বছর বারো বয়স। দু’জনে একই ক্লাসে পড়ে। মেয়েটিকে খুব ভাল লাগত সোহমের। কিন্তু বলার সাহস করে উঠতে পারছিল না। যদি সটান না বলে দেয়...। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। বন্ধুদের সামনে ‘না’ বলে দেয় মেয়েটি। মেনে নিতে পারেনি সোহম। স্কুলেরই পাঁচ তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয়।
রাহুলকে খুব ভাল লাগত সদ্য ষোলোয় পা দেওয়া রিয়ার। কিন্তু রিয়ারই প্রিয় বান্ধবী জাহ্নবীর প্রেমিক রাহুল। অতএব, বন্ধুর সঙ্গে রাহুলের সম্পর্কটা ভাঙতে কিছু একটা করতেই হবে, স্থির করে ফেলে রিয়া। বান্ধবীর নামে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে ফেলে। আর তার পর তার নামে একের পর এক আপত্তিকর পোস্ট করত থাকে। অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে ‘সাইবার বুলিং’-এর মতো অপরাধে। আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল জাহ্নবী।
যে কোনও উপায়ে হোক, কিছু পেতে অন্যকে আঘাত করা বা স্রেফ আনন্দ পেতেই কাউকে সকলের সামনে ছোট করা বা কিছু না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া— মনের জটিল অসুখেরই নামান্তর। ছোটদের অনেকেই এই জটিল ‘রোগে’ আক্রান্ত। বাবা-মায়েরা তাদের সামান্য সর্দি-কাশি-জ্বরের খবর রাখলেও, মনের খবর টেরই পান না। বহু ক্ষেত্রে গুরুত্বও দেন না। সম্প্রতি এমন তথ্যই উঠে এসেছে ‘জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর একটি সমীক্ষায়।
জীবনযাত্রার ধরন বদলানোয় এ দেশেও বিষয়টা যে ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে, তা মেনে নিচ্ছেন এখানকার মনোবিদরা। তাঁদের মতে, অধিকাংশ পরিবারেই একটি বা দু’টি সন্তান। সে যা চাইছে, চাকুরিজীবী বাবা-মা তা-ই দিচ্ছেন। চাইলেই পাওয়া যায়, এই ধারণাটা তৈরি হয়ে যাচ্ছে ছোটদের। তাই প্রত্যাখ্যান মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে অন্য সমস্যা। বাবা-মা যথেষ্ট সময় দিতে না পারায় একাকীত্বে ভুগছে সন্তান। কাউকে একটা আঁকড়ে ধরতে চাইছে। তা সে স্কুলের বন্ধুই হোক বা অন্য কোনও প্রিয়জন। আর সেখানেও ধাক্কা খেলে মেনে নিতে... continue reading
রাহুলকে খুব ভাল লাগত সদ্য ষোলোয় পা দেওয়া রিয়ার। কিন্তু রিয়ারই প্রিয় বান্ধবী জাহ্নবীর প্রেমিক রাহুল। অতএব, বন্ধুর সঙ্গে রাহুলের সম্পর্কটা ভাঙতে কিছু একটা করতেই হবে, স্থির করে ফেলে রিয়া। বান্ধবীর নামে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে ফেলে। আর তার পর তার নামে একের পর এক আপত্তিকর পোস্ট করত থাকে। অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে ‘সাইবার বুলিং’-এর মতো অপরাধে। আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল জাহ্নবী।
যে কোনও উপায়ে হোক, কিছু পেতে অন্যকে আঘাত করা বা স্রেফ আনন্দ পেতেই কাউকে সকলের সামনে ছোট করা বা কিছু না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া— মনের জটিল অসুখেরই নামান্তর। ছোটদের অনেকেই এই জটিল ‘রোগে’ আক্রান্ত। বাবা-মায়েরা তাদের সামান্য সর্দি-কাশি-জ্বরের খবর রাখলেও, মনের খবর টেরই পান না। বহু ক্ষেত্রে গুরুত্বও দেন না। সম্প্রতি এমন তথ্যই উঠে এসেছে ‘জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর একটি সমীক্ষায়।
জীবনযাত্রার ধরন বদলানোয় এ দেশেও বিষয়টা যে ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে, তা মেনে নিচ্ছেন এখানকার মনোবিদরা। তাঁদের মতে, অধিকাংশ পরিবারেই একটি বা দু’টি সন্তান। সে যা চাইছে, চাকুরিজীবী বাবা-মা তা-ই দিচ্ছেন। চাইলেই পাওয়া যায়, এই ধারণাটা তৈরি হয়ে যাচ্ছে ছোটদের। তাই প্রত্যাখ্যান মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে অন্য সমস্যা। বাবা-মা যথেষ্ট সময় দিতে না পারায় একাকীত্বে ভুগছে সন্তান। কাউকে একটা আঁকড়ে ধরতে চাইছে। তা সে স্কুলের বন্ধুই হোক বা অন্য কোনও প্রিয়জন। আর সেখানেও ধাক্কা খেলে মেনে নিতে... continue reading
Comments (1)
ভাই কিছু মনে করবেন না। কবিতাটি পড়ে মনে হচ্ছে, এটা একটা লেখা যা আমি মানুষকে পড়ে শোনাচ্ছি, উপদেশ বা জিনিসটা বুঝাই দিচ্ছি।
হুম, হতে পারে। স্বাভাবিক ব্যাপার।
পৃথিবীর সব ব্যর্থ প্রেমিক এবং যন্ত্রণা বিভোর মানুষের মতো—
প্রচণ্ড মৃত্যু ভালোবাসি !
ধন্যবাদ।
"ঈশ্বর, বন্ধু কিংবা প্রেমী—
যাকেই তুমি একবার ভালোবাসো; সে তোমার— চিরদিনের জন্যই তোমার
যদি তাকে দূরে সরাতে চেষ্টা করো— সে কেবল ফিরে ফিরেই আসবে— " ---- অসাধারণ বক্তব্য ।
ধন্যবাদ।