Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"কবিতা" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

স্রষ্টার সেরা উপহার

অনেক দিন পর প্রিয় মানুষটির সাথে 
সরাসরি চোখাচোখি হলো
একেবারেই অনভিপ্রেত ছিলো
ক্ষণিকের জন্যে তাই বিশ্বাস হচ্ছিলো না।
সটানভাবে দাড়িয়ে ছিলো সে জানলা ধরে
পরনে তার হলুদ শাড়ি 
শাদা বল ছাপের লাল ব্লাউজ
গলায় রুপোর নেকলেস আর কানে দুল
হালকা সাজুগুজুতে 
গোলাপের কোমলতা যেনো
লেপ্টে ছিলো তার সারা অঙ্গে
জোসনার ডালি হয়ে
যদিও সদ্য কৈশোর পার করেছে সে,
তবুও যেনো লাগছিলো পূর্ণ নারীর প্রতিচ্ছবি।
অনেক ক্ষণ নিষ্পলক তাকিয়ে ছিলো সে 
মাসকারার পরশে তার
চোখের পাঁপড়িগুলো হয়ে উঠেছিলো
রঙধনুর ছোঁয়া লাগা ময়ূরের পেখম
ঠোঁটে ধরে রেখেছিলো কষ্ট ভোলানো 
সেই শান্ত হাসির ধারা continue reading

১৫৬

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

তোমার বাহুবন্ধনে

তোমার বাহুবন্ধনে
আমাকে আবদ্ধ করে নাও প্রিয়তমা
জনম জনমের তরে
শত বাঁধাতেও যেনো আলাদা না হই
তোমার থেকে কোনভাবেই।
যুগের রাহুরদশা
অজান্তেই পিছু নেবে মাঝেমাঝে
বিশ্বাসের অস্তিত্বে চাইবে ফাটল ধরাতে
তবু তুমি আমার হাত ছেড়ো না
ভুল বুঝো না উৎসহীন উড়োপনায়
শুধু জেনো আমার আমি তোমার
দোজাহানের অন্তহীন পথচলায়। continue reading

১৪৫

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

ক্ষতিপূরণ

আমি অপেক্ষায় বসে আছি
গোধূলির আলোছায়া বিকেলে
কার্জনের শ্যাওলাপঁচা পুকুরপাড়ে
দুটি কালো কাক আমার অজানা সঙগী।
বাতাসে রুক্ষতার প্রচন্ড প্রকোপ
হয়তো তুমি আসবে না বলে কিছুটা অভিমানী
সাঁঝের আধাঁর ছুঁই ছুঁই,
ডাহুকের কন্ঠে
সকরুণ সুরের অকৃত্রিম আবহে
পরিষ্কার লেখা মৃত্যু পরোয়ানা
সহস্র বর্ষের ভালবাসায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে
অন্তরের উৎকর্ষ মানচিত্র
ক্ষতিপূরণ দিয়ে জন্মেছি ধরাপৃষ্ঠে
আরেকবার না হয় ক্ষতিপূরণে
সিক্ত হলাম অজানা কাকদের সাক্ষী রেখে। continue reading

২৫১

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

প্রিয়তমার সরল রূপমা

হে কার্জন,
তোমার ছায়াতলে কেনো
বারেবারে ফিরে আসি জানো?
আমার প্রিয়তমার খোঁজে।
তার পদচিহ্ন আঁকা রয়েছে তোমার
ধুলোর পরতে পরতে।
হে কার্জন,
তোমার পুকুর ঘাট আমার চিরচেনা।
প্রিয়তমার জলকেলি উৎসবের আনন্দঘন
মুহুর্ত এখনো আমার স্মৃতিগারে উজ্জ্বল।
প্রিয়তমার স্পর্শ পেতে
পুকুর জলে চুমুক দেই পরম আদরে।
ঘাটে বসে জড়িয়ে ধরি আঙিনা
প্রিয়তমাকে ভেবে ভেবে।
হে কার্জন,
জানো কি এতো সুবাস কোথা
থেকে আসে তোমার কাননে?
মেশকে আম্বরের চাইতেও দুর্লভ
আমার প্রিয়তমার খুশবু থেকে।
যেই ঘ্রাণে বিমোহিত হতে
সৃষ্টিকর্তাও অধীর হয়ে অপেক্ষা করে।
ফুলকলিদের অবিরাম নাচানাচি
তারই প্রমাণ স্বরূপ।
হে কার্জন,
তোমার আকাশে ঝলমলে রোদ
আমার প্রিয়তমার একটুকরো হাসির
অাশ্চর্যরকম অলৌকিকতা।
যার রহস্যভেদ
আজো করতে পারি নি আমি।
হে... continue reading

১৪৩

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

ভালবাসার তিনশো পয়ষট্টি দিন

আমার ভালবাসার
তিনশো পয়ষট্টি দিন কাটে
তোমাকেই ঘিরে প্রিয়তমা
হৃদয়ের রঙধনু ঘেরা আকাশে
তোমার অনুভূতি মেলে ডানা
উচ্ছ্বাসের কোলাহল জড়িয়ে।
আমার ভালবাসার গভীরতায়
তোমার মুগ্ধতা যেনো চিরকুমারী লতা
ভোরের আবিরের মতো সদা সজীব
দিন যতো যায়
জ্যামিতিক হারে বাড়ে তার ঘনত্ব
এক জীবনে ফুরোবে না
তোমার প্রতি হৃদয়ের অপরিসীম টান।
আমার ভালবাসার হে স্বত্বাধিকারিনী
তোমাকে পেয়ে পরিপূর্ণ আমার
ষোলআনা জীবনের ষোলকলা। continue reading

১০১

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

আমার নিয়তি

পরিবর্তিত সমাজ, প্রিয় মানুষগুলো
আমিই শুধু বোকা রয়ে গেলাম
শত বর্ষের পুঞ্জিভূত কষ্টের দাহনে
জ্বলে পুড়ে অঙ্গার মনের নিবাস
যান্ত্রিক জীবনের নিষ্ঠুরতায়
পরিহাসের গান যেনো নিত্যসঙ্গী
দুঃস্বপ্নের কুয়োয় ঘুরে ফিরে নিপতিত
হওয়াই আমার নিয়তি।
তবু ভালো থাকুক কাছের মানুষগুলো
আমি না হয় সমাজের জঞ্জাল হয়েই
বেঁচে থাকলাম। continue reading

১৩৪

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

ছবির সাথে কথা বলি

প্রায়শই আমি আমার
প্রিয় মানুষটির ছবির সাথে
কথা বলি চুপিচুপি নিভৃতে
ঘন্টার পর ঘন্টা একটানা।
ছবির ভেতর থেকে
চেয়ে থাকে সে অপলক চোখে
আমিও চেয়ে থাকি তার
চোখের ভাষা বুঝতে
মাঝে মাঝে আমার কাণ্ড দেখে সে
খিলখিলিয়ে হাসে
আমি তখন তার হাসির উৎস
খুঁজে ফিরি উৎসুক হৃদয়ের আহবানে।
মন খারাপ হলে
সে আমাকে অনবরত গান শোনায়
তার শ্রুতিমধুর কন্ঠসুরে
কষ্টের কালো মেঘগুলো
নিমিষেই মিলিয়ে যায় অজানায়
নিজেকে আবিষ্কার করি অথৈ সুখের নহরে।
ভালো লাগে তার অনুযোগ, রাগ-অনুরাগ
আর প্রকাশহীন বিশ্বাসের গভীরতা
সেজন্যেই তার আর আমার ভালবাসার
বন্ধন এতো অটুট। continue reading

১৬৫

কাফাশ মুনহামাননা

৭ বছর আগে লিখেছেন

আলোড়ন

ইদানীং তাকে খুব মনে পড়ে
কার্জন থেকে মল চত্বর
শহিদ মিনার, ফুলার রোড, ভিসি চত্বর
সর্বত্র বুদ হয়ে থাকি তার নেশায়
একটি বার শুধু একটি বার
তার দেখা পাবো সে আশায়।
ধীরে ধীরে মনের গভীরে
এভাবে সে আলোড়ন তুলবে
কখনোই ভাবি নি
দূরে সরে যেতে চাইলেও
ততোধিক কাছাকাছি আরো চলে আসি
ভালবাসা কি তবে এরই নাম?
বারেবার তার ছবিটাই
মনের আয়নায় ভেসে ওঠে
ভালো লাগার বাতাবরণে
এতো সুখ আগে কখনো
অনুভূত হয় নি হৃদয়ের পত্রপল্লবে।
মাঝে মাঝে তার চিবুক ধরে
বলতে ইচ্ছে করে,
প্রিয়তমা
অনেক ভালবাসি তোমাকে অনেক
আমার মতো আর কেউ এ ধরায়
পারবে না ভালবাসতে তোমায়
পারবে না, পারবে না, পারবে না। continue reading

২৫৪

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

চুপ থাকা মানুষগুলো

চুপ থাকা মানুষগুলো
বিস্ফোরিত দহনে অত্যোধিক হাসে
বুকের ভেতর দাউ দাউ করে জ্বলা দাবানলে,
যার উৎপত্তি ঘটে প্রিয় মানুষটির
অকল্পিত ছলনায়।
কিছু কিছু মানুষরূপী প্রেতাত্মা
সহজ-সরল হৃদয় ভেঙ্গে
তৃপ্তি অনুভব করে
অবশ্য ভালবাসার অর্থ যদি হয়
ইগলু আইসক্রিম আর ফ্যান্টাসি কিংডম
তবে সব দোষ নিষ্পাপ অন্তরদের।
চুপ থাকা মানুষগুলো তবু
বিসর্জনে আড়াল করে কষ্টের প্রতিমা
সিক্ত-অশ্রুরূপ হাসির বহিঃপ্রকাশে
আর প্রাণ ভরে করে আশীর্বাদ
প্রিয় মানুষটি অন্তত সুখে থাক সবসময়। continue reading

১৭৬

কাফাশ মুনহামাননা

৭ বছর আগে লিখেছেন

বিভ্রান্ত ঝিঁঝির ডাকে

বিভ্রান্ত ঝিঁঝির ডাকে
হতভম্ব হই পৌরুষ দিনের আলোক রোদ্দুরে
গাছের সবুজ পাতার আনন্দ লুটে নেয়
শুকনো বাতাসের ধ্রুপদী আলিঙ্গন
সাধের বিকেল কি তবে ইঙ্গিত দেয় সর্বনাশার?
আকাশের বুকে নীলাচলের প্রতিমা
কেমন এক মায়াবী ছলনায় চেপে চেপে হাসে
সন্ন্যাসী শকুনের বহর মেতে ওঠে রসিকতায়
রক্তচক্ষুর আলোড়িত ক্রোধের উষ্ণতায়
সম্মুখে তবে কি অশনিসংকেতের হাতছানি? continue reading

২২৭