Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"সাহিত্য" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

কবিতা

যার কাছে আমি ছিলাম
পুর্ন মাসের চান, মরা গাঙ্গে জোয়ারের ঢেউ।
যে বান্ধা নিছিল আমার পাঁচ বিঘা ভূমি
পুর্ব ধরলার বিল, উজানী নগরের নাও
আমার তাবত ফসলি জমি।
 
অহন সে পর হইয়া গেছে,
তার কাছে আমি নিত্য পরবাস।
 
সে অহন অন্য ডাঙ্গার মানুষ
আমার চর যখন ধুধু প্রান্তর,
আর সে কিনা হাল চষে অন্যের ভূমিতে।
অথচ আমি ছিলাম তার পলি ধোয়া চর।।
 
তার নালিশ আমি কার কাছে দিমু
যার কাছে আমার জমিন বান্ধা পাও।
অহন আমার জোছনা মরে অমাবশ্যার হাতে
কার কাছে গিয়া কমু আমার মানুষ আইনা দাও।
 
... continue reading

১০ ৫৫১

কাজী মেহেদী হাসান

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিহঙ্গিনী; এক বিকেলে অপেক্ষায় রবো তোমার!

উদাসী গাঙচিলের ডানায় বার্তা পাঠালাম
তোমার মেঘের শরীরে নীল আকাশ জড়িয়ে নিও
কিছু আদ্র রজনী দিলাম
হরিণীর চোখটাতে কাজল দিও
বিহঙ্গিনী,
সময় করে এসো একদিন; হইও পরম পূজনীয়!
 
পাজরের হার? আমি তোমায় হৃদপিণ্ড দিলাম
অধরে লাল মেখে নিও
আড়ষ্ট তুলিতেই একে দিও পদচিহ্ন; তবুও এসো!
 
সেদিন,
বৈকালিক নরম রোদ ছুয়ে যাবো অনিমেষ
দীঘির শান্ত জল পেরিয়ে ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মতন
দিব্যচোখে এঁকে যাবো পরিচিত পথ
বিহঙ্গিনী,
এক বিকেলে অপেক্ষায় রবো তোমার!
সময় করে এসো।
continue reading

১০ ৫০৯

ফেরদৌসী বেগম ( শিল্পী )

১০ বছর আগে লিখেছেন

নিঃশ্বার্থ ভালবাসা !!

আমি বাতাস ---
আমি উচ্ছল ও চঞ্চল হয়ে চলি, তখন কোন সুন্দরী নারীর শাড়ির আঁচল উড়িয়ে নিয়ে যাই, কিংবা কোন ললনার বুকের কাপড় ফেলে দিয়ে যাই, কিংবা কোনো মিষ্টি মেয়ের মুখে আদরের পরশ দিয়ে তার ঘন কালো লম্বা মেঘ বরণ চুলকে এলোমেলো করে উড়িয়ে দিয়ে যাই। কোনো বড় গাছের ছায়ায় অপেক্ষ্যমান কোনো পথিককে ও আমার পরশ দিতে আমি ভুলি না। আমি ভুলি না আমার পরশ দিতে সেই বৃদ্ধাদের যারা বসে আছে বাড়ির ঘাটায় আমার অপেক্ষায়, কিংবা ভুলি না ঐ চাষীদের যারা বসে আছে আমার জন্য ঐ রাস্তার পাশে কোন গাছের নিচে। ঐ যে ছাদের উপর অপেক্ষ্যমান সেই ছেলেমেয়েদের ও বিন্দুমাত্র কার্পন্য করি না... continue reading

১৭ ১১৮৫

আলভিনা চৌধুরী

১০ বছর আগে লিখেছেন

নীল ঘাসফুল

 
নিয়তির লিখে দেয়া কষ্টের কবিতাটায় চোখ বুলাতে বুলাতে মেয়েটা হেঁটে চলে।
আজ আর পিছু ফেরবার তাড়া নেই।
কপাল থেকে যত্নে পরা কলাপাতা রঙ্গা টিপ টা অযত্নে খুলে নিলো সে।

ততক্ষনে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়েছে চশমার কাচ।
মেয়েটা খেয়াল করেনি পথের পাশে একটা নীল ঘাসফুল কাঁদছে !
বৃষ্টি অথবা কান্নায় ভিজে গেছে ঘাসফুলের নির্লিপ্ত কপোল !

কেউ জানেনা !
শুধু আমি জানি, আজ থেকে শহরে মেয়েটার প্রেমিক নামের কেউ থাকবে না.
continue reading

১১ ৩৮৭

লুব্ধক রয়

১০ বছর আগে লিখেছেন

ক্ষুধা, যৌবন ও সোনালি স্বপ্নের এক জ্বলন্ত প্রিজম

কবি কামরুল হাসান কবিতায় একজন বহুকৌণিক শব্দকারিগর। আধুনিক রূপকল্পনার কার্পাশ চয়ন করে তিনি মগ্ন চৈতন্যের মাকু চালনা করেন উষ্ণ স্ফূরিত শব্দের বুনটে। টানা আর পড়েন–পড়েন আর টানার ভেতর দিয়ে কবিকল্পনার আকাশগঙ্গা থেকে ঢুকে পড়ে অসংখ্য নক্ষত্রপ্রসূত শব্দকলা। আধুনিক কবিতার তীব্র তীক্ষ্ণ টানটান অবয়বের ভেতর আদিম চাষার মত ধারালো খনক হাতে কবির সন্ধিৎসু চারণা। কামরুলের কলম নিপুণ খননে উত্তোলন করে আনে প্রত্ন নগরের কোষাগারে সংরক্ষিত রাজকীয় মুদ্রা থেকে শুরু করে কামারশালার ফসিল ভস্ম থেকে চিত্রিত মৃৎপাত্রের টুকরোর মতো শব্দ, শব্দচিত্র। এই সব শব্দধনুকে জ্যা যোজনা করে উত্তরাধুনিক প্রতিকল্পনার উড়ন্ত ঘুরন্ত দুরন্ত পাখিটির চোখে বিদ্ধ করেন অর্জুনীয় তীর।
রূপকল্পনা এবং... continue reading

৪৮৬

শামুক শামুক

১০ বছর আগে লিখেছেন

বর্ষাতি-মগজে.........

৪/১১/১৩
Monday, November 4, 2013
4:58 PM
 
 
বর্ষাতি-মগজে আর ফ্লুর আক্রমন নেই--
বস্তিতে বেড়ে ঊঠা শিশুদের মত শক্ত এন্টিবড়ি ঘিরে আছে তায়;
আর তাই--
অটোরিক্সা থেকে বিতাড়িত প্রসুতি রাস্তায় গড়াগড়ি করেও
সদ্যজাত দেবতাকে স্তন্য পান করায়--
কক্টেল আর গ্রেনেড়ের আলোর ঝলকানি সমেত উম্মাদ-উৎফুল্ল জনতার ভিড়ে!
 
শিশু ধিক্কার দিয়ে আর্তচিৎকার করে উঠে--
বলে, আমি মানুষের মাঝে মানুষ হয়েই থাকতে চাই!
 
এখানে দেবতা টিকেনা, টিকে থাকে অমানুষ!
শিশুর আকুতিও মিলিয়ে যায় চারপাশের উম্মাদনায়।
 
মগজের শক্ত-এন্টিবড়ি এখানে অসাড়--
চাই আরো দুর্ভিক্ষ--
খাদ্যের, মননের, জ্ঞানের;
চাই... continue reading

৭১১

রোদেলা

১০ বছর আগে লিখেছেন

একটি নতুন কবিতা জন্মাবে বলে...

জানালার গ্রীল ছোঁয়া ভাঙা -চোড়া রোদ ,গড়িয়ে পড়া সোনালী আলোর বিচ্ছুরণ মায়াবী মেলায় মাতে অস্বচ্ছ কাঁচের উপর । মুগ্ধ চোখে চেয়ে দেখি আলোর মাতলামী । কবিতা -আমি তোমাকে সেই কবেই ভুলে গেছি ।বিশ্বাস হচ্ছে না ?আমি সত্যিই লিখতে ভুলে গেছি । খোলা বারান্দায় গা এলিয়ে দাঁড়ালে উঁকি মারে ঐ দূরের বুড়ো অশ্বথ । খুব নিঃসঙ্গ আর একা দেখায় তাকে । বহুবার জানতে গিয়েছি তার একাকীত্বের কারন , কিন্তু তার গা ঘেঁষে বেড়ে ওঠা বিস্তৃত মনূষ্য জনপদ উত্তরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে । ওভারব্রীজের উপর থেকে তাকিয়ে চোখ বিস্ফোরিত হতে থাকে -এত্তো মানুষ ! সূর্য যখন ঢোলে পড়ে পশ্মিমাকাশে ,কই... continue reading

১২ ৭৬৮

মাসুম বাদল

১০ বছর আগে লিখেছেন

আহত সময়

হে আহত সময়!
আমাকে অন্ধ, মূক ও বধির করে দাও
স্মৃতিরও বিলোপ ঘটাও আমার –
মন ও মগজে
আমি আর স্বপ্ন দেখেও
বিক্ষুব্ধ হতে চাইনা
আমাকে অবসাদ দাও
অবসন্ন মনেও-
আমি আর কোন প্রলাপ
উচ্চারণ করতে চাইনা
জীবন্ত শবের মতো-
আজব জীবন নিয়ে আমি এই বাংলায়
উদ্ভ্রান্ত ঘুরে বেড়াবো দিগ্বিদিক ...
continue reading

৩৩৪

মোকসেদুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

ফিরে আসার কাব্য

আকাশ ছুঁয়ে দেখবো বলে স্বপ্ন দেখেছিলাম একদিন
কিন্তু আমি আকাশ ছুঁতে পারিনি
কেননা আকাশ ছুঁয়ে দেখার মতো লম্বা হাত ঈশ্বর আমাকে দেয়নি।
রাতের তারাদের সাথে মিতালী করতে গিয়েও পারিনি
বোবা তারারা শুধু মিটমিট করে জ্বলতেই জানে কিন্তু মিতা কি জিনিস সেটা বোঝে না।
ফুটফুটে এক জ্যোৎস্না রাতে চাঁদকে ভালোবাসতে গিয়েছিলাম কিন্তু দেখি
চাঁদ শুধু আমাকে নয় পরকীয়া করে সে আরও অনেক রাতজাগা মানুষের সাথে
তাই চাঁদকেও আমি আর ভালোবাসতে পারিনি।
তাই আমি আবার ফিরে এসেছি তোমার কাছে
মানবী, তুমিই পার তৃষ্ণার্থ এ বুকটা একটু ভিজিয়ে দিতে।
continue reading

১১৭৬

ইকবাল মাহমুদ ইকু

১০ বছর আগে লিখেছেন

স্তব্ধ রাত্রির রুপোলী চোখে

আমি আর হারাবোনা কোন
স্তব্ধ রাত্রির রুপোলী চোখে
বিরামহীন কোন বর্ষণ মুখর রাত
কেড়ে নিতে চেয়েছিল
আমার সহস্র রজনীর ঘুম।
আমার চোখের পাপড়ি বেয়ে
অনবরত লোনা জল গুলো
হাত বাড়িয়ে স্পর্শ করেছিল
আমার তন্দ্রালু চোখের গভীরতা। 
এই যে এখানে, ঠিক এই
বনের মাঝেই নেমেছিল রোদ,
এই ঘাসহীন ম্রিত্তিকার রুড় কোলে।
বলেছিল বিলিন হয়ে যাওয়া
জোছনা গুলো স্মরণ করে ।
" আবার ফিরে এসো তুমি
এই ছায়াময় বিষাদ বনে " 
বলেছিল, আমার পদচিহ্নে নাকি
আঁকবে সে নক্ষত্র রাতের 
তারা জ্বলা আকাশের মূর্ছনা ।
এই লবণাক্ত চোখের বিষণ্ণতা 
উপলব্ধি করতে চেয়েছিল ।
তবু, আমি আর ফিরবনা এই 
নিরব রাত্রির বিষাদ বনে ।
আমার শুন্যতা মন্থন করে
যদি নিরব অবেলায়,
উদাসী বনের চোখে নেমে... continue reading

৩৭১