এশিয়ার সেরা ৫ হানিমুন স্পট
হোয়াটিং ফেসিয়াল
কাজের ব্যস্ততায় পার্লারে বুকিং দেওয়া হয়নি? কিংবা জ্যামের ভয়ে পার্লারে যাওয়ার ইচ্ছা নেই? কিন্তু ঈদের আগে তো একটা ফেসিয়াল করতেই হবে। তবে কী করার? ঘরে বসে করে নিতে পারেন পার্লারে মত হোয়াইটিং ফেসিয়াল। কোন বিশেষ অনুষ্ঠানের আগে চেহারায় দ্রুত উজ্জ্বলতা আনতে বেশ কার্যকর এই ফেসিয়ালটি। নিয়মিত এই ফেসিয়াল করলে ত্বকের দাগ কমতে থাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে বাড়িতে বসেই হোয়াইটেনিং ফেসিয়াল করবেন।
১) ক্লিনজিং
হোয়াইটিং ফেসিয়ালের প্রথম ধাপটা হল ক্লিনজিং। প্রথমে মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর মুখ ও গলায় ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে ভালভাবে ম্যাসেজ করুন। ৫ মিনিট ম্যাসেজ করার পর অতিরিক্ত ক্লিনজিং মিল্ক মুছে ফেলুন।
২) ম্যাসেজিং
এবার মুখ ও গলায় ম্যাসাজ করার জন্য হোয়াইটেনিং ম্যাসাজ ক্রিম নিন। ক্রিম খুব ভালভাবে গলা ও মুখে ম্যাসাজ করুন ১৫-৩০ মিনিট ধরে। ম্যাসাজ করার সময় কিছুক্ষণ পরপর আঙ্গুলে হালকা ক্রিম নিয়ে আঙ্গুল পানিতে ভিজিয়ে তারপর ম্যাসাজ করবেন। এতে ম্যাসাজের ধারা বজায় থাকবে। যত ভালো ম্যাসাজ করতে পারবেন মুখ তত উজ্জ্বল দেখাবে, কেননা ম্যাসাজ করলে রক্তপ্রবাহে গতি আসে। ম্যাসাজ শেষে ত্বক ঠান্ডা পানিতে ভেজানো রুমাল দিয়ে মুছে ফেলুন।
৩) স্ক্রাবিং
ম্যাসেজিং এর পর গলা ও মুখ স্ক্রাব করুন। ৫/১০ মিনিট স্ক্রাব করার পর অতিরিক্ত ক্রিম মুছে ফেলুন। এটা মৃত কোষ আর ব্ল্যাক হেডস দূর করে থাকে।যে কোন ফেসিয়ালে স্ক্রাবিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৪) স্টীমিং
স্টীমিং করার অনেকগুলো উপায় আছে।এক বালতি গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে নিন।তারপর সেটা দিয়ে ৫ মিনিট মুখে ভাপ দিন। এটি ত্বকের ছিদ্র এর ভিতর থেকে ময়লা বের করে নিয়ে আসে।
৫) ফেসপ্যাক
এবার হোয়াইটেনিং ফেসপ্যাক তৈরী করুন। তৈরী করতে ঝামেলা মনে হলে দোকান থেকে যেকোন হোয়াইটেনিং ফেসপ্যাক কিনে নিতে পারেনা। ফেসপ্যাক...
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরেই করুন ব্লিচ
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ত্বক ব্লিচ করার ব্যাপারে অনেকেই জানেন। বিশেষ করে বড় কোনো অনুষ্ঠান বা উৎসবের আগে ব্লিচ করিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নেন অনেকেই। কিছুদিনের পরেই ঈদ। এরই মাঝে পার্লারগুলোতে বেশ ভিড় জমে গিয়েছে। কিন্তু ব্লিচ করতে পার্লারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না একেবারেই। ঘরে বসে খুবই সহজ উপায়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে ব্লিচ করে নিতে পারেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং ত্বকের উপরের মরা কোষ দূর করতে পারবেন সহজেই। চলুন তাহলে ঘরে বসে ব্লিচ করে নেয়ার সহজ পদ্ধতিটি শিখে নেয়া যাক।
যা যা লাগবেঃ
- ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
- ১ টেবিল চামচ দুধ
- ১ টেবিল চামচ মধু
- ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো/ বাটা
পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধিঃ
- প্রথমে দুধ ও মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে তাজা লেবুর রস ভালো করে মেশান।
- তারপর হলুদ বাটা/ গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে মাস্কের মতো তৈরি করে নিন । কিছুটা পেস্টের মতো মিশ্রন তৈরি হবে।
- এবার এটি পুরো মুখে লাগিয়ে গোল গোল করে পুরো মুখে ম্যাসেজ করে লাগিয়ে নিন।
- ১০ মিনিট রেখে দিন। ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতো ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন।
- মুখ ধুয়ে ভালো করে মুছে নিন। ৬/৭ ঘণ্টা কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না ত্বকে।
সতর্কতাঃ
- লেবুতে অ্যালার্জি হয় ত্বকে যাদের তারা এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করবেন না
- দিনের বেলা ব্লিচ করে সরাসরি সূর্যের আলোতে বেরুবেন না, প্রয়োজনে রাতে ব্লিচ করুন।
নিখুঁত গ্ল্যামারাস মেকআপ করার কিছু দারুণ টিপস
সব অপেক্ষার অবসান করে চলে এসেছে ঈদ। এই ঈদের দিনটির জন্য আমাদের এত আয়োজন,এত কেনাকেটা,এত ছোটাছুটি। এই দিনটিতে নতুন পোশাকের সঙ্গে একটু পরিপাটি হয়ে থাকা আর একটু বিশেষভাবে না সাজলেই নয়। আমাদের সবার ইচ্ছাই নিজেকে আর অন্যদের থেকে একটু আলদা দেখানো একটু বেশি সুন্দর লাগা। আর এইজন্য আমরা কত কি না করে থাকি! অথচ কিছু নিয়ম মেনে মেকআপ করলে নিজেই করে নিতে পারবেন পার্লারের মত দারুণ মেকআপ। তাহলে জেনে নেয়া যাক মেকাআপের দারুণ কিছু কৌশল।
১) ত্বক পরিষ্কার করা
প্রথমে মেকআপের জন্য ত্বককে তৈরি করুন। ভাল মানের ফেইস ওয়াস বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়েঁ ফেলুন। এতে আপনার মখের ময়লা সব চলে যাবে এবং মেকাআপ ভালভাবে মিশেয়ে যাবে আপনার ত্বকের সাথে।
২) ময়েশ্চারাজিং
হালকা কোন ময়েশ্চারাজিং ক্রিম বা লোশন দিয়ে কপাল,নাক,মুখ,চোখের চারপাশে ম্যসেজ করুন। ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা করুন যাতে লোশন বা ক্রিম ত্বকের সাথে মিশে যায়। ময়েশ্চারাজিং মেকআপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
৩) ফাউন্ডেশন
ত্বক পরিষ্কারের পর শুরু হবে মেকআপ পর্ব। পারফেক্ট মেকআপ শুরু হয় ভালো বেস দিয়ে। বেসের প্রথম শর্ত হল নিজের ত্বক অনুযায়ে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা। ফাউন্ডেশন নির্বাচন করতে হবে নিজের গায়ের শেড থেকে এক অথবা দুই শেড হালকা। হালকা রং ত্বককে উজ্জ্বল দেখাবে। শেডিং এর জন্য গাঢ় রং দরকার।আপনার ত্বকের শেড অনুযায়ে ওয়েল ফ্রী ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। তাহলে মেকআপ ভালো ভাবে বসবে। মুখ তৈলাক্ত হলে পাউডার ফাউন্ডেশন লাগান।
৪) কনসিলার
কনসিলার আপনার মুখের দাগ,চোখের নিচের কালি ঢেকে দেয়। নিজের স্কিনটোনের সাথে মিলিয়ে কনসিলার কিনতে হলে আপনার ফাউন্ডেশন থেকে অর্ধেক শেড হালকা থেকে শুরু করুন। ত্বকের ব্লেমিস বা কালোদাগ দূর করতে আপনার ফাউন্ডেশনের চেয়ে এক শেড হালকা তবে ব্ল্যাক আন্ডারটোনের কনসিলার ব্যবহার...
কম ঝামেলায় নিত্যের সাজ
সাজসজ্জায় বেশি মন নেই, খুব একটা মাথা ঘামানো হয় না রোজকার তৈরি হওয়া নিয়ে, এমনটা তো হতেই পারে যে কারো। সবসময় অলঙ্কারের ব্যবহার নিয়েও বিরক্তি থাকতেই পারে। কিন্তু গুছিয়ে তৈরি হওয়ার মানেই যে রাজ্যের আয়োজন, অনেক অনেক গয়নাগাটির বোঝা, নিজের এমন ভুল ভাবনটা এবার তাড়িয়ে ফেলুন। অল্প আয়োজনেই রোজ নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার বিদ্যা আয়ত্ত করে নিন।
কোন একটি গয়না বা অনুষঙ্গ বাছাই করুন একদিনের জন্য। খুব নজরকাড়া হতে হবে, তেমন তো কথা নেই। কিন্তু ছিমছাম সুন্দর কোন একটা জিনিষই আপনার সাজের ষোলকলা পূরণ করে দিতে পারে।
যেমনটা করতে পারেন আপনি
হেয়ারব্যান্ড বা ক্লিপ, চুলের এমন অনুষঙ্গগুলো হতে পারে আপনার সাজের উপকরন। রঙেঢঙে বৈচিত্র্যময় সব অনুষঙ্গ সংগ্রহে রাখতে পারেন। খোলাচুল, পরিপাটি খোঁপা বা এলোমেলো বেণি যাই হোক আপনার কেশবিন্যাস, সাথে মানানসই একটি ব্যান্ড বা ক্লিপ আপনার সাজের মাধ্যম হয়ে উঠবে। বা বর্ণিল কয়েকটি হেয়ারব্যান্ড দিয়ে কয়েক ধাপের পনিটেইলেই আপনার সাজের উচ্ছাস প্রকাশ পাবে। করেই দেখুন না কেমন লাগে।
একহাত ভরে চুড়ি পরতে পারেন একদিন। সালোয়ার-কামিজ হোক বা জিন্স-কুর্তি, সবকিছুর সাথেই চুড়ি বা ব্রেসলেট মানিয়ে যায় বেশ। এবং মাথায় রাখুন সেই সহজ সূত্র, চিকন চুড়ি পরলে হাত খানিকটা ভর্তি করেই পরুন আর একটু চওড়া ব্রেসলেটের ক্ষেত্রে একটি বা দুটি বেছে নিন। পোশাকের রঙের বৈপরীত্যে পরুন চুড়ি অথবা ব্রেসলেট, বিষয়টা বেশি নজর কাড়বে তখন।
বড়সড় একটা আংটি গলিয়ে নিন আঙ্গুলে। চাইলে দুই/তিনটি আংটিও পরতে পারেন, একেক রকমের। হাতে তখন চুড়ির গোছা থাকুক বা না থাকুক, কেবল আংটিও আপনার সাজের আয়োজনে প্রভাব খাটাতে সক্ষম।
নাকফুল ভালো লাগে? তাহলে কিন্তু প্রায়দিনই নাকফুল পরতে পারেন আপনি। অন্য কোন গয়না ছাড়াই নাকের ডগায় একটা নাকফুলে আপনাকে স্নিগ্ধ...
মুখ ধোয়ার যে ৬ টি ভুলে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে আপনার ত্বকের
আমরা দৈহিক সৌন্দর্যের দিক থেকে ত্বকের যত্ন নেয়াকেই অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। স্ক্রাব ও ফেইসওয়াস ব্যবহার, ফেইসমাস্ক ও উপটান দেয়া, নিয়মিত মুখ ধোয়া, ফেসিয়াল ইত্যাদি সহ নানা কিছুর মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নেন অনেকেই। কিন্তু আপনি জানেন কি শুধুমাত্র যত্ন নয় আপনার মুখ ধোয়ার কিছু ভুলের কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে অনেক বেশি? এই ভুল গুলো করলে ত্বকের যত্নও বৃথা চলে যায় অনেকাংশেই।
১) মুখ ধোয়ার জন্য কেউই হাত পরিষ্কার করে নেন না। অনেকেই ভাবেন মুখ ধোয়ার সাথে হাতও পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু আপনার হাতে যে জীবাণু রয়েছে তা প্রথমেই ত্বকে চলে যায় এবং সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই আগে হাত ধুয়ে নিন।
২) অনেকেই শুকনো ত্বকে ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক ধুয়ে থাকেন এতে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। প্রথমে ত্বক পানি দিয়ে ভিজিয়ে তারপর ত্বকে ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
৩) অনেক সময় নানা ফেসমাস্ক বা উপটান ব্যবহারের পর তা ঠাণ্ডা বা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া থাকে। তখন আমরা সঠিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে অনেক বড় ভুল করে থাকি। খুব ঠাণ্ডা বা বেশ গরম পানি দিয়ে ত্বক ধোয়া উচিত নয়।
৪) স্ক্রাবিং ত্বকের জন্য অনেক বেশি জরুরি। এতে করে ত্বকের মরা চামড়া দূর হয় এবং গভীরে জমে থাকা ময়লা দূর হয়। অনেকে বেশি সময় ধরে ত্বক স্ক্রাব করেন যা অনেক ক্ষতিকর। স্ক্রাবার দিয়ে মুখের ত্বক ১/২ মিনিটের বেশি স্ক্রাব করা একেবারেই উচিৎ নয়। কারণ এর বেশিসময় ধরে স্ক্রাব করলে ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি হয়।
৫) যেকোনো একটি তোয়ালে দিয়ে মুখ মোছা মোটেও ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। মুখ মোছার তোয়ালে অবশ্যই আলাদা করে রাখবেন। তা না হলে ত্বকে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে।
৬) ত্বক কখনোই...
অতিরিক্ত চুল পড়া রোধ করতে দারুণ কার্যকরী মাত্র ১ টি সমাধান
চুল সংক্রান্ত সবচাইতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত চুল পড়া। অন্যান্য সমস্যার সমাধান খুবই সহজে করা গেলেও চুল পড়ার সমস্যা খুব সহজে সমাধান করতে পারেন না অনেকেই। ফলে অতিরিক্ত চুল পড়া শুরু করে যার কারণে অনেকের টাকও পড়তে দেখা যায়। যদি প্রাকৃতিক সমাধান খোঁজেন তাহলে খুবই সহজ একটি সমাধান রয়েছে আপনার হাতের কাছেই। আজকে শিখে নিন অতিরিক্ত চুল পড়া সমস্যার দারুণ কার্যকরী মাত্র ১ টি সমাধান।
ক্যাস্টর অয়েল
চুল পড়া সমস্যার সমাধানের জন্য যে সমাধানটি সবচাইতে বেশী কার্যকর তা হচ্ছে ক্যাস্টর অয়েল। বিভিন্ন উপায়ে এই ক্যাস্টর অয়েল চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারলে চুল পড়ার সমস্যা একেবারেই নিরাময় করতে পারবেন। শুধু তাই নয় নতুন করে চুল গজাতেও সাহায্য করবে ক্যাস্টর অয়েল। আর সেই সাথে চুল ও মাথার ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন চিরকালের জন্য।
জেনে নিন ব্যবহারবিধি
- শুধুমাত্র ক্যাস্টর অয়েল হাতে তালুতে নিয়ে চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বক থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসেজ করার অভ্যাস অনেকটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
- তবে লক্ষ্য রাখবেন অতিরিক্ত তেল ব্যবহার যাতে না করা হয়। কারণ ক্যাস্টর অয়েল অন্যান্য তেলের তুলনায় অনেক বেশী ঘন থাকে যা ধুয়ে ফেলতে কষ্ট হবে।
- সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন যদি পুরোরাত ক্যাস্টর অয়েল চুলে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারলে। কিন্তু যদি হাতে সময় না থাকে তাহলে ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন ক্যাস্টর অয়েল।
- কুসুম গরম পানি দিয়ে প্রথমে চুল ধুয়ে নিন ভালো করে। লক্ষ্য রাখবেন যেন পানি বেশী গরম না হয়ে যায়। ২ ভাগ সাধারণ পানির সাথে ১ ভাগ গরম পানি মিশিয়ে নিন সঠিক তাপমাত্রার জন্য। তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
- আপনি শুধু ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার...
চেহারার যৌবন চিরকাল রাখার সবচাইতে সহজ কৌশলটি
বয়স ত্রিশের কোটা পার হতে না হতেই চেহারায় দেখা যেতে থাকে একটি/দুটি সুক্ষ্ম রেখা। এই রেখাগুলোই সময়ের সাথে দ্রুত পরিণত হয় বলিরেখায়। অনেক প্রসাধনীর ব্যবহার, রোদ, পরিবেশ দূষণ, স্ট্রেস, ঘুমের অভাব ইত্যাদি সব মিলিয়ে আজকাল অনেক দ্রুত বুড়িয়ে যাচ্ছি আমরা আর হারিয়ে ফেলছি সৌন্দর্য। নিজের ত্বকের সৌন্দর্য ফিরে পেতে চান আর সেই সাথে ধরে রাখতে চান যৌবন? তাহলে আজ জেনে নিন এই ছোট্ট একটি কৌশল। এই একটি কৌশলেই মাত্র দুটি উপাদান ব্যবহারে আপনি পাবেন টানটান, মসৃণ ও শিশুদের মত কোমল ত্বক। ফিরে পাবেন নিজের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য আর বলিরেখা থাকবে অনেক অনেক দূরে।
আমরা কী ব্যবহার করবো? হ্যাঁ, আপনি পড়েছেন। আমরা ব্যবহার করবো মাত্র দুইটি উপাদান। এমন দুইটি উপাদান যা যে কারো ঘরেই খুব সহজে মেলে। উপাদান দুটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসাবেই সকলের কাছে পরিচিত, অনেকেই জানেন না যে এই দুটি রূপচর্চাটেও অনন্যা। আমরা এখানে আজ বলছি, মধু ও ডিমের কথা। চলুন, জেনে নিই মধু ও ডিমের ব্যবহারে কীভাবে যৌবন ধরে রাখবেন আপনি।
যা যা লাগবে
ডিমের কুসুম ১টি
মধু ১ চা চামচ
ব্যবহার প্রণালি
-এই দুটি উপাদান একত্রে মিশিয়ে নিন। তারপর মুখে ও গলায় মাখুন।
-আপনি চাইলে পুরো শরীরেও মাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে পানি মিশিয়ে পাতলা করে নেবেন, যেহেতু শরীরের অন্যান্য অংশে লোম থাকে।
-২০ মিনিট রাখুন। এই ২০ মিনিট গরমের মাঝে বা চুলার কাছে যাবেন না।
-২০ মিনিট পর সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে মুছে নিন। কোন সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না।
-সবচাইতে ভালো হয় এই কাজটি রাতের বেলা করলে। মুখ ধোয়ার পর ঘুমিয়ে যাবেন। ৭-৮ ঘণ্টা সময় পাবে ত্বক নিজের ক্ষতি পূরণের। সকালে উঠে পাবেন ঝলমলে আর নরম চেহারা।
-একদিন পর...
মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার শতভাগ \"ব্যথামুক্ত\" ২টি উপায়
মুখে অবাঞ্ছিত লোম কেবল নারীদের জন্য নয়, অনেক পুরুষের জন্যও বিব্রতকর একটি সমস্যা। কপালে, গালে, কানের পাশে ইত্যাদি অনেক স্থানেই হয়ে থাকে অবাঞ্ছিত লোম। মেয়েদের ক্ষেত্রে ঠোঁটের ওপরে লোম তো খুবই বাজে দেখায়। না, শেভ করে এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না, হেয়ার রিমুভাল ক্রিম মুখে ব্যবহার নিষেধ। আর ওয়াক্সিং বা থ্রেডিং মারাত্মক ব্যথাদায়ক প্রক্রিয়া। তাহলে উপায়? জেনে নিন সম্পূর্ণ ব্যথাহীন ভাবে মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার দুটি দারুণ উপায়। কী লাগবে? কেবল বেকিং সোডা আর রসুন!
বেকিং সোডা সমূলে বিনাশ করবে মুখের লোম
এই পদ্ধতিটি অবশ্যই রাতে অবলম্বন করতে হবে। দিনে করা যাবে না। পরিমাণ যেটুকু বলা আছে, সেটুকুই ব্যবহার করবেন।
-২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ২০০ এমএল ফুটন্ত পানির সাথে মিশিয়ে নিন। তারপর পানিতিকে ঠাণ্ডা হতে দিন সম্পূর্ণভাবে।
-কয়েক টুকরো সুতি কাপড় বা গোঁজ ব্যান্ডেজ এই মিশ্রণে ভিজিয়ে একটু নিংড়ে নিন। তারপর সেই স্থানে লাগিয়ে রাখুন যেখানে বেশী লোম গজায়। এমনভাবে মুখে লাগান, যেন কাপড় বা ব্যান্ডেজের টুকরো মুখে লেগে থাকে সারা রাত। টিস্যু পেপারও ব্যবহার করতে পারেন, সেটা বেশ ভালো ভাবে লেগে থাকে।
-সকালে মুখ ধুয়ে খুব ভালো ময়েসচারাইজার লাগিয়ে নিন। ২/৩ দিন ব্যবহার করলেই বাড়তি লোম ঝরে পড়তে শুরু করবে।
টিপস
মুখে কাপড় লাগিয়ে ঘুমাতে না পারলে আক্রান্ত স্থানে মিক্সচার মাখুন। শুকিয়ে গেলে আবারও মাখুন। এমন করে কয়েকবার দেয়ার পর সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে মুখ না ধুয়েই বিছানায় যান। তবে এভাবে লোম ঝরতে সময় লাগবে।
রসুনের আছে ম্যাজিক
অনেক কাজের কাজী এই রসুন মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতেও দারুণ এক্সপার্ট। কী করবেন? তেমন কিছুই না। চলুন জেনে নিই
-রসুন টুকরো করে নিন। আক্রান্ত স্থান গুলোতে ঘষুন।
-আধা ঘণ্টা রাখুন, তারপর...
ত্বকে বাদামী ছোপ ছোপ দাগ? জেনে নিন দ্রুত মুক্তির দারুণ উপায়
অনেক সময় মুখের ত্বকে বাদামী ছোপ ছোপ দাগ দেখতে পাওয়া যায় যা খুবই বিরক্তিকর। ত্বকে বাদামী ছোপ দাগ পড়লে দেখতেও বেশ বিশ্রী লাগে। কিন্তু বর্তমানের আবহাওয়া এবং ত্বকের অযত্নের কারণে ত্বকে এই ধরণের দাগ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। আজকে জেনে নিন এই বাদামী ছোপ ছোপ দাগের যন্ত্রণা থেকে দ্রুত মুক্তির দারুণ একটি উপায়।
কেন হয় এই দাগ?
মূলত এই বাদামী ছোপ দাগ অতিরিক্ত সূর্যের রশ্মি, বয়স জনিত কারণ, লিভারের অসুস্থতা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, গর্ভধারণ, ভিটামিনের অভাব জনিত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। তাই যতোটা সম্ভব নিজের যত্ন নিয়ে প্রতিরোধ করা উচিত এই বাদামী ছোপ দাগ।
দাগ দূর করার কার্যকরী উপায়
বাদামী ছোপ দাগের সমস্যা নিয়ে খুব বেশী চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। ঘরের সামান্য টুকিটাকি জিনিসেই এই দাগ তুলে ফেলতে পারবেন খুব সহজে। যে জিনিসগুলওর ব্লিচিং ইফেক্ট রয়েছে সেগুলো এই ধরণের ছোপ দাগ তুলতে খুবই কার্যকরী। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক উপায়টি।
যা যা লাগবে
- ২ চা চামচ বেসন
- ১ চা চামচ দুধ বা টক দই (যেটা হাতের কাছে পান)
- মাঝারী আকারের লেবুর অর্ধেকটা পরিমাণের রস
- ১ চা চামচ টমেটোর রস
- ২ চিমটি হলুদ গুঁড়ো
- কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল/অলিভ অয়েল
- গোলাপজল পরিমাণমতো
পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধি
- লেবুর রস চিপে নিয়ে লেবির খোসা পরিমাণমতো গোলাপ জলে ডুবিয়ে আলাদা করে রাখুন।
- এরপর বাকি সব উপকরণ (অলিভ/ ক্যাস্টর অয়েল বাদে) একসাথে মিশিয়ে মসৃণ পেস্টের মতো তৈরি করে নিন।
- মুখ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে এই পেস্ট হাতে নিয়ে আলতো করে ঘষে নিন আক্রান্ত স্থানগুলোতে। এরপর পেস্টটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
- পেস্টটি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে হাতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল/ ক্যাস্টর...