Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"সাহিত্য" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

সজনের পাতা ঝরা দিন

সজনের পাতা ঝরা দিন
সজনের পাতা ঝরা দিন
পৌষের সকাল ঘাসের ডগায়; শিশিরের ফোটা
কুয়াশায় ঢাকা লাউফুলে ফড়িং এর ডানা ভেজা।
মাকড়ষা জাল বুনে
টোপ ফেলেছে শিশির ঘ্রাণে ; পোকামাকড় ভেজা জালে
গেঁথে থাকে শীতের কাঁপনে।
উত্তরের ক্ষেপ শীতল বায়ু
তির তির করে কাঁপে, ঘাসের ডগায় শিশির ফোটা
সজনে ডালে ডানা ঝাপটায় তিলা ঘুঘুজোড়া।
মেঠো পথের ধুলো ভিজে সারা
মাদার ফুলের লাল পাঁপড়ি; দুর্বাঘাসে পরে রয় অভিমানে
আগাছার ঝাড়ে বুনো শিউলি ঝরে থাকে।
কুয়াশার চাদরে সন্ধ্যাবতী গাঁও
সন্ধ্যাবতীর গা ঘেঁসা খালের টলটলে জল। সন্ধ্যাবতীর জলছবি ভাসে। কুয়াশা রাঙা সকালে শিশিরের ঘ্রাণ। খেজুরের শীতল রসে ঠোঁট ভেজায় লালঝুটির বুলবুলি।... continue reading

১২৭

রজত শুভ্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

তুই

                  
তুই আমার কবিতা হবি?
খাগের কলমে কাল কালি লাগিয়ে ডায়েরির রুক্ষ কাগজে
লাইনের পর লাইন তোকে লিখব।।
তুই আকাশের এককোনে পড়ে থাকা পঞ্চমীর চাঁদ হবি?
মোলায়েম ফ্যাকাসে আলোয় দূর করতে চাইবি
মহাকালের অমানিশা।।
হবি? মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মেঘ বালিকা?
তোর কাদনে বর্ষা নামবে এই নিসর্গে।
বাদল দিনের কদম ফুল হতে তো বাধা নেই?
আসিস তুই একদিন সোনালি ধনের ক্ষেতে ঘন কুয়াশা হয়ে।
শিশিরে হবে তোর সমাপ্তি।।
জানি ,আমার আখির অশ্রু হয়ে
একদিন ঠিকি ঝড়ে পরবি।।
continue reading

১৮৭

সাইয়িদ রফিকুল হক

৬ বছর আগে লিখেছেন

গল্প-সমালোচনা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একরাত্রি’ গল্পের নায়ক ভাঙ্গা-স্কুলের সেকেন্ড মাস্টার


গল্প-সমালোচনা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একরাত্রি’ গল্পের নায়ক ভাঙ্গা-স্কুলের সেকেন্ড মাস্টার
সাইয়িদ রফিকুল হক
 
আমি আমার এই জীবনে যত গল্প পড়ে সাংঘাতিকভাবে বিচলিত ও আলোড়িত হয়েছি তন্মধ্যে নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একরাত্রি’। নানাকারণে গল্পটি আমার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এটি অদ্ভুত ভালো লাগার একটি গল্প। এখানে, খুব কষ্ট আছে, আফসোস আছে, আর আছে সীমাহীন-দুঃখবোধের মধ্যেও একটুখানি আনন্দের আভাস।
 
গল্পটি পড়ি আর সেকেন্ড-মাস্টারের জন্য উতলা হয়ে উঠি। মানুষের জীবনে কত রকমের বিচিত্র ঘটনা ঘটে থাকে। এর মধ্যে প্রেম-বিরহ-ভালোবাসা আর ভালোলাগাকে কোনোভাবেই আমাদের জীবন থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। আমরা না চাইলেও এসব আমাদের জীবনে অহরহ ঘটছে। আর এগুলো আমাদের জীবনযাত্রা থেকে কখনও কোনো বিচ্ছিন্ন... continue reading

১৯২

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

কবিতার গায়ে রঙ চরাতে

কবিতার গায়ে রঙ চরাতে

কবি আজ ক্লান্ত, 
ভোতা বোধের বির্মষ যাতনায়
তাইতো আর কবিতা হয়ে উঠে না;

সীমান্তের কাঁটা তারে 
পথ ফুরায় শীর্ণ শ্রান্ত নগ্ন পদযুগল
মৃত্যু ভয়! পুঁজির দাবানলে সব পুড়ে ছাই!
পুঁজির কেতকী মহুয়া নেশা খুনের তান্ডবে মাতে
বর্বর বোমার বর্ষণে,
মায়া মমতা যতো আত্মহননের প্রত্যয় খুঁজে
লজ্জায় বিমর্ষ!
বোধের উঠানে কলঙ্কিত সদ্য খুন  মৃত মাছের মতো
ধুলোয় গড়াগড়ি খায়।

ধুঁয়া ভরা আকাশে,
ধবল ডানার চিল ডেকে ডেকে কেঁদে কেঁদে ফিরে
সভ্য বোধের হিসাব কসে কসে
অভিশাপে গাছের সবুজ পাতা লীন হয়ে
মরে যেতে বসেছে আজ।

২৬, ভাদ্র/১৪২৪/শরৎকাল।
continue reading

১৫৭

রজত শুভ্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

পড়শি যদি আমায় ছুঁত

বৃষ্টিটা আসলো জোরে সোরে। ধরন দেখে মনে হচ্ছে সে পণ করেই এসেছে থামবেনা।কৈশোরর একটা সময় বৃষ্টি ভীতি ছিল খুব। আমরা থাকতাম চুয়েট গেইট এলাকায় একটা টিন শেড ভাড়া বাসায়। বৃষ্টি ভীতি কিভাবে ধরা পড়লো সে ঘটনাটা বলি। সেদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি। থেমে থেমে বিকট শব্দেবজ্রপাত। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম বিচিত্র কারণে আমার সারা শরীর কাঁপছে । বৃষ্টিরবেগ যত বাড়ছে আমার ভয় বাড়ছিল পাল্লা দিয়ে। আমার শুধু মনে হচ্ছিল মুহূর্তে বাজ পড়ে বাড়ি ঘর পুড়ে যাবে। গল গল করে বানের পানি ঢুকবে ঘরে।ভয়ে আমি কাঁথামুড়ি দিয়ে  গুটিশুটি মেরে খাটে শুয়ে পড়ি। অপেক্ষায় থাকি বৃষ্টি থামার। সেই থেকে ভীতিটা শুরু । ঠিক কতদিন ছিল... continue reading

৩৪১

রজত শুভ্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

তটিনী

                                        
“মনসুর, পাঁচ জন লেহ”,ঘাটমাঝি কে যাত্রীর হিসাব বলে সাম্পানের ইঞ্জিনে হ্যান্ডেল লাগিয়ে ঘুরাতে শুরু করে।প্রথম চেষ্টায় ইঞ্জিন ভট ভট শব্দে চালু হয়ে যায়।হাল ধরে বসে পরে হরি।বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে।ফিনফিনে বৃষ্টি না, ঝুম বৃষ্টি।বর্ষা শুরু হয়নি।তবুও এত বৃষ্টি।কেজানে,বর্ষায় কি হয়।এই কয়দিন বৃষ্টিতে নদীর পানি ঘোলের শরবতের মত ঘোলা হয়ে গেছে। ভাটি অঞ্চল থেকে গাছ বাঁশ এইসব ভেসে আসছে।অনেকে নৌকা নিয়ে ধরছে এইসব। এদের বেশির ভাগ ছোট ছেলে মেয়ে,কিশোর বা কিশোরী। পাহাড়ী নদী। তাই খুভ বেশি বৃষ্টি হলে পাহাড়ী ঢল নামে। সেই ঢলের সাথে উজানের দিকে ভেসে আসে পাহাড়ি গাছ –পালা,বাঁশ,নল-খাগড়া। একবার আস্ত সেগুন গাছ পেয়েছিল হরি। অনেক কষ্টে পাড়ে নিয়ে আসে। সেগুন কাঠের দাম মোটামুটি
অগ্নিমূল্য বলা যায়। কিন্তু পরদিন... continue reading

২৮৯

ইফ্ফাত রুপন

৬ বছর আগে লিখেছেন

প্রত্যুত্তর

অরণ্য,
এই লিখাটির শুরু তুমি যেভাবে দেখতে পাচ্ছো আমি ঠিক সেভাবে শুরু করতে চাচ্ছিলাম না। প্রারম্ভিকের ব্যাপারটা আমার মধ্যে নেই। কোন কিছুর সূচনা আমার দ্বারা হয়তো আজ পর্যন্ত সম্ভব হয় নি। অনেকটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখানোর জন্য আজ তোমাকে লিখতে বসেছিলাম। পারলাম না, হয়তো কখনো পারবোও না। তবে সূচনার কিছুটা অভিব্যাক্তি আজ তোমার হাতে আমি কিছুটা হলেও দিতে পারবো। তোমার কাছে আমার লিখার প্রথম সূচনা।
তোমাকে লিখার জন্য আজ কেন যেন কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম তোমাকে কিছু লিখবো। পারছিলাম না। কেন পারছিলাম না তার উত্তরটা আমার জানা নেই। তবে আমি আশা করি তোমার কাছে উত্তরটা নিশ্চয়ই... continue reading

২৫১

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

একদিন নদীর কাছে জলের কাছে

একদিন নদীর কাছে জলের কাছে

মেঘ ভাসে খিল খিল
শ্রাবণে বাদল
রিমঝিম বর্ষায়
ঝম ঝম বৃষ্টি।

পথ ঘাট 
কাদা জলে 
একি অনাসৃষ্টি?

ঝিকঝিক ঝকঝক
মাদল বাজায় 
রেলগাড়ি।

নদীনালা বিলঝিল 
মেঘ ভাসে
খিল খিল।
=====

ভরা বরষায় ঐ যে নদী

সোদা মাটির গন্ধ ভাসে 
ঝরা বৃষ্টির প্রাতে, শুদ্ধ বানের জল ছোটে 
মিহি ঢেউয়ের স্রোতে।

ভরা বরষায় ঐ যে নদী
উতল তার ভাসান অঙ্গ-ভূঙ্গী, মেঘ ভাসে ঐ কাঁরি কাঁরি
নদীর এপাড় ওপাড় দিচ্ছে আঁড়ি।

খেয়া নাও, জেলের নাও
দূর-দূরান্তে ঐ যে ভাসে, রঙ্গীন বাতাম তোলা মাস্তুলে
জলের ঢেউয়ে ভাসে আহল্লাদের চোখের জল।
========

... continue reading

২১৬

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

একাকার এক বিবর্তন কালের আঁধার

একাকার এক বিবর্তন কালের আঁধার
বার বার আমার শূন্যতা
আমাকে ফেরায়; নতজানু কালের প্রদাহ
তোমার শূন্যতা তোমায়।
এমনি বিনিসুতার মালা
চাইতে তোমায় নিক্তি নিয়ে ঢলে পরা সাঁঝ 
যতই গিঁট বাঁধে! শুদ্ধতায়
তা, আবার সেই শূন্যতায় মিলায়।
বৃষ্টি ছোঁয়া মুর্চ্ছনা
মিছেমিছি কাঁদায় তোমায়, বির্মষ জলছবি
বাদল দিনের সিক্ততায়
বেদনায় জোড়ায়; সেও তো মু্ছে যায়
আবার তোমার সেই শূন্যতায় ফেরা।
নীল হারা আকাশ রৌদ্রে পোড়া
আমার তোমার শূন্যতা!
একাকার এক বিবর্তন কালের আঁধার।
১৪২৪/৩, আষাঢ়/বর্ষাকাল।
continue reading

২৮৮

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

ফলের দেশে ফলের মাস

ফলের দেশে ফলের মাস

ফলের দেশে ফলের মাস
রং ছড়াল হেসে,
পাকা ফলের গন্ধ ভারি
জিহবায় জল আসে।

জাম জামরুল লিচু আম
তাল কাটলে সাঁচ,
কাঁঠাল কাম রাঙা করমচা
ঝালে মাখা কাঁচাআম।

রৌদ্র পোড়া বোশেখ মাসে
গাছে আম পাকা,
বাদুর ঝুলায় লিচু ঝুলে
টসটসে রসে পাকা।

কাঠ বিড়ালী মগ ডালে
ঠোঁট রাঙা জামে,
জারুল বনে শিয়াল মামা
ফুলের গন্ধে ভাসে।

১৪২৪/১৩, জ্যৈষ্ঠ/গ্রীষ্মকাল।
continue reading

২৪৮