রমণীর মন
সাইয়িদ রফিকুল হক
আজ রাস্তায় খুব ভিড় ছিল। এমন ভিড় এই শহরে তিনি অনেকদিন পরে দেখেছেন।
অফিস-ছুটির পর অনেক কষ্টে মোতালেবসাহেব বাসায় ফিরেছেন। গায়ের জামাকাপড় এখনও খোলেননি।
তবে ধীরেসুস্থে জামাকাপড় খুলে তিনি একটু বিশ্রাম নেওয়ার প্রস্তুতিগ্রহণ করছিলেন।
শীতকাল বলে তিনি আজ একটুও ঘামেননি। নইলে, বাসের ভিতরে মানুষের ভিড়ের চাপে তিনি ঘেমে-নেয়ে একেবারে একাকার হয়ে যেতেন। এজন্য তিনি অনেক কষ্টে বাসায় ফিরেও মনে মনে বিরাট স্বস্তি অনুভব করলেন।
আজ রাস্তায় খুব ভিড় ছিল। এই ভিড় দেখলে মোতালেবসাহেবের ভালো লাগে না। তিনি গ্রামের ছেলে। শুধু চাকরির সুবাদে এই ঢাকা-শহরে এসেছেন। মানুষের এতো ভিড় তার কখনওই ভালো লাগে না। তিনি সবসময় খুব নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করেন। তার দুটি ছেলেমেয়ে না থাকলে এতোদিনে তিনি কবে গ্রামে ফিরে যেতেন। অবশ্য তার স্ত্রী গ্রামের মেয়ে হলেও এখন আর গ্রামে ফিরতে মোটেও রাজী নয়। সে এই শহরে চিরদিন থাকার পক্ষপাতী। এই নিয়ে তাদের মধ্যে অবশ্য কখনও ঝগড়া-ফাসাদ হয় না।
মোতালেবসাহেব বরাবর শান্তশিষ্ট মানুষ। তিনি কখনও স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করেন না। তার স্ত্রী মুখরারমণী হওয়া সত্ত্বেও সবকিছু মেনে নিয়েছেন মোতালেবসাহেব। ফলে তার স্ত্রী ঝগড়া করার তেমন একটা সুযোগ পায় না। কিন্তু সে মোতালেবসাহেবকে সবসময় কড়া-কড়া-কথা শুনিয়ে বেশ আনন্দ পায়।
আজ মোতালেবসাহেব বাসায় ফিরতেই তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার মুখভার করে তাকে শুনিয়ে-শুনিয়ে বলতে লাগলো, “ঘরে কোনো বাজার নাই! আজ কয়েকদিন তো কোনো বাজারই করো না! এভাবে সংসার চলে!”
মোতালেবসাহেব সবেমাত্র গায়ের জামাটা খুলে একটু ধীরস্থির হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর হলো না। সংসারের শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে মোতালেবসাহেব গায়ের জামাটা আবার গায়ে চাপিয়ে একটা ব্যাগ হাতে বাজারে ছুটলেন।
এখন সন্ধ্যা... continue reading
সাইয়িদ রফিকুল হক
আজ রাস্তায় খুব ভিড় ছিল। এমন ভিড় এই শহরে তিনি অনেকদিন পরে দেখেছেন।
অফিস-ছুটির পর অনেক কষ্টে মোতালেবসাহেব বাসায় ফিরেছেন। গায়ের জামাকাপড় এখনও খোলেননি।
তবে ধীরেসুস্থে জামাকাপড় খুলে তিনি একটু বিশ্রাম নেওয়ার প্রস্তুতিগ্রহণ করছিলেন।
শীতকাল বলে তিনি আজ একটুও ঘামেননি। নইলে, বাসের ভিতরে মানুষের ভিড়ের চাপে তিনি ঘেমে-নেয়ে একেবারে একাকার হয়ে যেতেন। এজন্য তিনি অনেক কষ্টে বাসায় ফিরেও মনে মনে বিরাট স্বস্তি অনুভব করলেন।
আজ রাস্তায় খুব ভিড় ছিল। এই ভিড় দেখলে মোতালেবসাহেবের ভালো লাগে না। তিনি গ্রামের ছেলে। শুধু চাকরির সুবাদে এই ঢাকা-শহরে এসেছেন। মানুষের এতো ভিড় তার কখনওই ভালো লাগে না। তিনি সবসময় খুব নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করেন। তার দুটি ছেলেমেয়ে না থাকলে এতোদিনে তিনি কবে গ্রামে ফিরে যেতেন। অবশ্য তার স্ত্রী গ্রামের মেয়ে হলেও এখন আর গ্রামে ফিরতে মোটেও রাজী নয়। সে এই শহরে চিরদিন থাকার পক্ষপাতী। এই নিয়ে তাদের মধ্যে অবশ্য কখনও ঝগড়া-ফাসাদ হয় না।
মোতালেবসাহেব বরাবর শান্তশিষ্ট মানুষ। তিনি কখনও স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করেন না। তার স্ত্রী মুখরারমণী হওয়া সত্ত্বেও সবকিছু মেনে নিয়েছেন মোতালেবসাহেব। ফলে তার স্ত্রী ঝগড়া করার তেমন একটা সুযোগ পায় না। কিন্তু সে মোতালেবসাহেবকে সবসময় কড়া-কড়া-কথা শুনিয়ে বেশ আনন্দ পায়।
আজ মোতালেবসাহেব বাসায় ফিরতেই তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার মুখভার করে তাকে শুনিয়ে-শুনিয়ে বলতে লাগলো, “ঘরে কোনো বাজার নাই! আজ কয়েকদিন তো কোনো বাজারই করো না! এভাবে সংসার চলে!”
মোতালেবসাহেব সবেমাত্র গায়ের জামাটা খুলে একটু ধীরস্থির হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর হলো না। সংসারের শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে মোতালেবসাহেব গায়ের জামাটা আবার গায়ে চাপিয়ে একটা ব্যাগ হাতে বাজারে ছুটলেন।
এখন সন্ধ্যা... continue reading