Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

‘আপওয়ার্ক’ নামে যাত্রা শুরু করলো ইল্যান্স-ওডেস্ক

Technology Image

জনপ্রিয় দুটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস ইল্যান্স এবং ওডেস্ক বছরখানেক আগেই একীভূত হয়েছিল। যদিও ওয়েবসাইট আলাদাই ছিল। তবে এবার মার্কেটপ্লেস দুটি নতুন নামে যাত্রা শুরু করলো। আপওয়ার্ক (Upwork) নামেই এখন থেকে চলবে ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় এই মার্কেটপ্লেস।
আর এই একীভূত হওয়ার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা আরও দ্রুত তাদের যোগ্যতা অনুসারে কাজ পেতে সক্ষম হবে, এমনটাই মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি। আর তাই নতুন এই ওয়েবসাইটে থাকছে বেশ কিছু আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। এর মধ্যে অন্যতম হল ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের জন্য মেসেজিং সুবিধা। আপওয়ার্ক জানিয়েছে, এটি অনেকটা ‘স্ল্যাক’ প্ল্যাটফর্মের মত। সবার জন্যই বিনামূল্যে থাকবে এই মেসেজিং ফিচার।
আপওয়ার্কের এই প্ল্যাটফর্মের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে একটি আইওএস অ্যাপ। ফলে চলার পথে খুব সহজেই সেরে নেওয়া যাবে নতুন প্রজেক্ট তৈরি এবং প্রজেক্ট সম্পন্ন করার জন্য ফ্রিল্যান্সার নিয়োগের কাজটি। আর ফ্রিল্যান্সাররাও পাবেন যেকোনো সময় পছন্দমত প্রজেক্টে আবেদন এবং বেছে নেওয়ার সুবিধা।।
আপওয়ার্কের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা ১০০ কোটি ডলার আয় করছে। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, সেবার ম্যান আরও বাড়িয়ে এবং নতুন নতুন সুবিধা যোগ করার মাধ্যমে এই পরিমাণ আরও বাড়ানো সম্ভব।

Continue Reading...

গ্রহানুদের কথা

Technology Image

মঙ্গল গ্রহ হলো সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ,সূর্য থেকে এর দুরত্ব হলো প্রায় ২৩কোটি ৬৪ লক্ষ কিঃমিঃ। এর পরের গ্রহ হলো বৃহস্পতি এর দুরত্ব প্রায় ৭৮ কোটি কিঃমিঃ। এই দুই গ্রহের মাঝখানে বিশাল এক ফাক আছে, জ্যেতির্বিদের কাছে যা অস্বাভাবিক। তখন অনেক জ্যোতিষবিদ মনে করতেন এই দুই গ্রহের মাঝেখানে আরো একটি গ্রহ আছে।
এরপর ১৭৭২সালে জোহান এলার্ট বোডে (১৭৪৭-১৮২৬) নামক জার্মানীর বিন্জানী একটি সুত্র বের করলেন। ১৭৭২ সালে আবিস্কার করা বোডের সুএ পূর্ন বাস্তবায়ন করেন আরেক বিন্জানী জোহান টাইটাস্ (১৭২৯-১৭৯৬) তিনি প্রথমে সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে গ্রহগুলোকে সাজান এবং প্রত্যেকটি গ্রহের নীচে তিনি প্রথমে ০, তারপরে ৩, ৬, ১২, ২৪, ৪৮, ৯৬, ১৯২ ইত্যাদি সংখ্যা লিখলেন এবং প্রত্যেকটি সংখ্যার সাথে ৪ যোগ করলেন,এবং এতে পরপর যে সংখ্যা পাওয়া গেল এর প্রত্যেকটিকে ১০ দিয়ে ভাগ করলেন। এবং এখান থেকে যে সংখ্যা গুলি পাওয়া গেল, তাহলো সূর্য থেকে প্রতিটি গ্রহের দূরত্ব (জ্যোতিষবিদ্যা ব্যবহৃত একক অনুযায়ী এই একক হলো সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যেকার গড় দূরত্ব এর পরিমাপ হলো ১৪৯,৫৯৭,৪৭০ অথবা ৪৯৯ আলোক সেকেন্ড(৪৯৯ সেকেন্ডে আলো যতটা দূরে যায়)।
বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যে যে ফাঁক আছে, সেখানে একটি গ্রহের থাকার কথা যার সংখ্যা হবে ২৪ এবং বোর্ডের সুত্র অনুযায়ী সূর্য থেকে এই গ্রহটির দূরত্ব ২.৮ জ্যোতিষবিদ্যার একক হওয়ার কথা। সাথে সাথে বিভিন্ন দেশের জ্যোতিষবিদ বড় বড় দূরবীন দিয়ে আকাশে এই গ্রহটির সন্ধান শুরু করলেন এবং যে কোন আকারের বস্তু বা গ্রহ যাই হোক না কেন মানুষের দীর্ঘ অনুসন্ধানে ধড়া পরবে না এটা হতে পারে না। অবশেষে ১৮০১ সালের পহেলা জানুয়ারী ইতালীয়ান জ্যোতিষবিদ পিয়াজি আকাশে নতুন একটি বস্তু দেখতে পেলেন, বস্তুটি ছিল খুব অস্পস্ট ও...

Continue Reading...

বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা

Technology Image

দেশে প্রথমবারের মত চালু হলো বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রকল্প ইন্টারনেট ডট ওআরজির সহায়তায় এই ইন্টারনেট সেবা মিলবে। মোবাইল অপারেটর রবির গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন। প্রথম পর্যায়ে ইন্টারনেট ডট ওআরজির মাধ্যমে ২৫ টি ওয়েবসাইট বিনামূল্যে ভিজিট করা যাবে।
১০ এপ্রিল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ সেবাটি উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট ডট ওআরজি এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ফেসবুকের গ্লোবাল অপারেটর পার্টনারশিপের ডিরেক্টর মারকু মাকেলেইনেন, রবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুপুন বীরাসিংহে এবং রবি’র প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্যরা।
মারকু মাকেলেইনেন বলেন, ‘১০ তম দেশ হিসেবে আজ থেকে বাংলাদেশের মানুষ ফেসবুকের বিনামূল্যের ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে। রবি’র সহযোগিতায় ইন্টারনেট ডট ওআরজি মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষ দরকারী ইন্টারনেটের আওতায় এলো। আমরা আশা করছি বাংলাদেশের উন্নয়নে এই ইন্টারনেট সেবা কাজে লাগবে।’
সুপুন বীরাসিংহে বলেন, ‘এদেশে ইন্টারনেট অগ্রদূত হিসেবে বরাবরই কাজ করছে রবি। এরই ধারাবাহিকতায় ফেসবুকের সহায়তায় রবির আড়াই কোটি গ্রাহক এখন দরকারি ২৫টি ওয়েবসাইট বিনামূল্যে ভিজিট করতে পারবেন।’
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইন্টারনেটের নিরবিচ্ছিন্ন সেবার বিকল্প নেই। প্রাথমিক পর্যায়ে রবি’র গ্রাহকরা বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে। আশা করি দেশের অন্যান্য মোবাইল অপারেটরাও ফেসবুক ডট ওআরজির আওতায় আসবে। নেট নিউট্রিলিটি নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে সরকার। অচিরেই টেলিকম পলিসি চূড়ান্ত হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারি তথ্যাবলী, চাকরির খোঁজ-খবর, ই-কর্মাস, অনলাইন মার্কেটপ্লেস, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং সংবাদসহ ২৫টি ওয়েবসাইট রবি’র গ্রাহকরা বিনামূল্যে ভিজিট করতে পারবেন।
এসব ওয়েবসাইটগুলো হলো, ফেইসবুক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ক্যাবিনেট ডিভিশন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়,...

Continue Reading...

ডব্লিউডির ২ টেরা ওয়াইফাই হার্ডডিস্ক

Technology Image

প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তকে হাতের নাগালে রাখার সুযোগ করে দিতে দেশের বাজারে তারহীন প্রযুক্তির বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক আনলো দেশের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার সোর্স। বিশ্বনন্দিত ব্র্যান্ড ডব্লিউডি’র ২ টেরাবাইট কনটেন্ট ধারণ ক্ষমতার এই এক্সটার্নাল হার্ডিস্কে রয়েছে এসডি কার্ড থেকে সরাসরি তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধা।
ফলে ব্যবহারকারী চাইলেই ডেটা ক্যাবেল ছাড়াই এসডি কার্ডটি ইনজেক্ট করে মুঠোফোন বা ক্যামেরার ছবি বা প্রয়োজনীয় ফাইল এতে সংরক্ষণ করতে পারবেন। ইউএসবি থ্রি পোর্ট ছাড়াও ওয়াইফাই সংযোগের মাধ্যমে পিসি’র তথ্য হার্ডডিস্কটিতে স্থানান্তর করা যায় অনায়াসে। ইন্টারনেট সংযোগে ওয়াইফাই হাবের মাধ্যমে একইসময়ে সংযুক্ত করা যায় ৮টি ডিভাইসের সঙ্গে।
পাসপোর্ট আকারের হার্ডডিস্কটি থেকে টিভি, মিডিয়া প্লেয়ার এবং গেমিং কনসোলে সরাসরি ভিডিও দেখা বা গেম খেলা যায় সহজেই। এতে শক্তিশালী ব্যাটারি সংযুক্ত থাকায় টানা ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত রিচার্জ ছাড়াই ভিডিও স্ট্রিমিং সুবিধা উপভোগ করা যায়।
পাসওয়ার্ড লক সিস্টেম থাকায় এর সকল তথ্যই নিরাপদে সুরক্ষিত থাকে। আবার ড্যাশ বোর্ড থেকে ডিভাইসটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতেই রাখা যায়। ডব্লিউডিবিডি এএফ০০২০বিবিকে মডেলের এই বহনযোগ্য হার্ডডিস্কটির দাম ২৫ হাজার টাকা।

Continue Reading...

মজার তথ্য

Technology Image

পৃথিবী যদিও নিজ অক্ষে ঘন্টায় ১০০০ মাইল বেগে ঘোরে, কিন্তু অবিশ্বাস্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলে, যা প্রায় ঘন্টায় ৬৭০০০ মাইল বেগে।
পৃথিবীতে বছরে প্রায় ১০০০০০০ এরও বেশী ভুমিকম্প হয়ে থাকে। কিন্তু এগুলো খুব ক্ষণস্থায়ী এবং কম কম্পন সম্পন্ন তায় আমরা টের পাই না। তবে রিক্টার স্কেলে কিন্তু এই কম্পন ঠিকই ধরা পরে।
প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীতে প্রায় ১০০ বার বজ্রপাত হয়ে থাকে। এবং গড়ে বজ্রপাতে প্রতি বছর প্রায় ১০০০ লোক মারা যায় ।
ডিএনএ প্রথম আবিস্কৃত হয় ১৮৬৯ সালে। এটি আবিষ্কার করেন সুইস ফ্রেডরিক মিস্কলার।
আমরা জ্বর মাপার জন্য যে থার্মোমিটার ব্যবহার করি সেটি ১৬০৭ সালে প্রথম আবিষ্কার হয়। এটি আবিষ্কার করেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী গ্যালিলিও।
১২৫০ সালে রজার বেকন আতশী কাচ আবিস্কার করেন ।
১৮৬৬ সালে আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইট আবিস্কার করেন ।
প্রথম নোবেল পুরস্কার উইলহেম রনজেন ১৮৯৫ এ এক্সরে আবিস্কার করে (পদার্থবিদ্যা) পান ।
এযাবৎকালের সবচেয়ে উচুতম গাছটি হল একটি অস্ট্রেলিয়ান ইউক্যালিপটাস গাছ, যার উচ্চতা ৪৩৫ ফুটের মতো ।
ইলেকট্রিক ঈল মাছ প্রায় ৬৫০ ভোল্ট শক দিতে পারে ।
১৯৬২ সালে প্রথম টেলিফোন এবং টিভি সিগন্যাল আদান প্রদানে সক্ষম যোগাযোগ উপগ্রহ টেলস্টার উৎক্ষেপন করা হয় ।
জিরাফ অধিকাংশ সময় ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাত্র ২০ মিনিট ঘুমায় । যদিও কখনও কখনও ২ ঘন্টাও ঘুমায় তবে তা খুবই ব্যতিক্রম ।
সারা শরীর ঘুরে আসতে একটি রক্ত কোষের মাত্র ৬০ সেকেন্ডের মতো সময় লাগে।
একটা রাবার অনুতে ৬৫,০০০ পরমানু থাকে।
একজন পুরুষ দেহে এক সেকেন্ডে প্রায় ১০০০ কোষ শুক্র তৈরী হয়, প্রায় ৮৬০০০০০০ এক দিনে ।
প্রতি ঘন্টায় বিশ্বজগৎ চারদিকে শতকোটি মাইল বিস্তৃত হচ্ছে ।
যদি আলোর গতিতেও যাত্রা শুরু করা হয়, তাহলেও নিকটস্থ ছায়াপথ...

Continue Reading...

হিরো থেকে জিরো

Technology Image

বিল গেটসের তৈরি যে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার থামিয়ে দিয়েছিল নেটস্কেপের যাত্রা তা আবারও ফায়ার ফক্সের রূপ ধরে উঠে এসে শেষ হাসি হাসছে।
নতুন খবর হল, মাইক্রোসফট স্পার্টান কোড নাম দিয়ে নতুন একটি ব্রাউজার তৈরি করছে আর ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজারকে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে কী? ভারী আর অনেকটাই অকেজো হয়ে ওঠা আইকনিক এই ব্রাউজারের এমন পরিণতি হয়তো অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু যাঁরা ইন্টারনেটের প্রথম যুগের মানুষ তাঁদের কাছে মজাদার একটা অধ্যায়ের করুণ সমাপ্তির মতোই বিষয় এটা। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্র্যান্ডটির বিদায়ের মধ্যে দিয়ে কম্পিউটারের আধুনিক যুগের ইতিহাসের একটা মজার অধ্যায়ের ইতি টানা হয়ে গেল।
চলুন একটু পেছনে ফিরে ব্রাউজারের ইতিহাস দেখে আসি। ১৯৯৩ সাল, ইন্টারনেটের বয়স বড়জোর এক দশক হবে। ইন্টারনেটের এই প্রথম দশকটি কম্পিউটার বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞদের বাইরে তেমন করে আর কারও ভালো জানা ছিল না। এর মাত্র বছর দু-এক আগে কম্পিউটার বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স-লি ইন্টারনেটের জন্য উদ্ভাবন করেন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ)। কিন্তু সে সময় এটি কারও চোখেই পড়েনি। ১৯৯৩ সালের বসন্তে এসে মার্ক অ্যান্ড্রেসেন ও এরিক বিনা বিশ্বের প্রথম গ্রাফিকাল ব্রাউজার ‘মোজাইক’ উন্মুক্ত করেন। এর পর হঠাৎ করেই যেন ইন্টারনেট নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় উঠতে শুরু করে। ইন্টারনেট কী এবং এ দিয়ে কী করা যেতে পারে তা যেন বিশ্ববাসী হঠাৎই বুঝতে পারে। কিন্তু এই শোরগোলের মাঝেও বিপরীত স্রোতে চলছিল একটি প্রতিষ্ঠান যার নাম-মাইক্রোসফট। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে তখন অদ্ভুত যে বিষয়টি দেখা যায় তা হচ্ছে, বিশ্বে কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে উঠে এলেও ইন্টারনেটের এই ছড়িয়ে পড়ার বা ইন্টারনেটের উপযোগিতার বিষয়টি তারা তখন বুঝতেই পারেনি! মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের আত্মজীবনীর লেখক জেমস...

Continue Reading...

আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক

Technology Image

আইন্সটাইন সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের একজন ছিলেন। তাঁর মেধার উৎস জানার জন্য তাঁর মৃত্যুর সাড়ে সাত ঘন্টা পর তাঁর মস্তিষ্কটি মৃত দেহ থেকে সরিয়ে ফেলা হয় এবং ২৪০ টুকরো করে সংরক্ষণ করা হয় এবং অংশবিশেষ পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে গবেষণার জন্য প্রেরণ করা হয়। গবেষনার ফলাফল হিসেবে যা পাওয়া যায় তা রীতিমতো বিস্ময়কর।
গবেষনায় দেখা যায়, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের কর্পাস কোলোসাম অংশ অন্যদের তুলনায় বেশ মোটা ছিলো। কর্পাস কোলোসাম বিপুল পরিমান স্নায়ুগুচ্ছের সমন্বয়ে গঠিত হয় যার ফলে মস্তিষ্কের ডান ও বাম অংশের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। এই অংশটি সুগঠিত হওয়ায় আইনস্টাইন চিন্তাভাবনায় অন্যদের চেয়ে ছিলেন এগিয়ে। আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন, আইনস্টাইন সৌভাগ্যবান তাই তাঁর মস্তিষ্ক সাধারণ মানুষের চেয়ে উন্নত, কিন্তু ডিম আগে নাকি মুরগী আগে? গবেষনায় দেখা যায়, যে কোনো মানুষ মস্তিষ্কের কাজ বেশী বেশী চর্চার মাধ্যমে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। আইনস্টাইন সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভালোবাসতেন তাই মাথা খাটাতেন প্রচুর এবং এই কারনেই তাঁর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে (তাঁর গবেষণার একটি বড় অংশ ছিলো থট এক্সপেরিমেন্ট)। বিষয়টা অনেকটাই শরীর চর্চার মতো। আপনি যদি নিয়মিত শরীর চর্চা করেন তাহলে আপনার পেশী সুগঠিত হবে। বিবর্তন অকারণ রিসোর্স খরচ করা নিরুৎসাহিত করে। আপনার যদি ভারী কাজ করার প্রয়োজন না হয় তাহলে আপনার পেশী সুগঠিত হবে না কারণ বেশী মাংসপেশী মানেই বেশী শক্তির চাহিদা। আপনার শরীরে যখন মাংস পেশী বাড়ছে তখন আপনার ক্যালরির চাহিদাও বাড়ছে তাই খাদ্য অপ্রতুলতার যুগে এই বৈশিষ্ট্যটি প্রানীদের টিকে থাকতে সাহায্য করেছে। মস্তিষ্কের সুগঠনের জন্যও তাই মস্তিষ্ক চর্চা করতে হয়।
অনেকভাবেই আপনি মস্তিষ্কের চর্চা করতে পারেন। যেসব কাজে মাথা খাটা্নোর প্রয়োজন হয় যেমন: পাজল খেলা, গাণিতিক...

Continue Reading...

“অবিশ্বাস্য” পৃথিবীর প্রথম ব্যক্তি যার বুকে কোন হার্ট নেই

Technology Image

ঘটনাটি ২০১১ সালের মার্চের দিকে কোন এক সময়ের। ক্রেগ লুস নামের ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রচণ্ড বুকে ব্যথা অনুভব করে এবং সাথে সাথে তাকে টেক্সাসের একটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার পরিক্ষা নিরিক্ষা করে জানান, তিনি “এমিলইডসিস” নামের এক ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। যে রোগটি একবার মানুষের শরীরে ধরা পড়লে তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয় না। মারাত্মক এই রোগ মানুষের শরীরের হার্ট, কিডনি এবং একই সাথে লিভারে অ্যাটাক করে।
এক পর্যায়ে এমন এক অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, রোগীকে আর সর্বচ্চ ১২ ঘণ্টা বাঁচিয়ে রাখা যাবে। তার চিকিৎসায় নিয়জিত ডাক্তারঃ বিলি এবং ফ্রাজির অনেক চিন্তায় পরে যায়। সেটা স্বাভাবিক কারন কোন ডাক্তার’ই চাইবে না যে রোগী মারা যাক।
এক পর্যায়ে শেষ চেষ্টা হিসেবে ডাক্তার দল রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় এবং অপারেশনের মাধ্যমে রোগীর শরীরের প্রাকৃতিক হার্ট সম্পূর্ণ ফেলে দিয়ে তাদের তৈরি কৃত্তিম হার্ট (Continuous Flow) প্রতিস্থাপন করে দেয়।
অপারেশনটি সফল ভাবে সম্পন্ন করতে ডাক্তারদের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে।

Continue Reading...

এই দশকেই আসছে ৫জি

Technology Image

দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সংযোগকে টপকে আসছে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট। পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেটের চেয়েও বেশি গতিশীল এবং ব্যয়বহুল হবে। টেলিকম ইঞ্জিনিয়াররা এই দশকের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ৫জি ইন্টারনেট চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এটা হবে ৪জি ইন্টারনেটের চেয়েও ৪০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, ৫জি ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে স্মার্টফোনের মাধ্যমে অভাবনীয় কাজ করা যাবে। এটা দিয়ে ৮ কে মানের থ্রিডি ভিডিও দেখা সম্ভব হবে। ৪ কে ভিডিও থেকে ১৬ গুণ বেশি পরিষ্কার ছবি দেখা যাবে ৫জিতে। এটিতে সম্পূর্ণ এইচডি মানের ছবিও দেখা যাবে।
৫জি সংযোগে স্মার্টফোনের মাধ্যমে থ্রি ডি সিনেমা মাত্র ৬ সেকেন্ডে ডাউনলোড করা যাবে। যেখানে ৪ জিতে এখন সময় লাগছে ৬ মিনিট।তবে বেশি গতির ইন্টারনেট সংযোগের জন্য পয়সাও গুণতে হবে বেশি।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিসকো জানিয়েছে, গত দশকে ইন্টারনেটে গতি বেড়েছে। ফলে ব্যবহারকারীর ডাটা প্লানের খরচও বেড়েছে।৩জি নেটওয়ার্কের চেয়ে ৪জি নেটওয়ার্কে ১০ গুণ বেশি ট্রাফিক বেড়েছে। এতে করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাসিক বিলও কয়েকগুণ বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব মতে ২০১৩ সালে সেদেশে ব্যবহারকারীদের মাসিক গড় বিল ছিল ৭৮ ডলার। যেটি ২০০৭ সালের চেয়ে শতকরা ৫০ ভাগ বেশি। সিসকো জানিয়েছে ২০১৯ সাল নাগাদ ইন্টারনেট বিল বাড়বে শতকরা ৫৭ ভাগ। তখন গড় মাসিক বিল হবে ১১৯ ডলার।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণায় জানা যায়, সারা পৃথিবী ৫জি নেটওয়ার্কের আওতায় এলে তথ্য-আদান প্রদান আরও সহজ হবে। একই সঙ্গে লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং সেবায়ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এতে করে খরচের পাল্লাটাও বেড়ে যাবে।

Continue Reading...