নিয়মিত মধু খান সুস্থ থাকুন
ত্বকের যত্নে দই
*ত্বকের টান টান দূর করতে হলে এই প্যাকটি অনেক কাজ করে-
দই, লেমন জুস, ময়দা, বেসন সবগুলো মিক্সড করে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর মুখ পরিস্কার করে ঘুয়ে ফেলুন।
*এই প্যাক ব্যাবহার করার ফলে ত্বকের উজ্জলতা ফিরে আসবে-
মুসর ডাল, দই, অরেঞ্জ টুকরো করে প্রথমে ব্ল্যান্ড করুন। এরপর এর সাথে মধু মিক্সড করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
*যাদের মুখ তৈলাক্ত তাদের ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। আর ব্রণ মুখের লাবন্নতাকে নষ্ট করে দেয়। ব্রণ থেকে প্রতিকার পেতে হলে এই প্যাকটি ব্যাবহার করুন-
দই এর সাথে হলুদ, সামান্য চিনি এবং চন্দন মিক্সড করে ব্রণের জায়গা গুলোতে দিন। অল্প কতক্ষণ মাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে এক বার ব্যাবহার করলে আপনার মুখের ব্রণ খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে।
...একটু সময় আর ধৈর্য নিয়ে ইচ্ছে করলেই এই প্যাকগুলো আমরা ঘরে বসেই তৈরি করে ব্যবহার করতে পারি।
স্ক্যাল্প ম্যাসাজ
*প্রথমে চুলের ধরণ বুঝে প্রয়োজনীয় একটি এসেন্সিয়াল অয়েল বাছাই করুন। যেমন আপনার যদি বেশি খুশকী থাকে তবে ল্যাভেন্ডার অয়েল, যদি চুল পরা সমস্যা থাকে তাহলে পিপারমিন্ট বা রোজমেরি অয়েল, চুল রুক্ষ হলে রোজ বা ক্যামোমিল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো আপনি বিউটি পার্লার বা বড় কসমেটিক্স শপে পেতে পারেন।
*একটি বাটিতে কয়েকফোটা এসেন্সিয়াল অয়েল দিয়ে তার মধ্যে আলমন্ড বা অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেল দিন। অয়েল দিয়ে আধা বাটি মিশ্রণ তৈরী করুন।
*একটি ভাল পরিস্কার চিরুনী দিয়ে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চুল আঁচরান। সাধারণ চিরুনীর বদলে হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করলে ভাল হয়। আপনার চুল যদি বড় হয় তবে ডগা থেকে আঁচরাবেন এতে চুলের ক্ষতি হবে না।
*আঙুলে অল্প পরিমান তেল নিয়ে চক্রাকারে ম্যাসাজ শুরু করুন। আপনার আঙুলগুলো দিয়ে মাথার ত্বক ও চুলে ম্যাসাজ করতে থাকুন। একটু পর পর আঙুলে তেল নিয়ে নিন।
*ম্যাসাজ শেষ হয়ে এলে একটি তোয়ালে সামান্য গরম করে মাথা ও চুল ঢেকে দশ মিনিট বিশ্রাম করুন।
*একটি ভাল শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার চুল বেশি শুষ্ক হয়, তবে সাথে সাথে না ধুয়ে সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। চুল ভাল করে পরিষ্কার করতে আপনাকে দুবার শ্যাম্পু করতে হতে পারে।
সপ্তাহে একবার করে নিয়মিত ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার দুশ্চিন্তা দূর হবে, চুল হবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও সুন্দর। এর সাথে পুষ্টিকর খাবার খাবেন। আশা করা যায় এর মাধ্যমে চুলের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।
... চুল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল রাখার জন্য স্কাল্প ম্যাসাজ খুবই জরুরী। এতে ফলিকলস্ সক্রিয় থাকে, চুল মজবুত হয়। স্ক্যাল্প ম্যাসাজে টেনশন কমে ও রক্তসঞ্চালন ভাল হয়। এই হেয়ার ম্যাসাজটি আপনি গোসলের আগে কিংবা অবসর সময়ে...
গলায় ছোপ ছোপ দাগ থেকে মুক্তির টিপস
*ঔষধমিশ্রিত উপটান- ১ চা চামচ। (ঔষধের দোকানে পাওয়া যায় আর না পাওয়া গেলে ১ কাপ বেসন, ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ দুধ এবং ১ চা চামচ বাদাম তেল বা নারিকেল তেল মিশিয়ে উপটান বানিয়ে ফেলুন । )
*হলুদ গুঁড়ো- ১ চা চামচ।
*অল্প পরিমান গোঁটা করে ভাঙা এলাচি
*এলাচি গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ।
*জিরা ভাঙা- পরিমাণ মত।
*ভিটামিন সি ট্যাবলেট, ভিটামিন ই ক্যাপসুল- ১ টি ( ভেঙে নিতে হবে )
*ঘি- পরিমান মত।
**প্রথমে সব উপকরন এক সাথে মিশিয়ে পেস্ট বানান।
এরপর ব্রাশ দিয়ে গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন।
৪০ মিনিট পর শুকিয়ে এলে, গোলাপ জল দিয়ে আস্তে আস্তে তুলে ফেলুন। এই পেস্ট দিনে ২ বার করে গলায় এবং ঘাড়ের অংশে নিয়মিত লাগাতে হবে।
**প্রতিদিন ২ বার করে ১ টেবিল চামচ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সিরাপ পান করুন । আর প্রচুর পরিমাণে পানি খান ।
উকুনের সমস্যা দূরীকরন টিপস
উকুনের সমস্যা একরাতে শেষ হবার নয়। আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে।
*অলিভ অয়েল উকুন তাড়াতে বেশ কার্যকরী। অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মাথার ত্বককে উকুনের হাত থেকে রক্ষা করে। এইজন্য আপনাকে সারারাত চুলে অলিভ অয়েল লাগিয়ে রাখতে হবে। একটি কাপড় দিয়ে চুল মুড়িয়ে রাখুন। এতে মাথার ত্বকে একটি ভাপ সৃষ্টি হবে। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে অনেকাংশে উকুন চলে যাবে।
*উকুন মাথায় গরম ভাপ সহ্য করতে পারে না। আপনি হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকোলে চুল গোড়া থেকে গরম হবে। এতে করে চুলে উকুন থাকতে পারবে না। তখন অনায়েসে চুল আঁচড়ে উকুন দূর করতে পারবেন। হেয়ার স্ট্রেইটনারও চুল গরম করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু মনে রাখবেন হেয়ার ড্রায়ার ও হেয়ার স্ট্রেইটনার বেশি ব্যবহার করবেন না। এবং করলেও প্রথমে চুলের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তবে করবেন।
*আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে হেয়ার স্টাইলার জেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি চুলকে উকুন মুক্ত রাখতে বেশ কার্যকরী একটি জিনিষ। চুলের গোড়ায় ভালো মতো হেয়ার স্টাইলার জেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিটের মতো। এরপর ভালো করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। উকুন দূর হবে দ্রুত।
*মেয়োনেজে অ্যান্টিফাঙ্গাল এলিমেন্ট থাকে যা মাথার ত্বকে পৌঁছে উকুন মরতে সহায়তা করে। পুরো চুলে ভালো করে মেয়োনেজ মেখে ঘুমোতে যান। মাথায় সাওয়ার ক্যাপ পড়তে ভুলবেন না। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলের উকুন সমস্যা দূর করতে পারবেন।
*উকুন মেরে ফেলা সহজ হলেও উকুনের ডিম চুলে রয়ে যায় যা পরবর্তীতে আবার উকুন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। তাই এই উকুনের ডিম দূর করতে আপনার রান্না ঘরের ভিনেগারকে কাজে লাগান। এক্সপার্টরা বলেন ভিনেগারের অ্যাসিটিক অ্যাসিড চুলের সাথে উকুনের ডিমের লেগে থাকার আঠা নষ্ট করে দেয়। এতে ডিমগুলো...
চুলের যত্নে মেহেদী
*চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে-
• ১ কাপ পরিমাণ মেহেদী পাতা বাটা, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ২/৩ টেবিল চামচ টক দই ভালভাবে মিশান।
• এবার মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা।
• এরপর শুধু পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন। পরের দিন শ্যাম্পু করে চুল ধুবেন।
মাসে মাত্র ২ বার ব্যবহার করুন চুলে মেহেদী পাতা। দেখবেন চুল অনেক ঘন এবং কালো হয়ে গিয়েছে।
*চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা রোধে-
• ১ কাপ মেহেদী পাতা বাটার সাথে ২/৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টি ভিটামিন ই ট্যাবলেট মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগান এই মিশ্রণটি।
• ১ ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করে।
সপ্তাহে ১ দিন ব্যাবহারে চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা একেবারে বন্ধ হবে। মেহেদী চুলের জন্য কন্ডিশনারের কাজ করে চুলের রুক্ষতা এবং চুলের আগা ফাটা রোধ করে।
*সাদা চুল ঢেকে ফেলতে-
• ২ টেবিল চামচ আমলকী গুঁড়ো ১ কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে দিয়ে এতে রঙ চা দিন ১ চা চামচ এবং ২ টি লবঙ্গ।
• এবার এই পানিতে পরিমাণ মত মেহেদী পাতা বাটা ব্যবহার করে থকথকে পেস্টের মত তৈরি করুন।
• এই পেস্টটি চুলে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা।
• ২ ঘণ্টা পরে চুল সাধারণ ভাবে ধুয়ে ফেলুন। সাদা চুল ঢেকে যাবে সহজেই।
মেহেদী সাদা চুলের জন্য অসাধারণ হেয়ার কালারের কাজ করে। অনেকের অল্প বয়েসেই মাথার চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। তারা নিয়মিত মেহেদী পাতা ব্যবহার করলে চুলের সাদাটে ভাব দূর করতে পারবেন।
*খুশকি দূর করতে-
• মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন বেটে নিন।
• পরিমাণ মত সরিষার তেল গরম করে এতে মেহেদী পাতা ফেলে দিন।
• ঠাণ্ডা হলে এই তেলে মেথি বাটা দিয়ে...
ঘরোয়া কিউকাম্বার প্যাক
*তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে নানা সমস্যায় ভোগেন অনেকে। তারা ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধোয়ার পর শশার রস, আপেল সাইডার ভিনেগার, টমেটোর রস এবং এলভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এতে সমস্যা দূর হবে।
*একটি শশা ব্লেন্ডারে ভালো মতো ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরী করে ২ চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের রুক্ষভাব দূর করে চেহারা উজ্জ্বল করে।
*চোখের ডার্ক সার্কেল কমাতে শশা বেশ কার্যকর। শশা স্লাইস করে কেটে অথবা তুলার মধ্যে শশার রস লাগিয়ে তুলা চোখের উপর ২০ মিনিট রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে ডার্ক সার্কেল কমবে।
*ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে বাইরে থেকে এসে মুখ ধুয়ে শুধু শশার রস লাগান। এটি সান বার্ন দূর করবে।
*বয়সের ছাপ লুকাতে ২ টেবিল চামচ টক দই, আধা চামচ মধু এবং লেবুর রসের সাথে ২ চামচ শশা বাটা এবং ২ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভালো মতো মেশান। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের মরা কোষ, কালো ভাব দূর করে টানটান এবং সুন্দর রাখে।
*ব্রণের সমস্যা দূর করতে ২ চা চামচ শশার রসের সঙ্গে গোলাপ জল এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। এটি মুখে ভালো মতো লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ কমে যাবে।
…শসায় রূপচর্চায় দারুণ দক্ষতা পাশাপাশি রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। সব ধরণের ত্বকেই এটি উপকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
শরীর উজ্জ্বল করার ঘরোয়া টিপস
**হাত, পা ও পুরো শরীর-
• বেসন,হলুদের গুঁড়া দুধের সাথে মিশিয়ে হাতে,পায়ে ও গায়ে মাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। গোসলের আগে এই প্যাকটি লাগানোর চেষ্টা করুন।
• চন্দন ১ চা চামচ, মুলতানি মাটি ১ চা চামচ,মধু ১ চা চামচ হলুদ বাটা ১চা চামচ, ১ চামচ গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন করে লাগান।
• ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ শসার রস, ১ চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে প্যাকটি হাতে পায়ে লাগান। পুরো শরীরে দিতে চাইলে পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
• বাদাম তেল ১ টেবিল চামচ,অ্যালোভেরা জেল ১ চা চামচ মিশিয়ে হাত পায়ে দিবেন। হাত, পা ফর্সা হবে।
• গোসলের পর সারা শরীরে ভেসলিন বা ভারি ক্রিম লাগাবেন। গোসলের সময় স্ক্রাব দিয়ে পুরো শরীর ঘষবেন। নিভিয়া,ভেসলিন এর বডি হোয়াইটিনিং ব্যবহারে কার্যকারী ফলাফল পেতে পারেন ।
• ১ কাপ ঠাণ্ডা চায়ের লিকারের সাথে ২ টেবিল চামচ ময়দা ও আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে হাতে,পায়ে লাগিয়ে রাখুন।২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধোয়ার সময় একটু সার্কুলার মুভমেন্টে ঘষবেন।
• শশার রস, গোলাপজল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে হাতে পায়ে মাখবেন।কালচে দাগ কমানোর এটি একটি অন্যতম সহজ উপায়।
• গ্লিসারিনের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে একটি শিশিতে ভরে রাখুন। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠার পর মুখ ধোয়ার পর হাতে ও পায়ে ম্যাসাজ করুন।
• ২ টেবিল চামচ নারিকেলের দুধের সাথে চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে আলতোভাবে পুরো শরীরে ঘষে নিন।এটি আপনার শরীরের রং উজ্জ্বল করবে।
• সপ্তাহে কমপক্ষে ১ বার পেডি কিউর ও মেনি কিউর করা উচিৎ। পার্লারে যাওয়ার সময় থাকলে বাসায় সেরে ফেলুন। গরম পানিতে লবণ,লেবুর রস,গ্লিসারিন,শ্যাম্পু মিশিয়ে ১০ মিনিট হাত পা ভিজিয়ে রেখে পেডি কিউর ও মেনি কিউর সেট দিয়ে হাত পা পরিষ্কার করে...
পা ফাটা রোধে ঘরোয়া টিপস
*অয়েল ম্যাসাজ-
প্রথমে পা পরিষ্কার করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর গোড়ালির ফেটে যাওয়া জায়গায় অলিভ অয়েল/নারিকেল তেল লাগিয়ে একজোড়া মোটা মোজা পরে সারারাত রেখে দিতে হবে। সকালবেলা কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নিলেই গোড়ালির ফাটল কমে আসবে। গোসলের পর এ ম্যাসাজ অনেক কার্যকরী।
*ভ্যাসলিন ও লেবুর রসের প্যাক-
গোড়ালি পরিষ্কার করে ধুয়ে শুকিয়ে নিয়ে হালকা গরম পানিতে ১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর ১ টেবিল-চামচ ভ্যাসলিন ও ১ টেবিল-চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে এই মিশ্রন শুকনো পা ও গোড়ালির ফেটে যাওয়া স্থানে ত্বক শুষে না নেওয়া পর্যন্ত ঘষতে হবে।
*পা নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
*পা ধোয়ার সময় গরম পানি ব্যবহার করুন।
*খালি পায়ে বাইরে যাবেন না।
*নরম জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
*রাতে পায়ে মোজা পরে শোবেন যাতে পায়ে ঠাণ্ডা না লাগে।
*আর প্রয়োজনে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মেকআপ করুন গায়ের রঙ বুঝে
শ্যামলা রঙ-
*শ্যামলা ত্বকে মেকআপ করার ক্ষেত্রে এমন ফাউন্ডেশন বাছুন যেটা তেলতেলে নয়। ওয়াটার-বেস্ড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করাই ভাল। কনসিলার ব্যবহার করলেও ত্বক দেখতে সুন্দর লাগে। সেক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের শেড যেন গায়ের রঙের চেয়ে বেশি হালকা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শেডটা গায়ের রংয়ের সঙ্গে যত মিলে যায় ততই ভাল লাগবে।
*ব্লাশার ব্যবহার করার সময় কোরাল-রোজ ইত্যাদি শেড বেছে নিতে পারেন। গায়ের রঙ বেশি চাপা হলে সকালের দিকে ডার্ক রোজ পিঙ্ক আর রাতের দিকে ব্রোঞ্জ বা প্লাগ শেডের ব্লাশার ব্যবহার করুন। সন্ধ্যাবেলা কোনো পার্টিতে যাবার আগে ব্লাশারে হালকা করে, ছুঁয়ে নিতে পারেন গোল্ড শেড।
*চোখের মেকআপের জন্য বেছে নিন ব্লু বা পার্পলের কোনো ডার্ক শেড। গাঢ় মেটালিক শেডও ভাল লাগবে। আইলাইনার এবং মাসকারা দু’টোই কালো হলে ফুটে উঠবে। আইশ্যাডো ব্যবহার করতে চাইলে সোনালী আইশ্যাডো ঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে পারেন।
*যেকোনো গায়ের রঙে লিপস্টিকের একটা মানানসই শেড বেছে নেয়া জরুরি। গায়ের রঙ চাপা হলে একটু চাপা শেডের ম্যাট ফিনিশ লিপস্টিক বেশি ভাল লাগে। ব্ল্যাকবেরি, ক্যারামেল, পার্পল এইসব শেড থেকে আপনার পছন্দমত একটা শেড বেছে নিন। লিপস্টিকের সঙ্গে ম্যাচ করে লিপলাইনার লাগান। ঠোঁট কালো হলে, লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে অল্প করে ফাউন্ডেশন আর পাউডার লাগাতে পারেন।
ফর্সা রঙ-
*ফর্সা রঙের অধিকারীদের গাঢ় মেকআপে আকর্ষক লাগে না। তাই এমনভাবে মেকআপ লাগান যেন একটা স্বাভাবিক লুক তৈরি হয়। তাতেই আপনাকে বেশি আকর্ষণীয় লাগবে।
*মেকআপ লাগানোর আগে মুখে ময়শ্চারাইজার মেখে নিলে ত্বক থাকবে সারাদিন ফ্রেশ। তারপর দরকার মত কনসিলার লাগান।
*গায়ের রঙয়ের চেয়ে একটু হালকা শেডের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে না চাইলে বিকল্প হিসেবে টিমেটড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
*আপনার গায়ের রঙ যদি একটু বেশি ফর্সা হয় তাহলে...