মশলা বা নোনতা পিঠা
খাওয়ার পর মুখ ও দাঁতের যত্ন
অফিস বা ঘরের বাইরে কাজে থাকার সময় মুখের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে জেনে নিন কিছু উপায়–
*প্রতিবার খাওয়ার পর পানি বা মাউথওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ কুলিকুচি করে ফেলতে হবে।
*ভারী কিছু খাওয়ার পর ফ্লস বা ব্রাশ ব্যবহার করে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
*মুখে গন্ধ হতে পারে এমন খাবার খাওয়ার পরে মাউথফ্রেশনার ব্যবহার করা উচিত।
*অতিরিক্ত চিনিযুক্ত স্ন্যাকস এড়িয়ে চলা উচিত।
*খাওয়ার একদম শেষে চিজ খাওয়া যেতে পারে। কারণ এটি মুখে জমে থাকা চিনি দূর করে এবং স্যালিভারি (লালা) নিঃসৃত হওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। আর এতে করে মুখ পরিষ্কার থাকে।
*যখন দাঁত মাজা বা ফ্লস ব্যবহার করা সম্ভব হয় না, তখন মুখ পরিষ্কার করতে দারুণ কার্যকর চিনি ছাড়া চুইংগাম। তাছাড়া চিজের মতো চুইংগামও মুখে লালা নিঃসরণের পরিমাণ বাড়ায় এবং ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
*দাঁতের অবাঞ্ছিত দাগ এড়াতে চা এবং কফি কম পান করতে হবে।
...প্রতিবার খাওয়ার পর মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করলে চা, কফি বা শাকসবজি খাওয়ার ফলে দাঁতের যে কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
রুপচর্চায় আইস কিউব ফেসিয়াল
আপনি প্লেন বরফ ব্যবহার করতে পারেন, তবে সবচেয়ে ভালো হবে যদি বরফের সাথে শশা, গোলাপ জলের মত উপকারী উপাদান নিতে পারেন। চাইলে কমলার রস, লেবুর রস এগুলোও যোগ করতে পারবেন। এই ফেসিয়ালের উপাদান গুলো সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে।
*শশা ২টি, ১ বোতল গোলাপ জল, আইস কিউব ট্রে, বেবি লোশন, গরম পানি নিয়ে নিন।
*ফেসিয়াল শুরু করার আগে একটি বড় গামলা বা সিঙ্কে গরম পানি ভর্তি করে ফেলুন। তারপর লোশনের বোতলের মুখ খুব ভালো করে আটকে নেবেন যেন এর ভেতর কোন পানি না ঢুকতে পারে। গামলা বা সিঙ্কে গরম পানির ভেতর বোতলটি দিয়ে দিন যেন বোতলে থাকা লোশন উষ্ণ গরম হয়ে যায়।
*এরপর খোসা ছাড়িয়ে শশা ছোট ছোট টুকরো করে নিন।
*এবার একটি পাত্রে সমান পরিমাণে শশা ও গোলাপ জল নিবেন। কিন্তু সমান সমান হতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
*এখন কয়েক মিনিটের জন্য উপকরণ গুলো বয়েল করুন। তারপর ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য মিশ্রণটি রেখে দিন।
*ঠাণ্ডা হলে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। তারপর গোলাপজল-শশার জুস আইস কিউব ট্রেতে জমতে দিন।
*প্রত্যেক রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখ ভালো ভাবে পরিষ্কার করে একটি আইস কিউব সার্কুলার মোশনে পুরো মুখে রাব করবেন। ততক্ষণ করবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না বরফটি গলে যায়।
*আইস কিউব ফেসিয়াল করার পর গরম পানির নীচ থেকে লোশনের বোতল বের করে পুরো মুখে হালকা ম্যাসাজ করে লোশন লাগিয়ে নিন।
...কখনও টানটান হয়ে যাচ্ছে আবার কখনও তেলতেলে এমন ত্বকের জন্য আইস কিউব ফেসিয়াল। এই ফেসিয়াল আপনার রাতের রূপচর্চার রুটিনের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। বরফ ত্বকের ব্লাড ফ্লো বাড়িয়ে দেয় কয়েকশো গুণ আর মলিন লুকের বদলে আপনার ত্বকে ছড়িয়ে দেয় গোলাপি আভা। এই ফেসিয়ালের উপকারিতা এখানেই শেষ নয়।...
চুল ঘন করতে টিপস
চুল বৃদ্ধির কাজটি ১ রাতেই হবে না। আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং অবশ্যই চুলের সঠিক যত্ন নিতে হবে। আপনার অসাবধানতা চুলের জন্য সবচাইতে বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। সুতরাং সাবধান হোন।
*চুল পরিষ্কার রাখা জরুরী, কিন্তু তা বলে প্রতিবার গোসলের সময় চুলে শ্যাম্পুর ব্যবহার চুলের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক তেল চলে যায়, যার ফলে চুল সহজে বাড়তে চায় না। তাই অন্তত ১ দিন পরপর চুল শ্যাম্পু করুন।
*অনেকেই ভাবেন চুল লম্বা করতে বা চুলের ঘনত্ব ঠিক রাখতে গেলে চুল একেবারেই কাটা ঠিক নয়। কিন্তু ৬ থেকে ১০ সপ্তাহ পরপর অন্তত ১ ইঞ্চি চুল কাটা চুলের জন্য খুবই জরুরী। এতে চুলের আগা ফাটা দূর হবে যা চুল বাড়তে সহায়তা করবে।
*চুলের ঘনত্ব দ্রুত বৃদ্ধির জন্য তেলের অন্য কোনো বিকল্প নেই। চুলের বৃদ্ধিতে তেল যতোটা কাজ করে অন্য কোনো কেমিক্যাল সমৃদ্ধ উপাদান তা করতে পারে না। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন তেল গরম করে চুলের গোঁড়ায় ম্যাসেজ করা উচিত। এছাড়াও সপ্তাহ অন্তত ১ দিন ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল ও আমন্ড অয়েল সমপরিমাণে মিশিয়ে চুলে লাগানো উচিত। এতেও চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়।
*শুধু বাহ্যিকভাবেই নয় চুলের বৃদ্ধি হয় ভেতরের পুষ্টিগুণ থেকে। আপনি যদি খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর এবং চুল বৃদ্ধিতে সহায়ক খাবার রাখেন তাহলে চুলের বৃদ্ধি দ্রুতই হবে। দ্রুত চুল বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ই, এ, ফলিক অ্যাসিড, ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।
*চুল অনেক জোরে ঘষে আঁচড়ানো, চুলে টান লাগা, চুলের জট এক টানে ছাড়িয়ে ফেলার মতো ভুল করবেন না। এতে করে চুলের গোঁড়া নরম হয়, চুল পড়া বাড়ে এবং চুল ভেঙেও যায়। চুল খুব ভালো করে সময়...
রুপচর্চায় লিচি ফেসিয়াল মাস্ক
এই মাস্কটি চমৎকার ময়শ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। বয়সকে ধরে রাখা যায় না কিন্তু “লিচি ফেসিয়াল মাস্ক” সপ্তাহে তিন চারবার ব্যবহারে ধীরে ধীরে চেহারার বয়সের ছাপ কমে যাবে।
*ব্লেন্ডারে ৩টি লিচু, ২ চা চামচ টক দই এবং ১ চা চামচ আটা নিয়ে ব্লেন্ড করুণ।
*এবার সারা মুখে মেখে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুণ।
*এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
...লিচু খাওয়ার উপকারীতা অনেক। লিচুতে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম রয়েছে। এরা ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। লিচুর এই উপাদানগুলো কাজ করে মুখের শুষ্কভাব দূর করতে, কপালের ভাজ পরা, ঠোটের চারপাশের বলি রেখা, গলা এবং বুকের পিগমেন্টেশন দূর করতেও ভূমিকা রাখে। ত্বকের তৈলাকাততা দূর করে বিধায়, লিচু খেলে ব্রণের উপদ্রবও কমে।
বর্ষায় চুলের যত্ন
বংশগতগত বা হরমোন জনিত সমস্যা ছাড়া বাকি প্রায় সবগুলো সমস্যার প্রতিকার করা সম্ভব। প্রথমে প্রতিকার বা প্রতিরোধ পদ্ধতি জেনে নিতে হবে।
চুলের সমস্যা-
*বংশগত বা হরমোন নিঃসরণের কারণে চুল পড়ে যেতে পারে।
*দীর্ঘ সময় ভেজা থাকলে চুলের গোড়া দূর্বল হয়ে যায়। ফলে চুল পড়ে যায়। ভেজা চুলে ছত্রাকের আক্রমণেও চুল পড়ে যায়।
*দেহে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে চুল পড়ে যায়।
*চুলে ময়লা জমে থাকলে চুলের গোড়ায় খুশকি হয়ে চুল পড়ে যেতে পারে।
*উচ্চ রক্তচাপ, দুশ্চিন্তা, হতাশা, রাত জাগা ও পরিশ্রমের ফলেও চুল পড়ে যায়।
সমস্যার প্রতিকার-
*শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় অবশ্যই সঙ্গে পানি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে প্রায় প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।
*নিয়মিত চুল আঁচড়ালে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে। মাথার স্নায়ু সতেজ হবে আর কমবে চুল পড়া।
*নিজের চিরূনি, বালিশ ও তোয়ালেসহ সবকিছু পরিচ্ছন্ন রাখুন। অন্যের ব্যবহার করা জিনিস ব্যবহার করবেন না।
*অতিরিক্ত রোদের উত্তাপ থেকে চুল নিরাপদ রাখুন। প্রয়োজনে ছাতা, টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।
*খাবারের তালিকায় শাকসবজি, ডাল, ছোলা, বাদাম ইত্যাদির পরিমাণ বাড়ান। এতে চুলে পর্যাপ্ত পুষ্টি, ক্যালসিয়াম ও আয়রন পাবে। চুল পড়া রোধ হবে।
*১ চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে চুলে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে শ্যাম্পু করুন। এভাবে সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করলে খুশকি চলে যাবে।
*নারিকেল তেলের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে মালিশ করে ১০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে।
সাবধানতা-
*শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা যেকোনো ধরনের প্রসাধনী যেন চুলের গোড়ায় লেগে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
*মাথায় খুশকি থাকলে যে কোনো ধরণের তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
*বেশি সময় শ্যাম্পু বা...
বয়স কমান লিচুতে
বয়সকে ধরে রাখা যায় না। কিন্তু কেউই চায়না তার ওপর বয়সের ছাপ পরুক। মাঝে মাঝে ত্বকে বলি রেখা দেখা দিয়ে দুশ্চিন্তাটা আরো বাড়িয়ে দেয়। আপনি কি জানেন আপনার হাতের কাছেই একটি জিনিস আছে যা দিয়ে আপনার বয়সকে ৪-৫ বছর কমিয়ে দিতে পারেন। এটি একটি ফল, যার নাম লিচু। গ্রীষ্মের এইসময়টিতে প্রচুর পরিমাণ লিচু পাওয়া যায়। লিচু সম্বন্ধে আরো জানতে পুরো লেখাটিই পড়ুন।
লিচুতে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম রয়েছে। এরা ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বকের যৌবন ধরে রাখে। লিচুর এই উপাদানগুলো কাজ করে মুখের শুষ্কভাব দূর করতে, কপালের ভাজ পরা, ঠোটের চারপাশের বলি রেখা, গলা এবং বুকের পিগমেন্টেশন দূর করতেও ভূমিকা রাখে। ত্বকের তৈলাকাততা দূর করে বিধায়, লিচু খেলে ব্রণের উপদ্রবও কমে।
এই তো গেল লিচু খাওয়ার উপকারীতার কথা, লিচু দিয়ে একধরণের ফেসিয়াল মাস্কও তৈরী করা যায়।
৩টি লিচু ব্লেন্ড করে এর সাথে ২ চা চামচ টক দই এবং ১ চা চামচ আটা যোগ করে মিশিয়ে নিলে একটি ফেস মাস্ক তৈরী হবে। সারা মুখে মেখে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি চমৎকার ময়শ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। সপ্তাহে তিন চারবার এটি ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে নিজেকে ৪-৫ বছর কম বয়সী মনে হতে পারে।
ঘরেই তৈরি করুন শতভাগ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত বেবি পাউডার
বাজার থেকে কত দাম দিয়েই না আমরা ট্যালকম পাউডার কিনে থাকি, বিশেষ করে শিশুদের ব্যবহারের বেবি পাউডার। কিন্তু তারপরও এসব পাউডারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকেই থাকে। অযথা অর্থ খরচ করে এসব পাউডার কেন কিনবেন? বদলে নিজেই বানিয়ে ফেলুন শতভাগ নিরাপদ বেবি পাউডার, যা ব্যবহার করতে পারবেন যে কোন বয়সী কেউ। আর পাউডার হবে আপনার পছন্দমত সৌরভের। চলুন তাহলে, জেনে নিই ৫ মিনিটে পাউডার তৈরির উপায়।
যা যা লাগবে
১/২ কাপ হোয়াইট ক্লে
(এটা বড় কসমেটিকসের দোকানে কিনতে পারবেন, ফেস মাস্কে যে ক্লে ব্যবহৃত হয় সেটা)
অথবা
১/৪ কাপ কর্ণ স্টার্চ/কর্ণ ফ্লাওয়ার
১/৪কাপ অ্যারারুট পাউডার
(এই দুটি উপাদান যে কোন বড় মুদির দোকানে কিনতে পারবেন। সুপার শপে পাবেন। বাজারেও পাবেন। তবে ভালো ব্র্যান্ড দেখে কিনবেন। যেহেতু ত্বকে ব্যবহার করবেন, ভালো ব্র্যান্ড কেনাই ভালো। আর কোন রকম বাড়তি ফ্লেভার দেয়া পণ্য কিনবেন না।)
আপনার পছন্দ মত যে কোন এসেনশিয়াল ও অয়েল ১০ ফোঁটা
(সুগন্ধ না চাইলে এসেনশিয়াল অয়েল না দিলেও হবে।)
প্রণালি
-একটি কাঁচের জার বা প্লাস্টিকের কৌটো নিন। সমস্ত উপাদান একত্রে ভালো করে মিশিয়ে কৌটায় ভরে ফেলুন। ব্যাস, তৈরি আপনার পাউডার।
-এসেনশিয়াল অয়েল ছাড়াই সুগন্ধ পেতে চাইলে আছে একটি সহজ উপায়। তবে এতে কেবল লেবু বা কমলার গন্ধই পাবেন।
-কমলা বা খোসা নিন। তারপর ভেতরের দিকের সাদা অংশ একদম চেঁছে পরিষ্কার করে ফেলুন। তারপর ছোট ছোট টুকরো করে নিন খোসাগুলো। এই খোসা পাউডারের সাথে মিশিয়ে ২/৩ দিন রেখে দিন। তারপর এগুলো ফেলে দিয়ে পাউডার ছেঁকে নিয়ে কৌটায় ভরে ফেলুন। লেবু বা কমলার প্রাকৃতিক এসেনশিয়াল অয়েল অ তার সৌরভ পাউডারের সাথে মিশে যাবে।
-এটাও না পারলে ১ চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। সুন্দর সৌরভ হবে।
গ্রীন টি দিয়েই তৈরি করুন দারুণ ৫ টি ফেসপ্যাক
গ্রীন টি বা সবুজ চায়ের স্বাস্থ্যগুণের কথা আমাদের সবার জানা। ওজন কমাতে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে, হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সবুজ চায়ের জুড়ি নেই। এই চায়ের সৌন্দর্যগুণও অনেক। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ত্বকের সুরক্ষা, চর্মরোগের চিকিৎসায় সৌন্দর্যচর্চায় সবুজ চা কার্যকর ভূমিকা রাখে। এতে বিপুল পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করে। সূর্যকিরণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা, ত্বকের পুড়ে যাওয়া ভাব রোধে সবুজ চায়ের ফেইস প্যাক খুবই কার্যকর। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সবুজ চা দিয়ে তৈরি কিছু ফেইস প্যাক।
১। গ্রীন টি এবং মধুর ফেইস প্যাক
১ টি গ্রীন টি টি-ব্যাগ
২ চা চামচ মধু
গ্রীন টি এবং মধু খুব ভালভাবে মিশিয়ে নিন। সারা মুখে ভালভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টপূর্ণ প্যাক, যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে, ব্রণের কালো দাগ দূর করে এবং ব্ল্যাক হেডেস দূর করে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে।
২। গ্রীন টি এবং লেবুর রসের ফেইস প্যাক
২ টেবিল চা চামচ গ্রীন টি(ঠান্ডা হওয়া)
১/২ চা চামচ লেবুর রস
১ চিমঁটি হলুদের গুঁড়া
গ্রীন টি, লেবুর রস, এবং হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এরপর ছোট ছোট তুলার বলের সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। প্যাকটি শুকানোর জন্য ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গ্রীন টিয়ে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রাকৃতিক ইউ ভি প্রটেক্টর যা ত্বকের পুষ্টিসাধন করে এবং দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়াকে প্রতিরোধ করে থাকে। যাদের হলুদে অ্যালার্জি আছে তারা শুধু গ্রীন টি আর লেবুর রস দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন।
৩। গ্রীন টি, চালের গুঁড়া এবং লেবুর রসের প্যাক...
হার্ট নেইল আর্ট
বর্তমানে নেইল আর্ট নারীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি ফ্যাশন। আগের মতো এক রঙের নেইলপলিশে নখ রাঙাতে কেউই তেমন পছন্দ করেন না। দারুণ সব নেইল আর্টের ভক্ত নারীর সংখ্যা অনেক বেশি। কেউ কেউ নিজেই নেইলআর্ট করতে পারলেও, অনেকেই নেইলআর্টের জন্য পার্লারে চলে যান এবং খুবই সাধারণ নেইলআর্টের পেছনে ব্যয় করেন অনেক টাকা। কিন্তু নেইলপলিশ তো ঘরেই রয়েছে, তাহলে নিজেই করে ফেলুন না দারুণ সুন্দর একটি নেইলআর্ট। একেবারেই ঝামেলাবিহীন দারুণ সুন্দর ‘হার্ট নেইল আর্ট’ করতে পারবেন নিজেই খুব সহজে এবং বেশ অল্প সময়ে। চলুন তাহলে শিখে নেয়া যাক পদ্ধতিটি।
যা যা লাগবে:
- বেইসের জন্য সাদা বা নিজের পছন্দের হালকা রঙের নেইলপলিশ
- হার্টের জন্য লাল, গোলাপি এবং সাদা নেইলপলিশ (এখানে শেডের হার্ট আঁকা হয়েছে, আপনি চাইলে একটি মাত্র রঙের হার্ট করতে পারেন)
- সাধারণ চওড়া স্কচটেপ
- কেঁচি
- স্পঞ্জ ( শেডের জন্য প্রযোজ্য, এক রঙের হলে প্রয়োজন নেই)
- ট্রান্সপারেন্ট নেইলপলিশ
পদ্ধতি:
- প্রথমে খানিকটা স্কচটেপ কেটে আঠার বিপরীত দিকে দু ভাজ করে নিয়ে মাঝ বরাবর নখের আকার অনুযায়ী ছোট বা বড় করে একটি হার্ট আকৃতির অংশ কেটে নিন।
- এরপর নখে বেইসের হালকা রঙের নেইলপলিশটি লাগান এবং ভালো করে শুকিয়ে নিন।
- বেইস শুকিয়ে গেলে নখের উপরে হার্ট কাটা স্কচটেপ লাগিয়ে নিন নিজের পছন্দমতো স্থানে (এখানে মাঝে বরাবর বসানো হয়েছে)।
- শেডের হার্ট আঁকাতে চাইলে স্পঞ্জের উপরে লাল, গোলাপি এবং সাদা রঙের নেইলপলিশ দিয়ে শেড তৈরি করে নিন (ভিডিও)। এরপর স্পঞ্জটি হার্ট কাটা অংশে চেপে চেপে নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। এক রঙের হলে শুধুমাত্র সেই রঙের নেইলপলিশ বুলিয়ে নিন স্কচটেপ লাগানো নখে।
- কিছুটা শুকিয়ে আসার আগেই সাবধানে স্কচটেপ তুলে ফেলুন। এরপর পুরোপুরি শুকিয়ে...