Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Entertainment Image

বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ হাসে



গত দেড়মাস ক্রিকেটজ্বরে আক্রান্ত ছিলো বিশ্ব। থাকবেই বা না কেনো! বিশ্বকাপ বলে কথা! বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দাপটে সরব ছিলো আমাদের বিনোদন জগৎও। বলতে গেলে বিনোদন তারকাদের থেকে এবারের মতো সুরগোল আর কখনই দেখেনি বাংলাদেশ। আমাদের বিনোদন জগতের তারকারা এবার এমনই ক্রিকেটে মজে ছিলেন যে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপের ২৯ মার্চ ফাইনাল পর্যন্ত তারা যেনো ক্রিকেটের ক্রিটিকস বনে গিয়েছিলেন! বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ম্যাচ নিয়ে তারকাদের মধ্যে ছিলো এবার দারুন উত্তেজনা, ছিলো বাড়তি উচ্ছ্বাস, ছিলো তর্ক-বিতর্কও! ক্রিকেট আর বিনোদন জগৎ মিলেমিশে যেনো একাকার হয়ে গিয়েছিলো গত দেড় মাসে। গত দেড়মাসে ঘটে যাওয়া সব কিছুই জানাচ্ছি।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ঘোষণার পরই বিনোদন আর ক্রিকেট জগৎ সরব হয় ‘নাজনীন আক্তার হ্যাপী’ নামের একজন মডেল ও অভিনেত্রীকে নিয়ে। কারণ তিনি বাংলাদেশের অন্যতম পেসার রুবেল হুসেইনের নামে ধর্ষণ ও প্রতারণা মামলা করেছিলেন। পেসার রুবেলকেও ক’দিন হাজত খাটতে হয়। যদিও তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলেন। হ্যাপীর এমন ঘটনার পর ক্রিকেট ও বিনোদন জগতে তোলপাড় শুরু হয়। বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়েও হ্যাপী-রুবেলকে জড়িয়ে ঘটে নানা বিতর্ক!

বিশ্বকাপে বিশেষ করে বাংলাদেশের ম্যাচের দিন স্যোশাল মিডিয়ায় আর আর সবার মতোই বিনোদন জগতের তারকা অভিনেতা,অভিনেত্রী ও নির্মাতারাও সরব ছিলেন। তারা নিজের দলকে প্রতিপক্ষের সাথে লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা ‍যুগিয়েছেন প্রতিনিয়ত। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ায় তারকাদের মধ্যে ছিলো বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস! ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ আর সামাজিক যোগাযোগের নানান মাধ্যম স্বাক্ষী হয় সেই আবেগঘন আনন্দ মুহূর্তের! ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সবার মধ্যে তৈরি হয় এক অজানা আত্মবিশ্বাসের। বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখতে থাকে কোয়ার্টার ফাইনাল উতরে যাওয়ার! স্বপ্ন দেখবেই বা না কেনো! প্রতিপক্ষ যখন হয় ভারত! মানুষ ফ্ল্যাশব্যাকে চলে যায় সেই ২০০৭ সালে। যখন প্রথম রাউন্ড থেকেই বাংলাদেশের সাথে হেরে ভারতকে বিদায় নিতে হয়েছিলো। ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি নিয়ে শুরু হয় নানা তর্ক বিতর্ক। প্রথম বিতর্ক শুরু হয় ভারত থেকেই। ইউটিউবে ‘মউকা মউকা’ নামের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখানোর অভিযোগ উঠে, ভারতের ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার সিঁধুও একটি টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে। এইসব চরমভাবে প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে। পক্ষে-বিপক্ষে যুক্ত হয় দুই দেশের শিল্পীরাও। বাংলাদেশ-ভারত এই দু’টি দলের মধ্যে শুধু আর ক্রিকেট যুদ্ধ সীমাবদ্ধ থাকে না, ছড়িয়ে পড়ে শিল্পীতে-শিল্পীতে।

এরমধ্যে পশ্চিম বঙ্গের কবি ও সিনেমা নির্মাতা অতনু সিং এক মন্তব্য করে ভারতীয়দের কাছে চরমভাবে লাঞ্চিত হন। তিনি শুধু একজন বাঙালি হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে ‘বাংলাদেশ’কে সমর্থন করার কথা বলেছিলেন। তার এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয় কলকাতাবাসীরা, তারা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করেন। অতনু বাংলাদেশকে সমর্থন করার কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকে সমর্থনের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ, আমি বাঙালি। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের কোনো অস্তিত্বে আমি বিশ্বাস করি না। কেননা, ভারতের বাংলার সঙ্গে জাঠ হরিয়ানার বা গুজরাতের গুজ্ঝা কালচারের কোনো মিল নেই। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষা ও সংস্কৃতি বাংলা। আর বাংলা ভাষা সংস্কৃতি এগিয়ে চলেছে ওপার বাংলা অর্থাত বাংলাদেশের জন্যে। বাংলা ভাষায় এপার বাংলার অবদান ২০ শতাংশ আর ওপার বাংলার অবদান ৮০ শতাংশ। এমনিতে ক্রিকেট তেমন দেখিনা, বাংলাদেশের খেলা থাকলে দেখছি। ওদের স্পিরিট, আবেগ দেখার মতো। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ জিতুক, এটাই চাই। জয় বাংলা’।

অতনুর এমন বক্তব্যের পর কলকাতার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ও শিল্পী কবীর সুমনও বাংলাদেশকে সমর্থনের কথা জানিয়ে ভারতজুরে সমালোচিত হন। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সমর্থন জানানোয় তাকে তীব্র হুমকির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কবীর সুমন তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ভুল ভাঙ্গানোর চেষ্টা পর্যন্ত করেন। কিন্তু তাতে বিশেষ সফলতা আসেনি। তাকে ভারতীয়দের গালমন্দ শুনতেই হয়েছে। কবীর সুমন বলেন, ‘একটি জায়গাতেও ভারত, ভারতবাসী বা ভারতের ক্রিকেট দল সম্পর্কে কোনও কুকথা বলিনি। বরং ভারতীয় ক্রিকেট দলকে সাবাশ জানিয়েছি। সেই সঙ্গে বলেছি বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে আমার বেশি পরিচিত মনে হয়, তাঁদের আমি সমর্থক। - ব্যাস্! অমনি ভারতের বেশ কিছু ফেসবুকবিদ যে গালাগালির ঝড় ছোটালেন তা বিস্ময়কর! ভারত বা ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে তো একটি কথাও লিখিনি রে বাবা।’

এতো গেলো শুধু বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে সমর্থন বিতর্ক। মূল বিতর্কতো আসলে শুরু হয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর। নানা কারণেই বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচকে ঘিরে দুই দেশের অভিনেতা-অভিনেত্রী আর সেলিব্রেটির মধ্যেও দেখা গেছে সমান আগ্রহ, যা এর আগে কেউ দেখেনি। তো ওই ম্যাচে নিজের দলের বিরুদ্ধে বাজে আম্পায়ারিং আর আইসিসি’র নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললো সাড়া বাংলাদেশ। নিজের দলের বিরুদ্ধে আম্পায়ার আর আইসিসি’র চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আপামর জনতার সাথে ভার্চুয়ালি সামিল হতে দেখা গেলো বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা, অভিনেত্রী আর নির্মাতাদেরও।

জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুবর্না মুস্তাফা ম্যাচ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এটা ক্রিকেট ছিল না। স্কোরকার্ডে বাংলাদেশ হয়তো ম্যাচ হেরেছে, কিন্তু লাখ লাখ মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে তাঁরা। আজ কেউ যদি হেরে থাকে, তবে হেরেছে ক্রিকেট...ক্রিকেট খেলার কালো একটি দিন এটি।’
বাংলাদেশের খেলা মানেই ফেসবুক আর টিভি আলোচনায় নির্মাতা ফারুকীর উচ্ছ্বাসময় সব অনুভূতি। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের সাথে অন্যায় হয়েছে বলে আম্পায়ার ও আইসিসি’র কড়া সমালোচনা করেছিলেন এই নির্মাতা। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাকে কেউ বুঝাতে আসবেন না যে এটি একটি ফেয়ার খেলা। কেউ কি আমাকে বলতে পারবেন, বিশ্বকাপ ফুটবলের দোহায় টেনে একটা কোয়ার্টার ফাইনালের ভেন্যু আর তারিখ কিভাবে পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে? সবাই জানে ফিফা একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান, কিন্তু আইসিসির মতো নির্লজ্জ নয়’। বাংলাদেশ হারের পরও নির্মাতা ফারুকীকে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড ফাইনালে উঠবে, এমন মন্তব্য করে ইতিমধ্যে তিনি ‘ক্রিকেটের পল’ খ্যাতি অর্জন করেছেন। যদিও তিনি বলেছিলেন ফাইনাল জিতবে ‘নিউজিল্যান্ড’।

বাংলাদেশ হারের পর দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলসের ভোকাল শাফিন আহমেদ লিখেছিলেন, ‘না, আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জিততে পারবে না। কোয়ার্টার ফাইনাল নকআউট ম্যাচে তিনটি ভুল সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের অভিযোগ জানাতে হবে। ক্রিকেটপ্রেমী জাতি, অনেক বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই ঘুম থেকে জেগে ওঠ’।

খেলা মানেই অভিনেতা ইরেশ যাকেরের একের পর এক আপডেট। তিনিও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটা লজ্জার যে, এই প্রকারের স্বজনপ্রীতি আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টে এর আগে দেখিনি’।

বাজে আম্পায়ারিংয়ের বলি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম, শুধু তাই না আম্পায়ারকে ভ্যাম্পায়ার বলেও মন্তব্য করে আলোচিত হয়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। তিনি তাৎক্ষণিক স্ট্যাটাসে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘সবচেয়ে মজা লাগছে ভারতের খেলোয়াড়দের ভিতুর ডিমের মতো চেহারা দেখে; আইসিসি'র এত্ত পক্ষপাতিত্বের পরও বাংলাদেশের সাথে খেলতে তাদের জান বের হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাঘের বাচ্চা খেলোয়াড়গুলো দেশে ফিরলে একটা গ্র্যান্ড রিসিপশন দিতে চাই’।

আম্পায়ার আর আইসিসি’র সমালোচনায় যখন সাড়া বাংলাদেশের মানুষ, তখন ভারতেও চলছিলো বাংলাদেশে বিদ্বেষী কথাবার্তা। বিশেষ করে ভারতের কলকাতায়। তবে সেমি ফাইনাল থেকে ভারতের বিদায়ের পর যখন ভাবা হচ্ছিলো অন্তত এবারের মতো তর্ক-বিতর্ক থেকে রেহাই পাওয়া গেলো, তখনই বাংলাদেশকে ‘নতুন পাকিস্তান’ বলে ফের বিতর্ক উস্কে দিলো কলকাতার জনপ্রিয় ব্যান্ড ফসিলস –এর ভোকাল রূপম ইসলাম। বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ পরবর্তী সময়ে বিতর্ক, আর বাংলাদেশিদের প্রতিক্রিয়াতে ক্ষুব্ধ হয়ে ‘নতুন পাকিস্তান’ -এর অভ্যূদ্বয় ঘটেছে বলে একটি স্ট্যাটাস দেন এই শিল্পী। রূপম বলেন, ‘অনেক ম্যাচ জিতেছি, তার থেকে অনেক অনেক বেশী ম্যাচ হেরেছি। তথাকথিত ভারত-পাকিস্তান বিদ্বেষের গল্প শুনেছি, কিন্তু আমার পরিবেশে কখনো ছায়া ফেলেনি। অত্যন্ত লজ্জার সঙ্গে গত কয়েক দিন ধরে এক নতুন পাকিস্তানের অভ্যূদ্বয় সহ্য করছি, আমার অভিজ্ঞতায় যা বিরলতম’।

বাংলাদেশকে নিয়ে শিল্পী রুপমের কটাক্ষ স্বাভাবিকভাবেই নেয়নি আমাদের শিল্পী সমাজ। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে 'নতুন পাকিস্তান' বলায় কলকাতার শিল্পী রূপম ইসলামের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের প্রায় সব মাধ্যমগুলোতে। বাংলাদেশি শিল্পী, লেখক, নির্মাতাসহ ফেসবুক সেলিব্রেটি ও ব্লগাররা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিনে ভারতীয় শিল্পীর এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে তারা স্পষ্ট ভাষায় কলকাতার ওই শিল্পীকে ধিক্কার জানান, এবং বাংলাদেশে শিল্পী রূপমকে নিষিদ্ধেরও দাবী করেন তারা।

২৯ মার্চ নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করলো অস্ট্রেলিয়া, আর তাদের এই জয়ের মাধ্যমে শেষ হলো বিশ্বকাপের এবারের আসর। অথচ ১৯ মার্চ বাংলাদেশ-ভারত –এর মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি নিয়ে বিতর্ক এখনো গড়িয়েই চলছে। যদিও ওই ম্যাচে জয় হয়েছিলো ইন্ডিয়ার, কিন্তু সেমিফাইনালে ভারতের হেরে যাওয়ায় নিজ দেশে আসাই বিপজ্জ্বনক হয়ে দাঁড়িয়েছিলো টিম ইন্ডিয়ার! খেলোয়ারদের দেশে ফেরার আগে ভারত সরকার তাদের বাড়িতে বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করেছে। বিরাট কোহলির প্রেমিকা বি-টাউনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকার কুশপুত্তলিকা পর্যন্ত পুড়িয়েছে ভারতীয় সমর্থক। এইসব দিক বিবেচনায়, এতো বিতর্কের মধ্যেও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সমর্থকরা তাদের দলের পারফর্মেন্সে দারুন খুশি। সাকিব, রুবেল, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ আর মাশরাফিসহ দলের প্রত্যেককে আড়ম্বরপূর্ণভাবে বরণ করে নিতে ব্যস্ত সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ। আর বিশ্বকাপ শুরুর আগে আলোচিত নাম হ্যাপীও শ্বান্ত মনে স্থির হযেছেন মিডিয়ায়, রুবেলও হয়তো নিজ বিয়ের আয়োজনে মন দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ শেষে সত্যিই হাসছে বাংলাদেশ!