Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকুরী

বাংলাদেশে ভ্রমণ শিল্পের দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে। বিশ্বে এই শিল্প এখন গুরুত্বপূর্ণ বাজার দখল করেছে।বাংলাদেশও এ নিয়ে পিছিয়ে নেই। কারণ বাংলাদেশে এখন ট্রাভেল এজেন্সি আছে প্রায় ২২০০টি । এগুলোর আকার ও কাজের পরিধি এক নয়। এর উপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন মানুষ এই কোম্পানীগুলোতে কাজ করছে। ছোট বা মাঝারি আকারের কোম্পানীগুলোতে ১৫ থেকে ২০ জন এবং বড়গুলোতে ৫০ থেকে ৮০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।
এসব কোম্পানীগুলোতে যেধরনের পদ রয়েছে তা নিম্নরূপঃ
রিজার্ভেশন অফিসার
ভ্রমণকারীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট রিজার্ভেশন, কনফার্মেশন অথবা বাতিল করেন। এই কাজগুলো দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করে ট্রাভেল এজেন্সিসমূহ। এই কাজের জন্যে যারা নিয়োজিত থাকেন তারাই হচ্ছেন রিজার্ভেশন অফিসার। এই পদটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি দায়িত্বও অনেক।
ট্যুর ম্যানেজার
বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর প্লানিং করার সময় বিভিন্ন বিষয় যাচাই করে দেখতে হয়। যেমন,
১। সম্ভাব্যতা যাচাই
২। খরচ
৩। লিঁয়াজো মেইন্টেইন
এসব নিয়েই কাজ করেন ট্যুর ম্যানেজার। ট্যুর ম্যানেজার ট্যুরে অংশ নেন না। কিন্তু ট্যুরের সমস্ত লাভ-লোকসানের দায়িত্ব তাকে বহন করতে হয়।
ট্যুর অপারেটর
ট্যুর অপারেটরের দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের ঘোষিত প্যাকেজ ট্যুরের সাথে সম্পৃক্ত থাকা। একজন ট্যুর অপারেটরের ট্যুর সংক্রান্ত যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে চলার ক্ষমতা থাকতে হয়। ট্যুর অপারেশন পরিচালনাকারী হিসেবে তার উপর সমস্ত দায়িত্ব অর্পিত হয়।
ট্যুর গাইড
পদের নামের সাথেই এই পেশার কাজের পরিধি চিহ্নিত করা যায়। মূলত ট্যুর পরিচালনার সময় ট্যুর গাইডকে ট্যুরিস্টদের বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানে নিয়ে যেতে হয় এবং সে স্থানের ইতিহাস এবং বৈশিষ্ট্য বিশদভাবে জানাতে হয়। এই পেশায় ভৌগলিক জ্ঞানে জানাটা খুবই জরুরী।
সেলস এক্সিকিউটিভ
বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিতে ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ও প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের অবস্থান উন্নত করতে সেলস এক্সিকিউটিভ নিয়োগ দেওয়া হয়।...[…]

Travel Image

পল্লীরাজ বানিয়াচং

১। সাধারণত কিছু গ্রাম একসাথে হয়ে গঠিত হয় একটি ইউনিয়ন। কিন্তু এই নিয়মের বাত্যয় ঘটেছে ঐতিহাসিক বানিয়াচং গ্রামে। কারণ এটাই একমাত্র গ্রাম যার মধ্যেই রয়েছে চারটি ইউনিয়ন।
২। গ্রামটি দৈঘ্যে ৭ কিলোমিটার আর প্রস্থে ৪ কিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা প্রায় এক লাখ।বানিয়াচং গ্রামে শিক্ষার হার শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ। গ্রামে ছয় থেকে দশ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার।
৩। হবিগঞ্জ জেলা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই গ্রামটিকে দূর থেকে দেখতে সমতলের মধ্যে সবুজে পরিবেষ্টিত পাহাড় বলে ভ্রম হয়। বানিয়াচং গ্রামটি কত প্রাচীন তা হয়ত ঠিক করে বলা যাবে না, আইনি আকবরীসহ কিছু প্রাচীন গ্রন্থে লাউড় রাজ্যের উল্লেখ রয়েছে। কাজেই গ্রামটি যে অন্তত হাজার বছরের পুরনো তাতে কোন সন্দেহ নেই।
৪। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বিশাল এই গ্রামকে পশ্চিমারা কেউ কেউ বলে ‘গ্রিন সিটি’ আবার ময়মনসিংহ গীতিকায় বানিয়াচং গ্রামকে শহর হিসেবে বর্ণনা করা হলেও এখানকার মানুষ একে গ্রাম হিসেবে পরিচয় দিতেই গৌরববোধ করে। এজন্য বানিয়াচংকে ‘পল্লীরাজ’ হিসেবে নামকরণ করা যেতে পারে। বানিয়াচং গ্রামের কমলা রাণীর দীঘিসহ (যা বর্তমানে সগরদীঘি নামে পরিচিত) অনেক ইতিহাসখ্যাত নিদর্শন রযেছে, যা দেশের মধ্যকার ভ্রমনকারীদের কাছে খুব আকর্ষণীয়।
৫।এই গ্রামের নামকরণ কিভাবে বানিয়াচং হল তা নিয়ে অবশ্য মতভেদ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
ক) কোন এক সময় এক বানিয়া (বণিক) চাং তৈরি করে এখানে পাখি শিকার করত যা দিয়ে সে ব্যবসা করত। বানিয়ার সেই চাং থেকে নাম হয়েছে বানিয়াচং। খ) আবার এমনও অনেকে বলেন যে, ১২শ’ শতকে কেশব মিশ্র নামে এক রাজা যুদ্ধ করে এই গ্রামের গোড়াপত্তন করেন। সেই যুদ্ধটি বিনায়ে জং নামে পরিচিত ছিল। কালক্রমে বিনায়ে জং থেকে হয়েছে বানিয়াচং নামের উৎপত্তি।
৬। ইতিহাস...[…]

Travel Image

আলুটিলা

বাংলাদেশের ভ্রমণ প্রিয় জেলাগুলোর মধ্যে উপরের দিকে রয়েছে খাগড়াছড়ি। পাহাড়-পর্বত, ঝর্ণা কি নেই এখানে। এমনকি বিদেশি পর্যটকরাও এই জায়গাটি ভীষণভাবে পছন্দ করে থাকেন। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মোট আয়তন ২৭০০ বর্গ কিলোমিটার যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
খাগড়াছড়ি জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় পর্যটনকেন্দ্র হলো আলুটিলা। আসুন জেনে নেই আলুটিলা সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ
১। খাগড়াছড়ি শহর থেকে আলুটিলা খুব বেশি দূরে নয়। মাত্র ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা পযর্টন কেন্দ্র অবস্থিত। এখানে রয়েছে একটি রহস্যময় গুহা।
২। আলুটিলার আগের নাম ছিল আরবারী পর্বত। স্থানীয়রা একে বলেন মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা। এর নাম পরে আলুটিলা কেন হল তা নিয়ে ধারণা করা হয়, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় খাগড়াছড়িতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে এলাকার জনগণ এই পর্বত থেকে বুনো আলু সংগ্রহ করে তা খেয়ে বেঁচে ছিল। তারপর থেকে এই পর্বতটি আলুটিলা নামেই পরিচিতি পায়। এখনো আলুটিলায় প্রচুর পরিমাণ বুনো আলু পাওয়া যায়।
৩। সমুদ্র সমতল হতে ৩০০০ ফুট উঁচু আলুটিলা পর্বতই খাগড়াছড়ি জেলার সব চেয়ে উঁচু পর্বত।
৪। আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গে প্রবেশ করার জন্যে প্রথমেই পর্যটন কেন্দ্রের টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। ফটকের দুই পাশে রয়েছে দুটি শতবর্ষী বটবৃক্ষ যা দেখে মনে হয় ভ্রমণকারীদের স্বাগত জানাচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্রের ফটক দিয়ে প্রবেশ করে ডান পাশের রাস্তা দিয়ে মিনিট খানেক হাঁটলেই চোখে পড়বে একটি সরু পাহাড়ী পথ। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নিচে নেমে গেছে এই পথটি। আর সে পথটি বেয়ে নিচে নামলেই সবার জন্য অপেক্ষা করবে প্রথম চমক ছোট একটি ঝর্ণা। তবে এখানে পাহাড়ী লোকজন ঝর্ণার পানি আটকে রাখার জন্য একটি বাঁধ দিয়েছে। তারা এই পানি খাবার ও অন্যান্য কাজে...[…]

Travel Image

ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা

অনেকেই ভাবেন যে, ভ্রমণ মানে সময় নষ্ট। এর চেয়ে ঘরে আরাম করতেই বেশি পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু এই ভ্রমণের গুরুত্বও কম নয়। আসুন জেনে নেই কেন আমরা ভ্রমণ করবঃ -মানসিক চাপ, বিষণ্নতা আর উদ্বিগ্নতা ঝেড়ে ফেলতে সাহায্য করবে।
-নতুন স্থান দেখা আর নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় তৈরি হওয়া। যার ফলে জীবন নিয়ে আপনার বাড়তি আগ্রহ জন্মাবে।
-একাকী ভ্রমণের পথে অচেনা কোনো সঙ্গীর সঙ্গে অল্প স্বল্প আলোচনা সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
-নতুন করে উদ্যম খুঁজে পাবেন, কাজে আগ্রহ জন্মাবে।
-নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে নিজের চিন্তাগুলোকে গুছিয়ে আনতে ভ্রমণ কাজে লাগতে পারে।
-ভ্রমণে গিয়ে কীভাবে সময় কাটাবেন তা নিয়ে ভাবতে ভাবতে আপনার মনে এক নতুন উদ্দেশ্য তৈরি হবে। নিজের এই লক্ষ্য পূরণ করার সাফল্য আপনাকে যে আত্মবিশ্বাস এনে দেবে তা আপনার অন্যান্য কাজের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
-ভ্রমণ শেষে দেখবেন বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়ে যাবে।
-ভ্রমণে আপনি যে বিষয়টি শিখবেন তা হচ্ছে ধৈর্য। আপনি খেয়াল করবেন ভ্রমণে বের হওয়ার পর থেকে আপনাকে বিভিন্ন সময় প্রয়োজন অনুযায়ী অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। কখনও লাইনে দাঁড়িয়ে, কখনও বা প্লেনের জন্য আবার কখনও রেস্তোরাঁয় খাবারের জন্য অপেক্ষা। এই অপেক্ষায় থাকার বিষয়টি আপনার ধৈর্য আরও বাড়িয়ে তুলবে।
-আপনি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে জীবনকে উপভোগ করবেন তা সহজেই শিখতে পারবেন।[…]

Travel Image

ঘুরে আসুন নিঝুম দ্বীপ

নয়নাভিরাম সুন্দরে ভরপুর এক দ্বীপ নিঝুমদ্বীপ। শুধু সৌন্দর্য্যেই নয় প্রাকৃতিক সম্পদেও রয়েছে বিশাল সম্ভবনা। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে জেগে ওঠা দ্বীপটির একদিকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ, অন্যদিকে ছুটে আসা হিমেল হাওয়া আর সবুজের সুবিশাল ক্যানভাস দ্বীপটিকে দিয়েছে ভিন্ন এক রূপ বৈচিত্র্য যেন চিত্রশিল্পী সুনিপণভাবে গড়েছেন জল রংয়ে।
শুরু এবং নামকরণ
১৯৫০ সালের দিকে প্রায় ১৪,০৫০ একর এলাকা জুড়ে জেগে ওঠে দ্বীপটি। ওসমান নামের এক লোক প্রথম এই দ্বীপে বসতি স্থাপন করে। এই কারণেই সম্ভবত দ্বীপটিকে স্থানীয়রা 'ওসমানের চর' নামে ডাকে। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অর্ন্তগত নিঝুম দ্বীপ। একে 'দ্বীপ' বলা হলেও এটি মূলত একটি 'চর'। প্রায় ৬৩ বর্গমাইল আয়তনের এ দ্বীপটি হাতিয়ার মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
ভ্রমণ স্থান
১৯৭০ সালের দিকে নিঝুম দ্বীপে স্থায়ীভাবে মানুষ বসবাস শুরু করে। যদিও ১৯৯৬ সালে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কথা মাথায় রেখে একে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, বহির্বিশ্বের মানুষেরও এই দ্বীপটি নিয়ে আছে সীমাহীন কৌতুহল। যেমন কৌতুহল দ্বীপটির নাম নিয়ে তেমনি এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানুষের জীবনযাত্রা আর সর্বোপরি হরিণের অভয়ারণ্য হিসেবে ইতোমধ্যেই বিশ্বমানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে দ্বীপটি।
কিভাবে যাবেন
১ম উপায়ঃ
-ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার সহজ রুটটি হলো- সদরঘাট থেকে লঞ্চে হাতিয়ার তমরুদ্দি। এ পথে দুটি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। এমভি পানামা এবং এমভি টিপু-৫।
-তমরুদ্দি থেকে স্কুটারে বন্দরটিলা ঘাট যেতে হবে। একসাথে ৩/৪ জন যাওয়া যাবে । স্কুটার ছাড়া বাস+রিকসা করে বন্দরটিলা ঘাটে যাওয়া যায়।
- বন্দরটলা ঘাট থেকে ট্রলারে চ্যানেল পার হলেই নিজুম দ্বীপের বন্দরটিলা। চ্যানেল পার হতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। এটা নিঝুম দ্বীপের এক প্রান্ত, আসল গন্তব্য অন্য প্রান্তের নামা বাজার। বন্দরটিলা থেকে...[…]

Travel Image

টাঙ্গুয়ার হাওর হতে পারে আপনার ভ্রমণের স্থান

অনেক ব্যস্ততার মাঝে একটু অবকাশ পেলেই ঘুরে আসতে পারেন এই টাঙ্গুয়ার হাওরে। কাটিয়ে দিতে পারেন একটি চাঁদনী রাত। জ্যোৎস্নার আলোয় নৌকা থেকে এ হাওর দেখার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আপনার জীবনে একটি স্মরণীয় রাত হয়ে থাকবে। আসুন জেনে নেই টাঙ্গুয়ার হাওর কিছু তথ্যঃ
-টাঙ্গুয়ার হাওর সিলেটের সুনামগঞ্জে অবস্থিত। এই জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের ঠিক নিচে অবস্থিত এই হাওর।
-এটি বাংলাদেশর ২য় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি। আয়তনে প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার ।
-মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টি ঝরনা এসে মিশেছে এই হাওরে। এ যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক ওপার লীলাভূমি। স্বচ্ছ টলমলে জলের নিচে দেখা যায় ঘাস।
-টাঙ্গুয়ার হাওরের অন্যতম আকর্ষণ হলো বিভিন্ন জাতের পাখি। এই হাওরে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫১ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে বিরল প্রজাতির প্যালাসেস ঈগলও। এছাড়াও শকুন, পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, বক, সারস ইত্যাদি পাখির নিয়মিত দেখা মিলে এই হাওরে।
-এই হাওরে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত মহাশোল মাছও।
-এছাড়াও টাঙ্গুয়ার হাওরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদ। যেমন হিজল, করচ, বরুণ, পানিফল, হেলেঞ্চা, বনতুলশী, নলখাগড়া, বল্লুয়া, চাল্লিয়া ইত্যাদি।
যেভাবে যাবেনঃ
-ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ শ্যামলী, ইউনিক ও এনা পরিবহণ যাত্রী সেবা দিয়ে থাকে।
-সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার ঘাট পর্যন্ত রিকশায় যাবেন।
-সাহেববাজার ঘাট থেকে টাঙ্গুয়া হাওরের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়ার ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও স্পীডবোট এ আপনি সাহেববাজার থেকে টাঙ্গুয়া যেতে পারেন।
থাকার ব্যবস্থা
বেসরকারি ভাবে টাঙ্গুয়ার হাওরে রাতে থাকার মতো কোনও হোটেল নেই। তবে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের রেস্ট হাউজে থাকা যায়। হাওর ঘুরে রাতে তাহিরপুর থানার ডাকবাংলোতে থাকতে পারেন।[…]

Travel Image

ঘুড়ে আসুন মহাস্থানগড়

  মহাস্থানগর
- মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি।
-পূর্বে এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।
-এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে।
-এর অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কি.মি উত্তরে মহাস্থান গড় অবস্থিত।
কী দেখবেন
-বগুড়া গিয়ে প্রথমেই যেতে পারেন সাতমাথায়। সাতটি রাস্তা এসে মিলেছে এখানে। এরকম জায়গা সম্ভবত এই একটি আছে। 
-মহাস্থানগড়ে প্রথমে কালিদহ সাগরে যেতে পারেন।
-সেখান থেকে বেহুলার বাসর। মহাস্থানগড় বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে একটি বৌদ্ধ স্তম্ভ রয়েছে যা সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। স্তম্ভের উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট। স্তম্ভের পূর্বার্ধে রয়েছে ২৪ কোন বিশিষ্ট চৌবাচ্চা সদৃশ একটি বাথরুম । এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই বেশি পরিচিত।
-তারপর যেতে পারেন মহাস্থান বাস স্ট্যান্ড থেকে কিছু পশ্চিমে হজরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী মাহিসাওয়ার (রা.)-এর মাজার শরিফে। কথিত আছে, একবার এক ব্যক্তিকে রাজা পরশুরাম মৃত্যুদণ্ড দিলে তাকে বাঁচানোর জন্য মাছের পিঠে চড়ে আসেন হজরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (রা.)। সে জন্যই তাঁকে বলা হয় মাহি সাওয়ার।
-মাজার শরিফ থেকে বের হয়ে দেখতে পারেন শীলাদেবীর ঘাট। গড়ের পূর্বপাশে রয়েছে করতোয়া নদী এর তীরে ‘শীলাদেবীর ঘাট’। শীলাদেবী ছিলেন পরশুরামের বোন। এখানে প্রতি বছর হিন্দুদের স্নান হয় এবং একদিনের একটি মেলা বসে। এরপর মহাস্থানগড়।
-এরপর গোবিন্দ ভিটা, সেখান থেকে মহাস্থানগড় জাদুঘরে। মহাস্থানগড় খনন করে গুপ্ত, মৌর্য, সেন ও পাল বংশীয় যুগের যেসব প্রস্তর খণ্ড ও দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে তার সবই এই জাদুঘরে রক্ষিত রয়েছে।
-জাদুঘর ঘুরে দেখে নিতে পারেন জিয়ৎকুণ্ড। এই ঘাটের পশ্চিমে জিউৎকুন্ড নামে একটি বড় কুপ আছে। কথিত আছে এই...[…]

Travel Image

আলী সুড়ং

কেন বিখ্যাত লোক মুখে প্রচলিত কোন এক সময় হযরত আলী (রাঃ)-এর পা নাকি ঐ পাহাড় রেখেছিলো। পা রাখার কারণে ঐ পাহাড়ে এই সুড়ং-এর সৃষ্টি হয়েছিলো। সেই থেকে এই সুড়ং-এর নাম “আলীর সুড়ং” নামে পরিচিত।
জায়গাটা সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক। যেখানে কৃত্রিমতার ছোঁয়া নেই, নেই কোন যান্ত্রিকতা। প্রকৃতির অপরূপ লীলায় মনকে অদ্ভুত এক অনুভূতির দোলা দিয়ে যায়। এখানে ঢুকতে কোন টিকিটের প্রয়োজন হয়না ,জায়গাটা পাহারা দেয়ার জন্য নেই কোন দারোয়ান বা যত্ন আত্মির জন্য নেই কোন মালি বা ঝাড়ুদার ।অথচ প্রাকৃতিক ভাবেই এটা পরিষ্কার ও সুরক্ষিত। 
জায়গাটি যেভাবে ভ্রমণ করবেন
-ঢাকা-চট্টগ্রাম-বান্দরবান এই রুটে বাসে যাওয়া যাবে। এরপর বান্দরবান টু আলীকদমের বাসগুলোতে উঠতে হবে। লামা পার হয়ে আলীকদম বাসস্ট্যান্ডে পৌছানোর পর যে কোন যানবাহনে আলী সুড়ং দেখতে যাওয়া যায়।  -মাতামুহুরী নদীর হাঁটু পরিমাণ পানিতে পায়ে হেঁটে নদী পার হয়ে যেতে হবে।
-নদী পার হয়েই সরু পথ দিয়ে ঢুকে ভেতরে চলে যেতে হবে। কিছুদুর গিয়েই সামনে পাওয়া যাবে একটি পাহাড় । এখানেই একটি সুড়ং পথ দিয়ে আমাদের ঢুকতে হবে। সুড়ংটা একজন মানুষ হামাগুড়ি দিয়ে চলার মতো। দাঁড়িয়ে বা বসে সামনে যাওয়ার মতো জায়গা নেই। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার।
-১০ গজ মত সামনে এগিয়ে গিয়ে পাওয়া যাবে একটি ১০ থেকে ১২ ফুট দৈর্ঘ্য-প্রস্থের গুহা। গুহার ভেতরের প্রকৃতি নিজেকে এমন ভাবে সাজিয়ে রেখেছে যে, যেন সে জানে সুড়ং দিয়ে যারা ঢুকবে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়বে তাই তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হবে। 
-সামনে আরো একটি সুড়ং পাওয়া যাবে। এভাবে ৩টা সুড়ং পার হয়েই দেখা মিলবে সুর্যের আলো। সামনে গেলে আরো সুড়ং। লোক মুখে শোনা যায় সুড়ং-এর শেষ প্রান্তে একটা পাথরের দরজা। এখনো পর্যন্ত কেউ দরজার ওপারে যেতে পারেনি। খুব সাহসী না হলে আর সামনে...[…]

Travel Image

ছোট সোনা মসজিদ


- প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় নগরীর উপকন্ঠে ফিরোজপুর গ্রামে এ স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিলো, যা বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার অধীনে পড়েছে।
- বিশ টাকার নোটের উপর ছাপানো মসজিদটিই ছোট সোনা মসজিদ, যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। 
- সুলতানি আমলের অনন্য স্থাপনা ছোট সোনামসজিদ।
- ১৪৯৩ থেকে ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে এটি নির্মিত হয়।
- এ মসজিদে চৌচালা ঘরের চালের মতো তিনটি গম্বুজ এবং চার সারিতে তিনটি করে আরো ১২টি গোলাকৃতি গম্বুজ।
- গম্বুজের তলদেশ ফুল, ফল ও লতাপাতার নকশা।
- বিশাল এক দীঘির দক্ষিণ পাড়ের পশ্চিম অংশজুড়ে এর অবস্থান। 
- মসজিদের উত্তর-পশ্চিম কোণে মহিলাদের নামাজ পড়ার আলাদা জায়গা। কারুকার্যখচিত মিহরাব আছে একটি।
- মসজিদের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা যথাক্রমে ৮২, ৫২ ও ২০ ফুট। ইটের ইমারত হলেও এর বহির্গাত্র পাথর দিয়ে ঘেরা।
- মসজিদগাত্রের লতাপাতার কারুকাজও পাথরে খোদাই করা। একে গৌড়ের বড় সোনামসজিদের সঙ্গে তুলনা করে ছোট সোনামসজিদ বলা হয়।
- মসজিদের কিছু দূর পশ্চিমে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিপ্তর কর্তৃক কয়েক বছর পূর্বে নির্মিত একটি আধুনিক দ্বিতল গেস্টহাউস রয়েছে। গেস্টহাউস ও মসজিদের মধ্য দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে একটি আধুনিক রাস্তা চলে গেছে।
- মসজিদের দরজাগুলোর প্রান্তদেশ বলিষ্ঠ শোভাবর্ধক রেখা দিয়ে ঘেরা। কিন্তু খোদাই কাজটি অগভীর এবং অট্টালিকাটির খুব কাছে না পৌঁছলে এ খোদাই কাজ চোখে পড়ে না।
-দরজাগুলোর মধ্যবর্তী কুলঙ্গীগুলোতেও রয়েছে একই অগভীর খোদাই মসজিদটি ইট ও পাথরে নির্মিত।
- মসজিদের মাঝের দরজার উপর উপর প্রাপ্ত এক শিলালিপি থেকে এ তথ্য জানা যায়। তবে লিপির তারিখের অংশটুকু ভেঙ্গে যাওয়ায় নির্মাণকাল জানা যায়নি। 
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকার কল্যাণপুর থেকে হানিফ, মডার্নসহ আরো কিছু পরিবহনের বাসে...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.