লিওনার্দোর ২৪ ব্যক্তিত্ব
কিউকাম্বার প্যাক
যুগে যুগে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে এসেছে নানা উপকরণ। এর মধ্যে শসা অন্যতম। আসুন জেনে নেই শসার প্যাক তৈরির নিয়মাবলী-
• তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে নানা সমস্যায় ভোগেন অনেকে। তারা ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধোয়ার পর শশার রস, আপেল সাইডার ভিনেগার, টমেটোর রস এবং এলভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এতে সমস্যা দূর হবে।
• একটি শশা ব্লেন্ডারে ভালো মতো ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরী করে ২ চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের রুক্ষভাব দূর করে চেহারা উজ্জ্বল করে।
• চোখের ডার্ক সার্কেল কমাতে শশা বেশ কার্যকর। শশা স্লাইস করে কেটে অথবা তুলার মধ্যে শশার রস লাগিয়ে তুলা চোখের উপর ২০ মিনিট রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে ডার্ক সার্কেল কমবে।
• ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে বাইরে থেকে এসে মুখ ধুয়ে শুধু শশার রস লাগান। এটি সান বার্ন দূর করবে।
• বয়সের ছাপ লুকাতে ২ টেবিল চামচ টক দই, আধা চামচ মধু এবং লেবুর রসের সাথে ২ চামচ শশা বাটা এবং ২ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভালো মতো মেশান। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের মরা কোষ, কালো ভাব দূর করে টানটান এবং সুন্দর রাখে।
• ব্রণের সমস্যা দূর করতে ২ চা চামচ শশার রসের সঙ্গে গোলাপ জল এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। এটি মুখে ভালো মতো লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ কমে যাবে।
…শসায় রূপচর্চায় দারুণ দক্ষতা পাশাপাশি রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। সব ধরণের ত্বকেই এটি উপকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
প্রসাধনী যত্নে করনীয়
*প্রসাধনী ভালো রাখতে আলাদা আলাদা বক্সে রাখুন। এতে খুঁজে পেতেও সহজ হবে। সব প্রসাধনী তাপ, আর্দ্রতা এবং সূর্যালোকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। প্রসাধনী ৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখুন। এর চেয়ে কম তাপমাত্রায় রাখলে প্রসাধনী জমে যেতে পারে এবং বেশি তাপমাত্রায় রাখলে নরম হয়ে যেতে পারে।
*ত্বকের যত্নে যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করা হয় তা ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করতে পারেন।
*প্রসাধনীর ঢাকনা কখনো খুলে রাখবেন না। ঢাকনা খুলে রাখলে বাতাসে বিক্রিয়া করে প্রসাধনী নষ্ট হয়ে যায়।
*মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকে র্যা শ কিংবা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
*ব্রাশ, পাফ বা স্পঞ্জ এইসব নিয়মিত পরিষ্কার করবেন এবং শুকিয়ে রাখবেন। নিজের ব্যবহার করা পাফ, স্পঞ্জ, তুলি অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না এবং নিজেও অন্যেরটা ব্যবহার করবেন না। এতে করে কারও স্কিন ডিজিজ থাকলে তা অন্যের ত্বকে ছড়াবে না।
*লিপস্টিক শুকিয়ে গেলে কিংবা তা থেকে বাজে গন্ধ বের হলে ব্যবহার করবেন না। লিপ লাইনার নিয়মিত শার্প করে ব্যবহার করবেন।
*চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে যে কাজল, আইলাইনার, কিংবা মাসকারা ব্যবহার করা হয় তা খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আইলাইনার কিংবা মাসকারা জমে গেলে কখনও পানি মিশিয়ে সেটা ব্যবহার করবেন না। তাতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের ভয় থাকে। মাসকারা ও আইলাইনার ঢাকনা খোলার পর ৪ মাসের বেশি ব্যবহার করবেন না।
*যে কোনো প্রসাধনীর গায়ে ব্যবহার ও যত্নের বিশেষ কিছু নির্দেশনা লেখা থাকে। ব্যবহারের আগে নির্দেশনা পড়ে তারপর তা ব্যবহার করুন।
...নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে আমরা নানা রকম প্রসাধনী কিনে থাকি। প্রসাধনী যেমন ত্বক, চোখ, চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় তেমনি মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নষ্ট প্রসাধনী ব্যবহারে বড় ধরনের ক্ষতিও হতে পারে। সঠিক যত্ন না নিলে প্রসাধনীর গায়ে...
চুলের চর্চায় নারিকেল দুধ
নারিকেলের দুধ স্ক্যাল্প থেকে শুরু করে চুলে আগা পর্যন্ত পর্যাপ্ত ময়েশ্চার সরবরাহ করে যার ফলে চুল নরম ও সুন্দর থাকে ।
*নারিকেলের দুধ প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। শ্যাম্পুর সাথে সমপরিমাণ নারিকেলের দুধ মিশিয়ে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের ময়লা দূর হওয়ার সাথে সাথে চুল নরম এবং সিল্কি হবে।
*শ্যাম্পু করার পর নারিকেলের দুধের সাথে মধু মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে চুল ভালো মতো ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের ফ্রিজি ভাব দূর করে যার ফলে চুল ঝরঝরে থাকে এবং চুল পড়াও কমে।
*ফ্রেশ নারিকেলের দুধ নিয়ে স্ক্যাল্পে ৪-৫ মিনিট হালকা ভাবে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি চুলের আগা ফাটা এবং রুক্ষতা দূর করতে বেশ কার্যকর।
*নারিকেল তেল, আমলা পেস্ট এবং নারিকেলের দুধ সমান পরিমাণে নিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে এটি চুলের গোড়ায় ভালো মতো ম্যাসাজ করে সারা চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে অকালে চুল পাকা রোধ করে এবং চুল ঠিক মতো বাড়তে সাহায্য করে।
নারিকেলের দুধ বানানোর নিয়ম-
• একটি হিট প্রুফ বাটিতে এক কাপ নারিকেল কুঁচি এবং দেড় কাপ গরম পানি নিয়ে চামচ দিয়ে কিছুক্ষণ মিশিয়ে ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিন এবং ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
• মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে দুধ আলাদা করে নিন। এবার এটি ফ্রিজে রেখে দিন।
যা ব্যবহার করবেন না
* আমরা অনেকেই বডি লোশন আমাদের মুখের ত্বকেও ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বডি লোশন দেহের ত্বকের জন্য তৈরি করা হয় তাই এটি খুব ভারী হয় ও খুব সুগন্ধিযুক্ত হয়। তাই আপনার মুখের ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন গন্ধহীন ও আরও ভাল কোন ক্রিম।
* শ্যাম্পু করার সময় মুখে শ্যাম্পুর ফেনা গড়িয়ে আসে সবারই কিন্তু অনেকেই আছেন মনে করেন যে শ্যাম্পুর ফেনা যখন গড়িয়ে এসেছে তাহলে সেই ফেনা দিয়েই মুখ ধুয়ে ফেলি। কিন্তু আপনার এই ধারণাটি মোটেও ঠিক নয় এবং এই কাজটির কারণে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
* অনেকেই মনে করে থাকেন যে হেয়ার স্প্রে দিয়ে যেহেতু চুল ঠিক রাখা যায় তাহলে হয়তো মেক-আপ করার পর, মেক-আপ যেন বেশিক্ষণ থাকে ও না ঘেমে যায় তার জন্য একটু হেয়ার স্প্রে মুখে দিয়ে দেই। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ হেয়ার স্প্রেতে আছে ‘লেকিউরস ও এলকোহল’ উপাদান যা ত্বকের জন্য খুব খারাপ।
* ডিওড্রন্ট এর কাজ হল আমাদের বগোলের ঘাম থেকে ও ঘামের দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা করা। তার মানে এই না যে ডিওড্রেন্ট আপনার মুখের ঘামও দূর করবে। তাই এই ভুল কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
* অনেকেই আছেন কিছুদিন পর পর চুলের রঙ পাল্টে থাকে। তাই মনে করেন যে চুলের রঙের সাথে যদি আইব্রো এর রঙ মিলে যায় তাহলে হয়তো ভাল দেখাবে। কিন্তু চুল কালার করার উপাদানে যে কেমিক্যাল গুলো থাকে তা আমাদের মুখের ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই চুলের পাশাপাশি আইব্রো কালার করবেন না।
* অনেকেই হেয়ার সিরাম ব্যবহার করে থাকেন। আর হেয়ার সিরামের কাজ হল চুল নরম রাখা, চুলের জটা না বাঁধা, চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা। তাই বলে যে চুলের সাথে...
অলিভ ওয়েলে চুলের যত্ন
চুলের যত্নে অলিভ ওয়েলের কিছু ঘরোয়া টিপস –
*একটি ছোট পাত্রে ৪ টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের সাথে অর্ধেক চা চামচ মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন । এবার একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিয়ে, এতে ছোট পাত্রটি (তেল ও মধুর মিশ্রণের) মাঝে রাখুন । এতে মিশ্রণটি হালকা গরম হবে, এবার এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে আলতো করে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন । ২০ মিনিট পর চুল ভাল করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এটি সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করতে পারেন । এটি আপনার শুষ্ক ও রুক্ষ চুলকে করবে কোমল ও উজ্জ্বল ।
*সমপরিমাণ অলিভ ওয়েল ও পানি ভাল করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন । চুল শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণটি চুলে প্রয়োগ করুন । ৫-১০ মিনিট তা চুলে রেখে পএ চুল আবার শ্যাম্পু করে ফেলুন । এটি আপনার চুলে কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে । এতে চুল হবে আরও ঝলমলে ও প্রানবন্ত ।
*সমপরিমাণ অলিভ ওয়েল, লেবুর রস ও পানি ভাল করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন । এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালভাবে আলতো করে ম্যাসাজ করুন । ২০ মিনিট পর ভাল করে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন । এটি আপনার চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে । এটি সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করতে পারেন ।
*১/২ কাপ অলিভ অয়েলের সাথে ১ টি ডিম ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস খুব ভাল করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন । এই মিশ্রণটি চুলে প্রয়োগ করুন । ১৫ – ২০ মিনিট পর চুল ভাল করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এটি আপনার চুল বৃদ্ধিতে / নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে । এটি সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার...
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গোলাপজল
চলুন জেনে নেয়া যাক ঘরোয়া পদ্ধতিতে গোলাপ জল তৈরি-
* একটি তাজা গোলাপ থেকে শুধুমাত্র পাপড়িগুলো নিয়ে নিন।
* গোলাপের পাপড়িগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
* এবার একটি পাত্রে পাপড়ি গুলো রেখে সেখানে ফোটানো বিশুদ্ধ পানি ঢালুন। খুব বেশি পানি দেবেন না। কেবল মাত্র পাপড়ির ওপর পর্যন্ত পানি দেবেন।
* এরপর পাত্রটিকে মাঝারী আঁচে ঢাকনা দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। গোলাপের পাপড়ি রঙ হারালে এবং পানির উপরে হালকা তেল ভেসে উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
* গোলাপ জল ঠান্ডা করে একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিলে দীর্ঘ দিন ভালো থাকে।
...প্রাচীন কাল থেকেই খাবারে ও রূপচর্চায় গোলাপজল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কিংবা রান্নার ঘ্রাণ বৃদ্ধি করতে গোলাপ জলের জুড়ি নেই।
স্মোকি আই
অনেকেই সঠিকভাবে স্মোকি আই মেইকআপ করতে জানেন না। তাদের জন্য স্মোকি আই লুক তৈরির কিছু সহজ ধাপ তুলে ধরা হয়-
* স্মোকি আইয়ের মূল হল_ হালকা এবং গাঢ় রংয়ের আইশ্যাডোর সঠিক ব্যবহার। আর স্মোকি আইয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শ্যাডোগুলো যেন নিখুঁতভাবে ব্লেন্ড করা হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
* স্মোকি আইয়ের জন্য কাছাকাছি শেইডের হালকা থেকে গাঢ় তিনটি আইশ্যাডো রং বেছে নিতে হবে।
* চোখে লিড বা পাপড়ির উপরে শ্যাডো ব্যবহারের শুরুতে সব থেকে হালকা রংয়ের শ্যাডো বেইজ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। এরপর লিডের উপরে বা ক্রিজ অংশে অ্যাশ বা মাঝারি রংয়ের শ্যাডো লাগাতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে যেন হালকা রংয়ের সঙ্গে গাঢ় শেইড ভালো মতো মিশে যায়।
* এরপর চোখের বাইরের কোণায় সব থেকে গাঢ় রংটি ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হবে যেন অন্য রং দু’টির সঙ্গে গাঢ় রংটি ভালোভাবে মিশে যায়।
* আর চোখের ভিতরের কোণায় উপরে এবং নিচে হালকা রংয়ের শ্যাডো ব্যবহার করতে হবে। এতে চোখ উজ্জ্বল ও বড় দেখাবে।
* তাছাড়া স্মোকি ভাবটা আরও গাঢ় করতে চাইলে আইলাইনারের রেখা টেনে সেটা ঘষে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। চোখের উপরের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চোখের নিচেও কাজল টেনে হালকা আইশ্যাডোটি একটি ব্রাশে নিয়ে চোখের নিচের লাইনার বা কাজলে হালকা স্মাজ করে বা হালকা লেপটে দিতে হবে।
* সব শেষে চোখের পাপড়িতে মাশকারা লাগিয়ে নিতে হবে।
ত্বকের যত্নে চকলেট
* চকলেট খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ত্বক কোমল হয়। গবেষকরা বহুবছর বহুবার গবেষণা করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। তাই সুন্দর ত্বকের জন্য পৃথিবীজুড়ে চকলেট খাওয়ার মাত্রা দিন দিন বাড়ছে।
তবে আমাদের দেশে চকলেটের নামে ৫-১০ টাকায় যা পাওয়া যায়, তা আসলে চকলেট নয়। আসল চকলেট কিনতে একটু কষ্ট করে ব্রান্ডেড দোকানগুলোতে খোঁজ করতে হবে।
* চকলেটে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফ্যাটি এসিড এবং ফ্লেভানল, যা ত্বক মোলায়েম করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের রুক্ষতার বিরুদ্ধে লড়াই করে আর সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচায়। এছাড়া ত্বকে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
...বাজারে যে ডার্ক চকলেট পাওয়া যায়, তাতে সাধারণত দুধ ও চিনি মেশানো থাকে। ভালো ফল পেতে দুধ ও চিনি ছাড়া চকলেট খেতে হবে। সেক্ষেত্রে কোকোয়া পাউডার কিনে চকলেট বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
চালের গুঁড়ায় রূপচর্চা
আমাদের শরীরের চামড়ায় প্রতিনিয়ত মৃতকোষ গুলা উঠে গিয়ে সেখানে নতুন কোষ জন্মায়। মৃতকোষ শরীরের উপরিভাগে ময়লার আস্তরণ তৈরি করে এবং এতে ত্বকের মসৃণটা কমে গিয়ে ত্বক হয়ে যায় খসখসে। তাই মৃতকোষ পরিষ্কার করার জন্য স্ক্রাব হল সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি। চালের গুঁড়া ভাল স্ক্রাব এর কাজ করে।
*** ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া, দুধ ২ চা চামচ, লেবুর রস ২ চা চামচ এবং পরিমান মতো পানি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণ টা পুরো মুখে আলতো করে লাগান। ১০ মিনিট পর হাল্কা করে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১/২ দিন এটা ব্যবহার করতে পারেন। জোরে জোরে ঘষতে যাবেন না এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। রোজ রোজ এটা করতে যাবেন না এতে ত্বকের উপকারের চাইতে ক্ষতি হয়ে যাবে।
• এটা শুধু মুখে না আপনি চাইলে সারা শরীরে ব্যবহার করতে পারেন। যাদের মুখ খুব বেশি তৈলাক্ত তারা দুধ এর বদলে শসার রস মিশাতে পারেন ।
• আর শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা অনায়াসে দুধ ব্যবহার করতে পারেন, চাইলে কমলার রস ২ চা চামচ সাথে যোগ করতে পারেন। কমলার রস ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে ।
উপকারিতাঃ
* চালের গুড়া ব্রণের দাগ কমায় ।
* ত্বককে মসৃণ করে ।
* ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
* ব্ল্যাক হেডস কমায় ।
...ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন সময়মতো নিলে অনেক সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব। এর জন্য যে খুব খরচ করে দামী প্রসাধন কিনতে হবে তা কিন্তু নয়। আপনার হাতের কাছেই আছে এমন সব জিনিষ যা দিয়ে নিতে পারেন ত্বকের যত্ন।