আকস্মিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সুর স্রষ্টা
মুখের কালো দাগ দূরীকরণ
মুখের অনাকাঙ্ক্ষিত কালো দাগ দূর করার কয়েকটি টিপস-
* ২ চামচ বেসন, ১ চিমটে হলুদ গুঁড়ো, ১ চামচ চন্দন গুঁড়ো এবং ১ চামচ কমলার খোসা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করুন। এবার এটা মুখে, ঘাড়ে লাগিয়ে রেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
* একটি ছোট আকারের আপেল কেটে এটা মুখে, ঘাড়ে, গলায় লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এইভাবে ব্যবহার করুন।
* আপেল ও কমলার খোসা এক সাথে বেটে এর সাথে কাঁচা দুধ, ডিমের সাদা অংশ ও কমলা রস মেশান। এবার মিশ্রনটা ত্বকে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শীতের সাজ বা মেকআপ
পোশাকের সঙ্গে মানানসই মেকআপ অনেক বেশি জরুরি। শীতে কেমন মেকআপ হবে, সেটি খেয়াল রাখুন। পোশাকের সঙ্গে মেকআপ ঠিক রাখতে কী কী করবেন, সেটি নির্ভর করে সময়ের ওপর। শীতে মেকআপ এ যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-
* মেকআপ শুরুর আগে ত্বকে লাগিয়ে নিন ময়েশ্চারাইজার। শুষ্ক ত্বকে অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার, তৈলাক্ত ত্বকে অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ও কম্বিনেশন ত্বকের টি জোনে অয়েল ফ্রি এবং বাকি অংশে অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার লাগান।
* শীতে বাইরের আবহাওয়া থাকে রুখহ আর সূর্যের তাপ ক্ষতি করতে পারে আপনার ত্বকে। সানস্ক্রিন আপনার ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কাজও করবে।
* বর্তমানে নাম করা মেকআপ ব্রান্ডগুলো ময়েশ্চারাইজার ও ফাউন্ডেশনের সংমিশ্রণে তৈরি করেছে BB ক্রিম। এই এক ক্রিম শুধু ফাউন্ডেশন ই নয় কাজ করে ময়েশ্চারাইজারেরও। হালকা মেকআপ করতে চাইলে ফাউন্ডেশনের বদলে বেছে নিন BB ক্রিম।
* শীতে ম্যাট ফিনিশের বদলে শাইন ফিনিশ এমন ফাউন্ডেশন বেশি কার্যকর। অনেকের ক্ষেত্রেই শীতে গায়ের রঙ ১-২ টোন উজ্জ্বল দেখায়। ফলে সামারে ব্যবহৃত ফাউন্ডেশনের শেড ম্যাচ করে না এবং ডার্ক দেখায়। তাই শীতে স্কিন টোনের সঙ্গে শেড মিলিয়ে নেওয়া জরুরি। ডার্ক সার্কেল, ব্রণের দাগ ও ডার্ক স্পট ঢাকতে বেছে নিন লিকুইড বা ক্রিম কন্সিলার।
* শীতে বেছে নিন একটু ভারী ধরনের ক্রিম কমপ্যাক্ট পাউডার, যাতে অয়েল কন্টেন্ট বেশি থাকে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে, অতিরিক্ত শুষ্ক করবে না। ঠোঁটের সাজ: দামি সুন্দর লিপস্টিক পরলেন অথচ ঠোঁট শুষ্ক ও ফাটা। সে ক্ষেত্রে ভালো দেখাবে না একদমই। লিপস্টিক দেওয়ার আগে ঠোঁটে ভালো মানের লিপবাম লাগান। লিপস্টিকের বদলে ব্যবহার করতে পারেন টিন্টেড লিপবাম আর লিপগ্লস।
* ব্লাশ শীতের মেকআপের প্রধান আইটেম। শীতের ফ্যাকাশে ত্বককে রঙিন করতে বেছে নিন ব্লাশ।...
মজবুত নখ
নখ একটু বড় হলেই ভেঙ্গে যায় অনেকেই এই সমস্যায় ভুগেন। যাদের নখের গঠন কিছুটা নরম প্রকৃতির হয় তাদের এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। তাই জেনে নিন নখ ভেঙে যাওয়া রোধের বা নখ মজবুত করার উপায়-
*নখ ভেঙে যাওয়া রোধ করতে_ এক চা চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে একটু লেবুর রস মিশিয়ে নখে মাখুন। এই মিশ্রণটি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন ব্যবহার করলে আপনার নখ হয়ে উঠবে শক্ত। ফলে তা ভেঙ্গে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
*লবণ নখকে মজবুত করতে বেশ কার্যকর। খেয়াল করে দেখবেন আপনি যখন সামুদ্রিক এলাকায় থাকবেন তখন আপনার নখ বেশ মজবুত থাকে। এর কারণ হল সামুদ্রের জলে ও ওই এলাকার বাষ্পতে লবণ থাকে যা নখকে মজবুত করে তোলে।
এজন্য_ দুই টেবিল চামচ লবণের সঙ্গে অল্প পরিমাণে লেবুর রস জলে মিশিয়ে তা হাল্কা গরম করুন। লবণ যুক্ত সেই উষ্ণ গরম জলে নখ ডুবিয়ে রাখুন। এভাবে ১৫ মিনিট রেখে তারপর উঠিয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিতে নখ বেশ মজবুত হয়ে উঠবে।
*বিভিন্ন প্রকার তেল যেমন বীজের তেল, তিলের তেল, বাদামের তেল, অলিভ অয়েল হাত ও পায়ের নখের জন্য বেশ উপকারী। দিনে তিনবার তুলো ভিজিয়ে এই তেল হাত ও পায়ের নখে মাখলে ভাল ফল পাবেন।
... মেয়েরা তাদের চুলের ডগা থেকে নখের ডগা পর্যন্ত নিখুঁত রাখতে তৎপর ৷ তাই নখ বড় রাখা মেয়েদের একটি ফ্যাশন বলা চলে। বড় করা নখে বিভিন্ন ধরনের সাজ তাদের বেশ পছন্দের একটা বিষয়। উপরের উপায়গুলো অনুসরণ করে নখকে সুন্দর রাখুন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হোন
আসুন জেনে নিই ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়-
◘ রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে প্রচলিত।
* প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা। অথবা হলুদ টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধে গাঢ় হলুদ রঙ ধরলে পান করুন। এভাবে প্রতিদিন একবার পান করবেন।
* বাহ্যিক রূপচর্চাতেও হলুদ আপনার রঙ পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে কালচে ছোপ ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর।
উপকরণঃ
১.দুধ তিন টেবিল চামচ
২.লেবুর রস এক টেবিল চামচ
৩.এবং কাঁচা হলুদ বাটা এক চা চামচ।
পদ্ধতিঃ
• প্রথমে দুধ, লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা পেস্ট তৈরি করুন।
• সারা মুখে এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
• শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। গরম পানি দিয়ে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না।
◘ শীতকালে ত্বকের মলিন বা কালচে ভাব দূর করতে খুব সহজেই প্রাকৃতিক উপায়ে বাসাতেই বানিয়ে নিতে পারেন ‘শীতের ফেয়ারনেস ক্রিম’-
উপকরণঃ
১. কাঠবাদাম (আলমন্ড বাদাম)– ৮ টি
২.হলুদগুঁড়ো– ১/৪ চা চামচ
৩.দই– ১ চা চামচ
৪.মধু– ১ চা চামচ
৫.লেবুর রস– আধা চা চামচ।
পদ্ধতিঃ
• কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন মিহি করে।
• এতে একে একে বাকি উপকরণ মেশান।
• খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন যাতে খুব মসৃণ একটি পেস্টের মতো হয়। ব্যস, হয়ে গেলো আপনার শীতের...
লালচে চুল কালো হওয়ার টিপস
আসুন জেনে নেয়া যাক লালচে চুলকে কালো করার উপায় বা টিপস-
* নিয়মিত মাথার চুল পরিষ্কার করতে হবে।
* সপ্তাহে দু’বার শ্যাম্পু করুন এবং ভালো মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
* প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর ফল, শাকসবজি ও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে- খনিজ ও ভিটামিনের অভাবে চুল লালচে হয়ে যায় এবং চুলের আগা ফাটা শুরু হয়।
* নিয়মিত দুধ ও ডিম ও খেতে হবে।
* চুলে তেল দিন মাসে অন্তত দু’বার। আগের দিন রাতে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে যান পরের দিন শ্যাম্পু করুন।
* আমলকি ও মেথি একসাথে বেটে চুলে লাগিয়ে ৪০ মিনিট রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল কালো হয়। বাটার ঝামেলায় না যেতে চাইলে আমলকী ও মেথির গুঁড়ো কিনে নিন। তারপর পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে চুলে লাগান।
* চুল রঙ করা থেকে বিরত থাকুন। ঘন ঘন চুল কালার করলে চুলের আসল ঘন কালো রঙটি হারিয়ে যায়।
...অনেকের অযত্নে অবহেলায় বা ধুলাবালিতে চুল লালচে হয়ে যায়। আবার অনেকের জন্মগতভাবেই চুল লালচে হয়। ঘন কালো উজ্জ্বলতা একবার হারিয়ে ফেললে সহজে তা ফিরে পাওয়া কঠিন। তবে চেষ্টা করলে সব কিছুই সম্ভব। আশাকরি উপরের টিপস গুলো আপনাদের কাজে আসবে।
তারুণ্য ধরে রাখার টিপস
*মুখের বয়সের ছাপ বা বলীরেখার জন্য প্রধানত দায়ী সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি। তাই যতটা সম্ভব সূর্যের রশ্মি থেকে দূরে থাকুন। বিশেষ করে সকাল ৯ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত। অবশ্যই ভালো সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন শুধু ত্বককে কালো করা বা বলীরেখা দূর করতে সাহায্য করে না, এটি ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
*ধূমপান করবেন না। ধূমপান ত্বকে বলীরেখা সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী। তাই আবার সিগারেট ধরানোর আগে বলীরেখার কথা মাথায় রাখুন।
*কমপক্ষে সাত ঘণ্টা ঘুমান। ঘুমানোর সময় পিঠের উপর ভর করে ঘুমান। অনেকেই পেটের উপর ভর দিয়ে ঘুমায়। এতে চেহারার উপর প্রেশার সৃষ্টি হয়, যা চামড়াকে ঝুলিয়ে দেয়।
*সামুদ্রিক মাছ এবং ওমেগা ৩ আছে এমন খাদ্য বেশি করে খান। ওমেগা ৩ তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। আর শাকসবজি ফলমূল তো আছেই।
*অযথায় কপাল কুঁচকাবেন না। চোখে সমস্যা থাকলে চশমা ব্যবহার করুন। অনেকেই আছেন চোখ মুখ কুঁচকিয়ে কোন কিছু দেখার চেষ্টা করেন বা অধিকাংশ সময় চেহারায় একটি বিরক্তিকর ভাব নিয়ে থাকেন। এতে চামড়ার উপর প্রভাব পড়ে,যা তাড়াতাড়ি বলীরেখাকে প্রকাশ করে।
*মুখ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। আবার অতিরিক্ত মুখ ধোয়া ঠিক নয়। কারণ অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো নয়। রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ঘুমান।
*মুখের মধ্যে যতটা সম্ভব কম হাত লাগান।
*সপ্তাহে ২ বার পাকা কলা চটকে মুখে গলায় ঘাড়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
*ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগান।
*ঘুমানোর আগে সপ্তাহে ২-৩ বার অলিভ অয়েল কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে ৫ মিনিট মুখে ম্যাসাজ করুন। তারপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন।
*মুখের যে অংশে মনে হচ্ছে কিছুটা বলীরেখার প্রভাব পড়ছে ,সেখানে লেমন জুস দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
*প্রতিদিনের অভ্যাস এবং খাদ্যাভ্যাস...
ত্বকের যত্নে যে খাবারকে হ্যাঁ এবং না বলবেন
ত্বক ভালো, সুস্থ, সতেজ ও চিরতরুণ রাখতে আপনি যা খাবেন তাতে প্রচুর পানি থাকা উচিত। সে সঙ্গে চাই নানা ধরনের ভিটামিন। চলুন জেনে নেইঃ
যেসব খাবার ত্বকের জন্য ভালো-
*টমেটোতে যে লাইকোপিন নামে উপাদান আছে, তা ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। আর ভিটামিন সি ত্বকের রুক্ষতা দূর করে। গবেষকেরা একমত যে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় নিয়মিত প্রতিদিন টমেটো আপনার ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেবে না।
*মুখ-চোখের ওপর শসার ফালি রাখা পারলারে স্পা বা ফেসিয়ালের নৈমিত্তিক বিষয়। কিন্তু জানেন কি যে শসা রোজ খেলে আপনার ত্বক যথেষ্ট আর্দ্র হয়ে ওঠে এবং ত্বক পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে? শসায় সিলিকা থাকায় এটি উজ্জ্বল ও পরিষ্কার ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে, ত্বকের কোলাজেনকে রক্ষা করে এবং টান টান রাখে। সবুজ খোসাসহ শসা এতে আরও বেশি সাহায্য করবে।
*প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে একটা লেবু চিপে সেই পানি পান করলে যকৃত পরিষ্কার হয়। আর ত্বক ভালো রাখতে যকৃতের ভূমিকা অপরিসীম।
*গাজরে আছে প্রচুর ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন এক কাপ কাঁচা গাজর আপনার ত্বককে আলাদা এক উজ্জ্বলতা দেবে এবং সূর্যালোকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচাবে। ত্বকের রংয়ে লালচে আভা এনে দেবে এই গাজর।
**ত্বকের জন্য এসব ফলমূল বা সবজির উপকার পেতে এগুলো কাঁচা খাওয়াই ভালো। এতে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ও ভিটামিনের গুণাগুণ অটুট থাকে। আর যদি রান্না করতেই হয় তবে একটু ভাপ দিয়ে নিন। ওপরের খাবারগুলো ছাড়াও প্রতিদিন খানিকটা বাদাম, কাঁচা যেকোনো ফল, ক্যাপসিকাম এবং প্রচুর পানি পান করুন।
ত্বকের জন্য বর্জনীয়-
*রক্তে চিনি বা শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে গ্লাইকেশন প্রোডাক্ট তৈরি হয় দেহে, আর তা ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে ত্বক তার টান টান সতেজতা হারাতে থাকে।...
ঘরোয়া উপায়ে লোমকূপ দূরীকরণ
চলুন জেনে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে লোমকূপের সমস্যা কমানোর কিছু উপায়-
*মেয়োনেইজে আছে ভিনেগার এবং ডিম। যা খোলা লোমকূপ বন্ধ করে ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে। তবে যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য মেয়োনেইজ ব্যবহার উপযোগী। পরিমাণ মতো মেয়োনেইজ নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালোমতো ধুয়ে ফেলতে হবে।
*এক টেবিল-চামচ দইয়ের সঙ্গে কুচি করে কাটা আপেল, এক টেবিল-চামচ মধু এবং লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করতে হবে। এই মাস্ক পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এই মাস্ক ত্বক কোমল করতে এবং বড় লোমকূপ সংকুচিত করতে সাহায্য করে।
*এক কাপের তিনভাগের এক ভাগ পরিমাণ কাজু বাদাম নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করতে হবে যেন পাউডার হয়ে যায়। এরপর খানিকটা পানি এই পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্টটি প্রথমে নাকে এরপর ত্বকের যেখানে খোলা লোমকূপের সমস্যা আছে সেখানে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুইবার এই পেস্ট ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
*অল্প পরিমাণ পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল ডুবিয়ে পুরো মুখে লাগাতে হবে। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। লেবুর রস ত্বক টানটান করে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তবে রোদে বের হওয়ার আগে এই মিশ্রণ ব্যবহার করা উচিত নয়।
*মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে পাকাপেঁপের ভিতরের অংশ পুরো মুখে ঘষে নিতে হবে। ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি নিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এটি খোলা লোমকূপ সংকোচন ছাড়াও ব্রণের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
*ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ গুঁড়াদুধ ভালোমতো মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণের সঙ্গে এক টুকরা...
আন্ডার আর্মের কালো দাগ দূর
আন্ডার আর্মের বেশ কালচে আর রুক্ষ্ম হয়ে থাকে অধিকাংশ ব্যক্তিরই, যা তার দেহের সামগ্রিক সৌন্দর্যকেই ব্যাহত করে। এটা আবার কারও কারও জন্মগতভাবেই হয়ে থাকে, আবার কারও কারও বিশেষ কিছু কারণে হয়ে থাকে। সমগ্র শরীরের অন্যান্য অংশের ন্যায় এই অংশটিরও যথার্থ পরিচর্যা নিলে এই বিচ্ছিরি দাগের সমস্যা হতে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেই-
কারণঃ
• শেভিং করার কারণে এই সমস্যাটি হতে পারে। আমরা অনেক সময়ে কিছু শেভিং ক্রিম বা ভিট জাতীয় উপকরণ ব্যবহার করে থাকি যা ত্বকটিকে পুড়িয়ে কালচে দাগ করে ফেলে।
• সবসময় লুকিয়ে রাখা এই ত্বকটির কোষ আলো বাতাসের অভাবে মরে গিয়ে এই কালো দাগ তৈরি হতে পারে।
• ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের ফলেও এই সমস্যাটি তৈরি হয়।
• ত্বকের সাথে ঘর্ষণের ফলেও এই কালোদাগ হতে পারে।
• বংশগত হরমোনের কারণেও হতে পারে এই সমস্যা।
• যাদের ডায়বেটিস রোগ আছে তাদের এই সমস্যাটি প্রকট আকারে হেয়। কেননা শরীরের ইনসুলিন এই সমস্যাটি তৈরি করতে সহায়ক।
প্রতিকারঃ
* বগলে কালো দাগ হওয়ার মূল কারণ হল বিভিন্ন হেয়ার রিমুভার ক্রিম। এর পরিবর্তে আপনি যদি প্রাকৃতিক কিছু উপকরণ যেমন চিনি, লেবু ইত্যাদি দিয়ে ওয়াক্সিং করেন তাহলে এই দাগ দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
* বগলের নিচের ত্বকটিকে উজ্জ্বল করে তোলার আরেকটি প্রাকৃতিক উপায় হল লেবুর রস ঘষা। লেবুর রস কালো দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করবে।
* এই সমস্যাটি দূরীকরণে বাসায় তৈরি একটি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য লেবুর রস, হলুদের গুঁড়া, ময়দার গুঁড়া ইত্যাদি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ব্যবহার করুন।
* আলু এবং শসা এই সমস্যায় উপকারে আসে। ১৫ মিনিট এই আলু বা শসা বগলের ত্বকে ব্যবহারে কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
* জাফরানের গুঁড়াও এই...