Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"সাহিত্য" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

হাওয়ায় বেঁচে থাকা

হাওয়ায় বেঁচে থাকা
কোথা হতে বাতাস ছুটে আসে? 
কোথায় বয়ে যায়?
সব কিছুতেই তার ঠাঁই? কোথায় বল নাই?
তার কি মূল্য ভারি? বুঝতে কিসের লয়?
মহা বৈভব মহাকালের হাওয়ার পরতে পরতে
গেঁথে রয়; প্রকৃতির এক শুভ খেলা।

এই উধাও এই ছুঁয়ে যায়
অনুভবে কি বুঝতে শেখায়?
কোথায় উর বসত বাড়ি?
কে রাখে তারে সংরক্ষনাগারে?
একটু শুন্য হলেই ছুটে এসে ঢুকে পরে।

এই হাওয়ার কি তার মূল্য? 
বোধ গম্য নাহি হয়; মৃত্যুকালে একটু হলেও
এর সাধটি বুঝা যায়।

১৪২৪/ মাঘ/ শীতকাল।

continue reading

১৮২

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

আমাকে একটি চিঠি দিও, প্রিয়তমা

বরং বদলে নাও তোমার প্রবঞ্চক ঠোঁট, প্রিয়তমা।
আমাদের হেটে যেতে হত একে অন্যের বুকের ভেতর দিয়ে অন্তত কয়েকশ মাইল।
অথচ আমরা এতটুকু সামনাসামনি কখও আসিনি যাতে আমাদের হৃদপিন্ডদ্বয় পরষ্পরকে দেখতে পায়।
বরং বদলে নাও তোমার প্রবঞ্চক হৃদপিন্ড, প্রিয়তমা।
আমাদের ভালবাসতে হত একে অন্যকে নিবিড়ভাবে অন্তত কয়েকশ বছর।
অথচ আমাদের এতটুকু জানাশোনা হয়নি যাতে পরষ্পরের নিশ্বাস চেনা যায়।
এখন আমি পথে পথে রক্ত জবা খুঁজে খুঁজে হয়রান।
আমি মন থুবড়ে পড়ে আছি শুক্ল পঞ্চমীর চাঁদ ডোবা মেঘে;
বরং সময় পেলে আমাকে একটি চিঠি দিও, প্রিয়তমা।
-(; ২১/০১/২০১৮, রবিবার ; বাগেরহাট) continue reading

২২৪

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

ঈশ্বর বন্দনা

ঈশ্বর, তোমাকে চাই, এস; দেখা দাও।
শীতে শীত হয়ে এস ;কাঁপিয়ে কুঁকড়ে দাও।
এস, মেশো মুয়াজ্জিনের কাঁপা কণ্ঠের ফযর আযানে।
এস। মেশো যুবতী বৈষ্ণব সঙ্গীনীর খুব ভোরের দায়সারা স্নানে।
এস নাছোড় মাকড়শার অদম্য ইচ্ছাশক্তি হয়ে।
এস পথের ধারের দূর্বার মত শিশিরজলে নেয়ে।
ঈশ্বর, তোমাকে চাই। এস; দেখা দাও।
কামিনী হয়ে প্রচন্ড কামনায় জর্জরিত করে দাও।
গোল্ডলিফ হয়ে ভরে দাও মন তৃপ্তির আমেজে।
উষ্ণতা হও প্রেয়সীর বুকের খাজে, ওড়নার ভাজে ভাজে।
ঈশ্বর, ফুটে ওঠো কাকের কর্কশ-ঝাঝালো উদ্যম প্রেরণায়।
ঈশ্বর, এস। মিশে থাকো আমার রক্তকোষ লোহিকণায়।
ঈশ্বর, তোমাকে চাই, এস; দেখা দাও।
আমার হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে তুমি স্পন্দিত হও।
ঈশ্বর, মুগ্ধতা হয়ে এস হলদে গাঁদার ঘ্রাণে। continue reading

১৯৫

সমুদ্র মিত্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

Prisoners Youth

Foggy afternoon,
There is no sun light and still,
to see each other's face .
There is no sky and white clouds float yet,
clouds in the sky like a kite in the evening.
And there are some unknown facts
some unknown fear.
Return home when the evening call to prayer.
The unknown night at seven and thirty,
Tunes hearing sorrow and tragedy.
Oil lamp light to illustrate books 
all the unclear face with red light .
There are plenty of iron sheet dabby.
Drawing the morning mist,
Smiley.
Little bushes before the window
There was the sound of crickets.
Some blue light,
burning out.
Remember, the freezing
darkness is... continue reading

১১৪

সমুদ্র মিত্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে

কারা যেন নিঝুম রাতে আমার বুকের খুব ভিতরে বসে সুর করে কাঁদে! আযান ভেবে ভুল করে বসি, কেউ আসেনা ওযু করে। হঠাৎ ভাঙ্গে ভ্রম ; ওটা জলন্ত চিতার হুঁহুঁ তান। আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে। রোজ ভুলে যাই, কত রঙ আহুতি দিয়েছি নিয়তির শ্মশানে। কতশত শতাব্দী যে বসে রয়েছি সারা দেহে ছাই মেখে! (সে হিসেব কে রাখে!) তোমরা যারা আজও নাক সিঁটকাও আমায় দেখে ; চন্দন আর স্বপ্ন পোড়া ঘ্রাণের চাঁপাকষ্টটুকু ততটা খারাপ নয়।(জেনে রাখো।) আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে। সেখানে আমি তবু ঠায় বসে রয়েছি। একদিন গঙ্গা ধারণ করবো মস্তকে। (দেখে নিও।) কতশত শতাব্দী যে বসে... continue reading

১২৩

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

আজও কিছু বদলায়নি

আজও কিছু বদলায়নি।
সারারাত ধরে ফুরোতে থাকে রাত (রোজকার মত)।
তাতে কার কি এসেযায়!
এ তল্লাটে এখন শীতকাল ;
তবু আজও কিছু বদলায়নি।
রোজ ফজরের আযান শেষে শিউলি ঝরে আজও।
পৃথিবী ফর্সা হবে বলে বাদুড়গুলো ডানা ঝাপটায়।
তারপর মোরগের ডাক আর নেড়ি কুকুরগুলোর গোঙ্গানি।
আজও কিছু বদলায়নি।
টিনের চালে শিশিরের টুপটাপ শব্দ মনে করিয়ে দেয়, একটা ছাউনি আছে মাথার উপর।
দিন পোহালে রাত আর রাত পোহালে দিন;
বড্ড একঘেয়ে লাগে জীবনটাকে।
পালাবো পালাবো করেও লেপ্টে আছি জীবনের গায়ে।
আজও কিছু বদলায়নি।
টিকটিকির যেমন লেজ খসে পড়ে, আমিও কাটিয়ে উঠি পিছুটান।
আবারও লেজ গজায় টিকটিকির, আমাকেও আটকে ধরে সংসার।
আজও কিছু বদলায়নি।
continue reading

১৫১

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

ঈশ্বরকে দুর্বাশার অভিশাপ

দুর্বাসাকে অপেক্ষায় রেখে তুমি শয়তানের সাথে পাশা খেলছিলে তখন, ঈশ্বর, কেমন করে পারলে তুমি? কেন করলে এমন? দুর্বাশা ঋষি তোমার অপেক্ষায় কাটালো সারাদিন; যার জ্বলে যায়, সেই তো বোঝে। অপেক্ষা ব্রহ্মচর্যের চেয়েও কঠিন। অপেক্ষায় থাকে চাতক, কবে ঝরবে ক'ফোটা বৃষ্টি; সামনে সাগরে তুফান উঠলেও ফেরেনা সেদিকে দৃষ্টি। ঈশ্বর, দুর্বাসা আজ সর্বহারা। দেখনা কি তার কষ্ট! তার কমন্ডলুতে গঙ্গা নেই আজ। হৃদয়ে খরার কষ্ট। সর্বহারা দুর্বাসা আজ দিয়ে গেল অভিশাপ, ঐশ্বর্য হারাবে তুমি। তুমি করছে ভীষণ পাপ।          continue reading

১০৫

কবির তালুকদার।

৬ বছর আগে লিখেছেন

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

বেঁচে আছি

ইদানিংকার জীবনযাপন মানে আপাতত বেঁচে থাকা।
সমাজের মঞ্চে দাড়িয়ে সবাই গতবাঁধা কোরাস গায় ;
আমিও নিজের অজান্তে তাল মেলাতে শুরু করি।
পারিনা। আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঝলমলে আকাশ

শেকড় গেঁড়ে মাটিতে পৃথিবীটাকে আঁকড়ে বেঁচে আছি বৃক্ষের মত।
ইদানিংকার জীবনযাপন মানে আপাতত বেঁচে থাকা।
সন্ধ্যে হলেই শীত লাগে আর রাত হলে টান পড়ে পেটে।
শীতের কাপড় আর ক'টা ভাত পেলেই আমি সুখী মানুষ হয়ে যাই।
চায়ের কাপে চেয়ে দেখি উপরের দিকে জল ধোয়া হয়ে উড়ে যায় ;
আমিও তখন স্বপ্ন দেখি এক বিরাট বিপ্লবের।
কিন্তুু খানিক বাদে অনুভব করি মাধ্যাকর্ষণ।
আমি আর উঠতে পারিনা।
শেকড় গেঁড়ে মাটিতে পৃথিবীটাকে আঁকড়ে বেঁচে আছি বৃক্ষের মত। continue reading

১০৮