সবাইকে রোজ অফিস করতে হয়। শিক্ষক হওয়ার কারণে হরতাল হলে ক্লাস না নেওয়ার একটা অজুহাত পাই। নিজেকে বুঝাই যে আমার ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা আগে। কিন্তু অবরোধ হলে আবার ক্লাস চলে। বয়সের দিক দিয়ে পরিপক্ব হওয়া সত্ত্বেও রাজনীতির এই কূটনৈতিক শব্দগুলো বুঝতে শিখলামনা। 'হরতাল' ও'অবরোধ' কিসেরজন্য! এদের ভিতর মৌলিক পার্থক্য কি!!
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতনদের রোষের কারণে প্রতি দিন আমাকে ক্লাস নিতে ধানমণ্ডি থেকে বারিধারা যেতে হয়। রোষ না থাকলে হয়তো আগের মত কাকরাইলক্যা ¤পাসেই ক্লাস নিতে পারতাম। বাসা থেকে কাছে হত। মানসিক শান্তি থাকত আমার, আমার মায়ের, আমার স্ত্রীর। যেকোনপেশাতেইমানসিকশান্তিযেকিঅমূল্যতাবলেবোঝানোযায়না।নিজেরপেশারসমর্থনেযদিবলি, তাহলেবলতেহয়শিক্ষকদেরযদিছাত্র-ছাত্রীদেরনিজেরপুরোটাদেওয়ারইচ্ছাওথাকেতাহলেমানসিকশান্তিটাওপুরোটাথাকতেহবে।নতুবাকাজেআসবেউদাসীনতা।যারপ্রভাবপড়বেআমাদেরছাত্রছাত্রীদেরওপর।এখানেইহয়তোঅন্যপেশারসাথেআমাদেরপেশারপার্থক্য।আমাদেরউদাসীনতাভবিষ্যৎপ্রজন্মেরওপরপ্রভাবফেলে।
সেযাইহোক!!! বারিধারাযেতেহলেবাসেকরেইযাই।অনেকঅফিসগামীলোকেরসাথেবাসেউঠি।তাঁদেরউৎকণ্ঠাউদ্বেগশুনি।মিলাই।আমারস্ত্রী, আমারমায়েরওএদেরমতইউদ্বেগ।নিজেরসন্তান, নিজেরমানুষদেরনিয়েআমাদেরকিঅদ্ভুতপক্ষপাতদুষ্টতা।মাঝেমাঝেআমিভাবিযেমানুষেরএই'স্বার্থপরতা' কিমানুষেরস্বাভাবিকপ্রবণতা!! নাকিআমরাএটাদিনকেদিনঅর্জনকরেচলেছি।এইযেআমি, ক্লাসনেই,...
continue reading