Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"সাহিত্য" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

বাসুদেব খাস্তগীর

১০ বছর আগে লিখেছেন

ফোন

ফোনের আলাপ শোনে,
সমাধানের পথটা কি আর
দেখবে আলো ফোনে ?

সম্ভাবনার দুয়ার খুলে
আসুন কাছে অতীত ভুলে,
একটু হাসির ঝলক আবার
উঠুক দেশের কোণে।
আশার আলো যাক ছড়িয়ে
আলাপ করা ফোনে।

বিভেদ দেয়াল চূর্ণ করে
মনকে প্রেমে পূর্ণ করে,
আসেন যদি কাছাকাছি
আশার স্বপ্ন বুনে।
সমাধানের পথটা হয়তো
দেখবে আলো ফোনে। continue reading

৩৯১

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

গন্ধম

বিধাতার নিয়তি উপেক্ষা করার ক্ষমতা কারোর কোন কালে ছিলনা এখনো নেই। তাইতো বিধাতার পাতা বলয়ে আটকে যেতে সময় লাগেনি। বিধাতার এই নিয়তি বড়ই রহস্যময়। তিনিই বিধান লিখেন তিনিই তা পড়ে শোনান। এর পক্ষে বলেন বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। সম্মুখে রঙ্গিন করে সুগন্ধী মাখিয়ে গন্ধম হাজির করেন। আবার কেউ ছুয়ে দিলেই তার হাত চেপে ধরেন, ঘাড় বাকিয়ে দিলেই টুটি চেপে ধরেন। বিধাতা কখনো নিষ্ঠুর কখনো খেয়ালী কখনোবা বিমাতা সুলভ আচরন করেন। রাগ, ক্ষোভ, তৃষ্ণা, গর্ব কিংবা অহং বোধ সবই তিনি নিজ হাতে রেখে দিয়ে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন। এখানে বিধাতাকে বলতে ইচ্ছে করে একেমন স্বাধীনতা দিলে তুমি, কেমন করে ঘোষনা দিলে... continue reading

৪৪৪

‍মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন

১০ বছর আগে লিখেছেন

আজ আর শব্দরা ঘুমায়না

আজ আর শব্দরা ঘুমায়না
-মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন

আজ আর শব্দরা ঘুমায়না জাগ্রত থাকে,
যখন তখন কোন সীমাহীন ছন্দ হয়ে ডাকে।
শীতের কুয়াশা ভেদি; বর্ষার জল ছুয়ে আসে,
আজ আর শব্দরা হারায়না থেকে যায় পাশে।
রাত বিরাতে কাগজের সন্ধানে লিপ্ত করে-
কিংবা কলমের; ব্যস্ত করে রাখে ফের।
গ্রামের পর গ্রাম থেকে শব্দ আসে,
নদী হতে নদী পেরিয়ে খুব কাছে-
জামরুল গাছ হতে শব্দরা জমায় ভীড়,
হিজলের গাছ থেকে এসে গড়ে নীড়।
ঘোলা পুকুরের পাড় থেকে আসে শব্দরা,
নিকষ রাতের অন্ধকর থেকে আসে-
কিংবা জোসনা আলো ভরা এই রাতে;
শব্দরা আসে, ভীড়... continue reading

৩৬৬

নীল সাধু

১০ বছর আগে লিখেছেন

আলিঙ্গনের তুমুল ইচ্ছে এবং কুর্চি ...

আলিঙ্গনের তুমুল ইচ্ছেটা বৈশাখের একলা দুপুরে
রাধাচূড়ার হলদে আভায় ভেসে কুর্চির শাড়ির সবুজ আঁচলে মিশে যেতে থাকে!

শাড়ির ভাজে ভাজে ক্রমাগত আগুন রঙের নকশা আকে সে!
বোতাম আটা ব্লাউজের ঘাড় গ্রীবা বেয়ে পড়া লোনা ঘাম মুক্তো জমায়!
নাভির উপরেই কপোতাক্ষ নদীর বেভুলো অতল খাদে সর্বনাশের ইচ্ছেরা ডুব দেয় অক্লেশে!
দেয়ালের ওপাশে কামরাঙ্গা গাছের ডালে বসে অবাক শালিক দেখে কুর্চির নিরাভরণ গা।

জানালার শিক ধরে হেটে আসে বিকেলের নরোম রোদ!
নগ্ন হাতের পাশে ছড়িয়ে পড়ে থাকা কুর্চির এলো-চুলের গন্ধ মাখে!
কালো-বনে হেটে বেড়ায় সুহাসিনী আঙ্গুল! ছুঁয়ে ছুঁয়ে বাড়তে থাকে পুলক ঘড়ি! জ্যামিতিক... continue reading

৫৫৭

বাসুদেব খাস্তগীর

১০ বছর আগে লিখেছেন

এক এগারোর ভয়

 
  তত্ত্ব নিয়ে মত্ত সবাই
নাইরে ইচ্ছে নামার,
সবাই চায় নিজের করে
‘তাল গাছটা আমার’
কালোর সাথে আলো নাকি
দেখেরে কেউ কেউ,
ভোটের মাঠে দামহীনারা
করছেরে ঘেউ ঘেউ।
আসল যারা খেলোয়াড়রা
কন্ঠে তাদের জোর,
হাইব্রীড সব নেতাদের
বন্ধ মুখ দোর।
অক্টোবরের চব্বিশ তারিখ
পার হলে কি হয় ,
মনের মাঝে শংকা দোলে
এক এগারোর ভয়। continue reading

৪১৫

তাহমিদুর রহমান

১০ বছর আগে লিখেছেন

শিলাখণ্ডের পর্দা

 
শিলাখণ্ডের পর্দা
জোসেফ ব্রডস্কী
অনুবাদঃ তাহমিদুর রহমান
 
বিপজ্জনক হলুদ সূর্যটা অনুকরণ করে চলে তার বাঁকা চোখ
কুঞ্জবনে মাস্তুল কেঁপে উঠে, কাঁপতেই থাকে যতক্ষন না নৌকো উলটে যায়
জমে যাওয়া ব্যতিক্রমী যিশুর আগমনে। ফেব্রুয়ারি মাস দেখতেই চলে যায়
অন্য মাসগুলোর চেয়ে; তাই এই দিনগুলো থাকে অন্যের যন্ত্রণায় উদাসীন।
প্রিয় মানুষেরা, মাঝির পাল আজ বিকৃত, রণতরী আজ নিমজ্জিত,
শুধু কোন দেবতাই পারে এ থেকে পরিত্রান দিতে।
ছায়ার আশায় সোনালী ঘোড়ার খোঁজে লাগাম খুলে দেওয়া হয়েছে রঞ্জিত দেয়ালে,
বদ্ধ ঘর আজ বিলাপে পরিপূর্ণ, নগ্নতার উল্লাসে ফড়িংও ভুল পথে চলে।
continue reading

৮৫৫

মো : আশিকুজ্জামান

১০ বছর আগে লিখেছেন

সোহেলীর সংসার

আজ রাতে সোহেলীর বিয়ে। বয়স এখনও বিশ বছর পেরোয়নি। তবুও গরীব মা-বাবা তার বিয়ের আশা ছেড়ে দিয়েছিল। বিয়েটা এনেছে তালেব মুন্সি। আজ তার খুব কদর। গ্রামের কেউ তাকে দেখতে না পারলেও সে এখন তাদের খুব কাছের মানুষ। সোহেলী তার বিয়ের ব্যাপারে কিছুই জানে না।
গরীরেব মেয়ে সুন্দরী হয় না। সবাই বলে দেখতে ভালো। পাড়ার কিছু উঠতি যুবক তাকে কয়েকবার প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছে। কিন্তু সোহেলী কোন সাড়া দেয়নি। সোহেলী জানে সে গরীবের মেয়ে। খাবে কি সেই ভাবনাতে সারাদিন কাটে। সে জন্য তারা সেই সুযোগ নিয়ে তার কাছে আসে বিনোদন পেতে। প্রেম প্রেম খেলা করতে। কেউ তাকে বউ করে তার দায়িত্ব... continue reading

৭৮৯

নীল সাধু

১০ বছর আগে লিখেছেন

জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে

আমাকে সে নিয়েছিলো ডেকে;
বলেছিলোঃ 'এ নদীর জল
তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল;
সব ক্লান্তি রক্তের থেকে
স্নিগ্ধ রাখছে পটভূমি;
এই নদী তুমি।'
 
'এর নাম ধানসিঁড়ি বুঝি?'
মাছরাঙাদের বললাম;
গভীর মেয়েটি এসে দিয়েছিলো নাম।
আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি;
জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে
কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে। ... [সে - জীবনানন্দ দাস]
 
কার্তিকের ৫ তারিখ ছিল প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশ এর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী।
তিনিবাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অগ্রগণ্য, রবীন্দ্র-পরবর্তীকালেবাংলা ভাষার প্রধান কবি হিসাবে তিনি সর্বসাধারণ্যে স্বীকৃত।
 
খুব অবাকলাগে এই ভেবে যে কবি জীবনানন্দ দাশ যে সময় ট্রাম... continue reading

৫৪৫

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিশ্বাস

আমি ভালবাসি বলেই তুমি সুন্দর
বিশ্বাস না হয় আরশীকে প্রশ্ন করো।
আমি ছুয়েছি বলেই তোমার হাতে পদ্ম ফোটে।
কথা রাখো বা না রাখো ক্ষতি নেই
আকাশে মাথা রাখো।
নিজ হাতে ছুয়েছি আকাশ
সেথায় কি মেঘ জমতে পারে।।
continue reading

৪৭৩

চারু মান্নান

১০ বছর আগে লিখেছেন

হাওয়া জলে জীবন গেল

হাওয়ায় উড়ে মেঘের যৌবন
বীজ বুনে সাগড় যে তার, অঙ্গ লীলায় অমীয় সাঁজ
ক্ষণে ক্ষণে রুপ বদলের, আচমকা বাহারি রঙ্গ রণে
ধরা যেন তারই সাজে সাজিয়ে সঙ্গ।
এমনি খেলায় জন্ম মৃত্যু
কালে কালে শুধু প্রজন্ম বদল, ছাপ চিত্রে তার সাক্ষ্য মিলে
চিতায় পুড়া নিথর অঙ্গ, সাগর জলের সেই সেই নুন ছাকনি
হাওয়ার জলের সেই হারিয়ে খেলা।
সেই খেলাতেই ডুবছি মজে
আহার নিদ্রা সব গো গ্রাসে, চেতন ফিরলে আবার সেই মেলা
অঙ্গ লুকাই কোন কোন সে আঁধারে, যে আঁধারে অঙ্গ হারায়
হাওয়া জলের না পাই দেখা।
1420@ 20 আশ্বিন, শরত্কাল।
continue reading

৪০৯