Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

রাজু আহমেদ

৮ বছর আগে লিখেছেন

পশুর রক্ত কিংবা গোশত নয় বরং খোদভীতি বেশি জরুরী

সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ । কুরবানী শব্দের শাব্দিক অর্থ উৎসর্গ বা ত্যাগ করা । ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, জিলহজ্জ্ব মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের যে কোন দিন ইসলামী শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত জন্তুকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মানসে জবেহ করাকে কুরবানী বলা হয় । নিঃসন্দেহে কুরবানী মুসলমানদের পক্ষ থেকে আল্লাহর প্রতি অগাধ প্রেম ও অনুপম আনুগত্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । বিশ্বের প্রায় ১৫৫ কোটি মুসলিম ব্যাপক ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালন করবে তাদের এ পবিত্র উৎসবটি । আল্লাহর অপার অনুগ্রহে বাংলাদেশী ধনী-গরীব মুসলমানরাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঈদ আনন্দ উদযাপন করবে । মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর মাধ্যমে আমরা ঈদুল আযহাকে আমাদের ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পেয়েছি । কোরআন মাজীদ ও হাদীসের ভাষ্য মতে, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর পুত্র হযরত ইসমাঈল (আঃ) ও ঈব্রাহীম (আঃ) এর মধ্যে সংগঠিত আল্লাহ তা‘য়ালার পক্ষ থেকে তাদেরকে চরম ঈমানী পরীক্ষার মাধ্যমেই আমরা কুরবানীর ঈদ লাভ করেছি । ঐতিহাসিক সে ঘটনাটির সারসংক্ষেপ হল, তখন ইব্রাহীম (আঃ) এর নবুয়তের জীবন চলছিল । মহান আল্লাহ তা‘য়ালা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে স্বপ্নের মাধ্যমে আদেশ করলেন তার প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে । স্বপ্নে প্রাপ্ত আদেশ অনুযায়ী হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তার প্রিয় নানা ধরনের বস্তু আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার পরে যখন বুঝতে পারলেন যে, আল্লাহ তা‘য়ালা তার কোন বস্তুগত সম্পদের কুরবানী চান না বরং তার কলিজার টুকরা, নয়নের মনিতুল্য তার প্রিয় সন্তানের কুরবানী চান । হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তার বার্ধক্যের অবলম্বন ইসমাঈল (আঃ) কে আল্লাহ সন্তুষ্টির লক্ষ্যে কুরবানী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং সে মোতাবেক সন্তানকে নিয়ে তার... continue reading
Likes Comments
০ Shares

রাজু আহমেদ

৮ বছর আগে লিখেছেন

কাচা ঝালে ঝালায়িত !

ফ্রিজের ফাঁক-ফোকর আঁতিপাতি করে খুঁজলাম । না ! কোথাও কাচা মরিচ তো দূরের কথা একটা মরিচের বোঁটাও পেলাম না । ঝালবিবিকে বললাম, ওগো ! একটা কাচা মরিচ দাও ! পান্তা ভাতের সাথে মাখিয়ে খাব ! সাথে একটা পেঁয়াজও দিয়ো । রান্নাঘর থেকে ঝালবিবিরি যে ঝাঁজ আসলো তাতে শুধু আমি কেন আমার চৌদ্দ পুরুষের পিঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তাভাত ভক্ষণের স্বাদ মিটে গেছে । অগত্যা নুন দিয়েই পান্তাভাত সাবার করে কাজে যাওয়ার মনোস্তাব করলাম ।
.
.
ভাতের সাথে কামড়ে কামড়ে খাওয়ার জন্য অতীতে ঝালবিবির কাছে যখনই কাঁচা মরিচ চাইতাম তখন বিবি অতি যতনে পিঁয়াজ কুটি কুটি করে সামনে এসে আদুরে গলায় বলতো, ওগো ! আজ পেঁয়াজ-কাচা মরিচ দিয়ে খেয়ে নাও । রাগ করো না ! কিছুই রাঁধতে পারিনি । তোমার গ্যাদাটা সারাদিন যা জ্বালায়িছে । শুধু ভাত রাঁধতে পেরেছি তাই ভাগ্য ! তাছাড়া আজ রাক্ষসী কিরণমালাকে বেঁধে রেখে রাজকুমারকে হত্যা করেছে । পর্বটি দেখে  আমি পাক্কা দু’ঘন্টা কেঁদেছি । তুমি তো জানো, আমি কত আবেগী ! রান্না করতে গেলে যদি আবেগের ঠেলায় তরকারীতে নুন, হলুদ-মরিচ বেশি দিয়ে বসতাম তখন তুমি আমার সাথে ঝগড়া করতে না বলো ? তাই রাঁধিনি ! ভালো করছি না ! তাছাড়া তুমি তো জানো না ! পাশের বাসার ভাই দু’বেলায়ই পেঁয়াজ-মরিচ দিয়া খায় । ভাবী সেটা নিয়ে আমার সাথে কত গর্ব করে । আমাকে গর্ব করার মত একটা ব্যবস্থা তুমি করে দিবে না ? তুমি কি একবেলাও খেঁতে পারবা না ।
.
.
ঝালবিবির অতীতেরে এমন স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে আজকের আচরণ মিলাতে গিয়ে সামনে পড়ল গতকালের বাঁসি পত্রিকা ।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

রাজু আহমেদ

৮ বছর আগে লিখেছেন

সবুজ প্রাকৃতির স্পর্শে বাঁধনহারা কাটুক কয়েকটি ঘন্টা

শহরেরইটপাথরেরঅট্টালিকায়বন্দিজীবন, অবিরামচলতেথাকাযন্ত্রেরচাকারসাথেতালমিলাতেকিংবাযানবাহনেরকানফাটানোভেঁপুআমাদেরপ্রত্যাহিকজীবনাচারকেঅতিষ্ঠকরেতোলে।তবুওআমরানিরুপায়কেননাজীবনওজীবিকারতাগিদেমনেরবিরুদ্ধেআবদ্ধথাকতেহয়শহরেরগন্ডিবদ্ধজীবনে।একসময়যান্ত্রিকগতিরসাথেতালমিলাতেমানুষওরোবটিকআচরণকরতেশুরুকরে।কিন্তুএভাবেকতক্ষণ ? মানুষেরদ্বারাইযন্ত্রেরআবিষ্কারতবুওযন্ত্রেরপ্রচন্ডগতিরসাথেতালমিলিয়েমানুষেরচলারপ্রাণশক্তিঅবিরামভাবেকতক্ষণঅবশিষ্টথাকে ? সুস্থভাবেবেঁচেথাকারজন্যশুধুখাদ্যগ্রহনইযথেষ্টনয়।ক্রমস্থূলতায়ধাবমানদেহতেনতুনকরেপ্রাণশক্তিসঞ্চারেরজন্যভ্রমনকিংবাবায়ুপরিবর্তনেরভূমিকাঅনস্বীকার্য।আধুনিকচিকিৎসাব্যবস্থায়ওচিকিৎসকরারোগীকেসুস্থতাফিরেপেতেবায়ুপরিবর্তনেরপরামর্শদেন।তাছাড়াকিছুকিছুবিশেষবিষয়েরজ্ঞানঅর্জনেপুস্তিকাঅধ্যয়ণেরচেয়েপ্রাকৃতিরসঙ্গঅনেকবেশিগুরুত্বপূর্ণভূমিকাপালনকরে।শহরেরগদবাধাজীবনকাঠামোযখনজীবনকেহাঁসফাঁসকরেতোলেতখনকিছুসময়প্রাকৃতিরসঙ্গশুধুদেহেরমধ্যেকাজকরারনতুনউদ্যমতাফিরিয়েদেয়নাবরংমন-মেজাজকেসতেজ-ফুরফুরেকরেতোলে।প্রত্যেকটিশহরথেকেকিছুদূরত্বেমানুষসৃষ্ঠকিংবাপ্রাকৃতিরঅপারলীলাভূমিআমাদেরকেআনন্দদিতেসদাপ্রস্তুত।আমাদেরদায়িত্বশুধুএগুলোখুঁজেবেরকরেসেখানথেকেউপকারলাভকরা।শহরেরজীবনেরঅত্যাচারথেকেসামান্যসময়বিশ্রামপেলেমানুষকেযেজায়গাগুলোসাধারণতআকর্ষণকরেতারমধ্যেঅরণ্য, পাহাড়, সাগরপ্রভৃতিউল্লেখযোগ্য।শহরেররুক্ষবায়ুরপ্রাণহীনজীবনছেড়েকয়েকঘন্টারজন্যশহরথেকেমাত্রকয়েককিলোমিটারদূরেগিয়েআজযেপ্রশান্তিপেলামতাভালোথাকারশুণ্যভান্ডারটিকেভালোলাগায়পূর্ণকরেদিয়েছে।আফসোসহয়েছে, অতীতসময়েরজন্যযখনখুঁজেপাইনিএমনআনন্দেরমূহুর্ত।ছুটিরদিনে, স্বল্পখরচেযেএতআনন্দহৃদয়েজাগিয়েতোলাসম্ভবতাসত্যিইএতদিনঅকল্পনীয়েরচাদরাবৃতছিল।তবুওবাস্তবতায়যেপেয়েছিতাকেআরকল্পনারজগতেঠাঁইদিতেচাইনা।
.                        
.
বাংলারভেনিসখ্যাতশহরবরিশাল।দেশেরভৌগলিকসীমারেখায়সর্বদক্ষিণেরএটিএকটিবিভাগীয়শহর।কীর্ত্তনখোলানদীরতীরেবিভাগীয়শহরেরপ্রাণকেন্দ্রটিগড়েউঠলেওঅসংখ্যবিখ্যাতওবৃহৎনদী-খালজালেরমতছড়িয়েআছেবরিশালেরসর্বত্র।প্রাকৃতিরঅপারলীলাভূমিতথাসাগরকণ্যাখ্যাতকুয়াকাটারসুনামশুধুদেশেরগন্ডীতেনয়বরংগোটাবিশ্বজুড়ে।এছাড়াওএবিভাগেআরওহাজারওদর্শণীয়স্থানরয়েছেযেখানেপ্রত্যহহাজারহাজারদর্শনার্থীরপদচারণাঘটেএবংতারাতৃপ্তিভরেপ্রাকৃতিকসৌন্দর্য্যওইতিহাসসম্পর্কেঅবগতহয়।বিভিন্নদিকবিবেচনায়সমগ্রবিভাগটিকেইপ্রাকৃতিকওকৃত্রিমভাবেসৃষ্টসৌন্দর্যেরতীর্থভূমিবলাচলেতবুওকিছুকিছুস্থানেরবিশেষস্বতন্ত্রবৈশিষ্ট্যেইসেগুলোকেআলাদাভাবেসুন্দরেরদাবীদারবানিয়েছে।আজবরিশালসদরথেকেমাত্রকয়েককিলোমিটারউত্তর-পশ্চিমেঅবস্থিততিনটিবিখ্যাতওনান্দনিকস্থানেরসৌন্দর্যতুলেধরবোযেস্থানগুলোকেআমিমাত্রকয়েকঘন্টাপূর্বেপরখকরেএসেছি।যদিওউপভোগকরাপ্রাকৃতিকওকৃত্রিমসৌন্দর্যভাষায়বর্ণনাকরেবোঝানোরব্যাপারনয়তবুওসাধ্যমতচেষ্টাথাকবে।তবেআমারকথারসত্যতাযাচাইকরারজন্যহলেওএকবারনিম্নেউল্লিখিতস্থানতিনটিভ্রমনকরুন।নিশ্চয়তাদিচ্ছি, আপনারমধ্যেযদিবিন্দুমাত্রপ্রেম, প্রকৃতিরপ্রতিটানথাকেতবেভালোনালেগেকোনউপায়নাই।
.
.
 
এক. চাখারেশেরেবাংলাজাদুঘর-
 
 .
.
বরিশালশহরেরকেন্দ্রীয়বাসটার্মিনালতথানথুল্লাবাদবাসস্টপেজথেকেবাসকিংবামাহিন্দ্রাসহসকলপ্রকারযান্ত্রিকবাহনেবরিশাল-বানারীপাড়ারুটেমাত্র৩০-৪০মিনিটেচাখারেপৌঁছাযায়।এজন্যযানবাহনেচরেগুয়াচিত্রানামকস্থানেনেমেরিকশাকিংবাভ্যানযোগেশেরেবাংলাজাদুঘরেযেতেহবে।যদিওপর্যটনকেন্দ্রহিসেবেএজাদুঘরটিরস্বীকৃতিমেলেনিকিংবাআনুষ্ঠানিকউদ্ভোধনওহয়নিতবুওখুলনাপ্রত্নতত্ত্বঅধিদপ্তরএজাদুঘরটিনিয়ন্ত্রনকরছে।শহীদপ্রেসিডেন্টজিয়াউররহমানশেরেবাংলাএকেফজলুলহকেরবাসভূমিঅবলোকনকরতেএবংচাখারকলেজউদ্ভোধনকরতেএসেবাংলারবাঘখ্যাতফজলুলহকেরস্মৃতিচিরঅম্লানরাখারমানসেএজাদুঘরটিপ্রতিষ্ঠারঘোষণাদেন।বাংলারভূমিতেজন্মগ্রহনকারীমাত্র৩জনগুরুত্বপূর্ণ, শ্রেষ্ঠব্যক্তিওনেতারওযদিতালিকাকরাহয়তাতেওযেব্যক্তিরনামটিতালিকারশীর্ষেরদিকেস্থানপাবেতিনিদক্ষিণবাংলারগর্বশেরেবাংলাএকেফজলুলহক।তাকেবাদদিয়েবাংলারওবাঙালিরইতিহাসলেখারসাধ্যআছেএমনটাকেউকোনকালেইদাবীকরতেপারবেনা।বিপুলদেহাকৃতিরকারণেনয়বরংজ্ঞান-গরীমা, অনলবর্ষীভাষণতাকেবাংলারবাঘখেতাবেভূষিতকরেছে।বাংলাদেশেরস্বাধীনতারস্থপতিবঙ্গবন্ধুর continue reading
Likes Comments
০ Shares

রাজু আহমেদ

৮ বছর আগে লিখেছেন

লজ্জাও বোধহয় আমাদের দেখে লজ্জা পায়

লজ্জা শব্দটির সাথে আমরা কে কতটুকু পরিচিত তা ঠিক জানি না । তবে লজ্জার কথা উঠলেই মাঝে মাঝে অনেকের মুখ থেকে বেড়িয়ে আসে লজ্জা ! সেটাতো নারীর ভূষণ । বলার ভঙ্গি দেখে মনে হয়, পুরুষের ওটা থাকা উচিত নয় ! তবে পুরুষের জন্য এ জাতীয় কোন শব্দটি নির্ধারিত তা এখন ঠিক করা আবশ্যক । লজ্জা শুধু নারীদের থাকবে কেন বরং পুরুষের আরও বেশি থাকা উচিত । লজ্জা নিয়ে লিখতে আজ নিজেরই লজ্জা হচ্ছে কারণ আজ লজ্জা শব্দটির পোষ্ট মর্টেম নয় বরং আমাদের বিবেকবোধ-দৃষ্টিভঙ্গির পোষ্ট-মর্টেম করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি । এ আদেশ কোন কর্তৃপক্ষের নয় বরং বিবেকবোধের, শিক্ষা-সংস্কারের এবং ঐতিহ্য-সভ্যতার ।
 
 
আমাদের রাজধানী ঢাকাকে নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নাই । নিকট ভবিষ্যতেই হয়ত পৃথিবীর জনবহুল মেগাসিটিগুলোর একটিতে পরিণত হতে যাচ্ছে ঢাকা । তবে দুঃসংবাদ হলো, ইতোমধ্যেই ঢাকা বিশ্বের বাস অযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে । পৃথিবীতে এমন কোন মেগাসিটি নাই যেটাতে ঢাকার মত এত দুঃসহ যানজট, বিশাল বিশাল ময়লা আবর্জনার স্তুপ, উম্মুক্ত ম্যানহোল, খোলা ডাস্টবিন, বস্তির সারি এবং এতটা ঘোমট দুর্গন্ধময় । অপরিকল্পিত শহরের তালিকা যদি করা হয় সেখানে নিসংন্দেহে ঢাকার অবস্থানও সবার শীর্ষের দিকেই থাকবে ।
 
 
কতিপয় বিদেশী নাগরিক স্ব উদ্যোগে নিজ হাতে ময়লা সরানোর বেলচা ও ঝাড়ু তুলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা-আবর্জনা দূর করে ঢাকাকে একটি সুন্দর-পরিস্কার শহর গড়ে তুলতে কাজ করছে । যে কাজ আমাদের করার কথা তা বিদেশীরা করে আমাদেরকে সচেতন করছে এবং লজ্জায় ফেলেছে । ভুলেই গেছি, আমাদের আবার লজ্জা কিসের ! যদি ণ্যূনতম লজ্জাও থাকতো তবে আমাদের শহরটিকে বিদেশীরা পরিস্কার করছে আর আমরা... continue reading
Likes Comments
০ Shares

রাজু আহমেদ

৮ বছর আগে লিখেছেন

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

জর্জ ওয়াশিংটন ছাড়া যেমন যুক্তরাষ্ট্র, কামাল আতাতুর্ক ছাড়া যেমন আধুনিক তুরস্ক, নেলসন ম্যান্ডেলা ছাড়া যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ছাড়া যেমন ভারতের ইতিহাস পূর্ণতা পায়না তেমনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাস কল্পনা করা যায় না । বঙ্গবন্ধু একটি নাম একটি অসমাপ্ত ইতিহাস । বাংলাদেশের সাথে বঙ্গবন্ধু কিংবা বঙ্গবন্ধুর সাথে বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্দভাবে জড়িত । যেন একটি আরেকটির পরিপূরক । আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার নামে ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্র বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়েছিল সেই মানুষটিই পরবর্তীতে বাংলাদেশীদের প্রাণের পুরুষে পরিণত হয় এবং তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র পরিচয়ের কথা কল্পনাতীত হয়ে দাঁড়ায় । ১৯৪৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর আমৃত্যু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশীদের মুক্তি ও অধিকার ফিরিয়ে আনতে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন । ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত তিনি এ জাতির পক্ষে ত্রাতার ভূমিকায় ছিলেন । হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর শিষ্য হিসেবে তিনি কখনো ক্ষমতার মোহে অন্ধ হননি বরং সর্বদা চেষ্টায় ছিলেন কিভাবে এদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র এবং এ জাতিকে স্বতন্ত্র জাতীয়তাবোধের স্বাদ দিতে পারেন । পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর অপসাশনের বিরোধীতা করার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ কারগারে কেটেছে । ফাঁসির হুমকিতেও তিনি ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবোধ কিংবা এ জাতির অধিকার আদায়ের পক্ষে অবস্থান থেকে এক চুলও পিছপা হননি । পাকিস্তানে বর্বর শাসকগোষ্ঠী যখন সর্বত্র থেকে বাংলা নামক শব্দটি উচ্ছেদে ব্যস্ত তখন তিনি বুক চিতিয়ে বাংলাকে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ় সংকল্প । হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মরণসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এক সময় এ দেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে বাংলা কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকু... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    ভাল লাগল

     

    - মফিজুল ইসলাম খান

    ধন্যবাদ।

Load more writings...