Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

ভুলে যাবো

ব্রিজের উপর মরে পড়ে আছে একটা কুকুর।
বিশ্রী গন্ধে যখন গা গুলায়, আমি টের পাই আমার ভেতরটায়ও ওরকম দুর্গন্ধ।
কত ইচ্ছে মরে যায় রোজ ; স্বপ্ন মরে যায় মানুষদের।
নদীতে একটা মাছ ধরা নৌকা দেখে মনে পড়ে যায় ,
সিন্দাবাদ হতে চেয়েছিলাম শৈশবে।
পাশ কাটিয়ে সাঁইসাঁই করে ছুটে যাওয়া মালবাহী ট্রাকের উপর ঘুমন্ত কিশোরের মুখটা বড্ড চেনা!
আমার ঘুমন্ত মুখখানা দেখতে কেমন? (বড্ড জানতে ইচ্ছে করে।)
মৃত কুকুরটার মুখে অতৃপ্তির ছাপ ;
(যেন "মানুষ" বলে গালি দিচ্ছে!)
এখনও মাঝেমাঝে শালতলা চলে যাই,
শৈশবের কতগুলো টুকরো পড়ে আছে ওখানে।
কমল পাগলার জন্য আমার মন কাঁদে কেন!
সে কি বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে?
একদিন তাকে মন খুলে কাঁদতে দেখে হিংসা হয়েছিল।
সেদিন চেয়েছিলাম তার অভিমানগুলো মরে যাক। (যেমন করে ওর ইচ্ছেগুলো মরে গিয়েছিলো।)
আমাদেরও ইচ্ছেরা লাশ হয়ে যায় পড়ে থাকে অতৃপ্তির সুখে।
যে সব ইচ্ছেরা দুর্ঘটনায় মরে যায়,
সামাজিক চাকার তলে ; ওগুলোও এভাবে পচে যায়।
সালমান শাহ'র সিনেমা দেখে ফাঁসির আসামি হতে চাইতাম ছেলেবেলায়।
বড় হয়েছি। খুন করেছি কত স্বপ্নকে!
সামাজিক ছুরি দিয়ে রগ কেটে দিয়েছি কত ইচ্ছের!
কোন মামলা হয়নি। বিচার হয়নি।
তবুও দন্ডপ্রাপ্ত আমি, সারাজীবন বেঁচে থাকার রায় পেয়েছি।
মনের মধ্যে হরেক রকম পচা গন্ধ নিয়ে ঘুরে বেড়াই।
আমি বোধ হয় অবেলায় বুড়িয়ে গেলাম!
মানসিক সমস্ত বার্ধক্য ব্রিজ থেকে নদীতে ছুড়ে ফেলে দিয়ে,
আসছে ফাল্গুনে ঘুড়ির লেজে বেঁধে দেবো জীবনটাকে।
উড়তে উড়তে চলে যাবো বহুদুর।
দৃষ্টিসীমা ছাড়িয়ে উড়ে হারিয়ে যাবো।
ভুলে যাবো মৃত কুকুরটার মুখ, দুর্গন্ধ।
ভুলে যাবো, সামাজিক মুখোশে বন্দী ছিলাম জীবদ্দশায়।
ভুলে যাবো মালবাহী ট্রাকের হর্ণ।
যেমন করে ভুলে গেছি বুক ভরে দম নিতে।
- (  ২৩/০৮/২০১৭ ইং ; বাগেরহাট) continue reading
Likes Comments
০ Shares

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

আমাকে একটি চিঠি দিও, প্রিয়তমা

বরং বদলে নাও তোমার প্রবঞ্চক ঠোঁট, প্রিয়তমা।
আমাদের হেটে যেতে হত একে অন্যের বুকের ভেতর দিয়ে অন্তত কয়েকশ মাইল।
অথচ আমরা এতটুকু সামনাসামনি কখও আসিনি যাতে আমাদের হৃদপিন্ডদ্বয় পরষ্পরকে দেখতে পায়।
বরং বদলে নাও তোমার প্রবঞ্চক হৃদপিন্ড, প্রিয়তমা।
আমাদের ভালবাসতে হত একে অন্যকে নিবিড়ভাবে অন্তত কয়েকশ বছর।
অথচ আমাদের এতটুকু জানাশোনা হয়নি যাতে পরষ্পরের নিশ্বাস চেনা যায়।
এখন আমি পথে পথে রক্ত জবা খুঁজে খুঁজে হয়রান।
আমি মন থুবড়ে পড়ে আছি শুক্ল পঞ্চমীর চাঁদ ডোবা মেঘে;
বরং সময় পেলে আমাকে একটি চিঠি দিও, প্রিয়তমা।
-(; ২১/০১/২০১৮, রবিবার ; বাগেরহাট) continue reading
Likes Comments
০ Shares

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

ঈশ্বর বন্দনা

ঈশ্বর, তোমাকে চাই, এস; দেখা দাও।
শীতে শীত হয়ে এস ;কাঁপিয়ে কুঁকড়ে দাও।
এস, মেশো মুয়াজ্জিনের কাঁপা কণ্ঠের ফযর আযানে।
এস। মেশো যুবতী বৈষ্ণব সঙ্গীনীর খুব ভোরের দায়সারা স্নানে।
এস নাছোড় মাকড়শার অদম্য ইচ্ছাশক্তি হয়ে।
এস পথের ধারের দূর্বার মত শিশিরজলে নেয়ে।
ঈশ্বর, তোমাকে চাই। এস; দেখা দাও।
কামিনী হয়ে প্রচন্ড কামনায় জর্জরিত করে দাও।
গোল্ডলিফ হয়ে ভরে দাও মন তৃপ্তির আমেজে।
উষ্ণতা হও প্রেয়সীর বুকের খাজে, ওড়নার ভাজে ভাজে।
ঈশ্বর, ফুটে ওঠো কাকের কর্কশ-ঝাঝালো উদ্যম প্রেরণায়।
ঈশ্বর, এস। মিশে থাকো আমার রক্তকোষ লোহিকণায়।
ঈশ্বর, তোমাকে চাই, এস; দেখা দাও।
আমার হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে তুমি স্পন্দিত হও।
ঈশ্বর, মুগ্ধতা হয়ে এস হলদে গাঁদার ঘ্রাণে।
হস্তমৈথুন শেষে কিশোরের বীর্যের শুক্রাণুর প্রাণে প্রাণে।
--(  ২৮/১২/১৫ ইং; বাগেরহাট) continue reading
Likes Comments
০ Shares

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে

কারা যেন নিঝুম রাতে আমার বুকের খুব ভিতরে বসে সুর করে কাঁদে! আযান ভেবে ভুল করে বসি, কেউ আসেনা ওযু করে। হঠাৎ ভাঙ্গে ভ্রম ; ওটা জলন্ত চিতার হুঁহুঁ তান। আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে। রোজ ভুলে যাই, কত রঙ আহুতি দিয়েছি নিয়তির শ্মশানে। কতশত শতাব্দী যে বসে রয়েছি সারা দেহে ছাই মেখে! (সে হিসেব কে রাখে!) তোমরা যারা আজও নাক সিঁটকাও আমায় দেখে ; চন্দন আর স্বপ্ন পোড়া ঘ্রাণের চাঁপাকষ্টটুকু ততটা খারাপ নয়।(জেনে রাখো।) আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে। সেখানে আমি তবু ঠায় বসে রয়েছি। একদিন গঙ্গা ধারণ করবো মস্তকে। (দেখে নিও।) কতশত শতাব্দী যে বসে রয়েছি সারা দেহে ছাই মেখে! (সে হিসেব কে রাখে!) আজও কারা যেন নিঝুম রাতে আমার বুকের খুব ভিতরে বসে সুর করে কাঁদে! আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে।       (০৬/০১/২০১৮; বাগেরহাট)  continue reading
Likes Comments
০ Shares

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

আজও কিছু বদলায়নি

আজও কিছু বদলায়নি।
সারারাত ধরে ফুরোতে থাকে রাত (রোজকার মত)।
তাতে কার কি এসেযায়!
এ তল্লাটে এখন শীতকাল ;
তবু আজও কিছু বদলায়নি।
রোজ ফজরের আযান শেষে শিউলি ঝরে আজও।
পৃথিবী ফর্সা হবে বলে বাদুড়গুলো ডানা ঝাপটায়।
তারপর মোরগের ডাক আর নেড়ি কুকুরগুলোর গোঙ্গানি।
আজও কিছু বদলায়নি।
টিনের চালে শিশিরের টুপটাপ শব্দ মনে করিয়ে দেয়, একটা ছাউনি আছে মাথার উপর।
দিন পোহালে রাত আর রাত পোহালে দিন;
বড্ড একঘেয়ে লাগে জীবনটাকে।
পালাবো পালাবো করেও লেপ্টে আছি জীবনের গায়ে।
আজও কিছু বদলায়নি।
টিকটিকির যেমন লেজ খসে পড়ে, আমিও কাটিয়ে উঠি পিছুটান।
আবারও লেজ গজায় টিকটিকির, আমাকেও আটকে ধরে সংসার।
আজও কিছু বদলায়নি।
continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...