মার্ভেল থেকে হারিয়ে গেছে যে চরিত্রগুলো
শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে করণীয়
*ঠোঁট শুষ্ক হওয়ার আগেই ইমোলিয়েন্ট, পেট্রোলিয়াম জেলি, কোল্ডক্রিম ইত্যাদি ঠোঁটে ব্যবহার করা প্রয়োজন।
*যথাযথ লিপস্টিকও কিন্তু ঠোঁটের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। তবে এক্ষেত্রে লিপস্টিকের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ভিটামিনসমৃদ্ধ ও অয়েলবেসড লিপস্টিক ঠোঁটের জন্য ভালো। তবে লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের ক্ষতি হলে সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যবহার বন্ধ রাখুন।
*প্রয়োজনে যে টুথপেস্ট ব্যবহার করছেন তা বদলে ফেলুন। লক্ষ্য রাখবেন, সাদা রঙের টুথপেস্ট সাধারণত ভালো হয় ঠোঁটের জন্য।
*অবশ্যই সাবান ও ফেসওয়াশ ঠোঁটে লাগাবেন না।
*সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
*পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভেসলিন ব্যবহার করুন। যতক্ষণ বাড়িতে থাকবেন ঠোঁটে ভেসলিন লাগাবেন। এছাড়া সূর্যমুখী তেল ঠোঁটের জন্য খুব ভালো। এটা দিনে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ভেসলিন লাগাতে ভুলবেন না।
*ঠোঁট বারবার জিভ দিয়ে ভেজাবেন না বা ঠোঁট কামড়াবেন না।
*ঠোঁটের মেকআপ ওঠাবার জন্য তুলোয় ভেসলিন লাগিয়ে আলতো ঘসে তুলবেন। কখনও লিপস্টিক লাগানো অবস্থায় ঘুমাতে যাবেন না।
*ভিটামিন, প্রচুর সবুজ শাক-সবজি ও ফল খাবেন।
...বিশেষ সমস্যা হলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
রূপচর্চায় লেবুর ব্যবহার
*মুখে আভা বাড়ানোর জন্য এক টুকরো লেবুর রসের সাথে দু’চামচ দুধ মিশিয়ে তুলার সাহায্যে মুখে প্রলেপ লাগাবেন। পনেরো-বিশ মিনিট এই প্রলেপ রাখার পর ধুঁয়ে ফেলবেন।
*শুষ্ক ও রুক্ষ্ম ত্বকের কমনীয়তা আনার জন্য লেবুর রস, গোলাপ পানি ও শসার রস সমপরিমাণে মিশিয়ে ঘাড়, গলা ও দেহের অন্যান্য অংশে মাখুন। পনেরো-বিশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
*ডিমের সাদা অংশের সাথে অর্ধেকটা লেবুর রস ও কুসুম গরম পানি পেস্টের মতো করে মিশিয়ে নিন। এই প্রলেপটি আস্তে আস্তে ত্বকে মাখুন। শুকিয়ে যাবার পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তেলতেলে ত্বকের পক্ষে এটি ভীষণ উপকারী।
*লেবুর রস ও শসার রস সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন। ব্যস, হয়ে গেল অ্যান্ট্রিনজেন্ট লোশন তৈরি। এটি ত্বকে লাগিয়ে দেখুন। কয়েকদিনের মধ্যেই ত্বকের তেলতেলে ভাব কমে যাবে।
*হাতের কনুই, হাঁটু, পায়ের গোড়ালি এসব জায়গায় বেশি ময়লা জমে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে- আধা টুকরো লেবু নিয়ে এই জায়গাগুলোতে ভাল করে ঘষে নিলে ময়লা উঠে গিয়ে ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
*পায়ের রুক্ষভাব দূর করতে লেবুর রসের সাথে অল্প মিহি চিনি মিশিয়ে মালিশ করে নেবেন। দশ মিনিট পর হাত ধুয়ে নিন কুসুম গরম পানিতে। দেখবেন হাত-পা কেমন পেলব কোমল মসৃণ হয়ে উঠেছে।
*ঘরের কাজ করতে করতে হাতের মোলায়েম ভাব নষ্ট হয়ে গেলে- গোলাপ পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে হাতের পাতায় মাখুন।
*প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই যদি একগ্লাস কুসুম গরম পানিতে অর্ধেকটা পাতি লেবুর রস সামান্য মধু অথবা চিনি দিয়ে মিশিয়ে খান তাহলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় যাবে। শরীরের চামড়ার ফুটে উঠবে আভা। চোখ-মুখে বিবর্ণতা মুছে গিয়ে ত্বকের ঔজ্জ্বলতা বাড়বে বহুগুণ।
রাতের রুপচর্চা
*সামান্য চালের গুঁড়ো এবং দুধ মিশিয়ে তৈরি করে নিন প্রাকৃতিক স্ক্রাবার। এক মিনিট ত্বক স্ক্রাব করে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। অনেক উপকার পাবেন। কেমিক্যালের স্ক্রাব সপ্তাহে একবারের বেশি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কিন্তু এই ঘরোয়া স্ক্রাবতি চাইলে আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
*এরপর ১ চা চামচ মধু, অর্ধেক পাকা কলা পিষে এবং একটু দুধ মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগান ম্যাসেজ করে। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসেজ করে নিন। এতে ত্বকের নিচে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। ফলে ত্বকের নানা সমস্যা দূর হবে। ৫-৭ মিনিট মুখে রেখে দিন। এরপর তা আলতো ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে।
*ত্বক থেকে মাস্কটি ভালো করে ধুয়ে নিবেন যেন একটুও রয়ে না যায় ত্বকে। এরপর একটি পাতলা সুতি তোয়ালে দিয়ে মুখ চেপে চেপে মুছে ফেলুন। ঘষে মুছবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। এভাবে সারারাত থাকুন। কারণ মধু ব্যবহার পর কোনো ধরণের প্রসাধনী ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।
...নিয়মিত এই রুটিন মেনে চললে ত্বকের নানা সমস্যা থেকে চিরকালের জন্য মুক্তি পাবেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ঘরোয়া মাস্ক
*একটি বাটিতে শশার রস ২ টেবিল চামচ, তরমুজের রস ২ টেবিল চামচ, গুঁড়ো দুধ ১ চা চামচ, দই ১ চা চামচ নিন।
*সবকিছু একসঙ্গে ভালোভাবে মিশান।
*এবার পুরো মুখে ভাল করে লাগান।
*১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন।
...তরমুজ ত্বক পরিষ্কার করে ও পোড়া ভাব তুলে টোনারের কাজও করে। ত্বকের কালচে ভাব কাটায় শশা। ত্বকরে নরম ও টানটান রাখে দই। ফর্সাভাব ধরে রেখে ত্বককে উজ্জ্বল করে গুঁড়ো দুধ।
গরমে ফুস্কুড়ি ও ব্রণমুক্ত ত্বক পেতে করণীয়
*খাদ্যাভ্যাস- ডোনাট, আটার রুটি, সোডা পানীয় এবং পোড়ানো আলু খাওয়া বাদ দিতে হবে। চিনি ও স্টার্চ বা শ্বেতসারজাতীয় খাদ্যতালিকার বাইরে রাখলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে আর স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে।
*দুশ্চিন্তা দূর করা- মানসিক ও শারীরিক চাপে থাকলে ব্রণ হতে পারে। তাই চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
*ভুল প্রসাধনী- অনেক সময় বিশেষ ধরনের প্রসাধনী ও ক্লেনজিং পণ্য ব্যবহারেও ব্রণ উঠতে পারে। তাই তৈলাক্ত বা কড়া প্রসাধনীর পাশাপাশি যেসব পণ্যে অ্যালার্জি হয় সেগুলো বাদ দিতে হবে। এগুলো লোমকূপ বন্ধ করে ত্বকে প্রদাহ তৈরি করে, ফলে ব্রণ হয়।
*ঘাম মুঝে ফেলা- প্রচণ্ড গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। ঘামে প্রচুর টক্সিন এবং জীবাণু থাকে, তাই ঘাম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মুঝে ফেলা উচিত। এই গরমে সবসময় হাতের কাছে একটি রুমাল বা পাতলা তোয়ালে রাখা উচিত। ঘামার কারণে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই পরিষ্কার হয়ে যায়, তবে এর জন্য ঘাম মুছে ফেলাও জরুরি। তা না হলে ত্বকে ঘাম জমে ব্রণ এবং র্যাবশ হতে পারে।
*নিয়মিত মুখ ধোয়া- নিয়মিতভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে নেওয়া উচিত। এতে ত্বকের ধুলাবালি ধুয়ে যায় ও ত্বকের নমনীয়তা বজায় থাকে।
*প্রতিদিনের খাবারে ফল ও সবজি- সুস্থ ত্বকের জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ফল ও সবুজ শাক-সবজি থাকা দরকার। পুরো শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদাও পূরণ করে এই খাবারগুলো। ফলমূল ও সবজির পুষ্টি উপাদানগুলো ত্বকের ব্রণ ও র্যাবশ কমাতে সাহায্য করে।
*পর্যাপ্ত পানি পান করা- প্রতিদিন যেন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা হয়, এদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা জরুরি। পানি শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন দূর কর ত্বক পরিষ্কার রাখে ও ত্বক নমনীয় রাখে।
*ব্যায়াম ও ইয়োগা- সুস্থ থাকতে ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরি। ব্যায়াম স্বাস্থ্য...
রূপচর্চায় ডিমের ব্যবহার
*ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমাতে-
ডিমের সাদা অংশ ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বককে করে তোলে কোমল ও মসৃণ। একটি ডিমের পুরো সাদা অংশ ভালো করে ফেটে নিন। এতে আধা চা চামচ ময়দা ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ গলা ও হাতে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক হয়ে উঠবে তেলমুক্ত ও মসৃণ।
*স্ক্রাবার হিসেবে-
ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ চা চামচ চালের গুঁড়া ও ২ চা চামচ দানাদার চিনি মেশান। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে শরীরে লুকিয়ে থাকা ধুলো-ময়লা দূর তো হবেই, সেই সাথে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ!
*চুলের রুক্ষতা দূর করতে-
একটি পুরো ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে ভালো করে মেখে নিন। ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল হবে কোমল ও ঝলমলে!
যাদের চুল বেশি তৈলাক্ত তাঁরা অলিভ অয়েলের পরিবর্তে টক দই ব্যবহার করতে পারেন।
...পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ডিমের তুলনা নেই। শরীরের উপকারের পাশাপাশি ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও ডিম যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। ডিমের নানা পুষ্টিগুণ আপনাকে ভেতর থেকে করে তোলে স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ, সুন্দর!
নারকেল তেলে ঠোঁটের যত্ন
গরমকাল, শীতকাল ফ্যাক্ট না অনেকে সাড়া বছরেও ঠোঁটের সমস্যায় ভুগেন। তাদের জন্য বাজারে বেশ কিছু লিপবাম পাওয়া যায় ঠোঁটের যত্নে, তবে বাজারের বেশিরভাগ লিপবামে থাকা রাসায়নিক উপাদান ঠোঁটকে আরো রুক্ষ করে তোলে। ঠোঁট ভালো রাখতে লিপবামের পরিবর্তে ব্যবহার করুন নারকেল তেল। এতে যেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না, তেমনই ঠোঁট থাকবে নরম ও সজীব।
*হাতে সামান্য নারকেল তেল নিয়ে ঠোঁটে লাগান। এবার হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন, ঠোঁট আগের চেয়ে অনেক নরম হয়েছে।
*একটি বাটিতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল নিন। তাতে সামান্য লবণ মেশান। মিশ্রনটিতে তুলো ডুবিয়ে সেটি ঠোঁটে লাগান। এবার হাত দিয়ে ভালো করে ঠোঁট ঘষে নিন। কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে নিন। দেখবেন ঠোঁটের রুক্ষতা অনেকটা চলে গেছে।
*বাজারের লিপবাম ব্যবহার না করে, তার বদলে নারকেল তেল দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন লিপবাম। এক চা চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক চা চামচ অলিভ অয়েল মেশান। তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে দিন। নিয়ম করে প্রতিদিন মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগান।
নখের ওপর আঁকিবুঁকি
নানা রঙের নেইলপলিশে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারটা ভর্তি আপনার? এবার হাতে নিন টুথপিক, চুলের কাঁটা কিংবা আইলাইনার ব্রাশ। দারুণ সব নেইল আর্টে রাঙিয়ে তুলুন হাতের নখগুলো। ভাবছেন, পারলারে না গিয়ে নিজে নিজে কি করা যাবে এসব? নিশ্চয়ই যাবে। দেখে নিন সহজ কিছু নেইল আর্ট।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থী নাজিয়া শারমিনের কথাই ধরা যাক। নানা নকশায় নখ সাজানো তাঁর শখ। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ছোটবেলা থেকেই নেইলপলিশ তাঁর ভীষণ প্রিয়। একসময় ভাবলেন, সব সময় এক রং ব্যবহার না করে কয়েকটি রং দিয়ে নখের সাজে ভিন্নতা আনলে কেমন হয়! তিনি জানালেন, নেইল আর্ট করার সময় রঙের সমন্বয়ের বিষয়টা সব সময় মাথায় রাখেন তিনি আর ডিজাইন বেছে নেন নখের উচ্চতা অনুযায়ী।
কথা হলো রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীনের সঙ্গে। তিনি জানালেন, নখ রাঙাতে এখন অনেকেই বেছে নিচ্ছেন ফ্লোরোসেন্ট রঙের নেইলপলিশ। কমলা, ম্যাজেন্টা, নীল, রেডিয়াম, লাল ইত্যাদি উজ্জ্বল রংই এখন বেশি চলছে। এই রংগুলো এমনিতেই নজরকাড়া, তাই এগুলো ব্যবহার করলে খুব জবরজং নয় বরং একেবারে সাধারণ নকশাই মানানসই হবে।
এখন অবশ্য খুব সাধারণ নকশার নেইল আর্টের ট্রেন্ড চলছে। ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিওরও করাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে সাদা-গোলাপি বাদেও অন্য নানা রঙে তা করা হচ্ছে। এখন বেশির ভাগ সময়ই পুরো নখে নকশা না করে এক কোনায় অথবা নখের অর্ধেক অংশ জুড়ে নেইল আর্ট করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আবার শুধু একটি নখে ডিজাইন করে বাকিগুলো এক রঙে রাঙানোর স্টাইলও নজরে পড়ছে। কেউ কেউ আবার একেক নখের জন্য বেছে নিচ্ছেন একেক ডিজাইন।
নাজিয়া শারমিন জানালেন, বর্তমানে বিভিন্ন অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র, কার্টুন বা বইয়ের থিমও উঠে আসছে নেইল আর্টে। পোলকা ডট, জ্যামিতিক নকশা এবং কাগজের ছাপের ট্রেন্ডও চলছে। তবে নখে কী...
ত্বকের যত্নে পরিহার করুন
*নখ দিয়ে ব্রণ খুঁটিয়ে তোলা-
ব্রণ বা ত্বকের ফুসকুরি জাতীয় কিছু নখ দিয়ে আঁচড় দেওয়া মানেই সেখানে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটানো। এর থেকে বাজে কিছুও হতে পারে।
*গরম পানিতে গোসল করা-
দীর্ঘক্ষণ গরম পানিতে গোসল করার পর সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেলেও আপনার চামড়ার সজীবতা কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে গরম পানির তাপে মুখের ত্বকের সূক্ষ্ম নালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেইসঙ্গে চামড়ায় লালাভ ভাব চলে আসে।
*মেকআপের কাজে নোংরা ব্রাশ ব্যবহার-
মেয়েদের জন্য এ বিষয়টিতে খেয়াল রাখা উচিত। মেকআপের সময় ব্রাশে ময়লা থাকলে তা ত্বকে লোমকূপের গোড়া বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্রণ ওঠে। এখান থেকে ইনফেকশনও হতে পারে।
*ধূমপান-
ত্বকের স্বাভাবিকতা হারানোর জন্য এই একটি বদঅভ্যাসই যথেষ্ট যা ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। ধূমপানে চামড়ায় রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। তা ছাড়া নিকোটিনের মতো ভয়াবহ একটি বিষ সরাসরি আপনার রক্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে। রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে ব্রণ ওঠে। আবার নিকোটিনের কারণে ত্বকের ঔজ্জল্য হারিয়ে যায়।
*মদ্যপান-
এটা মারাত্মক একটি কারণ। গবাষণায় দেখা গেছে, অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রার সাথে সাথে মেয়েদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৬ শতাংশ হারে বেড়ে যায়। প্রতি বছর এ কারণে ৬ হাজার নারীর মৃত্যু ঘটে মদ্যপানে। তা ছাড়া এর প্রভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং চামড়ার প্রাকৃতিক তেলতেলে ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সূক্ষ্ম নালীগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে যা স্থায়ী ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।
*মোবাইলে অতিরিক্ত কথা বলা-
বিশ্বাস না হলেও সত্যি যে, অতিরিক্ত ফোনে কথা বললে ত্বকের ক্ষতি হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ফোনের ইলেকট্রিক উত্তাপে কারণে বা ময়লার কারণে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকে কালো ভাব আসতে পারে। আর ব্রণ তো খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
...স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে অয়েলি ও রিচ ফুড এড়িয়ে চলা, হাতের...