Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Technology Image

মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে কল ফ্রি



মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে বিনামূল্যে কল করার সুবিধা চালু করতে ২০১০ সালের আগস্ট মাসে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ টেলিকম নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই বছরের ১ অক্টোবরের মধ্যে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। কিন্তু কৌশলে অপারেটররা ১২১ ফ্রি না করে ‘১৫৮’ নম্বরকে কাস্টমার কেয়ারের জন্য ফ্রি নম্বর হিসেবে চালু করে। তবে এ ব্যাপারে অপারেটররা কোন প্রকার প্রচারণা চালায়নি।

তবে সম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক প্রথমবারের মতো ১২১ কল ফ্রি ঘোষণা করেছে। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে অন্যান্য অপারেটররাও একই সেবা চালু করার চিন্তা ভাবনা করছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি অপারেটর বলছে, বাংলাদেশে বিনামূল্যে গ্রাহক সেবা কেন্দ্র ফ্রি করার অভিজ্ঞতা ভালো নয়। অনেক গ্রাহক নারী কাস্টমার অফিসারের সাথে কথা বলার জন্য অপ্রয়োজনীয় কল করে বিরক্ত করেন। তাই তারা ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে চান।

বাংলালিংক সূত্রে জানা গেছে, তাদের নতুন এই সেবাতে বিল ও পেমেন্ট সম্পর্কিত তথ্য, ইন্টারনেটের আকর্ষনীয় প্যাকেজ চালু/বন্ধ, ব্যালেন্স চেক ও ইন্টারনেট কনফিগারেশন, এফএনএফ নম্বর সেট, বাতিল এবং পরিবর্তন, আমার টিউন, প্রিয় টিউন, মিস কল অ্যালার্ট, মিউজিক স্টেশন চালু বা বন্ধ করতে কথা বলা যাবে একদম ফ্রি। এছাড়া *121# নম্বরে ডায়াল করলে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমেই এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে বাংলালিংক তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার জন্যে অপর একটি নম্বর ১১১ চালু করেছে। এই নম্বরে কল করলে অবশ্য গ্রাহকদেরকে খরচ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের আগস্ট মাসে বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের ফ্রি গ্রাহক সেবা ঘোষণা করার জন্য যে নির্দেশনা দিয়েছিল সেগুলো হচ্ছে, তিন মাসের মধ্যে সব কোম্পানী ১২১ কে তাদের টোল ফ্রি কাস্টমার কেয়ার নাম্বার হিসেবে পরিণত করতে হবে। কাস্টমার কেয়ার নাম্বারে কল বা এস এম এস এর জন্য কোন চার্জ নেয়া যাবে না। কাস্টমারদের সব অভিযোগ সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে সংরক্ষণ (ডকুমেন্টেড) করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা নিস্পত্তি করতে হবে। তা না পারলে কাস্টমার বিটিআরসিতে অভিযোগ করতে পারবেন এবং বিটিআরসি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এমনকি কাস্টমারদের অভিযোগ যদি কাস্টমার কেয়ার না শুনে, সেক্ষেত্রে কাস্টমার বিটিআরসিতে অভিযোগ করতে পারবেন এবং বিটিআরসি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ ১ অক্টোবর ২০১০ সাল হতে কার্যকর হবে।