দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সংযোগকে টপকে আসছে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট। পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেটের চেয়েও বেশি গতিশীল এবং ব্যয়বহুল হবে। টেলিকম ইঞ্জিনিয়াররা এই দশকের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ৫জি ইন্টারনেট চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এটা হবে ৪জি ইন্টারনেটের চেয়েও ৪০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, ৫জি ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে স্মার্টফোনের মাধ্যমে অভাবনীয় কাজ করা যাবে। এটা দিয়ে ৮ কে মানের থ্রিডি ভিডিও দেখা সম্ভব হবে। ৪ কে ভিডিও থেকে ১৬ গুণ বেশি পরিষ্কার ছবি দেখা যাবে ৫জিতে। এটিতে সম্পূর্ণ এইচডি মানের ছবিও দেখা যাবে।
৫জি সংযোগে স্মার্টফোনের মাধ্যমে থ্রি ডি সিনেমা মাত্র ৬ সেকেন্ডে ডাউনলোড করা যাবে। যেখানে ৪ জিতে এখন সময় লাগছে ৬ মিনিট।তবে বেশি গতির ইন্টারনেট সংযোগের জন্য পয়সাও গুণতে হবে বেশি।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিসকো জানিয়েছে, গত দশকে ইন্টারনেটে গতি বেড়েছে। ফলে ব্যবহারকারীর ডাটা প্লানের খরচও বেড়েছে।৩জি নেটওয়ার্কের চেয়ে ৪জি নেটওয়ার্কে ১০ গুণ বেশি ট্রাফিক বেড়েছে। এতে করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাসিক বিলও কয়েকগুণ বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব মতে ২০১৩ সালে সেদেশে ব্যবহারকারীদের মাসিক গড় বিল ছিল ৭৮ ডলার। যেটি ২০০৭ সালের চেয়ে শতকরা ৫০ ভাগ বেশি। সিসকো জানিয়েছে ২০১৯ সাল নাগাদ ইন্টারনেট বিল বাড়বে শতকরা ৫৭ ভাগ। তখন গড় মাসিক বিল হবে ১১৯ ডলার।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণায় জানা যায়, সারা পৃথিবী ৫জি নেটওয়ার্কের আওতায় এলে তথ্য-আদান প্রদান আরও সহজ হবে। একই সঙ্গে লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং সেবায়ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এতে করে খরচের পাল্লাটাও বেড়ে যাবে।