Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"সকল" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

শাহআজিজ

৬ বছর আগে লিখেছেন

ডেড সী স্ক্রোল: মৃত সাগরের জীবন্ত পুঁথি

সময়টা তখন ১৯৪৭ এর দিকে। মৃত সাগরের উত্তর-পশ্চিম তীর ঘেঁষে অবস্থিত কুমরান গুহা। এই গুহাতেই পাথর নিক্ষেপ করার খেলায় মত্ত দুই বেদুইন বালক। মেষ চড়ানোর বায়না ধরে প্রায়ই এদিকটায় চলে আসে দুই ভাই মিলে। হঠাৎ বড় একটা পাথর ছোঁড়ার পর অদ্ভুত রকমের শব্দ হলো। প্রথমদিকে তারা মনের ভুল ভেবে উড়িয়ে দিলেও, প্রতিটি পাথর নিক্ষেপের পর একই রকম শব্দ হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল মাটির তৈরি কিছু একটা ভেঙে গেছে। দুই বালক খেলা থেমে চুপ করে দাঁড়িয়ে পড়লো।
বাতাসে ভেসে আসা মৃত সাগরের লোনা গন্ধ আর পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়া বিকেলের সূর্য চারিদিক করে তুলেছিল রহস্যময়। তখনো সন্ধ্যা হতে অনেক দেরি। তাই... continue reading

২৬৫

কামাল উদ্দিন

৬ বছর আগে লিখেছেন

বাংলাদেশের সব থেকে বড় ঝর্ণা "তিনাপ সাইতার"

 

এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আবিস্কৃত হওয়া সেরা ঝর্ণার নাম হলো তিনাপ সাইতার। ২০১৫ সালে আবিস্কৃত হওয়া এই ঝর্ণাটা দেখে মনটা আমার উতলা হয়েছে। বান্দরবানের ঝর্ণাগুলো শুধু তারাই দেখতে পারে যাদের ট্রেকিং করার অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৬ সালে যেভাবেই হোক ওখানে যাওয়ার পরিকল্পনা মাথায় ছিলো, কিন্তু বিধি বাম বান্দরবানে দু'জন পর্যটক অপহৃত হওয়ায় ওদিকে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেনাবাহিনী। তারপরও কিছু টিম চোরাই পথে জীবনের ঝুকি নিয়া গিয়েছে শুনেছি, তাদেরও আমি নাগাল পাইনি ২০১৬ তে।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দুরের রোনিন পাড়াটা হলো তিনাপে যাওয়ার ট্রানজিট পয়েন্ট। আর রোনিন পাড়া থেকে তিনাপ... continue reading

৫৫৬

শাহআজিজ

৬ বছর আগে লিখেছেন

যেভাবে থেমে গেল মোঙ্গলবাহিনীর জয়রথ

দুর্ধর্ষ ঘোড়সাওয়ার মোঙ্গল বাহিনী source: www.tagmata.it
বলতে দ্বিধা নেই মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর সেনাবাহিনী হল মধ্যযুগের মোঙ্গল বাহিনী যার সূচনা হয়েছিল চেঙ্গিস খানের হাতে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে তাতার বাহিনী নামে পরিচিত ছিল মোঙ্গল বাহিনী। ১২০৬ সালে চেঙ্গিস খানকে মঙ্গোলিয়ার স্তেপের একচ্ছত্র অধিপতি বা গ্রেট খান হিসাবে ঘোষণা করার পর মোঙ্গল বাহিনী একে একে জয় করে নিয়েছিল এশিয়া ও ইউরোপ বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যের মালিক ছিল মোঙ্গলরা। চেঙ্গিসখানের সময় থেকে শুরু হওয়া মোঙ্গলদের জয়যাত্রা অব্যাহত ছিল পরবর্তী গ্রেট খানদের সময়ও। ভাবতে অবাক লাগে ১২০৬ সাল থেকে ১২৬০ সাল এই অর্ধশত বছরে তাঁরা  একটি যুদ্ধেও হারেন নি।... continue reading

১৯০

লুৎফুর রহমান পাশা

৬ বছর আগে লিখেছেন

এ ভোগান্তির শেষ কোথায়!!

চারিদিকে রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। যেমন ভাঙ্গা তেমনি অনিরাপদ। এরপরও ভাবতেই ভালো লাগে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে দামী রাস্তায় চলি। সারাবছর কাজ চলে। ধুলা বালিতে, কাদা বৃষ্টি হলে পানিতে সয়লাব। বারোমাসি সাইনবোর্ড লাগানোই থাকে রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।
রাস্তা গাড়ীর চলাচলের জন্য নহে। কারো পকেট উন্নয়নের জন্যই। তারপরও দয়া করে দুঃখ প্রকাশের জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত।
গত ১৪৬ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৩২৩ জন। এই মৃত্যুর মিছিল থামছেনা। এই নিয়ে সড়ক বিভাগ রাস্ট্রের কারো কোন মাথাব্যথা নেই।
দুর্ঘটনার লোকজনকে সহযোগিতার পরিবর্তে লুটপাট করছে একদল লোক। আমরা গেলো গেলো বলে চিতকার করছি। অথচ... continue reading

২৫৪

সাইয়িদ রফিকুল হক

৬ বছর আগে লিখেছেন

আজিজসাহেব ফাঁসির পরোয়ানা হাতে পেয়েছেন

ছোটগল্প: আজিজসাহেব ফাঁসির পরোয়ানা হাতে পেয়েছেন
সাইয়িদ রফিকুল হক
 
আব্দুল আজিজসাহেব আজ ক্লান্তদেহে বাসায় ফিরলেন। তার মনটিও ভালো নাই। সেখানে নানারকম হতাশা আর দুশ্চিন্তা বাসা বেঁধেছে। এগুলো তাড়াবার মতো মনোবল তিনি যেন খুঁজে পাচ্ছেন না।
 
তিনি বেসরকারি চাকরি করেন। তার চাকরি এখনও আট-বছর আছে। তবুও তার মনে বিরাট দুর্ভাবনা আর বিশাল হতাশা। তার হতাশার কারণ নতুনকিছু নয়—প্রতিবছরের হতাশা পুনর্বৃদ্ধি মাত্র। আর এটির একমাত্র কারণ হলো: হঠাৎ-হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত বাসাভাড়াবৃদ্ধি। কিন্তু প্রতিবছর তার বেতন সে তুলনায় তেমন একটা বৃদ্ধি পায় না। তার দুশ্চিন্তাটা সেখানেই।
 
আজ কদিন যাবৎ তার কেবলই মনে হচ্ছে: তিনি যেন এই শহরে আর বসবাস করতে পারবেন না। জুয়ার আসরের... continue reading

২১৮

রাজীব নূর খান

৬ বছর আগে লিখেছেন

সত্যি ভূতের গল্প

প্রথমেই বলে নিচ্ছি, দুর্বল হার্টের কেউ এই লেখাটা পড়বেন না। বাগেরহাট যাচ্ছি। সুন্দরবনের পাশে একটি গ্রাম। গ্রামের নাম রসুল পুর। সকাল ১০ টায় বাসে উঠলাম। রাস্তায় তিন বার বাস নষ্ট হলো। বিকেলে পৌঁছানোর কথা ছিল রায়েন্দা। আমি পৌছালাম রাত ৩ টায়। পনের বছর আগের কথা। তখন রাস্তা ঘাট খুব উন্নত ছিল না। প্রচন্ড শীত। বাস থেকে নেমে আমি কাঁপছি। চারপাশে ঘুট ঘুট অন্ধকার। আমার সাথে যে ক'জন মাস থেকে নেমেছিল তারা কে কোথায় চলে গেল। ঈদের ছুটিতে বন্ধুর গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। তখন মোবাইল ছিল না। গত পাঁচ বছর ধরে যাব যাব করছিলাম, যাওয়া আর হয়নি।
বাজারের মতো একটা জায়গায়... continue reading

৪১৩

শাহআজিজ

৬ বছর আগে লিখেছেন

হযরত আলী (রা): উত্তাল গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মুসলিম বিশ্বের কর্ণধার

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) পরলোকগমনের ২৫ বছর পর ভয়ংকর এক পরিস্থিতিতে পড়ে মুসলিম বিশ্ব; সে অবস্থাতেই খলিফার দায়িত্ব পান হযরত আলী (রা)। অনেকেরই ধারণা ছিল প্রথম খলিফাই হয়ত আলী (রা) হবেন যেহেতু তিনি নবীজীর সরাসরি আত্মীয়, চাচাতো ভাই। কিন্তু যোগ্যতর হিসেবে আবু বকর (রা), উমার (রা) ও উসমান (রা) প্রথম তিন খলিফার দায়িত্ব পালন করেন। অবশেষে যখন আলী (রা) এর পালা এলো, তখন তাঁর উপর এক খড়গ- তিনি কি উসমান (রা) এর হত্যাকারীদের শাস্তি দেবেন? না দিলে কেন নয়? ওদিকে এই অন্যায় ও জঘন্য হত্যার বিচার চেয়ে বিশিষ্ট সাহাবীদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে আন্দোলনের দাবানল শুরু হয়ে গেলো, এবং সেই... continue reading

৩০৯

সাইয়িদ রফিকুল হক

৬ বছর আগে লিখেছেন

পবিত্র ঈদের দিনে সবার সঙ্গে হাসিমুখে হিংসামুক্ত মনে কোলাকুলি করুন

পবিত্র ঈদের দিনে সবার সঙ্গে হাসিমুখে হিংসামুক্ত মনে কোলাকুলি করুন
সাইয়িদ রফিকুল হক
পবিত্র ঈদের দিন কোলাকুলি করাটা ইসলামের প্রাথমিক-যুগের রেওয়াজ। আর এটি ইসলামী তাহজীব ও তমুদ্দনের প্রকৃষ্ট একটি উদাহরণ। তাই, যারা ইসলামের প্রতি আস্থাবান ও শ্রদ্ধাশীল তারা অবশ্যই পবিত্র ঈদের দিন ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজশেষে আপনার কাতারের আশেপাশের মানুষ থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন-পাড়াপড়শি-বন্ধুবান্ধব সকলের সঙ্গেই (সম্ভব হলে) কোলাকুলি করুন।
ইসলামী রেওয়াজ-রসম থেকে কোলাকুলির উদ্ভব। শুধু ঈদের দিনে নয়—এক মুসলমানের সঙ্গে আরেক মুসলমানের দেখা হলে সালাম-বিনিময়ের পর কোলাকুলি ও মোসাফাহ করা উত্তম কাজ। আমাদের প্রিয়-নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়েও সাহাবাগণ একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্যবৃদ্ধির জন্য কোলাকুলি করেছেন।... continue reading

২১৬

সাইয়িদ রফিকুল হক

৬ বছর আগে লিখেছেন

ইসলামের নামে ইফতারমাহফিল বা ইফতারপার্টি স্রেফ ভণ্ডামি

ইসলামের নামে ইফতারমাহফিল বা ইফতারপার্টি স্রেফ ভণ্ডামি
সাইয়িদ রফিকুল হক
 
দেশে ধার্মিকের চেয়ে ভণ্ডের সংখ্যা অনেকগুন বেশি। আর এই দেশে এখন প্রতিনিয়ত ভণ্ডের চাষ হচ্ছে। আজ ধর্মের নামে বুকফুলিয়ে শয়তানী-আবাদ করা হচ্ছে। তাইতে আমাদের এই ছোট্ট দেশটাতে আজ এতো-এতো শয়তান! এখানে, শয়তানের কোনো অভাব নাই। তাই, এখানে  জাতশয়তান, কালশয়তান, পাতিশয়তান, ভণ্ডশয়তান, আর ধর্মের নামে সর্বপ্রকার শয়তান নানারূপে, নানাবর্ণে, নানাউদ্দেশ্যে আজকাল আসন গেড়ে বসেছে। আর সব শয়তানের উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই—ধর্মের নামে যেকোনোভাবে নিজেদের স্বার্থউদ্ধার করা।
 
আমাদের দেশে আশির দশক থেকে ইফতারমাহফিলের প্রচলন হতে শুরু করে। আর এই সময়টা ছিল সামরিকজান্তা ও স্বৈরাচার এরশাদ-সরকারের আমল। এইসময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানের দালালগোষ্ঠী—জামায়াত-শিবির তাদের প্রাণপ্রিয় খলিফা... continue reading

২৩৩