Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"কবিতা" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

সৌমেন দাস

৭ বছর আগে লিখেছেন

সমুদ্র

ঐ দেখা যায় সমুদ্রের রূপালী রেখা,
মনে হয় কেউ এঁকেছে সেথা ।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়েছে সবে,
সমুদ্রটা আজ খুব শান্ত,
ও বোধ হয় আমাকে দেখে দুঃখী,
সমুদ্রের কি দুঃখ হয় ?
দুঃখ আমার একটাই !
তুমি এখনও এলে না আমার কাছে,
তুমি কি আসবে, কিন্তু কবে ?
সমুদ্রের বালুকা ভূমিতে বসে আছি একা, ভাবছি তুমি কবে আসবে আমার জীবনে ? জীবনটা বোধ হয় ফুরিয়ে এল বলে,
তবুও তোমার আসার সময় হলনা !
আমি জানি তুমি আসবে একদিন নিশ্চয়ই । সেদিন আমরা দুজনে আসব এইখানে,
তখন দেখব সমুদ্রের জলোচ্ছাস,
সেদিন বোধ হয় সমুদ্র খুব খুশি ।। continue reading

২৯৮

সৌমেন দাস

৭ বছর আগে লিখেছেন

স্মৃতি

তুমি এসেছ এনেছ স্নিগ্ধ বসন্ত,
নির্মল প্রলেপ দিয়েছ ভঙ্গুর হৃদয়ে ।
মলিনতা স্পর্শ করেনি তোমার দেহমনে,
এখনো তুমি শরতের মেঘের মতো নির্মল,
জাগিয়েছো তুমি অদম্য আবেগ,
শিখিয়েছো তুমি কামনার অনুভূতি,
হোক না ক্ষণস্হায়ী শিশির বিন্দুর মতো !
হোক না পাড়ে আছডে পড়া সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো !
অনেক আবদার রয়েছে তোমার কাছে,
এখন তা বলব না ক্লান্ত হয়ে পড়েছি তাই,
ভোরের প্রথম কিরণ যখন তোমাকে স্পর্শ করবে,
ভোরের কোকিলের কলরবে তোমার ঘুম ভাঙ্গবে,
তখন আমি বলব এই যে আমি,এই যে আমি,
রয়েছি তোমার পাশে,হোক নাই বা স্মৃতি ॥ continue reading

২৯৬

ফাইছুল আলম নাছিম

৭ বছর আগে লিখেছেন

প্রবাস ফেরত

যাত্রা শেষে পথ যে মিশে 
ঘরের বারান্দায়। 
জাপটে ধরে বুকের মাঝে, বাবা 
সবাই কে ডেকে জানায়। 
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে 
দেখবি তোরা আয়। 
সঙ্গে এনেছে মন্ডা মিঠাই 
পেটটি পুরে খায়। 
ওঘর থেকে ডাকছে মা’য়ে 
আয় সোনা বুকে আয়। 
বাড়ির ছোটরা ঘিরে রেখেছে 
জাপটে ধরে আমায়। 
বড় বুবু বলে, দেখরে মনা 
এটাই আমার জামায়। 
ছোট্ট বোনটি চুপটি মেরে 
পাশে এসে দাড়ায়, 
কি এনেছিস জলদি দেখা 
হাত দুটি তার বাড়ায়। 
ওপাশ থেকে বৌদি বলে, 
এবারো কি দিচ্ছ ফাঁকি আমায়? 
সামনে বসা ভাইটি বলে, 
তুই ফিরেছিস এটাই বড় 
আমার কিছু না চায়। continue reading

২৪৩

মোঃসরোয়ার জাহান

৭ বছর আগে লিখেছেন

“আকাশ-রঙ” মোঃসরোয়ার জাহান

ব্যগ্র যখন সব কিছু হারিয়ে যেতে 
তেমন কিছু বিপর্যয় নয় এ জীবনে!
কি কর্মে কি কান্নায়
আমরা একাত্ন ছিলাম
বোধে ও স্ফূর্তিতে যুগলবন্দীর মতো 
সমৃদ্ধ স্মৃতিতে 
তার গাঢ় রূপ
অনাবৃত স্তন
জেগে উঠছে নারী আকাশ-রঙ জলের ভেতর থেকে
ভাবনারা সত্যি কড়া নাড়ছে অবাক বিস্ময়ে নদীর সরু বুক বেয়ে !
============================================
continue reading

২৫০

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

আন্ধার

আন্ধার 
আন্ধারে খেই হারিয়ে, নিরবে, নিঃশব্দে, নৈবদ্যের রেখা টেনে 
কত যে রাত্রি ফুরায়? 
আন্ধারে ছায়া তারে বিদ্রুপ করে না, মুখোশের আঁড়ালে, মানুষ 
কত যে ছায়াবাজি ধান্ধায় মাতে? 
পথে আন্ধার পথ চেনা দায়, ঢেড় আন্দাজ, তবুও প্রলাপ ছোটে 
কত নিঃশ্বাসে প্রাণ বাঁচে? 
যাপিত কাল সে তো মাঝ রাতে, কালো আন্ধার, কৃঞ্চ কালো 
আর কত কাল পরে আঁধার ঘুচবে? 
ক্ষুধার শরীরে, আন্ধার নামে, নেতিয়ে পরে, নিঃসার ক্ষয়িঞ্চুকাল 
কত শত নিঃসার হলে আন্ধার মুছবে? 
আন্ধার পালকে, অবক্ষয়ের ঝালর, ডুবছে আঁধারে, নৈতিকতা 
বিচূর্ণ আন্ধার ফুড়ে কবে জ্বলবে মশাল? 
১৪২৩/১০ কান্তিক/হেমন্তকাল। continue reading

২৮৩

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

সময়ের দাবি

সময়ের দাবি 
সময়ের দাবি, কি করে মিঠবে? 
এ যে হাতছাড়া, দিগন্ত খোলা, তেপান্তরের মাঠ 
উম্মক্ত রাত্রি দিন; যার যা যেমন, 
তারই কাছে সর্ম্পিত। 
তবু তার দাবি, কি ন্যায় সঙ্গত? 
না চাইতে যা পাওয়া যায়, তার মূল্য কে বা যাচে? 
কি মানদন্ডে? সে চাইছে তার পাওনা 
তার যে আঁজলা ভরা জল ফুরায় না। 
মেঘ বৃষ্টি ঝরে নিঃস্ব হয়, 
হাওয়া তার পথে, উজান ভাটিতে থেমে যায় 
ফের চলে নতুন দিশায়; কখনও উত্তাল 
কখনও মিহি দানা ময়, প্রশান্তির প্রণয় বয়। 
কিন্ত ও যে, উচ্ছন্নে উচ্ছ্বল বর্ণা? 
প্রাণীকূলে নিঃস্বার প্রণদায়ী, বিলিয়ে 
মিলিয়ে দেয় কালে কালে; ও তো থেমে যায় না কখনও 
ও তার মতো নিরবে কালক্রমে সদাতৎপর। 
১৪২৩/১১, কার্তিক/... continue reading

২৬৭

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

অতঃপর চাওয়া

অতঃপর চাওয়া 
চাওয়ার না কি লাগাম ধরতে হয় টেনে? 
চাওয়ার আবার লাগাম, ঘোড়ামুখো ব্যাপার 
জানি ঘোড়ার লাগাম ধরতে হয়; না হলে পোষ মানানো 
বেশ কঠিন সাধ্য বিষয়। 
চাওয়া টাও তাই বটে, 
বন্য ঘোড়ার মতো অরুদ্ধ স্বাধীনতায় ছুটে 
চাইতে পার যত খুশি! খোলা আকাশটা জুড়ে,অসীম সীমায় 
যত চাও, শঙ্খচিলের পথে উড়ে উড়ে যাও। 
লাগাম টানতে হবে কেন? 
ও কি পথ ভুলানো মরীচিকা? বালিয়াড়িতে সর্বনাশ ঘটায় 
যত্রতত্র সুপিয় জল পানে; তৃঞ্চায় মৃত্যু, টুটি চেপে ধরে 
চাওয়ার অহমিকা, না জানি কোন ইতিহাস আঁকে? 
এমনি ইতিহাস চাই না, 
মৃত্তিকা চেয়েছে, এই কার্ত্তিকে শিশিরের ছোঁয়া 
আর শিশির চাইছে, শরীরে তার গন্ধ ভাসুক সোদা মাটির 
চাইতে চাওয়ার প্রণয় মিলে স্বপ্ন বাঁচুক। 
১৪২৩/১২, কার্ত্তিক/... continue reading

২৪০

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

ক্ষুধা ভূবন ভরা

ক্ষুধা ভূবন ভরা 
ক্ষুধার জন্য যুদ্ধ না কি? 
ক্ষুধার জন্য লড়াই! ক্ষুধার জন্য কি দেশান্তরি? 
ক্ষুধার জন্য ভাসান ভেলা। 
ক্ষুধা না কি স্বপ্ন খেকো? 
প্রাণী খেকো গাছ, জানোয়ারের মতো 
ক্ষুধায় যে জীবন বাঁচে; স্বপ্ন দেখা স্বাদ যাচে। 
সেই স্বাদ যে পাথেয় পথের 
জীবন সংশয় হলে, এদিক ওদিক ছোট ছাড়া 
না না অংক কষে। 
কেউ বা ছুটছে জলে ভেসে 
কেউ বা পথে হেঁটে, কেউ বা ছুুটছে আত্মজা দলে 
স্বপ্ন আঁকড়ে বুকে, জীবন বাঁচবে বলে। 
ক্ষুধা ভূবন ভরা 
আকাল পাকাল যুদ্ধ দাঙ্গা, যেন উর্বর ভুমির জন্য 
মৃত্যু, ক্ষুধা তবুও লড়ছে দ্যাখো‌ ঐ জীবনের জন্য। 
১৪২৩/১৪, কার্তিক/হেমন্তকাল। continue reading

২২৯

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

মধ্য গগন পাড়ে

মধ্য গগন পাড়ে 
শঙ্খচিলের উড়াল পথ 
এখন বেশ এলোমেলো,পথে নক্ষত্র আলো 
জ্বালেনি বোধ হয়; খসে পরা পালক আর 
যত্রতত্র খুঁজে পাওয়া ভার! 
কোন পাহাড়ের খাঁজে পরে আছে হয়তো 
নিঃশব্দে নির্বাক। 
এখনও ঐ চকচকে উঠানে, 
বিন্দু বিন্দু বালুর চিমনী ছেড়ে জলছবি ভাসে 
ঝরা সজনে পাতায় মূর্তিমান ঐ তো; 
মেঘে মেঘে কবিতার অভিষার। 
যেতে যেতে থমকে যেতে হয় 
অতীত তো সোদা পিছু পিছু, 
তার ছিচকে চুরির স্বভাব; বদলায় না, 
কালের সাথে তার সখ্য ভারি! 
বিরহ, প্রেম, মনের যাতনা নাহি ভুলে। 
তাই তো, তার পাদুকা তলে 
খসে পরা শঙ্খচিলের পালক গেঁথে থাকে জনমভর 
পথের বাঁকে বাঁকে, ঐ চিহ্ন আঁকে 
দ্যাখো ঐ উড়ছে এখনও; মধ্য গগন পাড়ে। 
১৪২৩/ ১৬, কার্তিক/... continue reading

২৩৭

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

জীবন বোধের ডুব সাঁতার

জীবন বোধের ডুব সাঁতার 
মাপযোকের মাত্রা ধারায় 
আছে কত মানদন্ড? জীবন কালের সেই তো মাপন 
স্বাক্ষী দেনায় মুখোপেক্ষী। 
শুদ্ধ অশুদ্ধ আরও কত কি? 
পাপপূণ্যের জটিল ধাঁধা! পথিক চলার ক্ষতিয়ান কই? 
সেথাও বুঝি দেনায় আটক বৃত্তায়নে। 
ভেদ বিচারে, আরও মানদন্ড কত? 
গজ মিটারের রসি ধরে; সারে তিন হাতের 
ঐ মাটির হিসেব! রাখতে গেল সারা জীবন। 
সেই সেই চিহ্ন, কোথায় রইবে পরে? 
স্বপ্ন কখন গেছে টুটে? দেখভালের আর কেই নেই যে সাথে 
ভেদ বিচারে পথিক ভাবে; সঙ্কটকালে পথ খুঁজে নে। 
মাপযোকের মাত্রা কত? জীবন বোধের ডুব সাঁতার 
শুধু ক্ষুধার তরে রইল পরে। 
১৪২৩/১৭, কার্তিক/ হেমন্তকাল। continue reading

২৩০