Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Technology Image

যে গাছের আলোয় আলোকিত হবে সড়ক



রাস্তার দুপাশে থাকা ল্যাম্প পোস্টগুলো রাতভর পথ চলার ক্ষেত্রে আমাদের দেয় আলোর দিশা। বিদ্যুতের সহায়তায় চলা ওই ল্যাম্পপোস্টগুলো যদি না থাকে তবে কেমন হবে? ল্যাম্প পোস্টের বদলে দুপাশ জুড়ে থাকবে শুধু গাছ আর গাছ। আর সে গাছই ছড়াবে আলো। ভাবছেন কীভাবে? গোটা বিশ্বের মানুষকে এমনই এক অন্যরকম মহাসড়ক দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ডাচ নকশাবিদ ডান রুসাগারডা ও তার দল। আর তার জন্য বায়োলোমিনেসেন্ট জেলি এবং ব্যাকটেরিয়া নিয়ে কাজ করছেন তারা। তা হঠাৎ বায়োলোমিনেসেন্ট কেন?

তার কারণ, জেলি ফিশ পানির তলায় থাকার পরও এই বায়োলোমিনেসেন্টের গুণেই আপনা আপনি আলো জ্বালায়। আর এই উপাদান দিয়েই ডাচ বৈজ্ঞানিক দলটি বায়োমিনেসেন্ট গাছের বিস্তৃতি ঘটাচ্ছেন। এই গাছ লাগানোর ফলে বিনা বিদ্যুতে আলোকিত থাকবে শহর। এই গাছের ধারণাটি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাথা থেকে আসে। তারা জোনাকি ও লুমিনেসেন্ট ব্যাকটেরিয়া ‘ভাইব্রিও ফিসচেরি’র জিন নিয়ে আলো উৎপাদনক্ষম এক ধরনের এনজাইম তৈরি করেন। তারপর এটিকে জিনোমসের ভিতরে প্রবেশ করান। তারা এটিকে বলছেন ‘বায়ো ব্রিকস’। আলো উৎপাদনকারী এই গাছের কথা প্রথম আলোচনায় আসে বছরখানেক আগে এক কিকস্টার্টার ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে।

এ সম্পর্কে রুসগারডা বলেন: “জেলিফিশ পানির নিচে আলো জ্বালাতে পারে। এর কোন ব্যাটারী, সোলার প্যানেল নেই। তবুও কিন্তু আলো জ্বলছে। এ থেকে আমরা কি শিখতে পারি?”

আর এ বোধটিই তাকে নিউিইয়র্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলেকজান্ডার ক্রিচেভস্কি’র কাছে নিয়ে যায়। আর ‍প্রযুক্তি কোম্পানি বিগলো এর মালিক ক্রিচেভস্কি এই অসাধারণ আবিষ্কার লুমিনেসেন্ট গাছের বাজারজাতকরণের ব্যাপারে সচেষ্ট হন।


রুসগারডা এই বায়োলুমিসেনথেসিস গাছকে বড় পরিসরে উন্মুক্ত করার জন্য ক্রিচেভেস্কির সাথে একযোগে কাজ করছেন।

আর রাস্তায় এটি বাস্তবায়ন হলে শহরগুলো অবশ্যই স্বপ্নরাজ্যে পরিণত হবে। তাই নয় কি?