ফ্যাশন মানেই পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুকরণ- এ ধারণা বদলে দিয়েছে রঙ। নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে কাজে লাগিয়েই দেশীয় ফ্যাশনে আমূল পরিবর্তন আনতেই এই ফ্যশন হাউজের নিরলস প্রচেষ্টা। ১৯৯৪ সালের শেষের দিকে চার তরুণের মেধা, পরিশ্রম ও সদিচ্ছার ফলে প্রতিষ্ঠিত হয় ফ্যাশন হাউজটি। ছোট্ট পরিসরে যাত্রা শুরু হলেও কালের পরিক্রমায় রুচিশীল ক্রেতাদের ফ্যাশন অনুসঙ্গে আজ অনন্য নাম রঙ।
সারাবছর জুড়ে পোশাক নিয়ে যত নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে, তার প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায় ঈদে। আর তাই এ উৎসবে রুচি, মূল্যবোধ, ফ্যাশন সচেতনতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতাদের জন্য রঙ সমৃদ্ধ থাকে পণ্য সম্ভারে। কাপড়, বুনন, রং, কাট, ডিজাইন ইত্যাদির পরিবর্তনে নারী, পুরুষ, বয়স্ক ও শিশুদের জন্য এবার ঈদেও রয়েছে রঙের ভিন্নধর্মী আয়োজন।
রঙে পুরুষ ক্রেতাদের জন্য আছে নতুন ডিজাইনের ফতুয়া, শর্ট পাঞ্জাবি, লং পাঞ্জাবি, শার্ট, টি শার্ট ইত্যাদি। আর নারীদের সালোয়ার কামিজ কিংবা শাড়িতে রয়েছে নানা বৈচিত্র। পোশাকের কাপড় তৈরি হয়েছে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, সিরাজগঞ্জ, মিরপুর ও কুমিল্লায়। নিজস্ব তাঁতে বোনা কাপড়ের বুননেও আনা হয়েছে নতুনত্ব। খাদী ও সুতি কাপড়ের পাশাপাশি সিল্ক, ধুপিয়ান সিল্ক, বলাকা সিল্ক, জয়শ্রী সিল্ক, এন্ডি সুতি, এন্ডি সিল্ক কাপড়ও ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লক, স্প্রে, টাই-ডাই, স্কিন-প্রিন্ট, এ্যাপলিক, এ্যামব্রয়ডারি, কারচুপি, জারদৌসি, বাটিক, আড়ি, হাতের ভরাট কাজ, লেস, কাতানপাড়, স্টোন, মেটাল, কুসিকাঁটা, চামড়ার ব্যবহার করে ভিন্ন এক নান্দনিকতার রূপ দেওয়া হয়েছে পােশাকে।
রকম ও ডিজাইন বুঝে ৮৫০-৩০০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে ঈদের শাড়ি। জামদানি ৫৮০০-১৫০০০ টাকা, মসলিন ৬০০০-৩০০০০ টাকা, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ৯৫০-১৪৫০ টাকা, হাফ সিল্ক ২০০০-৮০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। থ্রিপিস সুতি ২২৫০-৪০০০ টাকা, এন্ডি সিল্ক ৮৫০০ টাকা, কাতান সিল্ক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা, নন স্টিচ থ্রিপিস ২ থেকে ৪ হাজার টাকা, মসলিন ৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর ঈদের জন্য আরামদায়ক কিংবা জমকালো পাঞ্জাবী পাওয়া যাবে ১২০০-৩৫০০ টাকার মধ্যে।
সারা বছর কোন না কোন ছাড়, অফার কিংবা মূল্যহ্রাস থাকলেও এবারের ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য কোনো ছাড়ের ব্যবস্থা রাখছে না রঙ। রাজধানীর বেইলি রোড, বসুন্ধরা সিটি, ধানমণ্ডি, বনানী, বারিধারা, রাইফেলস স্কয়ার, লালমাটিয়ায় রয়েছে রঙয়ের শোরুম। ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামেও সকল পণ্য নিয়েই সুনামে স্বনামে রঙ।