খুব সহজ ঘরোয়া সমাধান বিরক্তিকর ৮ টি শারীরিক সমস্যার
ই-কমার্স খাতকে ভ্যাটমুক্ত রাখার আহ্বান
২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্স খাতকে একটি আলাদা খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরের জন্যে এটি একটি ইতিবাচক ব্যাপার। তবে বাজেটে অনলাইনে পণ্য ও সেবা বেচা-কেনার ওপর ৪ শতাংশ ভ্যাট (মূসক) ঘোষণা করা হয়েছে। ই-কমার্সের মতো একটি উঠতি, বিকাশমান ও অপেক্ষাকৃত নতুন খাতের ওপর এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ই-কমার্স সেক্টরের উন্নয়নকে আরো গতিশীল ও সমৃদ্ধতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের ই-কমার্স খাতকে অন্তত আরো কয়েক বছর ভ্যাটমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ই-কমার্স অনেক দেরিতে শুরু হয়েছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে অনলাইনে লেনদেন চালু করা হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে ই-কমার্স খাত সম্প্রাসারিত হচ্ছে। এ খাতে এখনো নানা সমস্যা বিদ্যমান। ইন্টারনেটের উচ্চমূল্যের কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখনো কম। দেশের বর্তমান অবকাঠামো ই-কমার্সবান্ধব নয়। ই-কমার্স সম্পর্কিত এখনো কোনো নীতিমালা বা বিধিবিধান নেই। এত সব বাঁধা উপেক্ষা করেও দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে একটিমাত্র কারণে : দেশের তরুণ প্রজন্ম ই-কমার্সের মাধ্যমে নিজেদের জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। এরা ই-কমার্স উদ্যোক্তা হতে চান। তাদের এই উদ্যমকে ধরে রাখার প্রয়োজনেও ই-কমার্স খাতকে আরও কয়েক বছর ভ্যাটমুক্ত রাখা দরকার বলে ই-ক্যাব মনে করে।
ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের জন্যে উচ্চহারে চার্জ আদায় করে। বাংলাদেশে ই-কমার্সের জন্যে বিশেষ কোন ডেলিভারি সার্ভিস নেই। প্রচলিত কুরিয়ার দিয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য সরবরাহ করে থাকে। এসব কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর ডেলিভারি রেট খুবই বেশি। এসব মিলিয়ে অনলাইনে একটি পণ্যের দাম বাজারের দামের তুলনায় বেশি পড়ে। পণ্যের দাম সহনীয় মাত্রায় রাখতে এবং ক্রেতা ধরে রাখতে ই-কমার্স উদ্যোক্তারা যথাসম্ভব কম লাভে পণ্য বিক্রি করেন। সব উদ্যোক্তাই এখন তাদের ই-কমার্স ব্যবসায়ের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে...
চালু হচ্ছে অ্যাপল স্ট্রিমিং সেবা
শুরু হতে যাচ্ছে অ্যাপলের বার্ষিক ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স। আর এখান থেকেই ঘোষণা দেওয়া হতে পারে অ্যাপল মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিসের।
জানা গেছে, প্রতি মাসে ১০ ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাবে অ্যাপলের এই স্ট্রিমিং সেবা। তবে স্ট্রিমিং সেবার কারণে অ্যাপলের আইটিউন্স মিউজিক প্ল্যাটফর্ম ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।
অ্যাপলের স্ট্রিমিং সেবা চালুর খবরটি প্রথম জানায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমটিতে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে পেইড মিউজিক ডাউনলোডের ৮০ শতাংশই হয়ে থাকে আইটিউন্স থেকে। তবে মিউজিক স্ট্রিমিং সেবার দিক থেকে এখনও পিছিয়ে আছে এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
গত বছর ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে বিটস মিউজিক অধিগ্রহণ করে অ্যাপল। আর এরপর থেকেই অ্যাপলের মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা চালুর ব্যাপারে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
অ্যান্ড্রয়েড এম: নতুন যে সকল ফিচার যুক্ত হয়েছে
গতমাসের শেষের দিকে গুগল প্রকাশ করেছে তাদের নতুন অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন 'অ্যান্ড্রয়েড এম' যার হালনাগাদ হওয়া ফিচার সমূহ নিয়ে একটি ব্লগ লিখেছিলাম 'অ্যান্ড্রয়েড এম: হালনাগাদ হয়েছে যে ফিচারসমূহ'। আজ চলুন, নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সনটিতে নতুন সব যুক্ত হওয়া ফিচারগুলো একনজরে দেখে নেয়া যাক।
১। অ্যাপ্লিকেশনের জন্য অটো ব্যাক-আপ এবং রিস্টোর সুবিধা
সম্ভবত এই সুবিধাটিই অ্যান্ড্রয়েডের নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম 'অ্যান্ড্রয়েড এম' এর সবচাইতে চমৎকার নতুন সংযোজন হওয়া একটি সুবিধা। আমরা যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি তাদের মধ্যে বেশির ভাগ ব্যবহারকারিই তাদের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোতে বিভিন্ন ধরণের গেম খেলি। আপনার নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে প্রায় সব গেমের ডাটাই হারিয়ে যায় যদি আপনি গেমটি আনইন্সটল করে ফেলেন। তাই পরবর্তীতে যখন আপনি সেই গেমটি নতুন করে আবার আপনার স্মার্টফোনে ইন্সটল করেন তখন পূর্বের ডাটাগুলো ফেরত পাওয়া যায়না। কিছু কিছু গেম ব্যতিক্রম, কেননা এখন অনেক গেমই অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য ব্যবহার করা ইমেইল আইডিটি ব্যবহার করে গেম প্রোগ্রেস সংরক্ষণ করে থাকে। কিন্তু বাকি গেম গুলোর ক্ষেত্রে ডাটা অর্থাৎ প্রোগ্রেস হারিয়ে যায়। অবশ্য, অ্যাডভান্সড ইউজার বা পাওয়ার ইউজাররা বেশ কিছু পদ্ধতিতে যেকোনো গেমের ডাটাই সংরক্ষণ করতে পারেন তবে তা কিছুটা হলেও কমপ্লেক্স। কিন্তু নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমের চমৎকার এই সুবিধাটি খুব সহজেই আপনার জন্য স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনার প্রতিটি অ্যাপলিকেশনের ডাটা এবং সেটিংস আপনার গুগল ড্রাইভের একটি ফাইলের মধ্যে জমা রাখবে এবং সেই ফাইলটির আকার হবে প্রায় ২৫ মেগাবাইট (কিছুটা কম বেশি হতে পারে)।
গুগলের বিবৃতি অনুযায়ী এই ব্যাক-আপ প্রসিডিউর দিনে মাত্র একবার ঘটবে তাও যখন আপনার স্মার্টফোনটি ওয়াইফাই এবং পাওয়ার ক্যাবলে যুক্ত থাকবে এবং অবশ্যই আইডিয়াল অবস্থায় থাকবে। মজার বিষয় হচ্ছে, এই ২৫ মেগাবাইটের ফাইলটি আপনার গুগল...
ইন্টারনেট স্যাটেলাইট থেকে সরে আসছে ফেসবুক
বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে ইন্টারনেট স্যাটেলাইট চালুর পরিকল্পনা ছিল ফেসবুকের। তবে এবার এই পরিকল্পনা থেকে প্রতিষ্ঠানটি সরে আসছে বলে জানিয়েছে একটি সংবাদমাধ্যম।
ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য ইনফরমেশন জানায়, এই স্যাটেলাইট তৈরিতে খরচ পড়বে প্রায় ১০০ কোটি ডলার। আর এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করা সম্ভব হবে না, এমন আশংকা থেকে ফেসবুক এই প্রকল্প বন্ধ করে দিচ্ছে বলেও জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
মূলত বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কাছে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে ফেসবুক চালু করেছে ইন্টারনেট ডট অর্গ। আর এরই অংশ হিসেবে চালু করার কথা ছিল এই ইন্টারনেট স্যাটেলাইট।
ফেসবুকের সাথে সংশ্লিষ্ট এই সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য ইনফরমেশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফেসবুক মূলত এমন একটি স্যাটেলাইট উড্ডয়ন করতে চেয়েছিল যা বিভিন্ন দেশের মানুষকে একসাথে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে পারত। তবে ফেসবুক যদি এখন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেও, সেক্ষেত্রে নিজেদের স্যাটেলাইটের পরিবর্তে তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে কোন স্যাটেলাইট ভাড়া করতে পারে। তবে এমন সম্ভাবনাও খুব কম বলে জানা গেছে প্রতিবেদন থেকে।
সহজ ৪ উপায়ে বাড়িয়ে নিন ওয়াই-ফাইয়ের গতি
ইন্টারনেটে কাঙ্ক্ষিত গতি পাওয়া যাচ্ছে না- অনেককেই এমন অভিযোগ করতে শোনা যায়। এমনকী ওয়াই-ফাই সংযোগে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নাকি একই অবস্থা। ইন্টারনেট স্পিড নেই। তবে এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি মিলতে পারে। এ বিষয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতার জনপ্রিয় একটি অনলাইন পত্রিকা। জেনে নিন ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়ানোর কয়েকটি সহজ উপায়:
১. রাউটারের লোকেশন পরিবর্তন: ওয়াই-ফাই সংযোগের গতি বাড়ানোর সহজ উপায় হল রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন বা অবস্থানের মাঝে সমন্বয় রক্ষা করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাউটার বাড়ির ভেতরে আসা ইন্টারনেট তারের খুব কাছাকাছি রাখা হয়৷ যা উচিত নয়। পাশাপাশি বেশিরভাগ রাউটারের অ্যান্টেনার অবস্থান ঠিক করে রাখা হয় না। ফলে অ্যান্টেনার থেকে সব দিকে সংকেত পাঠানো ও রিসিভ করা সম্ভব হয় না। তাই রাউটারকে এমন স্থানে রাখা উচিত যেখান থেকে রাউটার সবদিকে সংকেত পাঠাতে পারে বা সংকেত রিসিভ করতে পারে।
২. ওয়্যারলেস রাউটারের সামনে একটি উন্নত অ্যান্টেনা যোগ করা: কখনো কখনো রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করে ইন্টারনেটের গতি উন্নত বাড়ানো সম্ভব হয় না। এই ক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অ্যান্টেনা পরিবর্তন করা যেতে পারে। যদি একটি রাউটারের চারপাশে অনেক দেওয়াল বা অনেক বাধা থাকে তবে সেক্ষেত্রে একটি এক্সটারনাল অ্যান্টেনা রাউটারের সামনে বা সঠিকভাবে ব্যবহার করে রাউটারের কার্যক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে। রাউটারের কার্যক্ষমতা বাড়লে তবেই বাড়বে ইন্টারনেটের স্পিড।
৩. একটি ওয়্যারলেস রিপিটার যোগ করা: রাউটারে নেটওয়ার্কের পরিসীমা বাড়াতে একটি ওয়্যারলেস রিপিটারের সাহায্য নিতে পারেন। এই রিপিটার রাউটার ও সংযুক্ত ডিভাইসের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে কাজ করবে। বাজারে এমন অনেক ভালো ভালো রিপিটার পেয়ে যাবেন কম দামে।
৪. ব্যাকগ্রাউন্ডের ডাটা ডাউনলোড বন্ধ করতে হবে: একটি ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের গতি অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা একাধিক কাজের জন্য...
যে ক্লিকে সর্বনাশ
প্রতিদিনের প্রায় সব ধরনের কাজই এখন সহজে করা যাচ্ছে মাউসের ক্লিকে বা আঙুলের ছোঁয়াতেই। তবে অনেক সময় এই এক ক্লিকই ডেকে আনতে পারে সর্বনাশ! ভুল ও অসতর্ক ব্যবহারে যন্ত্রের ক্ষতিসহ নানা ধরনের ক্ষতির কবলে পড়তে হয় অনেককেই। ই-মেইল বা ফেসবুকে অনেক সময় আয় করার হাতছানি, লটারি জেতার সংবাদ বা জনপ্রিয় কোনো তারকার ভিডিও ও ছবির লিংক থাকে, যেটাতে ক্লিক করতে বলা হয়। এসবে ক্লিক করা মানেই সর্বনাশ!
ক্লিকে ক্লিকে আয়
ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে দেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে বিভাগ অনুযায়ী কাজগুলো তালিকা আকারে দেওয়া থাকে। সাময়িক সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে ফ্রিল্যান্সাররা কাজগুলো সম্পন্ন করেন। কিন্তু কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট এবং সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হয় যে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে শুধু ক্লিক করেই টাকা উপার্জন করা যাচ্ছে। বিপুলসংখ্যক লোক সেসব সাইটে নিবন্ধন করেন এবং পরে প্রতারিত হন।
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে উপার্জন করা যায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে, কিন্তু এর জন্য কাজ করতে হয়। শুধু মাউসের ক্লিক করলেই উপার্জন করা যায়, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। এ জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট কাজের জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এর পরেই কেবল উপার্জন করা যেতে পারে। কোনো দক্ষতা অর্জন ছাড়া শুধু বিভিন্ন সাইটে নিবন্ধন করে বা ক্লিক করে উপার্জন করা সম্ভব নয়।
ব্যক্তিগত তথ্য চুরি
কিছুদিন আগে বিভিন্ন তারকার ব্যক্তিগত বিভিন্ন ছবি ও তথ্য ইন্টারনেটে সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। যাঁদের এ ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা অসতর্কভাবে অ্যাপল আইক্লাউডের পাসওয়ার্ড অবিকল দেখতে অন্য একটি ফিশিং সাইটে লিখেছিলেন এবং এ সুযোগেই হ্যাকাররা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে সেখানে সংরক্ষিত ব্যক্তিগত তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।
অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের জন্য নির্ভরযোগ্য কিছু ওয়েবসাইট...
মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে কল ফ্রি
মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে বিনামূল্যে কল করার সুবিধা চালু করতে ২০১০ সালের আগস্ট মাসে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ টেলিকম নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই বছরের ১ অক্টোবরের মধ্যে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। কিন্তু কৌশলে অপারেটররা ১২১ ফ্রি না করে ‘১৫৮’ নম্বরকে কাস্টমার কেয়ারের জন্য ফ্রি নম্বর হিসেবে চালু করে। তবে এ ব্যাপারে অপারেটররা কোন প্রকার প্রচারণা চালায়নি।
তবে সম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক প্রথমবারের মতো ১২১ কল ফ্রি ঘোষণা করেছে। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে অন্যান্য অপারেটররাও একই সেবা চালু করার চিন্তা ভাবনা করছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি অপারেটর বলছে, বাংলাদেশে বিনামূল্যে গ্রাহক সেবা কেন্দ্র ফ্রি করার অভিজ্ঞতা ভালো নয়। অনেক গ্রাহক নারী কাস্টমার অফিসারের সাথে কথা বলার জন্য অপ্রয়োজনীয় কল করে বিরক্ত করেন। তাই তারা ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে চান।
বাংলালিংক সূত্রে জানা গেছে, তাদের নতুন এই সেবাতে বিল ও পেমেন্ট সম্পর্কিত তথ্য, ইন্টারনেটের আকর্ষনীয় প্যাকেজ চালু/বন্ধ, ব্যালেন্স চেক ও ইন্টারনেট কনফিগারেশন, এফএনএফ নম্বর সেট, বাতিল এবং পরিবর্তন, আমার টিউন, প্রিয় টিউন, মিস কল অ্যালার্ট, মিউজিক স্টেশন চালু বা বন্ধ করতে কথা বলা যাবে একদম ফ্রি। এছাড়া *121# নম্বরে ডায়াল করলে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমেই এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে বাংলালিংক তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার জন্যে অপর একটি নম্বর ১১১ চালু করেছে। এই নম্বরে কল করলে অবশ্য গ্রাহকদেরকে খরচ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের আগস্ট মাসে বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের ফ্রি গ্রাহক সেবা ঘোষণা করার জন্য যে নির্দেশনা দিয়েছিল সেগুলো হচ্ছে, তিন মাসের মধ্যে সব কোম্পানী ১২১ কে তাদের টোল ফ্রি কাস্টমার কেয়ার নাম্বার হিসেবে পরিণত করতে হবে। কাস্টমার কেয়ার নাম্বারে কল বা এস এম এস এর...
কম্পিউটারের প্রসেসর কেনার আগে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে
প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান হার্ডওয়্যার। প্রসেসর কম্পিউটারের সকল কাজ করে থাকে। মূলত একেই CPU (Central Processing Unit) বলে। প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল Intel এবং AMD (Advanced Micro Device)। এই দুটি কোম্পানিই ভালো। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কিছু প্রযুক্তিগত দিক থেকে Intel এগিয়ে রয়েছে। তবে বর্তমানে AMD ও তাদের APU (acceleration processing Unit) প্রসেসরের ম্যাধ্যমে বাজারে সুলভ মূল্যে বেশ কিছু ভাল প্রসেসর এনেছে। বর্তমানে বাজারে যে সকল processor রয়েছে সেখান থেকে ভাল দেখে একটে বেজে নিন।
যেহেতু প্রসেসর কম্পিউটারের সকল কাজ করে থাকে এবং যার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই এটি কেনার সময় বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে।
প্রসেসরের Clock Speed কত, সেটা লক্ষ্য করতে হবে। ক্লক স্পিড যত বেশি হবে, প্রসেসরের প্রসেসিং ক্ষমতাও তত বেশি হবে। শুধু clock speed নয়, প্রসেসরের Cache Memory (ক্যাশ মেমরি) কত তাও লক্ষ্য করতে হবে। ক্যাশ মেমরির মধ্যে প্রকারভেদ রয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ক্যাশ মেমরি হল L3 Cache। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রসেসরে কয়টি কোর(core) এবং কয়টি থ্রেড(thread) আছে তা খেয়াল করতে হবে। কোর এবং থ্রেড এর সংখ্যা বেশি হলে স্পিড বাড়বে। এছাড়া FSB (Front Serial Bus) এর পরিমাণ লক্ষ্য করতে হবে। FSB বেশি হলে স্পিড বেশি হবে। তাই মাদারবোর্ডের বাস স্পিডের সাথে মিল রেখে প্রসেসর কেনা উচিৎ। যদিও নতুন প্রসেসর গুলোতে FSB ব্যবহার করা হয় না। এর পরিবর্তে QPI ব্যবহৃত হয়। প্রসেসরের একটি বিশেষ ফিচার হল Hyper Threading Technology। কারণ এ প্রযুক্তি Multitasking কাজ করার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী ভুমিকা রাখে। এছাড়া Intel প্রসেসরের ক্ষেত্রে Turbo Boost Technology রয়েছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে। এই প্রযুক্তি বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনের সময় প্রসেসরের ক্ষমতা...
ফাংশনাল কী (F1-F12) এর ব্যবহার
আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি, তারা সবাই F1 থেকে F12 এই কী গুলোর সাথে খুবই পরিচিত। এই কী-গুলোকে বলা হয় ফাংশনাল কী? এই কী-গুলোর বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার আছে, যার সাথে হয়তো আমরা সবাই পরিচিত নয়।
F1 এর ব্যবহার
এই কী টি সাধারণত সাহায্যকারী কী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেকোন প্রোগ্রাম চালানোর সময় এই কী প্রেস করা হলে, ওই প্রোগ্রাম এর সাহায্যকারী উইন্ডো খুলবে।
F2 এর ব্যবহার
এই কী টি কোন ফাইল বা ফোল্ডার পুন:নামকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়। আপনি যে ফাইল বা ফোল্ডারটি পুন:নামকরণ করতে চান, সেটিকে নির্বাচন করে, এই কী টি চাপলে আপনি ওই ফাইল বা ফোল্ডারটি পুন:নামকরণ করতে পারবেন।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড – এ Alt+Ctrl+F2 চেপে আপনি একটি নতুন ডকুমেন্ড চালু করতে পারবেন। Ctrl+F2 চাপা হলে আপনাকে প্রিন্ট প্রিভিউ দেখানো হবে।
F3 এর ব্যবহার
এই কী সাধারণত সার্চ অপশন টি চালু করার জন্য ব্যবহার করা হয়। আপনি এই কী প্রেস করলে একটি সার্চ উইন্ডো আসবে সেখানে ইচ্ছামত সার্চ করতে পারবেন। অন্যান্য প্রোগ্রামও আপনাকে এই সুযোগ দিতে পারে।
F4 এর ব্যবহার
এই কী ব্যবহার করে আপনি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ সর্বশেষ কাজটির পুনরাবৃত্তি করতে পারবেন। (২০০০ + শব্দ)। আপনার কম্পিউটারের সকল চালুকৃত প্রোগ্রাম একইসাথে বন্ধ করার জন্য আপনি প্রেস করতে পারেন Alt+F4। আপনার কম্পিউটারের সকল চালুকৃত উইন্ডো বন্ধ করতে আপনি প্রেস করতে পারেন Ctrl+F4।
F5 এর ব্যবহার
এই ১২ টি ফাশংন কী এর মাঝে এই কী-টির সাথেই সবাই বেশি পরিচিত। কারণ এই কী-টি দিয়েই সবাই কম্পিউটারকে সহজেই রিফ্রেশ করতে পারি। এই কী দ্বারা আপনি আপনার ওয়েব ব্রাউজার এর পেজ রিফ্রেশ করতে পারবেন। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ এই কী প্রেস করলে খুজে পাবেন “Find, Replace, Go To” এই মেনুটি।...