Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Nokkhotro Banner

ফাইছুল আলম নাছিম

৭ বছর আগে লিখেছেন

প্রবাস ফেরত

যাত্রা শেষে পথ যে মিশে 
ঘরের বারান্দায়। 
জাপটে ধরে বুকের মাঝে, বাবা 
সবাই কে ডেকে জানায়। 
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে 
দেখবি তোরা আয়। 
সঙ্গে এনেছে মন্ডা মিঠাই 
পেটটি পুরে খায়। 
ওঘর থেকে ডাকছে মা’য়ে 
আয় সোনা বুকে আয়। 
বাড়ির ছোটরা ঘিরে রেখেছে 
জাপটে ধরে আমায়। 
বড় বুবু বলে, দেখরে মনা 
এটাই আমার জামায়। 
ছোট্ট বোনটি চুপটি মেরে 
পাশে এসে দাড়ায়, 
কি এনেছিস জলদি দেখা 
হাত দুটি তার বাড়ায়। 
ওপাশ থেকে বৌদি বলে, 
এবারো কি দিচ্ছ ফাঁকি আমায়? 
সামনে বসা ভাইটি বলে, 
তুই ফিরেছিস এটাই বড় 
আমার কিছু না চায়। continue reading

২৪৩

মোঃসরোয়ার জাহান

৭ বছর আগে লিখেছেন

“আকাশ-রঙ” মোঃসরোয়ার জাহান

ব্যগ্র যখন সব কিছু হারিয়ে যেতে 
তেমন কিছু বিপর্যয় নয় এ জীবনে!
কি কর্মে কি কান্নায়
আমরা একাত্ন ছিলাম
বোধে ও স্ফূর্তিতে যুগলবন্দীর মতো 
সমৃদ্ধ স্মৃতিতে 
তার গাঢ় রূপ
অনাবৃত স্তন
জেগে উঠছে নারী আকাশ-রঙ জলের ভেতর থেকে
ভাবনারা সত্যি কড়া নাড়ছে অবাক বিস্ময়ে নদীর সরু বুক বেয়ে !
============================================
continue reading

২৫০

Sohel Rana

৭ বছর আগে লিখেছেন

একটি কুকুরের আত্মকাহিনী

সংবাদ এসেছিলো । লালু মারা গেছে। লালু আর কেউ নয়, এটা দীর্ঘ দিন আমাদেরই বাড়ীতে থাকা একটি কুকুর ছিল। যে দায়িত্ব, ভালোবাসা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও সংযম নিয়ে আমাদেরকে আগলে রাখতে এসেছিলো, যা মানুষকে নিঃসন্দেহে তাক লাগিয়ে দেবার মত। সে যেনো আমাদের পরিবারেরই একজন ছিলো। মানুষের মধ্য মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেলে আমরা তাকে পশু হিসেবে বিনির্মাণ করি । কিন্তু আমরা কি আদো পশুদের অস্তিত্তের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছি?। কিছু কিছু পশুদের অসাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য মানুষকেও হার মানায়। যেমন দায়িত্ব পালনের ব্যাপার টি। পাঁচ বছর আগে সে রক্তে ভেজা ভাঙা পাঁজর নিয়ে যখন তীব্র কাতরাচ্ছিল । জানা গিয়েছিলো , যে বাড়ীতে... continue reading

৩৯৭

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

মধ্য গগন পাড়ে

মধ্য গগন পাড়ে 
শঙ্খচিলের উড়াল পথ 
এখন বেশ এলোমেলো,পথে নক্ষত্র আলো 
জ্বালেনি বোধ হয়; খসে পরা পালক আর 
যত্রতত্র খুঁজে পাওয়া ভার! 
কোন পাহাড়ের খাঁজে পরে আছে হয়তো 
নিঃশব্দে নির্বাক। 
এখনও ঐ চকচকে উঠানে, 
বিন্দু বিন্দু বালুর চিমনী ছেড়ে জলছবি ভাসে 
ঝরা সজনে পাতায় মূর্তিমান ঐ তো; 
মেঘে মেঘে কবিতার অভিষার। 
যেতে যেতে থমকে যেতে হয় 
অতীত তো সোদা পিছু পিছু, 
তার ছিচকে চুরির স্বভাব; বদলায় না, 
কালের সাথে তার সখ্য ভারি! 
বিরহ, প্রেম, মনের যাতনা নাহি ভুলে। 
তাই তো, তার পাদুকা তলে 
খসে পরা শঙ্খচিলের পালক গেঁথে থাকে জনমভর 
পথের বাঁকে বাঁকে, ঐ চিহ্ন আঁকে 
দ্যাখো ঐ উড়ছে এখনও; মধ্য গগন পাড়ে। 
১৪২৩/ ১৬, কার্তিক/... continue reading

২৩৭

কাফাশ মুনহামাননা

৭ বছর আগে লিখেছেন

পেয়ে যেনো না হারাই

তুমি চুপচাপ থাকো তাই
আরো বেশি আপন করে পেতে চাই
হৃদয়ের শালুক মঞ্জিলে শুধু তোমার রোশনাই
অতীত গত, তুমি ছাড়া এখন আর কারো নেই ঠাঁই।
স্বচ্ছ হৃদয় দেখতে পাই
তোমার চোখে, তাই নিঃসঙ্কোচে ভালবেসে যাই
অনুভবের চেরাগদানে জ্বেলেছো দিয়াশলাই
দিবস-রজনীর তাই করি না বালাই
খুশির বীণায় হৃদয়-মিনারে শুধু তোমার বন্দনা গাই।
বেদনার উপশম তুমি, বলছি না অযথাই
সাত সমুদ্র তেরো নদী - ধুর কি ছাই!
তোমার জন্যে, মেনে নেবো শত চরাই-উতরাই
অনায়াসে, না পেলে তোমায় জন্মটা হবে বৃথাই।
প্রার্থণা একটাই
আমার জীবনে তোমাকে কভু পেয়ে যেনো না হারাই। continue reading

৩৮১

চারু মান্নান

৭ বছর আগে লিখেছেন

জীবন বোধের ডুব সাঁতার

জীবন বোধের ডুব সাঁতার 
মাপযোকের মাত্রা ধারায় 
আছে কত মানদন্ড? জীবন কালের সেই তো মাপন 
স্বাক্ষী দেনায় মুখোপেক্ষী। 
শুদ্ধ অশুদ্ধ আরও কত কি? 
পাপপূণ্যের জটিল ধাঁধা! পথিক চলার ক্ষতিয়ান কই? 
সেথাও বুঝি দেনায় আটক বৃত্তায়নে। 
ভেদ বিচারে, আরও মানদন্ড কত? 
গজ মিটারের রসি ধরে; সারে তিন হাতের 
ঐ মাটির হিসেব! রাখতে গেল সারা জীবন। 
সেই সেই চিহ্ন, কোথায় রইবে পরে? 
স্বপ্ন কখন গেছে টুটে? দেখভালের আর কেই নেই যে সাথে 
ভেদ বিচারে পথিক ভাবে; সঙ্কটকালে পথ খুঁজে নে। 
মাপযোকের মাত্রা কত? জীবন বোধের ডুব সাঁতার 
শুধু ক্ষুধার তরে রইল পরে। 
১৪২৩/১৭, কার্তিক/ হেমন্তকাল। continue reading

২৩০

তানজিমুল ইসলাম

৭ বছর আগে লিখেছেন

“কবিদের প্রস্থান”

হাসি মুখে প্রতিমা বিসর্জনের আনন্দ, মুক্তি দায় কালিমা ।
অন্তর্ঘাতে যদি গুড়িয়ে দেয়া যায় প্রিয় ফুলদানি,
তাতে নিজের ক্ষতি হলেও, মুক্তি পায় বিষাক্ত ফুল ।
যেখানে বুঝা না বুঝার ভান,মানবীর- চিরদিনের ;
সেখানে শ্রদ্ধার বাচনিক ভঙ্গি,অনেকটাই- পঙ্গু ।
'বিভ্রান্তি, বলতে যা বুঝায় তা নয়,
একটা প্রধাণ 'ভাবাবেগ,
শেষের কবিতার সুনিশ্চিত প্রস্থানের পূর্বাভাস যদি হয় ঠিক, তবে,
বিদায়ের শোক সুনিশ্চিত
বায়বীয়,
অষ্পষ্ট,
মৃদু সন্দ্ধ্যার মত ।
আজ, এক-দুই করে ফেলে আসা ছোট সন্ধ্যার অতীত,
তার দ্বায় ভার কম নয় ।
সুললিত ছন্দে গড়ে ওঠা
এক সম্পর্কের পটভূমিকায়
আমরা- এক প্রলম্বিত ছায়া,
চিরন্তন আকৃতি,
কোন কৃত্রিম... continue reading

৩৬৭

কাফাশ মুনহামাননা

৭ বছর আগে লিখেছেন

শিশিরের জল

শীতে কাবু সারা দেশ
হিমহিম পরিবেশ
চারদিকে ছেয়ে থাকে
কুয়াশার দল
ঘাস থেকে ঝরে পড়ে
শিশিরের জল। continue reading

২৮৩

দীপঙ্কর বেরা

৭ বছর আগে লিখেছেন

নদী নির্জন

 
কষ্টের তুল্য নদীর তীরে দাঁড়িয়েছিল
বাঁধ বেঁধে সুখের চাঁদ
ডুব সাঁতারে ভাসিয়ে দিয়েছি,
 মায়ের শাড়ি শীত শীত আঁচল ছিল
সুবাসের পূর্বায়ন দিক বদলে
দূর পাহারায় সংসার আঁকত।
এসব এখন আর পাহাড় শোনে না
হেমন্তের পূর্ণিমাতে তার ঘরেও বৃষ্টির ছোঁয়া লাগত
প্রতি রাতে উদাস দুপুরের নির্জন গল্প চলত।
বড় হওয়া পারাপার
 নদী বরাবর বয়ে যেতে চায়।
continue reading

২৯১

লিপু রহমান

৭ বছর আগে লিখেছেন

পাওনাদার

আনোয়ার উদ্দিন অনেক চড়াই উৎরাই পার করে শহরে সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি কলেজে খেলার টিচার হিসেবে যোগদান করে। একসময় সে খুব ভালো খেলোয়ার ছিলো। মহকুমা পেড়িয়ে জেলা,বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত খেলেছে। খেলায় যা আয় করেছে তা জুয়া এবং নেশায় শেষ করে দিয়েছে। এখন সেরকম অভ্যাস আর নেই। তবে মাঝে মাঝে শহরের গন্য মান্য ব্যক্তিদের সাথে একটু লাল পানি খেতে বসে। কলেজে তার খুব একটা কাজ নেই। প্রিন্সিপালের সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক। কলেজে এসে আনোয়ার উদ্দিন প্রিন্সিপাল সাহেবের কাছে বসে। এই সম্পর্কের জোড়ে সে ছেলেকে আই. এ পাশ করিয়েছে কিন্তু বিএ পাশ করাতে পারলো না। ততদিনে প্রিন্সিপালের মসয় শেষ যায়।... continue reading

৩১০

কাফাশ মুনহামাননা

৭ বছর আগে লিখেছেন

হারিয়ে গেছে তবে

সে হারিয়ে গেছে
বলে গেছে আর ফিরে আসবে না কখনো
তবে একেবারে খালি হাত করে যায় নি
কিছু নিয়ে গেছে, কিছু অজান্তেই দিয়ে গেছে
কি নিয়ে গেছে, জিগ্গেশ করতে পারি নি, তবে
দিয়ে গেছে অজস্র সুখ-মোড়ানো স্মৃতিসম্ভার।
প্রতিদিন স্মৃতিগুলো আমি আওড়িয়ে দেখি
কয়েকবার দেখি, বারবার দেখি, অযথাই দেখি
যতো দেখি, ততো আরো রঙিন হই ভালবাসায়
ততো আরো স্বাপ্নিক হই পাওয়ার প্রত্যাশায়
চোখের জহরে বুকের লহরে
খুব স্পষ্টরূপে বিরাজমান স্মৃতির আবেদনগুলো
মাঝেমাঝে তাই মনে হয় আমি বাস্তবেই আছি।
স্মৃতিগুলোকে বাঁধাই করেছি হৃদয়ের স্পন্দনে
যতোই অতীত হোক বর্তমান থেকে
কস্মিনকালেও একবিন্দু ধুলো জমবে না তাতে
যদি কখনো স্মৃতিগুলো ইতিহাস হয়ে যায়
বুঝে নিয়ো পৃথিবী, আমি মিশে গেছি... continue reading

২০৩

সাইয়িদ রফিকুল হক

৭ বছর আগে লিখেছেন

মাকসুদের রবীন্দ্র-দর্শন

মাকসুদের রবীন্দ্র-দর্শন
সাইয়িদ রফিকুল হক
মাকসুদ ছোটবেলা থেকেই কবি নজরুলের ভক্ত। তাদের পরিবারের সবাই যে নজরুলকে ভালোবাসে তা নয়—কেউ-কেউ ভালোবাসে—আর মাকসুদ তাদেরই অনুগামী হয়েছে। নজরুল মুসলমান। আর রবীন্দ্রনাথ হিন্দু! কথাগুলো শৈশব থেকে শুনে আসছে মাকসুদ। আর এগুলো সে শুনতে-শুনতে একেবারে হাফেজ হয়ে গেছে। তার বাবা রবীন্দ্রনাথকে অবজ্ঞা করে কথা বলতে ভালোবাসে। প্রথমে এসব শুনতে মাকসুদের একটুআধটু খারাপ লাগতো। পরে আর খারাপ লাগেনি। বরং সেও এই দলে যে কখনও মিশে গেছে—তা সে এখন হাজারবার চেষ্টা করেও বলতে পারবে না।
স্কুলজীবনে বন্ধুদের সঙ্গে মাকসুদের এবিষয়ে বহুবার ঝগড়া হয়েছে। এমনকি কয়েকজনের সঙ্গে তার বন্ধুত্বও ভেঙ্গে গেছে—তবুও সে রবীন্দ্রনাথকে কোনো ছাড় দেয়নি। আর... continue reading

৩০২

শাহআজিজ

৭ বছর আগে লিখেছেন

চাদের কলঙ্ক আমেরিকাতে

কলঙ্ক ধারন করেছিলেন যে ক্যামেরাম্যান।।
মার্কিনীদের চাঁদে অবতরণ ইস্যুতে আমেরিকার বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিকের একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে নতুনকরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, মার্কিনীদের চাঁদে অবতরণের পুরো ঘটনা ছিল সিনেমা। তিনি নিজেই ওইসব দৃশ্য ধারণ করেছিলেন। তার মতে, সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো করে ঘটনাটি সাজানো হয়েছিল।
চলচ্চিত্র নির্মাতা টি. প্যাট্রিক মিউরে সম্প্রতি ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছেন। প্যাট্রিক মিউরে দাবি করেছেন, ১৯৯৯ সালে মৃত্যুর তিন দিন আগে স্ট্যানলি কুবরিক তাকে এ সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন। কিন্তু এতদিন তিনি তা প্রকাশ করেননি।
তবে স্ট্যানলি কুবরিকের স্ত্রী ক্রিস্টিনা কুবরিক বলেছেন, তার স্বামীর সাক্ষাৎকারটি বানোয়াট। তিনি এ ধরনের কোনো সাক্ষাৎকার দেন নি বলে দাবি... continue reading

৩২৪

রাজীব নূর খান

৭ বছর আগে লিখেছেন

কয়েকটি টুকরো টুকরো গল্প

১। আমার ছেলে-মেয়ে ডাক্তার হবে। আরেকজন বলে আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে। এই কথা শুনে আরেকজন বলে- আমার মেয়ে বিজ্ঞানী হবে। আর রফিক সাহেব রেগে-মেগে বললেন আমার ছেলে বড় ব্যবসায়ী হবে। ঠিক আছে, আচ্ছা ভালো কথা আপনাদের ছেলে মেয়ে বড় হয়ে ডাক্তার হবে, ইঞ্জিয়ার হবে, বিজ্ঞানী হবে, ব্যবসায়ী হবে। কিন্তু কথা হলো, তাহলে এই সমাজে কাদের ছেলে মেয়ে জঙ্গি হয়, সন্ত্রাস হয়, দুর্নীতিবাজ হয়? এই সমাজে কি খারাপ লোকজন নেই? অবশ্যই আছে। অনেক আছে। তাদের বাবা-মাও এক সময় আপনাদের মতো বলেছে- আমার ছেলে হেন হবে, তেন হবে। কিন্তু শেষ মেষ জঙ্গি হয়, সন্ত্রাস হয়, চোর হয় নেশা গ্রস্ত হয়। সব... continue reading

৩৩৩

শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়

৭ বছর আগে লিখেছেন

শিল্পী

শ্রান্ত দেহ, অলস চরণ
তবু আছি আনন্দে,
আমরা শিল্পী।
আমরা রচি শিল্প,
তোমরা পাও আনন্দ।
মাটি, কাদা মেখে,
কাঠ, খড় দিয়ে তৈরি করি যে রূপ
তাকে পূর্ণতা দিই
তুলির টানে, আগুনের ছোঁয়ায়।
তোমরা বল শাবাশ।
আমাদের মন যায় ভরে,
অন্তর পূর্ণ হয় অপার্থিব আনন্দে,
ভুলে যাই দারিদ্র্যের যন্ত্রণা,
অন্তরে তখন সব পেয়েছির সুখ,
কারণ, আমরা যে শিল্পী।
  continue reading

২৭১
ব্লগের গতিশীল/ট্রেন্ডিং বিভাগসমূহ