সাহরি ও ইফতারিতে স্বাস্থ্য সচেতনতা
গরমের রোজাতেও ত্বকে ধরে রাখুন লাবণ্য
গরমের সময়ে এমনিতেই ত্বকের রুক্ষতা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি রোদের প্রকোপ এবং ধুলোবালির জন্য ত্বকের অনেক সমস্যা পোহাতে হয় অনেককেই। আর এখন চলছে রোজার মাস, এই গরমের রোজায় সারাদিন পানি পান করতে না পারার কারণে ত্বকের রুক্ষতা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির খুবই সহজ উপায় রয়েছে। যদি আপনি সামান্য একটু সতর্কতা ও বাড়তি একটু যত্ন নিতে পারেন তাহলেই সমস্যার সমাধান পাবেন খুব সহজেই।
১) প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। রোজার সবচাইতে বড় সমস্যা হয় দেহে পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতার কারণে ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং ত্বক ফেটে যাওয়ার সমস্যাতেও পড়েন অনেকে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন ইফতারের পর থেকেই। পুরো দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিন ভালো করে।
২) নিয়মিত ত্বক স্ক্রাব করুন। রুক্ষ হয়ে যাওয়া ত্বক এবং অতিরিক্ত রোদ ও গরমের কারণে ত্বকের উপরে কোষ মরে যায় বেশি, এর ফলে আরও বেশি কালচে হয়ে উঠে ত্বক। এবং ত্বকের নানা সমস্যাও দেখা যায়। তাই ত্বক নিয়মিত স্ক্রাব করে নিন।
৩) দিনে ২ বার অবশ্যই ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে নিন এবং অবশ্যই বাসায় ফেরার পর ত্বক ভালো করে ক্লিনজার ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলবেন। মোট কথা ত্বকে কোনো ধরণের ময়লা জমতে দেবেন না।
৪) সাথে সব সময় ছাতা, স্কার্ফ, ক্যাপ এবং ওয়েট টিস্যু রাখুন। এতে রোদের হাত থেকে রোজায় রক্ষা পাবেন এবং সেই সাথে রোদে পোড়ার হাত থেকেও ত্বককে বাঁচাতে পারবেন। এছাড়াও ওয়েট টিস্যুর ব্যবহার ত্বকের উপরের ময়লা নিমেষেই দূর করে দিতে পারবেন।
৫) রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে দুধে একটি তুলোর বল ভিজিয়ে...
মেকআপের গোপন টিপস
ললনাদের মধ্যে কম-বেশি সবাই সাজতে ভালোবাসেন। যে কোনো উৎসব কিংবা অনুষ্ঠানে সুন্দর লুকের জন্য পার্লারে গিয়ে সাজের দরকার নেই। বরং মেকআপ ব্যবহারে পরিমিত সাজেই আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা। মেকআপের ক্ষেত্রে শুরুতেই ফাউন্ডেশন যেমন অপরিহার্য, তেমনি ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে সঠিক মেকআপ প্রয়োজন। মনে রাখবেন, নিজে নিজেই সাজ মানে একগাদা মেকআপ ব্যবহার করা নয়। মেকআপ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন কিছু অনুশীলন আর সতর্কতা অবলম্বন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চারটি মূল বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলো হলো ত্বকের ধরন, পছন্দসই কভারেজ, ত্বকের রং ও বর্ণ।
কাজেই জেনে নিন মেকআপের গোপন কিছু টিপস :
আপনার ত্বক যদি বেশ উজ্জ্বল হয়ে থাকে তাহলে কোনো ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার দরকার নেই। এর জন্য শুধু চোখের নিচে কনসিলার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি চোখের শ্যাডোর সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা ঠিক করে নিন।
* মেকআপ করার আগে মুখের ত্বককে পরিষ্কার এবং ময়েশ্চারাইজ করে নিন। এতে করে মেকআপটি ত্বকে ভালোভাবে বসে যাবে এবং বেশ কমনীয় ও নমনীয় দেখাবে। ব্রোনজার মুখের মেকআপে এক ধরনের গ্লামার নিয়ে আসে। এটি কপালে এবং গালে ব্যবহার করলে একটি গ্লামারাস লুক তৈরি করে।
* ত্বকের কালার টোন বুঝে সঠিক ফাউন্ডেশনটি ব্যবহার করুন। ফাউন্ডেশনের গায়ে স্কিন টোন অনুযায়ী নম্বর দেওয়া আছে। এ নিয়মটিকে অনুসরণ করুন। তাহলে মেকআপটি আপনার ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মিশে যাবে।
* স্কিনের টোন অনুযায়ী মুখের মেকআপ গাঢ় করুন। এতে করে মেকআপটি বেশ উজ্জ্বল হবে। কখনোই নিজের ত্বকের চেয়ে হালকা রঙের মেকআপ নির্বাচন করবেন না। যদি দ্বিধায় পড়ে যান, তাহলে কাছাকাছি হালকা ও গাঢ় দুটি রংই নিন এবং কাঙ্ক্ষিত রং পেতে ব্যবহারের সময় দুটো মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
* ঠোঁটের মেকআপটি ন্যাচারাল করলে ভালো দেখাবে। যেমন- ত্বকের রংয়ের সঙ্গে যায় এমন...
জেনে নিন দ্রুত চুল বৃদ্ধিতে সহায়ক দারুণ কার্যকরী ২ টি পদ্ধতি
ঘন কালো লম্বা চুল কার না পছন্দ বলুন? যদিও আধুনিকতা এবং কাজের সুবিধার জন্য অনেকেই চুল লম্বা করতে চান না তারপরও মনে মনে আশা থাকে কোমর পর্যন্ত লম্বা চুলের গোছার। নারীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে লম্বা চুলের বর্ণনাই প্রথমে আসে। কিন্তু এই বিরূপ আবহাওয়া এবং অযত্ন অবহেলার কারণে চুলের বৃদ্ধি একেবারেই কমে যায়। আর সেই সাথে চুল পড়ে পাতলা হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই বড় চুল রাখতে সাহস করেন না। এই ধরণের সমস্যা সমাধানে আজ জেনে নিন দ্রুত চুল বৃদ্ধিতে সহায়ক অসাধারণ ২ টি কার্যকরী পদ্ধতি যার মাধ্যমে দ্রুত চুল লম্বা করতে পারবেন এবং সেই সাথে নতুন চুল গজাতেও সহায়তা করবে।
১) অ্যালোভেরার ব্যবহার
বেশ প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার নানা অংশে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার হয়ে আসছে। অ্যালোভেরা পাতার জেল চুলের জন্যও বিশেষভাবে কার্যকরী। অ্যালোভেরা জেলের প্রাকৃতিক উপাদান সমূহ চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়ক এবং সেই সাথে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
- অ্যালোভেরার তাজা পাতা কেটে তাজা জেল বের করে নিন।
- এই জেল চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগিয়ে নিন।
- ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- সপ্তাহে এই অ্যালোভেরা জেল পদ্ধতি ব্যবহার করুন অত্যন্ত ৩ বার।
- আরও দ্রুত ফলাফল পেতে অ্যালোভেরার জেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙে মিশিয়ে নিতে পারেন এবং প্রতিদিন পান করতে পারেন অ্যালোভেরার জুস। খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
২) তেলের মিশ্রণের ম্যাসেজ পদ্ধতি
চুলের স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে তেলের বিকল্প নেই। আপনি যতো নামী দামী হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন না কেন চুলে তেল না দিলে চুল লম্বা ও ঘন করতে পারবেন না। তাই তেল দেয়াটা বাধ্যতামূলক।
- সমপরিমাণ নারকেল তেল, কাঠবাদামের তেল ও ক্যাস্টর অয়েল একসাথে মিশিয়ে...
ত্বক সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখবে যে ৭ টি খাবার
মানবজীবনে খাবারের ভূমিকাটা অনস্বীকার্য। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চাইলে সব ধরনের খাবারই খেতে হবে। শুধু কি সুস্থতা? সৌন্দর্যের পেছনেও রয়েছে খাবারের অপরিসীম ভূমিকা। সুন্দর ও আকর্ষণীয় ত্বক পেতে সাহায্য করবে, জেনে নিন এমন সাতটি খাবারের কথা।
১. কালো চকোলেট
প্রতিদিনের সুন্দর ত্বকের জন্য কালো চকোলেট হতে পারে অন্যতম একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি এসিড, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। কালো চকোলেট ত্বকের রুক্ষতা দূর করে এবং সূর্য রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
২. সামুদ্রিক মাছ
চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা দূর করতে সামুদ্রিক মাছ হতে পারে চমৎকার খাদ্য। মানব দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছ থেকে পাওয়া সম্ভব। ভিটামিন ডি হৃদপিণ্ড, হাড় ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এটা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, হাড়ের সমস্যা দূর করে। সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছে আছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ও ফ্যাটি এসিড, যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে। ত্বককে রাখে আর্দ্র ও কোমল।
৩. নারিকেল তেল
নারিকেল তেল স্যাচুরেটেড ফ্যাট-এর অন্যতম উৎস। লরিক এসিড, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ নারিকেল তেল নিয়মিত খেলে ন্যাচারাল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল হিসেবে কাজ করে। ফলে ত্বক থাকে আর্দ্র, নরম ও বলিরেখা মুক্ত। এটা বডি লোশন হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
৪. গ্রীন টি
গ্রীন টি অ্যামাইনো এসিড, এল-থিনাইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো একটা উৎস। যা চাপ কমাতে সাহায্য করে, শরীরকে রাখে রিলাক্স। এতে এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন তিন কাপ গ্রীন টি পান করলে ত্বক থাকবে সতেজ।
৫. রঙিন শাক
শাক ও লতাপাতা থেকে পাওয়া যাবে প্রচুর খাদ্য ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ বিভিন্ন উপাদান। অনেকে এসব খেতে অপছন্দ করলেও এসব থেকে পাওয়া যায় শরীরের প্রয়োজনীয়...
এলোচুলেই জমকালো সাজ
এলোমেলোতেই সৌন্দর্য, এই ধারনা বেশ আনুষ্ঠানিক ভাবেই রূপসজ্জার দুনিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে। অযত্নে নয়, উদাসভাব থেকেও নয় বরং অনেক বেশি যত্ন নিয়ে নিজেকে এলোমেলো ভাবে সাজানোর মজার সময় এখন।
এলোমেলো এই সাজের ধারা চুলের ক্ষেত্রেই মূলত অনুসরণ করা হয়। মেসি হেয়ার স্টাইলে প্রায়দিনই স্বস্তি খোঁজা সম্ভব। খোলা চুল থেকে নিয়ে খোঁপা অবধি সবকিছুই এই এলোমেলোর মোহে আটকে গেছে তাই। খুব বেশি পরিপাটি হবার রোগ না থাকলে যেকোন দিনই মেসি হেয়ার স্টাইলের জন্য উপযোগী দিন হতে পারে।
মজাদার এই কেশবিন্যাসে সাধারনত চিরুনির ব্যবহার নিষেধ। দুনিয়া ভরা সরঞ্জাম ব্যবহার করা চলবে তবু চিরুনি নয়। কারন চিরুনি তো চুলকে সেই পরিপাটি করে দেবেই, তবে এলোমেলো হবেটা কী করে?
চুল ধুয়ে শুকনো করে মুছে নিয়ে আঙ্গুল চালিয়ে জট ভেঙ্গে নিতে হবে। আবারো মনে করে নেয়া যাক, চিরুনির দিকে নজর দেয়া চলবে না! তারপর ইচ্ছা বা প্রয়োজন অনুযায়ী হেয়ার জেল, সিরাম বা শুকোনোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার করা চলে। ভেজা চুলের সাজ চাইলে আধা শুকনো করেই রেখে দিতে হবে। আর নাহয় ড্রায়ার বা ফ্যানের বাতাসেই শুকোতে দিতে হবে পুরোপুরি।
এই শুকনো চুলে এবার চাইলেই বেণি বা খোঁপা হয়ে যেতে পারে। বা খোলা চুলগুলিই ছড়িয়ে থাকুক আরো এলোমেলো হয়ে। অনুষঙ্গের ব্যবহারও চলবে ইচ্ছে মতন। কারন সাধারন কোন উপলক্ষ হোক বা জমকালো অনুষ্ঠান, সব জায়গাতেই এলোমেলো কেশবিন্যাসের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কাজেই এবার বেণিতে মিষ্টি দেখতে ফুলের ব্যান্ড পরা হোক বা খোঁপায় ঝলমলে মুক্তোর কাঁটা, বেমানান হবে না কিছুই।
যা চলছে এবার ঈদের জুতোর ফ্যাশনে
পোশাকের পর্ব শেষে নারী পুরুষ সবাইই ব্যস্ত হয়ে পড়েন জুতো কেনার জন্য। ঈদ বলে কথা। প্রিয় পোশাকের সাথে মিল রেখে প্রিয় জুতো তো কিনতেই হবে। এই ব্যাপারে পুরুষের তুলনায় নারীরা একটু বেশিই সচেতন। শপিংমলগুলোতে এরই মধ্যে বিক্রেতারা পার করছেন ব্যস্ত সময়। আপনি যদি এখনও জুতো না কিনে থাকেন, তবে আপনার জন্যই এই লেখা। এবার কেমন জুতা বেশি চলছে, দরদামই বা কেমন জুতোর এসব তথ্য নিয়েই সাজানো এই ফিচার।
নিচু জুতো পরতে চাইলে...
অনেকে ফ্ল্যাট বা নিচু জুতো পরতে পছন্দ করেন। এসব নিচু জুতোর মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি চলছে ‘লোফার’। নিচু এই স্যু জু জুতোগুলোর রঙে আর ডিজাইনে রয়েছে ভিন্নতা। টপস, ফতুয়ার সাথে এই জুতোগুলো বেশ মানিয়ে যায়।
নিচু জুতোর মাঝে আরেক পদ হল, ‘ব্যালেরিনা স্যু’ অনেকটা ঠিক লোফারের মতই। হিল জুতায় যারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না কিন্তু পা ঢাকা জুতো পরতে চান, তাদের জন্য হল এই ব্যালেরিনা স্যু। শাড়ি ছাড়া প্রায় সব পোশাকের সাথেই খাপ খেয়ে যায় এই জুতো।
হিল জুতোয় আছে নানা ঢং!
উঁচু হিল জুতোয় যদি আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাহলে এক জোড়া ‘স্টিলেটো’ কিনে ফেলতে পারেন। গত ঈদের মত এবার ঈদেও এই জুতোর রয়েছে বেশ চল। শাড়ি, কামিজ সব কিছুর সাথেই বেশ মানায় এই জুতো। ডিজাইনেও আছে রকমফের।
হিল জুতোর জগতে আরেক নজরকাড়া জুতো হচ্ছে ‘প্ল্যাটফর্ম হিল’। এ জুতোর মুল আকর্ষণ হলো হিলে। বাহারি ডিজাইন তুলে ধরা হয় হিলে। স্টিলেটোর হিল চিকন আর সরু সে তুলনায় প্ল্যাটফর্ম হিলের হিল খানিকটা চওড়া। আর তাই পরেও আরাম পাওয়া যায়। শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ থেকে শুরু করে ফতুয়া, গাউন সব ধরনের পোশাকের সাথে দারুন খাপ খায় এ জুতো।
হিল পরতে ভয় পান কিন্তু একটু উঁচু জুতো...
নাইট ক্রিম
প্রতিদিনের কর্মজীবন, বিরূপ আবহাওয়া, অতিরিক্ত রোদ এবং ধুলোবালির কারণে ত্বকের আসল সৌন্দর্য এবং উজ্জ্বলতা দুটোই হারিয়ে যায়। ত্বক কালচে ধরণের দেখাতে থাকে। আর সেই সাথে ব্রণের সমস্যা তো রয়েছেই। বিউটি পার্লার, নামি দামী ব্র্যান্ডের ক্রিম ব্যবহার করেও আগের সেই লাবণ্যময় উজ্জ্বল ত্বকের দেখা মেলে না। কিন্তু প্রাকৃতিক ক্রিম ব্যবহার করেছেন কখনো? প্রাচীনকালে কিন্তু প্রাকৃতিক জিনিসের প্রতিই মানুষের ভরসা বেশী থাকতো এবং তখনকার নারীদের সৌন্দর্যের বর্ণনা এখনো সকলেই জানেন। তাহলে আপনিও প্রাকৃতিক জিনিসে ভরসা করেই দেখুন না। প্রতিরাতে ব্যবহার করুন ঘরে তৈরি সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন দারুণ ১ টি নাইট ক্রিম। হারিয়ে যাওয়া ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ত্বকের নানা সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন বেশ সহজেই।
যা যা লাগবে:
- ১ মুঠো কাঠবাদাম
- আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামচ টক দই
- ২ চা চামচ লেবুর রস
- পরিমাণমতো চন্দন গুঁড়ো
পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধি:
- কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই কাঠবাদাম পিষে নিন মিহি করে।
- এরপর কাঠবাদামের সাথে চন্দন গুঁড়ো বাদে সব উপকরণ একসাথে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
- তারপরও অল্প অল্প করে চন্দনের গুঁড়ো মেশাতে থাকুন যাতে নরম পেস্টের মতো তৈরি হয়। ক্রিমের মতো ঘন মিশ্রন তৈরি করতে যতোটা লাগে চন্দন গুঁড়ো দিন।
- ভালো করে মিশিয়ে তৈরি করে নিন নাইট ক্রিমটি। পরিষ্কার একটি কৌটায় ভরে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন।
- প্রতিদিন রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করে এই ক্রিমটি লাগিয়ে নিন ত্বকে। কিছুদিনের মধ্যেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে থাকবেন।
রঙ বাহারি ঈদ
ফ্যাশন মানেই পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুকরণ- এ ধারণা বদলে দিয়েছে রঙ। নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে কাজে লাগিয়েই দেশীয় ফ্যাশনে আমূল পরিবর্তন আনতেই এই ফ্যশন হাউজের নিরলস প্রচেষ্টা। ১৯৯৪ সালের শেষের দিকে চার তরুণের মেধা, পরিশ্রম ও সদিচ্ছার ফলে প্রতিষ্ঠিত হয় ফ্যাশন হাউজটি। ছোট্ট পরিসরে যাত্রা শুরু হলেও কালের পরিক্রমায় রুচিশীল ক্রেতাদের ফ্যাশন অনুসঙ্গে আজ অনন্য নাম রঙ।
সারাবছর জুড়ে পোশাক নিয়ে যত নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে, তার প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায় ঈদে। আর তাই এ উৎসবে রুচি, মূল্যবোধ, ফ্যাশন সচেতনতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতাদের জন্য রঙ সমৃদ্ধ থাকে পণ্য সম্ভারে। কাপড়, বুনন, রং, কাট, ডিজাইন ইত্যাদির পরিবর্তনে নারী, পুরুষ, বয়স্ক ও শিশুদের জন্য এবার ঈদেও রয়েছে রঙের ভিন্নধর্মী আয়োজন।
রঙে পুরুষ ক্রেতাদের জন্য আছে নতুন ডিজাইনের ফতুয়া, শর্ট পাঞ্জাবি, লং পাঞ্জাবি, শার্ট, টি শার্ট ইত্যাদি। আর নারীদের সালোয়ার কামিজ কিংবা শাড়িতে রয়েছে নানা বৈচিত্র। পোশাকের কাপড় তৈরি হয়েছে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, সিরাজগঞ্জ, মিরপুর ও কুমিল্লায়। নিজস্ব তাঁতে বোনা কাপড়ের বুননেও আনা হয়েছে নতুনত্ব। খাদী ও সুতি কাপড়ের পাশাপাশি সিল্ক, ধুপিয়ান সিল্ক, বলাকা সিল্ক, জয়শ্রী সিল্ক, এন্ডি সুতি, এন্ডি সিল্ক কাপড়ও ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লক, স্প্রে, টাই-ডাই, স্কিন-প্রিন্ট, এ্যাপলিক, এ্যামব্রয়ডারি, কারচুপি, জারদৌসি, বাটিক, আড়ি, হাতের ভরাট কাজ, লেস, কাতানপাড়, স্টোন, মেটাল, কুসিকাঁটা, চামড়ার ব্যবহার করে ভিন্ন এক নান্দনিকতার রূপ দেওয়া হয়েছে পােশাকে।
রকম ও ডিজাইন বুঝে ৮৫০-৩০০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে ঈদের শাড়ি। জামদানি ৫৮০০-১৫০০০ টাকা, মসলিন ৬০০০-৩০০০০ টাকা, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ৯৫০-১৪৫০ টাকা, হাফ সিল্ক ২০০০-৮০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। থ্রিপিস সুতি ২২৫০-৪০০০ টাকা, এন্ডি সিল্ক ৮৫০০ টাকা, কাতান সিল্ক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা, নন স্টিচ থ্রিপিস ২ থেকে ৪...
ঈদ উপলক্ষে শিখে নিন বাহারি ১০টি মেহেদী ডিজাইন
ঈদের সাজের পরিপূর্ণতা আসে মেহেদির মাধ্যমে। আর তাই ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার সাথে সাথে সব বয়সী নারীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন পছন্দের নকশায় হাত রাঙাতে। আসুন দশটি অসাধারন মেহেদির ডিজাইন দেখে নেওয়া যাক।
১। ডিজাইন ১
কম সময়ে ডিজাইন করতে চাইলে এই ডিজাইন টি করে ফেলতে পারেন। সিম্পল ডিজাইন টি ভালো মানাবে ছোট হাতে।
২। ডিজাইন ২
কালো মেহেদি আর সাধারন মেহেদির এক দারুন সমন্বয় রয়েছে এই ডিজাইনে। হাতে ভরাট ডিজাইন ও থাকবে আবার ফাঁকা জায়গাও থাকবে। সব মিলিয়ে আলো আধারির খেলা জমে উঠবে আপানার হাতে।
৩। ডিজাইন ৩
কম ডিজাইনে মেহেদির কাজ শেষ করতে চাইলে বেছে নিতে পারেন এই ডিজাইন।
৪। ডিজাইন ৪
অসাধারন এই ভরাট ডিজাইন আপনার মেহেদির ডিজাইনে এনে দিবে অন্যরকম এক মাত্রা।
৫। ডিজাইন ৫
হাতের উপরিভাগের জন্য দারুন এক ডিজাইন হবে এ ডিজাইন টি। দেখতে জটিল মনে হলেও অতটা জটিল কিন্তু নয়। চেষ্টা করে দেখুন।
৬। ডিজাইন ৬
অনেকের শখ থাকে দুই হাত ভরে কবজি অবদি মেহেদি দেওয়ার। তাদের জন্য একটি আদর্শ ডিজাইন হবে এটি।
৭। ডিজাইন ৭
হাতের উপরিভাগের সিম্পল একটি ডিজাইন এটি। সময় কমে করে ফেলতে পারেন এই ডিজাইন।
৮। ডিজাইন ৮
খুব ভারী কাজের মেহেদি দিতে চাইলে এই ডিজাইন টি বেছে নিতে পারেন। আলাদা মাত্রা পেতে যোগ করুন ময়ূরের মত নকশা।
৯। ডিজাইন ৯
ভরাট ডিজাইনের মাঝে আরেকটি অসাধারন ডিজাইন হল এটি।
১০। ডিজাইন ১০
নানা রঙে হাত রাঙাতে চাইলে এই ডিজাইন করতে পারেন। কিছু স্টোন বসিয়ে দিলে আরো ভালো লাগবে। দারুন স্টাইলিশ এই ডিজাইনে ভালোই লাগবে আপনাকে।