বংশগতগত বা হরমোন জনিত সমস্যা ছাড়া বাকি প্রায় সবগুলো সমস্যার প্রতিকার করা সম্ভব। প্রথমে প্রতিকার বা প্রতিরোধ পদ্ধতি জেনে নিতে হবে।
চুলের সমস্যা-
*বংশগত বা হরমোন নিঃসরণের কারণে চুল পড়ে যেতে পারে।
*দীর্ঘ সময় ভেজা থাকলে চুলের গোড়া দূর্বল হয়ে যায়। ফলে চুল পড়ে যায়। ভেজা চুলে ছত্রাকের আক্রমণেও চুল পড়ে যায়।
*দেহে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে চুল পড়ে যায়।
*চুলে ময়লা জমে থাকলে চুলের গোড়ায় খুশকি হয়ে চুল পড়ে যেতে পারে।
*উচ্চ রক্তচাপ, দুশ্চিন্তা, হতাশা, রাত জাগা ও পরিশ্রমের ফলেও চুল পড়ে যায়।
সমস্যার প্রতিকার-
*শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় অবশ্যই সঙ্গে পানি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে প্রায় প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।
*নিয়মিত চুল আঁচড়ালে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে। মাথার স্নায়ু সতেজ হবে আর কমবে চুল পড়া।
*নিজের চিরূনি, বালিশ ও তোয়ালেসহ সবকিছু পরিচ্ছন্ন রাখুন। অন্যের ব্যবহার করা জিনিস ব্যবহার করবেন না।
*অতিরিক্ত রোদের উত্তাপ থেকে চুল নিরাপদ রাখুন। প্রয়োজনে ছাতা, টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।
*খাবারের তালিকায় শাকসবজি, ডাল, ছোলা, বাদাম ইত্যাদির পরিমাণ বাড়ান। এতে চুলে পর্যাপ্ত পুষ্টি, ক্যালসিয়াম ও আয়রন পাবে। চুল পড়া রোধ হবে।
*১ চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে চুলে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে শ্যাম্পু করুন। এভাবে সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করলে খুশকি চলে যাবে।
*নারিকেল তেলের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে মালিশ করে ১০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে।
সাবধানতা-
*শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা যেকোনো ধরনের প্রসাধনী যেন চুলের গোড়ায় লেগে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
*মাথায় খুশকি থাকলে যে কোনো ধরণের তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
*বেশি সময় শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার চুলে দিয়ে রাখা ঠিক নয়।
*চুলে গরম পানির ব্যবহার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। তবে প্রয়োজনে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
*চুলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। তোয়ালে বা গামছা দিয়ে মুছে স্বাভাবিকভাবে চুল শুকান।
*হেয়ার জেল (স্টাইলিং প্রোডাক্টস) নির্দিষ্ট সময় পর ধুয়ে ফেলতে হবে, যেন চুলে লেগে না থাকে।
*ব্যবহার্য প্রসাধনীর মেয়াদ দেখে কিনুন। মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ব্যবহার করবেন না।
*চুল ভেজা রাখবেন না।
*অ্যালার্জি থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চুলের ট্রিটমেন্ট করতে হবে।
*কেনা যে কোনো পণ্য আসল কিনা দেখে নিন।
...গ্রীষ্মের শেষে বর্ষার শুরুতে অনেকেরই চুলে নানান রকম সমস্যা দেখা দেয়। বেশি সময় ধরে বাইরে থাকার কারণে গ্রীষ্মের প্রখর রোদে চুলের উজ্জ্বলতা হারানো, চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুল লালচে হয়ে যাওয়া ও চুল অমসৃণ হয়ে যায়। আবার বর্ষার সময়ে চুলের গোড়ায় পানি জমে থাকলে ফাঙ্গাস সৃষ্টি হতে পারে।