে। কিন্তু কিছু কারণে হাতের নখ বাড়া কমে যায়।
হাতের নখ না বাড়ার কারণ
হাতের নখ না বাড়ার কারণ হিসেবে fustany.com কিছু কারণ জানায়।
খাবারে অনিয়ম। ভুল ডায়েট লিস্ট মেনে চলা।
হাতের নখ কামড়ানোর অভ্যাস
অতিরিক্ত নেলপলিশ লাগানো
অতিরিক্ত কেমিক্যাল রিমুভার ব্যবহার করা
থালা বাসন ধোয়া, কাপড় ধোয়া, ইত্যাদি কাজে হাতের নখ নষ্ট হয়ে যায়
নখ ময়শ্চারাইজ না করা।
১। অলিভ অয়েল
নখ ময়শ্চারাইজ করতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। এটি নখের যত্ন অনেক ভাল কাজ করে থাকে। এটি ত্বক ও নখের মধ্যে গভীরে প্রবেশ করে এর বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অলিভ অয়েল হালকা গরম করে নিন। এবার এটি নখে ভাল করে ম্যাসাজ করুন। সুতির হাত মোজা পড়ে ঘুমাতে যান। এটি প্রতিদিন করুন।এছাড়া কুসুম গরম অলিভ অয়েলে হাতের নখ ১৫-৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এটি প্রতিদিন করুন।
২। লেবুর রস
লেবুর রসে ভিটামিন সি থাকে যা নখ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি নখের হলদে দাগও দূর করে থাকে।
১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ৩ টেবিল চাচম অলিভ অয়েল মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। হাতের নখ এতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
এছাড়া এক টুকরা লেবু দিয়ে নখে ঘষুন ৫ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। দিনে একবার করুন। কিছুদিনের মধ্যে নখের বৃদ্ধি দেখতে পাবেন।
৩। নারকেল তেল
নখের বৃদ্ধিতে নারকেল তেল অনেক বেশি কার্যকরী এমনটি বলে top10homeremedies। এটি...
ত্বকের ধরণ অনুযায়ী দারুণ উপকারি টমেটোর ফেইস প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বক মসৃণ ও কোমল করে তোলার জন্য অনেক নামি দামি ক্রিম লোশন আমরা ব্যবহার করে থাকি। তবে জানেন কি প্রতিটি ত্বকের জন্য আছে আলাদা আলাদা ফেইস প্যাক? বেসন হোক বা অ্যালোভেরা প্যাক প্যাকই হোক প্রতিটি ত্বকের ধরণ অনু্যায়ে আছে প্যাকের ভিন্নতা। যে প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযোগী সেটি শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযোগী নাও হতে পারে। ঠিক তেমনি টমেটো প্যাকেরও আছে ত্বকের ধরণ অনুযায়ে ভিন্ন ভিন্ন ফেইস প্যাক।
যেভাবে কাজ করে
টমেটোতে লাইকোপিন নামক উপাদান আছে যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বকে অক্সিজেন সরবারহ করে থাকে। নিয়মিত টমেটোর প্যাক ব্যবহারে ত্বকের রোদে পোড়া দাগ হালকা হয়, ব্রণের প্রবণতা কমিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করে থাকে।
১। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
১টি টমেটো
২\৩ টেবিল চামচ শসার রস
২ টেবিল চামচ মধু
টমেটোর রস, শসার পেষ্ট এবং মধু পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার একটি তুলার বল বা হাত দিয়ে পেষ্টটি মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের তেল কমিয়ে দিয়ে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে থাকে।
২। শুষ্ক ত্বকের জন্য
১টি টমেটোর রস
১ চা চামচ অলিভ অয়েল
টমেটোর রস এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এটি ভাল করে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার ত্বক নরম কোমল করার পাশাপাশি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে থাকে।
৩। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য
১ চা চামচ টমেটোর রস
১ চা চামচ লেবুর রস
টমেটোর রস এবং লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। ১০-১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বক নরম করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। আপনি এতে...