পাকিস্তানী চলচ্চিত্রের আশার আলাে ‘বিন রোয়ে’
বয়স বুঝে ফেসিয়াল টিপস
ত্বকে খুব বেশি সমস্যা না থাকলে মাসে একবার ফেসিয়ালই যথেষ্ট। ত্বকে সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই সচেতন হওয়া উচিত। ত্বক এবং সমস্যা বুঝে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তবেই সঠিক ফেসিয়াল করা উচিত।
*১৭-২০ বছর বয়সের ফেসিয়ালঃ
এ বয়সে ত্বকে তৈলাক্ত ভাব থাকে, ব্রণ উঠার প্রবণতাও দেখা দেয়। তাই এই বয়সটিতে ত্বক পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। হারবাল কোনো ফেসিয়াল করা যেতে পারে যেন ত্বকে ময়েশ্চার ব্যালেন্স হয়। হলুদ, পুদিনা পাতা, শশা, মধু এই উপাদান সমৃদ্ধ ফেসিয়াল করতে হবে তাই আপনি বেছে নিতে পারেন হানি ফেসিয়াল, কিউকাম্বার ফেসিয়াল, অরেঞ্জ ফেসিয়াল।
*২১-৩০ বছর বয়সের ফেসিয়ালঃ
২০ বছরের পর যে কেউই ফেসিয়াল করতে পারবেন। শুষ্ক, সাধারণ ও তৈলাক্ত ত্বকে সমস্যা না হলে হারবাল ফেসিয়াল করা যেতে পারে। পার্ল ফেসিয়াল সব ধরনের ত্বকের জন্য প্রযোজ্য, তবে স্পর্শকাতর ত্বকে এই ফেসিয়াল করা যাবে না। পার্ল ফেসিয়াল করার পর ত্বকে একটা হোয়াইটিশ আভা আসে এবং অনেক দিন পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়। এটা সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী শুধু সেনসিটিভ বা স্পর্শকাতর ত্বকে এই ফেসিয়াল করা যাবে না। এটা সব বয়সী ত্বকের জন্য নেওয়া যাবে। বিয়ের কনের জন্য গোল্ড ফেসিয়াল খুব ভালো ফলাফল দেবে। কারণ এটা ত্বকে সুন্দর একটা সোনালী আভা এনে দেয়।
*৩১-৪০ বছর বয়সের ফেসিয়ালঃ
এই বয়সটি থেকে ত্বক পরিবর্তন হতে থাকে। এই বয়সে এমন ফেসিয়াল দরকার যেটি ত্বকের কমপ্লেক্সশন পরিবর্তন করার লক্ষ্যে ত্বককে হাইড্রেট, ময়েশ্চারাইজ করে। তাই হালকা ম্যাসেজের মাধ্যমে সকল প্রকার ধকল থেকে পরিত্রান, স্ক্রাবিং এর মাধ্যমে মরা কোষ দূর করে সবশেষে হাইড্রেটিং মাস্ক লাগিয়ে ফেসিয়াল সম্পন্ন করতে হবে। তাই আপনার জন্য উপকারী ফেসিয়াল হবে স্টিম ফেসিয়াল, অ্যান্টি-রিঙ্কেল ফেসিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেনট ফেসিয়াল। এছাড়াও করতে পারেন ফ্রুট...
সিল্কি ও স্ট্রেইট চুল হেয়ার স্ট্রেইটনার ছাড়াই
*চুল সবসময় ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুবেন। সপ্তাহে ২/৩ বারের বেশি শ্যাম্পু করবেন না। এতে চুলের উজ্জ্বলতা ও সিল্কি ভাব কমে যেতে পারে।
*চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। খেয়াল রাখবেন কন্ডিশনার যেন স্কাল্প (Scalp) বা মাথার ত্বকে না লাগে। চুল ধুয়ে মোছার পর ভালো মানের হেয়ার সিরাম লাগাবেন। দোকানে অনেক ধরণের চুল স্ট্রেইট করার সিরাম পাওয়া যায়। পছন্দমত ব্র্যান্ড কিনে ব্যবহার করুন। ভালো কিছু সিরামের ব্র্যান্ড হলঃ Umberto Ginnini Sleek & Chic Seriously Straight Gloss Serum, Garnier Fructis Sleek & Shine Anti frizz Serum ইত্যাদি।
*হেয়ার স্ট্রেইটনিং শ্যাম্পু ও ট্রিটমেন্টও ব্যবহার করুন। এই ধরণের শ্যাম্পু আপনার চুলকে স্ট্রেইট করে তুলবে না, কিন্তু এতে এমন উপকরণ আছে যা চুলের কার্ল ও ফুলে থাকা ভাব কমায়। এ ধরণের যেসব শ্যাম্পু ও ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেনঃ Pantene Pro-V Curly Hair Curls Straightening Shampoo, EverSleek Sulfate-Free Smoothing System Intense Smoothing Shampoo, Garnier Fructis Silky Straight, Dove Smooth and soft Anti Frizz Cream ইত্যাদি।
*চুল যতক্ষণ বাসায় থাকবেন টাইট করে খোপা করে রাখুন। এর ফলে চুলের কোকড়া ভাব কমে যাবে। তবে এটি হতে অনেক সময় নেয়। অন্তত ৪-৫ মাস সময় লাগবে ফলাফল পেতে।
*শ্যাম্পু করার ১ ঘন্টা আগে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করুন। এর জন্য নারকেল তেল বা বাদাম তেল হাল্কা গরম করে মাথায় স্কাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর বাকি সময় একটি তোয়ালে গরম পানিতে চিপড়িইয়ে নিয়ে তা দিয়ে চুল মুড়িয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
*একটি স্প্রে করার বোতল নিয়ে এতে ১/৩ কাপ দুধ ও ১/৩ কাপ পানি মেশান। শ্যাম্পু করার ২০ মিনিট আগে এই মিশ্রণ দিয়ে চুলের সব জায়গায়...
বসন্তে ত্বকের যত্ন
*ত্বকের তারুণ্য হারিয়ে যাওয়ার প্রথম লক্ষণ হচ্ছে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া। শুষ্ক ত্বকে কোন প্রাণ থাকে না। তখন ত্বক প্রাণহীণ মনে হয়। এর থেকে মুক্তির উপায় হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত।
*এ সময় সানবার্ন খুব বেশী হয় এবং তা কেবল মুখে নয়, পীঠে ও হাত-পায়েও হয়। তাই সাথে রাখতে হবে সবসময় একটি ছাতা। সম্ভব হলে ব্যাগে সব সময়ের জন্য একটা ফেসওয়াশ রাখুন। বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তবে এজন্যে সানস্ক্রিন এর এসপিএফ এর মাত্রা ২০++ হওয়া উচিত।
*ত্বকে অনেক সময় দাগ ও রিঙ্কেল দেখা যায়। এসব রোধ করতে, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। শাকসবজি , মাছ ও ফলমূল খেতে হবে বেশি। প্রচুর পানি খেতে হবে।
*এসময়, ত্বকে অনেক সময় ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়। এগুলো নাকের পাশে ও নাকে দেখা যায়। এই ধরণের গর্ত বন্ধ করতে হলে টমেটোর রস, মূলতানি মাটি, ডিমের সাদা অংশ ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
*যাদের শুষ্ক ত্বক তারা এ সময় নিয়মিত গ্লিসারিন সাবান দিয়ে গোসল করবেন। গোসলের পর ভেজা শরীরে ভ্যাসলিন, লোশন বা এ ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকে আদ্রভাব বজায় থাকবে।
*ত্বকের আরেকটি সমস্যা হলো চামড়া ঝুলে পড়া। চামড়া যাতে না ঝুলে যায় সেজন্য ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি অতি জরুরী। মুখে কিছুটা বিউটি অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। তাতে মুখের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। হারবাল চা পান করলেও রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। পাশাপাশি হাত, পা, গলা, ঘাড়সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও একইভাবে যত্ন নিন।
*ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস জমা স্থানে গরম পানির ভাপ দিয়ে পাঁচ মিনিট...
সানস্ক্রিন এর ব্যবহার
*সঠিক সানস্ক্রিন
• প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য এসপিএফ ৩০ দেখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু যদি খেলাধুলা, পাহাড়ে অথবা সমুদ্রের পাড়ে যেতে হয় তাহলে অবশ্যই এসপিএফ ৫০ এর উপর সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
• তৈলাক্ত ত্বক ও শুষ্ক ত্বকের জন্য পৃথক পৃথক সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। নিজের ত্বকের ধরণ বুঝে সানস্ক্রিন লাগান।
• যাদের ত্বকে আলার্জি আছে তারা অ্যালকোহল ও কৃত্রিম সুগন্ধিযুক্ত সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলুন।
• যাদের ত্বকে ব্রণের উপদ্রব বেশি তারা ওয়েল বেসড সানস্ক্রিন না কিনে ওয়াটার বেজড সানস্ক্রিন কিনুন।
• সব সময় ভালো ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন কিনুন। কম দামে খারাপ ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন কিনে টাকা গুলোকে জলে ফেলবেন না।
• সানস্ক্রিন কেনার আগে মেয়াদ দেখে কিনুন।
*ব্যবহারের নিয়ম
• প্রথমে মুখ ভালো করে ফেসওয়াস দিয়ে ধুয়ে মুছে নিন।
• এবার পুরো মুখে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।
• শুকিয়ে গেলে নাকের উপর, গালের উচু অংশে ও কপালে ভ্রু এর উপরে আরেক স্তর সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। ত্বকের এসব স্থান রোদে বেশি পুড়ে যায়।
• সানস্ক্রিন হাতে ও পায়ের খোলা অংশেও লাগিয়ে নিন।
• সানস্ক্রিন লাগিয়ে এর উপর অনায়েসেই মেকআপ করতে পারবেন।
• সানস্ক্রিন লাগানোর অন্তত ৩ মিনিট পর বাইরে বের হওয়া উচিত। ৩০ মিনিটের আগে সূর্যের আলোতে যাওয়া উচিত নয়।
• প্রতি ২ ঘন্টা পর পর মুখ ধুয়ে আবার নতুন করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।
• মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন লাগাতে হয়। কারণ সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি মেঘলা দিনেও ত্বকের ক্ষতি করে।
চুলের যত্নে মেহেদীর ব্যবহার
*চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে মেহেদী-
১ কাপ পরিমাণ মেহেদী পাতা বাটা, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ২/৩ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর শুধু পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন।
পরের দিন শ্যাম্পু করুন। মাসে মাত্র ২ বার ব্যবহার করুন চুলে মেহেদী পাতা। দেখবেন চুল অনেক ঘন এবং কালো হয়ে গিয়েছে।
*চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা রোধে মেহেদী-
১ কাপ মেহেদী পাতা বাটার সাথে ২/৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টি ভিটামিন ই ট্যাবলেট মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগান এই মিশ্রণটি। ১ ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করে। সপ্তাহে ১ দিনের ব্যাবহারে চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা একেবারে বন্ধ হবে।
*সাদা চুল ঢেকে ফেলুন মেহেদী ব্যবহারে-
২ টেবিল চামচ আমলকী গুঁড়ো ১ কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে দিয়ে এতে রঙ চা দিন ১ চা চামচ এবং ২ টি লবঙ্গ। এবার এই পানিতে পরিমাণ মত মেহেদী পাতা বাটা ব্যবহার করে থকথকে পেস্টের মত তৈরি করুন। এই পেস্টটি চুলে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। ২ ঘণ্টা পরে চুল সাধারণ ভাবে ধুয়ে ফেলুন। সাদা চুল ঢেকে যাবে সহজেই।
*খুশকি দূর করতে মেহেদী পাতা-
মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন বেটে নিন। পরিমাণ মত সরিষার তেল গরম করে এতে মেহেদী পাতা ফেলে দিন। ঠাণ্ডা হলে এই তেলে মেথি বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে লাগান। ২ ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি মুক্ত হবে চুল খুব দ্রুত।
ঘরোয়া উপায়ে মেছতা দূরীকরণ
*ক্যাস্টর অয়েলে আছে ত্বকের মেছতার দাগ দূর করার ক্ষমতা।
• একটি কটন বলে ক্যাস্টর অয়েল নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে নিন।
• ৫ মিনিটের মতো হালকা হাতে ম্যাসেজ করুন।
• তারপর ঘন্টা খানেক রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিদিন সকালে ও রাতে এইভাবে ব্যবহার করুন ক্যাস্টর অয়েল আপনার ত্বকের দাগও দূর হবে এবং ত্বক টানটান হবে। শুধু ক্যাস্টর অয়েলই নয় দাগ দূর করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ভিটামিন ই অয়েল।
*লেবুতে আছে ত্বক ব্লিচিং করার উপাদান। যা প্রতিদিন ব্যবহারে ফলে ত্বকের যেকোন দাগ দূর হয়।
• ত্বকে আক্রান্ত জায়গায় লেবুর রস দিয়ে দিন।
• ৩০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
যাদের ত্বক খুব সেনসেটিভ তারা সরাসরি লেবু ব্যবহার না করে সাথে মধু ও গোলাপ জল মিশিয়ে দিতে পারেন।
• লেবুর রসের সাথে পরিমাণ মতো চিনি নিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে না মিলে যাওয়া পর্যন্ত ঘষুন। বিশেষ করে ত্বকের যেখানে মেছতা আছে সেখানে বেশি করে ম্যাসেজ করুন।
• তারপর ১০ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এইভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করুন। দিনে ২ বার এই কাজটি করুন সাথে চাইলে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।
চুল বুঝে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার
*স্বাভাবিক ও শুষ্ক চুল-
স্বাভাবিক ও শুষ্ক চুলের জন্য হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করুন। প্রথমে অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল গরম করে চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগান। তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পাগড়ির মতো মাথায় পেঁচিয়ে ভাপ দিন ১০ মিনিট। সকালে শ্যাম্পু করলে আগের রাতে তেল দিন। সকালে তোয়ালের ভাপ দিন।
*তৈলাক্ত চুল-
তৈলাক্ত চুলে তেল দেওয়ার দরকার নেই। শ্যাম্পুর আগে আমলা প্যাক ব্যবহার করুন। আমলা প্যাক বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আবার ঘরে আমলকী গুঁড়া আর টকদই মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন। মাথার চুলে আধা ঘণ্টা দিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
*শ্যাম্পু করার পদ্ধতি-
• কুসুম গরম পানিতে চুল ভিজিয়ে নিন। শুরুতে মাথা খুব ভালোভাবে ধোবেন, যাতে স্ক্যাল্পে জমে থাকা ধুলা-ময়লা ধুয়ে যায়।
• হাতের তালুতে পরিমাণমতো শ্যাম্পু নিয়ে সামান্য পানি মেশান। তারপর চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগান।
• মাথার ওপরের দিকে প্রথমে শ্যাম্পু দিন, তারপর চুলের শেষ প্রান্তে। বিশেষ করে খেয়াল রাখুন পেছনের দিকে চুল ও স্ক্যাল্পে যেন শ্যাম্পু ভালোভাবে লাগে।
• চুলের ময়লা, তেল, খুশকি পরিষ্কার করার জন্য আঙুলের ডগা গোল করে ঘুরিয়ে মাথায় শ্যাম্পু করুন। নখ দিয়ে ঘষবেন না।
• দ্বিতীয়বার শ্যাম্পু করুন। শাওয়ারে ধুতে পারলে ভালো হয়। এক মিনিট ধরে পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন।
• শ্যাম্পু করার পরই চুলের ধরন অনুযায়ী কন্ডিশনার লাগান।
*কন্ডিশনার লাগানোর পদ্ধতি-
• প্রথমে হাত দিয়ে চেপে চুলের বাড়তি পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এরপর শ্যাম্পুর মতো একই পদ্ধতিতে কন্ডিশনার মাইল্ড করে চুলের আগা থেকে ম্যাসাজ করে গোড়ার দিকে উঠান। তবে খেয়াল রাখুন, কন্ডিশনার যেন মাথার ত্বকে না লাগে।
• এক থেকে দুই মিনিট পর কন্ডিশনার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়া শেষ হয়েছে কি না বোঝার...
ত্বকের যত্নে ফুল
*গাঁদাফুল খুবই কার্যকর একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। ব্রণের সমস্যা দূর করতে এ ফুল খুবই ভালো কাজ করে।
• গাঁদাফুল ও পাতা থেঁতো করে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন। ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
• রোদে পোড়া দাগ দূর করতে কয়েকটা গাঁদাফুলের পাঁপড়ি বেটে নিয়ে এতে ২ চা চামচ কমলার রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ রোদে পোড়া অংশগুলোতে লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এতে রোদে পোড়া দাগ দূর হবার পাশাপাশি ত্বকের রঙের অসামঞ্জস্যতাও দূর হবে।
• ত্বকের কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে গাঁদাফুলের পাঁপড়ি বাটা, চন্দন পাউডার ও গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
*ত্বকের পরিচর্যায় গোলাপফুলের ব্যবহার নানাবিধ।
• ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গোলাপের কয়েকটি পাঁপড়ি কাঁচা দুধে ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর এই পাঁপড়িগুলো বেটে নিন এবং এর সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি পুরো মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ত্বককে করে তুলবে কোমল ও মসৃণ।
• গোলাপফুল বলিরেখা দূর করতেও সাহায্য করে। কয়েকটি গোলাপের পাঁপড়ি ভালো করে বেটে নিন। এর সাথে ত্বক তৈলাক্ত হলে লেবুর রস, শুষ্ক হলে কমলার রস এবং মিশ্র হলে শসার রস মিশিয়ে নিন। এরপর এ মিশ্রণটি তুলার বলের ওপর নিয়ে প্রতিদিন ত্বকে লাগান। বলিরেখা তো দূর হবেই, ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে।
*লাল জবাফুল থেঁতো করে নিন। এর সাথে চালের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর আলতো হাতে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে এ...
ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে যে খাবার
*বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে দুধ খেলে ব্রণের উপদ্রব বাড়ে। এর একটি কারণ হতে পারে দুধের প্রাকৃতিক গ্রোথ হরমোন। বেশিরভাগ দুধই গর্ভবতী গরুর থেকে নেয়া হয় এবং তাতে প্রাকৃতিক গ্রোথ হরমোনের উপস্থিতি পাওয়া যায় যা ব্রণ সৃষ্টি করে। কেবল মাত্র দই ছাড়া দুধ ও দুগ্ধজাত যে কোনো খাবারেই ব্রণের উপদ্রব বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। গবেষকরা যারা নিয়মিত দুধ খায় তাদেরকে দুধের বদলে দই খেতে দিয়ে দেখছেন তাদের ব্রণের উপদ্রব ৮০% পর্যন্ত কমে গিয়েছে। তাই দুধের বদলে দই খান কারণ দুধের প্রায় সব পুষ্টিগুণ দইয়ে বিদ্যমান।
*সুন্দর ত্বকের জন্য রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকা প্রয়োজন। মিষ্টি জাতীয় খাবার বিশেষ করে কোমল পানীয় বেশি খেলে ত্বকের স্বাস্থ্যজ্জ্বল ভাব কমে যায়। মাঝারী আকারের এক গ্লাস কোমল পানীয়তে ৫৬ গ্রাম চিনি থাকে। তাই নিয়মিত কোমল পানীয় খেলে ব্রণের যন্ত্রণা বাড়ে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। ত্বকে খুব তাড়াতাড়ি বয়সের ছাপ ফেলে দেয় কোমল পানীয়।
*অনেকেরই খাবারের সাথে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস আছে। কেউ কেউ আবার তরকারীতেও বেশি লবণ খেয়ে থাকেন। অতিরিক্ত লবণ খেলে ত্বকে ফোলা ভাব আসে। ফলে মুখ ফোলা ফোলা লাগে এবং চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়ে। তাই বেশি লবণাক্ত খাবার ও ভাতের সাথে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করা উচিত।
*প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ চা খাওয়া যায়। কিন্তু এর থেকে বেশি চা কিংবা কফি খেলে ত্বকের ক্ষতির হয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে কর্টিসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় যা খুব সহজেই বুড়িয়ে ফেলে ত্বক। এছাড়াও এটি ত্বককে পাতলা করে ফেলে এবং সহজেই ভাজ ফেলে দেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত ক্যাফেইন ত্বকে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে যা ত্বকে বলিরেখা ফেলে। তাই ত্বকে সজীবতা ধরে রাখতে চাইলে অতিরিক্ত চা কফি...