Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

দিলারা জামান

৮ বছর আগে লিখেছেন

প্রতিযোগিতার তাড়না নায়, ছোটদের ভালোবাসা, সময় ও আত্মবিশ্বাস দিন

বছর বারো বয়স। দু’জনে একই ক্লাসে পড়ে। মেয়েটিকে খুব ভাল লাগত সোহমের। কিন্তু বলার সাহস করে উঠতে পারছিল না। যদি সটান না বলে দেয়...। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। বন্ধুদের সামনে ‘না’ বলে দেয় মেয়েটি। মেনে নিতে পারেনি সোহম। স্কুলেরই পাঁচ তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয়।
রাহুলকে খুব ভাল লাগত সদ্য ষোলোয় পা দেওয়া রিয়ার। কিন্তু রিয়ারই প্রিয় বান্ধবী জাহ্নবীর প্রেমিক রাহুল। অতএব, বন্ধুর সঙ্গে রাহুলের সম্পর্কটা ভাঙতে কিছু একটা করতেই হবে, স্থির করে ফেলে রিয়া। বান্ধবীর নামে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে ফেলে। আর তার পর তার নামে একের পর এক আপত্তিকর পোস্ট করত থাকে। অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে ‘সাইবার বুলিং’-এর মতো অপরাধে। আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল জাহ্নবী।
যে কোনও উপায়ে হোক, কিছু পেতে অন্যকে আঘাত করা বা স্রেফ আনন্দ পেতেই কাউকে সকলের সামনে ছোট করা বা কিছু না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া— মনের জটিল অসুখেরই নামান্তর। ছোটদের অনেকেই এই জটিল ‘রোগে’ আক্রান্ত। বাবা-মায়েরা তাদের সামান্য সর্দি-কাশি-জ্বরের খবর রাখলেও, মনের খবর টেরই পান না। বহু ক্ষেত্রে গুরুত্বও দেন না। সম্প্রতি এমন তথ্যই উঠে এসেছে ‘জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর একটি সমীক্ষায়।
জীবনযাত্রার ধরন বদলানোয় এ দেশেও বিষয়টা যে ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে, তা মেনে নিচ্ছেন এখানকার মনোবিদরা। তাঁদের মতে, অধিকাংশ পরিবারেই একটি বা দু’টি সন্তান। সে যা চাইছে, চাকুরিজীবী বাবা-মা তা-ই দিচ্ছেন। চাইলেই পাওয়া যায়, এই ধারণাটা তৈরি হয়ে যাচ্ছে ছোটদের। তাই প্রত্যাখ্যান মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে অন্য সমস্যা। বাবা-মা যথেষ্ট সময় দিতে না পারায় একাকীত্বে ভুগছে সন্তান। কাউকে একটা আঁকড়ে ধরতে চাইছে। তা সে স্কুলের বন্ধুই হোক বা অন্য কোনও প্রিয়জন। আর সেখানেও ধাক্কা খেলে মেনে নিতে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

দিলারা জামান

৮ বছর আগে লিখেছেন

আসুন সাবাই মিথ্যা বলা বন্ধ করি ও মিথ্যাবাদি চিনে নেই

সমাজ আজকাল মিথ্যার জালে ফেঁসে আছে। ঠকার আগে বরং বোঝার চেষ্টা করুন কেউ কী ভাবে একের  পর এক মিথ্যে বলে যাচ্ছে। একটু মন দিয়ে খেয়াল রাখুন সামনের ব্যক্তির বডি ল্যাঙগুয়েজ।সহজে আর কেউ তাহলে মিথ্যের জ্বালে আপনাকে ফাঁসাতে পারবে না।
কিছু বিষয় লক্ষ করলে আপনি মিথ্যাবাদী চিনতে পারবেন -
১) যারা মিথ্যে কথা বলে  খুব সহজ প্রশ্নের উত্তরেও তারা অতিরিক্ত মাথা ঝাঁকায়। সরাসরি চোখের দিকে না তাকিয়ে খানিকটা তেরচা ভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়।
২) মিথ্যে কথা বলার সময় সাধারণত জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়। হঠাত্ করেই বেড়ে যায় কাঁধ ঝাকানো। কণ্ঠস্বর অগভীর হয়ে ওঠে। আসলে মিথ্যা বলার সময় নার্ভাস হয়ে যায় মিথ্যুক। পরিবর্তন হয় তাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন ও হৃদস্পন্দনে। যার প্রভাব পরে তাদের বাহ্যিক অভিব্যক্তিতে।
৩) মিথ্যে বলার সময় সাধারণত মানুষ মনে মনে ভয় পায়, সব সময় মনে হয় এই বুঝি ধরা পরে গেল, ফলে অনেক ক্ষেত্রে বাহ্যিক ভাবেই অনেক বেশি রিজিড হয়ে যায়। সব সময় চেষ্টা করে কথাটা কোনও রকমে বলেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার।
৪) নিজের মিথ্যেটাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একই কথা বারবার বলে। বলেই যায় ‘আমি এটা করিনি’।
৫) প্রয়োজনের তুলনায় যখনই কেউ কারোও সম্পর্কে অতিরিক্ত ইনফরমেশন দেওয়ার চেষ্টা করে, তাতে কোনও না কোনও মিথ্যে লুকিয়েই থাকে।
৬) মিথ্যে বলার সময় কোনও ব্যক্তি সচরাচর তার ঠোঁটে হাত দেয়।
৭) মিথ্যে বলার সময় সাধারণত জিভ, ঠোঁট শুকিয়ে আসে। অনেক বার ঢোক গিলতে হয়। ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার ফলে বার বার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটতে হয়।
৮) মিথ্যেবাদীরা আই কনট্যাক্ট এড়িয়ে চলে। তাদের চোখের পাতা ঘনঘন পড়ে।
এছারাও ব্যক্তিবিশেষ আরও... continue reading
Likes Comments
০ Shares

দিলারা জামান

৮ বছর আগে লিখেছেন

ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা ও সমাধান

ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ কমই আছেন। কাজের চাপ, ঘুমের অভাব, পুরনো চোট বা শরীরচর্চা না করা; যে কারণেই হোক না কেন ঘাড়ের ব্যথা ভোগায় অনেককেই। রোজ কী কী করলে উপকার পাবেন, প্রচন্ড ব্যথাতেই বা কী ভাবে আরাম পাবেন।
 
কী কী কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয়?
১। এক টানা অনেকক্ষণ চেয়ারে বসে কাজ করলে
২। ঘুমনোর সময় বাজে ভাবে শোওয়ার জন্য
৩। অতিরিক্ত স্ট্রেস
৪। হঠাত্ খিঁচ ধরলে
 
প্রচন্ড ব্যথা হলে কী করবেন-
১। আদা- ঘাড়ের শিরা ফুলে গিয়ে যন্ত্রণা হয়। আদার রস, আদা চা খেলে ফোলা কমে ব্যথা জলদি উপশম হবে। অফিস থেকে বাড়ি ফিরে খেয়ে নিন আদার রস। ঘাড় রিল্যাক্স হয়ে আরাম পাবেন।
২। আর্নিকা- ব্যথা কমাতে যে আর্নিকা কতটা উপকারী তা অল্প বিস্তর আমরা সকলেই জানি। টাটকা আর্নিকা পাতার রস থেকে তৈরি করা হয় এই ওষুধ। ব্যথা কমানো, স্টিফ হয়ে যাওয়া ঘাড় থেকে আরাম পেতে আর্নিকা খুবই উপকারী।
৩। মেন্থল ও কর্পূর- ব্যথা জায়গায় মেন্থল ও কর্পূর এক সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। ঘাড়ের পেশি শিথিল হয়ে ঠান্ডা অনুভূতি হবে। আরাম পাবেন।
৪। ল্যাভেন্ডার- বহু প্রাচীন কাল থেকেই ব্যথা কমানোর কাজে ল্যাভেন্ডার ব্যবহার করা হয়ে এসেছে। ল্যাভেন্ডার অয়েল কিনে বাড়িতে রাখুন। ঘাড়ে ব্যথা হলে ল্যাভেন্ডার অয়েল লাগান। আরাম পাবেন।
৫। স্নান- হালকা গরম জলে সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে চার-পাঁচ মিনিট স্নান করুন। স্নান করার সময় ঘাড় নাড়াচাড়া করবেন না। আস্তে আস্তে স্টিফ ঘাড় ঠিক হয়ে যাবে।
৬। আইস প্যাক- ঘাড়ের ব্যথা যদি অসহ্য হয়ে ওঠে তাহলে আইস প্যাক চাপা দিয়ে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে আরাম পাবেন।
৭।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

দিলারা জামান

৯ বছর আগে লিখেছেন

চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ- এর মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন


দেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন ইউএনএইচআর। 
 
পাশাপাশি সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। 
 
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের মুখপাত্র রাভিনা সামদাছানি এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। 
 
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাদের গ্রেফতার ও আটকের বিষয়টি যে স্বৈরাচারী নয় তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। 
 
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আলোকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুন:প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়। 
 
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতা আরো ঘণীভূত হচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ- এর মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন।   continue reading
Likes Comments
০ Shares

দিলারা জামান

৯ বছর আগে লিখেছেন

একটু চুপ থাকুন প্লিজ

গত চার পাঁচদিনে ঢাকা শহরে কেউ চলাফেরা করেছেন? মোটামুটি অতিষ্ঠ হয়ে গেছে জনজীবন। এ্যাত জ্যাম! প্রতিটা সিগন্যালে মনে হয় কয়েকশ গাড়ী থেমে আছে। রাগে দুঃখে কষ্টে কিছু করারও থাকে না। গাড়ী ভিতর মোবাইল টিপে সময় পার করাটা যে কতটা কষ্টের তা আমার  মত ভুক্তভোগীরা জানেন। কোন জায়গায় সময় মত পৌঁছা যায় না। সব টাইম টেবিল উলোট পালোট হয়ে যাচ্ছে। অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না। তবে আমার মনে হয় এগুলোর চাইতেও ভয়াবহ শব্দ দূষণ। এর ফলে মানুষের উচ্চ চাপ তৈরি হচ্ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। যেমন কালই আমি বিনা কারণে মানুষকে বকাবাকি করলাম। এমনকি এমন সব ভাষা বলেছি যা সাধারণত বলতাম না। যারা গাড়ীতে চলেন না বা যারা সাউড প্রুফ গাড়িতে ঘুরেন না তাদের অনুরোধ করছি একটা এয়ার প্লাগ কিনে নিতে। আর আপনিও খেয়াল রাখুন যে যেন আপনি নিজে যেন শব্দ দূষণ না করেন।

continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - দিলারা জামান

    ভাই কিছু মনে করবেন না। কবিতাটি পড়ে মনে হচ্ছে, এটা একটা লেখা যা আমি মানুষকে পড়ে শোনাচ্ছি, উপদেশ বা জিনিসটা বুঝাই দিচ্ছি। 

    • - ফাতিন আরফি

      হুম, হতে পারে। স্বাভাবিক ব্যাপার। 

    - টোকাই

    পৃথিবীর সব ব্যর্থ প্রেমিক এবং যন্ত্রণা বিভোর মানুষের মতো—
    প্রচণ্ড মৃত্যু ভালোবাসি !

    emoticons

    • - ফাতিন আরফি

      ধন্যবাদ। 

    • Load more relies...
    - সালমান মাহফুজ

    "ঈশ্বর, বন্ধু কিংবা প্রেমী—
    যাকেই তুমি একবার ভালোবাসো; সে তোমার— চিরদিনের জন্যই তোমার
    যদি তাকে দূরে সরাতে চেষ্টা করো— সে কেবল ফিরে ফিরেই আসবে— " ---- অসাধারণ বক্তব্য ।

    • - ফাতিন আরফি

      ধন্যবাদ। 

Load more writings...