ছোট ছোট পিঁপিলিকা চলে দলে হাফ ছেড়ে
ভুলে যাই মানুষ আজ বড্ড নামানুষে বেড়ে।
মরে যায় পিষে চায় তবুও শকুন চোখ দেয় পাড়ি
চাপা পড়া যন্ত্রণায় মূর্তি বিবেক করে বাড়াবাড়ি।
দেহ আছে প্রাণ আছে শুধু নেই মন
মাঝামাঝি পৃথিবীতে পাবে রোবট জন।
মানুষ আজ পিরামিড তাই হয়ে গেছে পাথর
মানুষ নামে টিকে আছে শুধু নামানুষের ধড়।
পৃথিবীতে মনুষ্যে মানুষ আছে শুধু নামে-
পাপকাঁথা বুনি তাই নিজের অদৃশ্য খামে।
উত্তরা, ঢাকা-১২৩০. রাত: ১২:০০, ৩১০৭২০১৬।
continue reading

অদ্ভুত তুমি সুন্দর তুমি
সাইয়িদ রফিকুল হক
 
সেদিন বিকালে তুমি দাঁড়িয়েছিলে
তোমাদের বাসার জানালার গ্রিল ধরে,
তোমার পরনে ছিল আকাশি-রঙের শাড়ি।
আর তাচমৎকারভাবে মানিয়েছিলো তোমার তনুদেহে
আমি দেখেছি তোমাকে কালোপেড়ে আকাশি-শাড়িতে,
আর বারবার দেখেছি তোমাকেই মুগ্ধচোখে—
কী অদ্ভুত সুন্দর লাগছিলো তোমাকে।
 
আর তোমার শাড়ি-পরার স্টাইলটা খুব বনেদী
এমন স্টাইল সহজে চোখে পড়ে না আজকাল
আর কী ভয়ানক আকর্ষণ তাতে!
দেখলে মুগ্ধ হবে নির্ঘাত যে-কেউ,
দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দেখছিলাম শুধু
তোমার শাড়ি-পরার স্টাইল,
আর একফাঁকে দেখে নিয়েছিলাম একটুখানি
তোমার কপালের রক্তলাল-টিপ।
আর মুগ্ধচোখে আমার তখন মনে হচ্ছিলো:
তুমি আমাদের... continue reading

শ্রাবণ এসেছিল 
কাল গভীর রাতে শ্রাবণ এসেছিল 
নিভৃতে বর্ষা বাদল আদলে; চন্দন গাছ চুঁয়ে চুঁয়ে 
বাসনা মাখা জল মৃত্তিকা শরীরে থৈ থৈ সিৎকার। 
নন্দন জোয়ার ভাসা নদী বাট ঘাট 
ফিরেছে যৌবন করতলে বাসনা স্ফূরন; আঁধারে কবিতা ঝাঁক 
জল ভেজা চপলতায় রং লাগা স্মৃতি জুঁপে। 
ফিরে পেয়েছে বেহাল্লাপনায় জোছনা 
জল ভেজা চকমকি মরিচীকায়; কত যে স্বপ্ন ভঙ্গের বিলাপ আঁকে 
ভেজা ডালে রাতভর লক্ষীপেঁচা। 
আঁজলা ভরে নিয়েছে চন্দন সুখ 
খেড়খাতায় তাই কবিতার শ্রাবণ বিলাপ; আত্মযাপনে চুপি চুপি 
যাবর কাটে অভিমান, যদি! যদিই, বা হতো। 
এমনি রাতে জল ভেজা হাতে হারানো শিহরণ 
একি ভাবনার অপমৃত্যুর শ্রুতি ভাসে জলে? স্বপ্নঘোর ক্ষেপ 
টিপ টিপ জলের ফোটায় সময় যায়রে ঢলে। 
১৪২৩/ ১৭, শ্রাবণ/... continue reading

এখানে যারা বেড়াতে আসে তাদের সবার চোখ অন্ধ
আর অন্ধরা ইদানিং ভালো দেখে রাতের তারা
এইসব ভাবনা যারা ভেবেছিল একদিন তারা
লুঙ্গির ডান সাইটে বানিয়েছিল বড় বড় পকেটে।
কারো কারো চরিত্র নেইল পালিশ রিমুভারের মতো
মৃতদের পক্ষে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে ভুলে গেছে
নিজের বংশ পরিচয়, জন্ম সন
বাল্যবন্ধুকে তুলে দিযেছে বেশ্যাপাড়ার দাগী-খুনির হাতে।
নৃত্যের তালে তালে আমরা আলো খুঁজি
মনে পরে দুধেল চুম্বন, কুন্তল - কেশ 
স্পর্শের গন্ধ পেয়ে জেগে ওঠে আঁধারের কামুক দেবতা।
 
continue reading

আমাদের কথা বলে জলের ডুমুর
পাতার ফাঁকেতে উকি দিয়ে পদ্মপানা
আমরা দুজন বাঁচি, শরত নুপুর
ছন্দে বাঝি, দেই মেঘের দুয়ারে হানা
 
আমরা সেবার করেছিনু পন, রয়েছি
পাশাপাশি আগের জনমে যেমন
তেমনি রইবো অব্যয়, চিরকাল, আছি
বিহরে, বিরহি প্রাণ, বৃষ্টিতে চাতক যেমন।
 
ওরা সব গাইবে জলদুপুরের গান
আমরা হবো নিরব পাখি, নিরবতায়
যদি যায় যাক, উবে যাক বিরহী প্রান
বেঁচে রইবো, আহলাদে হেলান আকাশের গায়।
 
ওরা আমাদের কথা বলে, কিষান-
কিষানী। ওরা বাজি নিয়েছে আমাদের প্রান
continue reading

তুমি ছুঁয়ে দিলে আমি হই বর্ণিল
তুমি ছুঁয়ে দিলে আমি হই নির্মল,
তুমি ছুঁয়ে দিলে এই মনে আসে ফাগুন
তুমি ছুয়ে দিলে মনে লাগে আগুন।


তুমি ছুঁয়ে দিলে মেঘ হয় বৃষ্টি
তুমি ছুয়ে দিলে লজ্জায় নত হয় দৃষ্টি,
তুমি ছুঁয়ে দিলে স্থবির জীবনে আসে প্রাণ
তুমি ছুঁয়ে দিলে এই নিস্প্রান দেহে আসে জান।

তুমি ছুঁয়ে দিলে নদী মিলে সাগরে
তুমি ছুয়ে দিলে হারিয়ে যাই ভালবাসার জোয়ারে,
তুমি ছুঁয়ে দিলে রংধনু জেগে উঠে ওই আকাশে
তুমি ছুঁয়ে দিলে জেগে উঠি প্রেমের আবেশে।


continue reading

 
যতটুকু পারা যায় রোদে শুকিয়ে নিলে
চকচকে ত্বকে মানুষ ফুটে উঠবে,
গোলাপ হাতে কাঁটার আঁচড়
চিনতে পারা ব্যথায়
মেরুদণ্ড সোজা হবে ,
পথ চলতে পায়ে ফোসকা
হাত বাড়িয়ে বেইমান খপ্পরে
তাপ উত্তাপ পরস্পরের জীবন অপলাপ ;
ঝড়ের মুখে দাঁড়ালেই
নতুন মানবিক স্বাদে ভরে উঠবে
বুক সমুদ্রের লোনা
উথাল পাথালেই জীবনের তরী
তরতরিয়ে এগিয়ে যাবে ।
বাঁচার প্রাকৃতিক আমাকে রোজ বাঁচায় ।       
-০-০-০-
continue reading

আমি কেবলই ছুটে যাই
নুড়ি মাখা পথে,
নীলের পানে
সবুজের আহবানে।
এ মন কেবলই হারাতে চায়
ওই দূর দূরান্তে
শান্ত নদীর স্রোতে
উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে।
এ হ্রদয় কেবলই ব্যাকুল হয়ে রয়
মেঘের আবেশে
বেলীর সুরভিতে
মাতাল হবার আশায়।
আমি কেবলই হারাতে চাই
আকাশের বিশালতায়, রঙধনুর রঙে।
গোধূলির লালিমায়,
বিহঙ্গের ঢঙে।
continue reading

দুঃস্বপ্নের তিমির ঘোরে
পেলাম যখন প্রিয়ার দেখা
এক সমুদ্র খুশির মেঘে
ভাসলো সুখের অমোঘ রেখা।
মুগ্ধ গগন তৃপ্ত পবন
পড়লো রোদের কানাকানি
গাছের আলোয় পাখির চোখে
প্রেমের হলো জানাজানি।
আলস্যতার উঠোন ভেঙে
হাসলো রবি নীলকাজলে
যুগলতারার দিবস খেলায়
ঝরলো শিমুল নদীর জলে।
সবার কাছে ঋণী হলাম
প্রিয়ার ভালবাসা পেতে
অতীত ভুলে অঞ্জলি দেই
ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে। continue reading

সাইয়িদ রফিকুল হক
আমার একটা আকাশ ছিল
দেখতে অনেক ভালো,
হৃদয়ভরা মেঘ ছিল না
ফুটতো শুধু আলো।
স্বপ্নরঙের অনেক ভেলা
ভাসতো আকাশটাতে,
মনগহীনের বাধা-ভেঙে
যেতাম সেখানটাতে।
রঙিন-ঘুড়ি প্রজাপতি
উড়তো আকাশপানে,
অনেক সুন্দর দিন যে আমার
কাটতো গভীর ধ্যানে।
হঠাৎ দেখি আকাশটাতে
মেঘের আনাগোনা,
মেঘগুলোকে চিনতে পারি
সবই জানাশোনা!
মেঘ ছিল না আকাশ ছিল
সবই ছিল ভালো,
আলোয় ভরা আকাশখানি
হয়ে গেল কালো!
continue reading