Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Nokkhotro Banner

রেজা

৬ বছর আগে লিখেছেন

অপার

দেখি নাই যারে শুধু বলি তারে
রেখো দয়া করে শান্তির পরপারে
আঁধারের মাঝে ঘোরাঘুরি করি
জীবনের আলো দেখিতে না পারি।
জীবন জোয়ারে দেখি বারে বার
চারিদিকে শুধু দেখি অন্ধকার
চক্ষু মুদিয়া যবে দেখি আপনারে
দেখি সেথা তারে আশাহত অন্তরে।
মুক্তির আশা নাই কোথা তার
জগতে শুধু আশা যাওয়া সার
তোমার দয়ার জগৎ সংসার
করুণা ভিক্ষা চাইগো তোমার
দয়াল মওলা দয়াল খোদা অপার।
#রেজা ২০/২-২০১৮
continue reading

১২৭

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

তোমারই বোল কিনেছি মাগো

তোমারই বোল কিনেছি মাগো
তোমার বোলে মুক্তির কথা
বজ্রমুষ্টি আর স্লোগানে; আঁকিতে ব্যনার ফেষ্ঠুন রং এ রাঙা
মুক্তির মৌলিক অধিকারে।
তোমার বোলে লড়াইয়ের গান
মিছিল ব্যানার জনে জনে; যাতনা কত সয়েছে প্রাণ?
তোমারই কথার স্বপ্ন বানে।
তোমারই বোলে স্বপ্নের জাল
পৃথিবী জুড়ে মাতৃভাষা গর্বভরে; তাজা প্রাণের রক্ত দানে
তোমারই বোল কিনেছি মাগো।
১৪২৪/২১ মাঘ/শীতকাল।
continue reading

১৫৫

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

ঈশ্বর বন্দনা

ঈশ্বর, তোমাকে চাই, এস; দেখা দাও।
শীতে শীত হয়ে এস ;কাঁপিয়ে কুঁকড়ে দাও।
এস, মেশো মুয়াজ্জিনের কাঁপা কণ্ঠের ফযর আযানে।
এস। মেশো যুবতী বৈষ্ণব সঙ্গীনীর খুব ভোরের দায়সারা স্নানে।
এস নাছোড় মাকড়শার অদম্য ইচ্ছাশক্তি হয়ে।
এস পথের ধারের দূর্বার মত শিশিরজলে নেয়ে।
ঈশ্বর, তোমাকে চাই। এস; দেখা দাও।
কামিনী হয়ে প্রচন্ড কামনায় জর্জরিত করে দাও।
গোল্ডলিফ হয়ে ভরে দাও মন তৃপ্তির আমেজে।
উষ্ণতা হও প্রেয়সীর বুকের খাজে, ওড়নার ভাজে ভাজে।
ঈশ্বর, ফুটে ওঠো কাকের কর্কশ-ঝাঝালো উদ্যম প্রেরণায়।
ঈশ্বর, এস। মিশে থাকো আমার রক্তকোষ লোহিকণায়।
ঈশ্বর, তোমাকে চাই, এস; দেখা দাও।
আমার হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে তুমি স্পন্দিত হও।
ঈশ্বর, মুগ্ধতা হয়ে এস হলদে গাঁদার ঘ্রাণে। continue reading

১৯৫

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

তোর ইচ্ছে সাজাবো

প্রেমের সপ্তম নৌ বহর নিয়ে
দাড়িয়ে আছি তোর প্রতিশ্রুতির আশায়
তুই শুধু এক টুকরো ভালবাসা দিয়ে দেখ
আমি তোর চোখে সারা পৃথিবী এনে দেবো।
ছোট্ট একটি ঘর বুনেছি হৃদয়ে
সবুজের ছাউনি দিয়ে তোর জন্যে
একান্ত কিছু অনুভূতির বিন্যাসে
তোর আগমনের প্রারম্ভিক খুশিতে
জ্বালিয়েছি অগ্নিপ্রদীপ মন-মন্দিরে
তুই শুধু একপলক তাকিয়ে যা সলাজে
আমি তোর কষ্ট তাড়াবো রাজ্যের সীমানার বাইরে।
অগোছালো কিছু স্বপ্ন এঁকেছি চোখে
অধরা রঙধনুর নির্লিপ্ততায়
নিমজ্জমান জোসনার স্নিগ্ধ আদরে
তোর ফিরে চাওয়ার অনুরাগে
ভিজেছি একপশলা প্রসন্ন অনুরণনে
তুই শুধু একবার ছুঁয়ে যা আনমনে
আমি তোর ইচ্ছে সাজাবো জীবনের বিনিময়ে। continue reading

২২০

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

মাগো তোমার শোকের বসন

মাগো তোমার শোকের বসন
একুশ এলো মাঘের শীতে
কুয়াশায় ডুবা ভোরে
শিশির ঝরে ঘাসের ডগায়
আকাশের খোলা দোরে।
মায়ের বোলে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে
সর্ষে ফুল গায়
হলুদ রাঙা বেশুমার রং এ
একুশের কথা কয়।
মাগো তোমার শোকের বসন
তোমারই বেদনার তরে
ফিরে এলো একুশ বছর ঘুরে
তোমারই উঠান পরে।
continue reading

১৭৯

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

আজও কিছু বদলায়নি

আজও কিছু বদলায়নি।
সারারাত ধরে ফুরোতে থাকে রাত (রোজকার মত)।
তাতে কার কি এসেযায়!
এ তল্লাটে এখন শীতকাল ;
তবু আজও কিছু বদলায়নি।
রোজ ফজরের আযান শেষে শিউলি ঝরে আজও।
পৃথিবী ফর্সা হবে বলে বাদুড়গুলো ডানা ঝাপটায়।
তারপর মোরগের ডাক আর নেড়ি কুকুরগুলোর গোঙ্গানি।
আজও কিছু বদলায়নি।
টিনের চালে শিশিরের টুপটাপ শব্দ মনে করিয়ে দেয়, একটা ছাউনি আছে মাথার উপর।
দিন পোহালে রাত আর রাত পোহালে দিন;
বড্ড একঘেয়ে লাগে জীবনটাকে।
পালাবো পালাবো করেও লেপ্টে আছি জীবনের গায়ে।
আজও কিছু বদলায়নি।
টিকটিকির যেমন লেজ খসে পড়ে, আমিও কাটিয়ে উঠি পিছুটান।
আবারও লেজ গজায় টিকটিকির, আমাকেও আটকে ধরে সংসার।
আজও কিছু বদলায়নি।
continue reading

১৫১

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

পথের কাঁটা হবো না

নিশ্চিন্তে থাকো প্রিয়তমা
তোমার পথের কাঁটা হবো না কখনোই
কষ্টের পাথর চেপে রাখার রোগ আমার জন্মগত
আমার ভালবাসা এতোটা সঙ্কীর্ণমনা,
অসহিষ্ণু আর কদাকার নয় যে, তোমার
সুখের সংসার দেখে হিংসের
বহ্নিশিখায় জ্বলে পুড়ে মরবে
জীবনকে নিজের মতো সাজানোর অধিকার
পরমেশ্বরই তোমাকে প্রদান করেছেন অন্তর দিয়ে,
আমি তো কেবল সঙ্গ দিতে চেয়েছি তোমায়
মানুষ তো কত কিছুই চায়
তুমি তো আর ঈশ্বর নও যে, সবার
চাওয়াগুলো পূরণ করে দেবে।
বিশ্বাস করো একটুও ব্যথা নেই মনের ভেতর
মন থাকলে তো ব্যথা অনুভব হবে
হৃদয় নেই বলেই হয়তো তোমাকে হারিয়েছি
পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছি দর্শক রূপে
কী আর করার-
এই নাটকের বিশ্বমঞ্চে সবাই অভিনয় করলে
দর্শক সারিতে থাকবে কারা? continue reading

১৫৬

সাইয়িদ রফিকুল হক

৬ বছর আগে লিখেছেন

ছোটগল্প: সৌরভের হাতে ফুল ছিল

ছোটগল্প:
সৌরভের হাতে ফুল ছিল
সাইয়িদ রফিকুল হক
 
সৌরভ সেই কখন থেকে তরতাজা একুশটি গোলাপ হাতে চন্দ্রিমা-উদ্যানের লেকের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার আসার কথা ছিল বিকাল চারটায়। কিন্তু সে এসেছে তিনটায়। একঘণ্টা আগে এসেও তার খুব-একটা খারাপ লাগছে না। আজ মিথিলার আসবার কথা আছে। তাই, সে আগেভাগে এখানে চলে এসেছে। সে প্রায়শঃ এরকম করে থাকে। মিথিলার সঙ্গে দেখা করার জন্য সবসময় সে কেবলই ছটফট করে।
আজও সে বাসায় বসে থাকতে পারেনি। একঘণ্টা আগে ছুটে এসেছে। তাদের জন্য আজকের এই জায়গাটা মিথিলাই পছন্দ করেছে। কারণ, আজ ওর জন্মদিন। আর মিথিলাই গতকাল ফোন করে সৌরভকে ঠিক চারটায় এখানে আসতে বলেছিলো। সৌরভ মিথিলার কথা... continue reading

১৫৩

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

ঈশ্বরকে দুর্বাশার অভিশাপ

দুর্বাসাকে অপেক্ষায় রেখে তুমি শয়তানের সাথে পাশা খেলছিলে তখন, ঈশ্বর, কেমন করে পারলে তুমি? কেন করলে এমন? দুর্বাশা ঋষি তোমার অপেক্ষায় কাটালো সারাদিন; যার জ্বলে যায়, সেই তো বোঝে। অপেক্ষা ব্রহ্মচর্যের চেয়েও কঠিন। অপেক্ষায় থাকে চাতক, কবে ঝরবে ক'ফোটা বৃষ্টি; সামনে সাগরে তুফান উঠলেও ফেরেনা সেদিকে দৃষ্টি। ঈশ্বর, দুর্বাসা আজ সর্বহারা। দেখনা কি তার কষ্ট! তার কমন্ডলুতে গঙ্গা নেই আজ। হৃদয়ে খরার কষ্ট। সর্বহারা দুর্বাসা আজ দিয়ে গেল অভিশাপ, ঐশ্বর্য হারাবে তুমি। তুমি করছে ভীষণ পাপ।          continue reading

১০৫

কাফাশ মুনহামাননা

৬ বছর আগে লিখেছেন

হবো দুর্ধর্ষ যমদূত

ভালবাসার নদীতে আর ঝাপ দিতে চাই না
মরীচিকার হাতছানিতে ভরপুর পৃথিবী
যান্ত্রিক নগরের চারদেয়ালে
বিমূর্ত পাথরের রূপধারণ সময়ের দাবি
ছলনার করিডোর বন্ধ করে দাও রাধিকা
নয়তো রূপান্তরেই হবো তোমার
চোখের মায়া হরণকারী দুর্ধর্ষ যমদূত। continue reading

২০১

আহসান কবির

৬ বছর আগে লিখেছেন

দরকার নেই কম্বলের!

শীত, গরম আর বৃষ্টি নাকি মানব সভ্যতার সমান পুরনো! এই তিন ঋতু আদিকাল থেকে ছিল, আছে ও থাকবে। তাই পুরনো দিনের একটা কৌতুক দিয়ে শীতের শুরুটা করা যায়।
রাজা উজিরের কাছে জানতে চাইলেন— প্রতি রাতে শেয়াল ডাকে কেন? এত বিশ্রিভাবে ডাকলে কি ঘুম আসে? উজিরের উত্তর, ‘রাজা মশাই ওদের শীতের কম্বল নেই।’ তাই প্রত্যেক শেয়ালকে একটি করে কম্বল দেওয়ার নির্দেশ শোনালেন রাজা। বিতরণ শেষে উজির এসে রাজাকে জানালো, শেয়ালদের কম্বল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেয়ালদের হুক্কাহুয়া তবু থামলো না। তিন-চার দিন পর রাজা খানিক রেগে উজিরের কাছে জানতে চাইলেন, কম্বল তো দেওয়া হলো। এখনও ডাক থামে না কেন? উজিরের উত্তর, ‘কম্বল পেয়ে... continue reading

১১২

চারু মান্নান

৬ বছর আগে লিখেছেন

হাওয়ায় বেঁচে থাকা

হাওয়ায় বেঁচে থাকা
কোথা হতে বাতাস ছুটে আসে? 
কোথায় বয়ে যায়?
সব কিছুতেই তার ঠাঁই? কোথায় বল নাই?
তার কি মূল্য ভারি? বুঝতে কিসের লয়?
মহা বৈভব মহাকালের হাওয়ার পরতে পরতে
গেঁথে রয়; প্রকৃতির এক শুভ খেলা।

এই উধাও এই ছুঁয়ে যায়
অনুভবে কি বুঝতে শেখায়?
কোথায় উর বসত বাড়ি?
কে রাখে তারে সংরক্ষনাগারে?
একটু শুন্য হলেই ছুটে এসে ঢুকে পরে।

এই হাওয়ার কি তার মূল্য? 
বোধ গম্য নাহি হয়; মৃত্যুকালে একটু হলেও
এর সাধটি বুঝা যায়।

১৪২৪/ মাঘ/ শীতকাল।

continue reading

১৮২

অনুপম শেখর

৬ বছর আগে লিখেছেন

আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে

কারা যেন নিঝুম রাতে আমার বুকের খুব ভিতরে বসে সুর করে কাঁদে! আযান ভেবে ভুল করে বসি, কেউ আসেনা ওযু করে। হঠাৎ ভাঙ্গে ভ্রম ; ওটা জলন্ত চিতার হুঁহুঁ তান। আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে। রোজ ভুলে যাই, কত রঙ আহুতি দিয়েছি নিয়তির শ্মশানে। কতশত শতাব্দী যে বসে রয়েছি সারা দেহে ছাই মেখে! (সে হিসেব কে রাখে!) তোমরা যারা আজও নাক সিঁটকাও আমায় দেখে ; চন্দন আর স্বপ্ন পোড়া ঘ্রাণের চাঁপাকষ্টটুকু ততটা খারাপ নয়।(জেনে রাখো।) আমার বুকের তলে একটা চিতা জ্বলছে। সেখানে আমি তবু ঠায় বসে রয়েছি। একদিন গঙ্গা ধারণ করবো মস্তকে। (দেখে নিও।) কতশত শতাব্দী যে বসে... continue reading

১২৩

প্রিন্স মাহমুদ রহিম

৬ বছর আগে লিখেছেন

আমি কেউনা

ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল উন্মত্ত মরুঝড়ে অচেনা উৎস থেকে আচমকা পাওয়া পরিমাণমত অক্সিজেন।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল প্রচন্ড শীতের রাতে রহস্যাবৃত উষ্ণতা
তোমার শরীরে।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল পরীক্ষার আগের রাতে তোমার অসুস্থতার
সময়ে একটা দমকা হাওয়া।
নিমিষেই সুস্থ তুমি।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল দুঃসময়ে অজানা উৎস থেকে নির্গত এক চিলতে আলো।
তুমি মুহূর্তেই পথ খুঁজে পাও।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল তোমার তোমার ভয়ানক মাথাব্যথায়
এক কাপ চা।
ফুরফুরে তুমি অবিশ্বাস্যভাবে।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল তোমার বিষন্ন বিকেলে দখিনের দিগন্তে
হঠাৎ করে উড়ে যাওয়া একঝাঁক গাংচিল।
তুমি কেমন যেনো ভালোলাগায় শিহরিত হও।
ধরো-
আমি কেউনা।
আমি কেবল তোমার জ্বরের ঘোরে একটা জলপট্টি।
মোলায়েম... continue reading

১৪২

সমুদ্র মিত্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

Prisoners Youth

Foggy afternoon,
There is no sun light and still,
to see each other's face .
There is no sky and white clouds float yet,
clouds in the sky like a kite in the evening.
And there are some unknown facts
some unknown fear.
Return home when the evening call to prayer.
The unknown night at seven and thirty,
Tunes hearing sorrow and tragedy.
Oil lamp light to illustrate books 
all the unclear face with red light .
There are plenty of iron sheet dabby.
Drawing the morning mist,
Smiley.
Little bushes before the window
There was the sound of crickets.
Some blue light,
burning out.
Remember, the freezing
darkness is... continue reading

১১৪
ব্লগের গতিশীল/ট্রেন্ডিং বিভাগসমূহ