অসুখবিসুখ দূরে রাখতে প্রতিদিন খাওয়া উচিত যে ৮টি খাবার
আলু আর রসুনে রুপচর্চা
**রসুন ভরপুর ভিটামিন এ, সি ও ই তে যা কিনা ব্রণের সমস্যা দূর করা সহ ত্বকের আরও অনেকগুলো সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকর।
*ব্রণের সমস্যা দূর করতে সামান্য রসুন মুখের ব্রনে ঘষুন, ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের জীবাণু নাশক উপাদান অচিরেই ব্রণটিকে বিলুপ্ত করে দেবে।
*অকাল বলিরেখা প্রতিরোধ করে টানটান ত্বক পাবার জন্য হাফ চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার, হাফ চামস চন্দন গুঁড়োর সাথে সামান্য লেবুর রস, তাজা রসুন বাটা ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসমাস্ক তৈরি করুন ও সপ্তাহে একদিন করে ব্যবহার করুন।
**আলু কেবল মজার সবজি নয়, আলু দারুণ ফেসমাস্ক ও স্ক্রাবার। বিশেষ করে শুষ্ক ও কাল ত্বকের জন্য আলু খুব ভালো একটি উপাদান।
*মুখ পরিষ্কার করার জন্য আলুকে থেঁতো করে নিন, তারপর ভালো করে ডলে ডলে মুখে মাখুন। ৪/৫ মিনিট ম্যাসাজ করবেন। ব্যাস, তারপর দেখুন কি পরিষ্কার একটা ঝকঝকে চেহারা।
*কাল দাগ দূর করার জন্য আলু বাটা কিংবা আলুর রস নিন, টার সাথে কাঁচা দুধ মিক্স করুন। এই মিশ্রণ ঘাড়, গলা, কনুই ইত্যাদি স্থানে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহারেই দাগ ও ছোপ কমে যাবে।
রুপচর্চায় গ্রীন টি
*গ্রীন টি ব্রণের সমস্যা ট্রিটমেন্টের জন্য খুবই কার্যকরী। এটি ত্বকে কোন রকম ইরিটেশন বা ড্রাইনেস তৈরী করা ছাড়াই ব্রণ নির্মূল করে।
*গ্রীন টি খুব ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে। টোনার তৈরির জন্য ১ কাপ পানিতে ৫ চা চমচ গ্রীন টি, ১ চা চমচ পুদিনা পাতা ১০ মিনিট ফুটান। তারপর ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করূন। এই টোনার টি দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করূন। এটি ত্বকের চুলকানি ও প্রদাহ দূর করতে খুব উপকারী।
*চোখের ফোলা ভাব এবং চোখের নীচের ডার্ক সার্কেল কমাতে ব্যবহার করা গ্রীন টি এর দুটি ব্যাগ ২ ঘন্টা ফ্রীজ এ রেখে, ঠান্ডা করে চোখ বন্ধ করে এর উপর ১০ মিনিট রাখুন।
*ড্রাই গ্রীন টির পাতা মধুর সাথে মিক্স করে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায় যা লোমকুপের ময়লা এবং মৃত কোষ দূর করে ত্বক কে নরম ও মসৃণ করে।
*ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে গ্রীন টি ডিওডোরেন্ট হিসেবে ভালো কাজ করে। গোসলের পর ঠান্ডা গ্রীন টি আন্ডারআর্ম এ লাগালে দুর্গন্ধ দূর হবে। ঠিক এমনিভাবে পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
*অর্ধেক কলা, ১ চা চমচ গ্রীন টি, ১ চা চমচ মধু এবং ১ চা চমচ টক দই ভালো মতো মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব ভালো ময়েশ্চারাইজিং মাস্ক হিসেবে কাজ করে।
*নিয়মিত গ্রীন টি পান মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এটি ওরাল ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে ডেন্টাল ক্যাভিটিস প্রতিরোধ করে।
*গ্রীন টি চুলের জন্য খুব উপকারী। ৩-৪ টি গ্রীন টি ব্যাগ ১ লিটার পানিতে এক ঘণ্টা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর চুল শ্যাম্পূ এবং কন্ডিশন...
মেকআপ তুলে ফেলার টিপস
*তৈলাক্ত ত্বক হলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পুরো মুখে লোশন মেখে কিছুক্ষণ রাখুন। পরে তুলা দিয়ে মেকআপ তুলে ফেলুন।
*শুষ্ক ত্বক হলে তুলাতে পানি আর তেল মিশিয়ে তা দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করা যেতে পারে।
*হালকা মেকআপ করলে তুলায় ক্লিনজার মেখে মুখটা পরিষ্কার করা যেতে পারে।
*কম ক্ষারযুক্ত ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
*মুখ পরিষ্কার শেষে মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
*ভারি মেকআপ করা হলে এর পর টানা কয়েক দিন মুখে প্যাক ব্যবহার করা ভালো-
•ত্বক তৈলাক্ত হলে পাকা পেঁপে বা পাকা কলা চটকে প্যাক তৈরি করে মুখে মাখতে হবে।
•চালের গুঁড়া, টকদই, শশা, গাজরের রস, মুলতানি মাটি দিয়ে প্যাক তৈরি করে চাইলে ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
•শুষ্ক ত্বক হলে ময়দা, দুধ, মধু, মুলতানি মাটি দিয়ে পেস্ট করে মুখে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হোন
*টমেটোর ভেতর থেকে পাল্প বের করে ভালো মত চটকে নিন। একটু লেবুর রস মিশিয়ে পুরো মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সাবান লাগাবেন না। দেখবেন চেহারাটা কেমন ঝলমলে হয়ে উঠেছে।
*ত্বক পরিষ্কার করতে, পোড়া ভাব দূর করতে, ক্লান্তি কাটাতে ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে রাখতে ব্যবহার করুন শশা ও তরমুজের মাস্ক।
শশার রস ২ টেবিল চামচ, তরমুজের রস ২ টেবিল চামচ, টক দই ১ চা চামচ নিয়ে সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মুখে ভাল করে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ভাল করে মুখ ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন।
তরমুজ ত্বক পরিষ্কার করে। পোড়া ভাব তুলে টোনারের কাজও করে। ত্বকের কালো ভাব কাটায় শশাও। ত্বককে নরম ও টানটান রাখে দই।
*অর্ধেক কলা, ১টি ডিমের সাদা অংশ, দই ১ টেবিল চামচ নিন। এবার কলা ভাল করে চটকে নিয়ে ডিমের সাদা অংশ ও দইয়ের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর পুরো মুখে ভাল করে সমান ভাবে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জলে মুখে ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন।
চুল ভাল রাখার টিপস
*সুন্দর চুলের জন্য নজর দিন খাওয়া-দাওয়ার দিকে। সবুজ সবজি ও ফলের রস তো চুলের জন্য অতি জরুরি। স্বাস্থ্যবান চুলের জন্য দুধ ও ফ্রেশ দই খেতে পারেন। নারকেলও চুলকে স্বাস্থ্যবান করে তুলতে সহায়তা করে। সালাদ, ফলের ওপর বা ভাতে নারকেল কুরানো ব্যবহার করতে পারেন। রিফাইন্ড, প্রসেসড ও ক্যানড ফুড কম পরিমানে খান।
*চুলের রং ও স্বাস্থ্যের পক্ষে স্ট্রেস ক্ষতিকারক। তাই স্ট্রেসমুক্ত থাকতে রিলাক্স করার নানা ধরনের টেকনিক যেমন- মেডিটেশন, মিউজিক থেরাপি ট্রাই করতে পারেন।
*চুলের যত্নে কখনোই কড়া কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না। সপ্তাহে অন্তত ৩ বার শ্যাম্পু করার প্রয়োজন হলে ন্যাচারাল ক্লেনজার, কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
*সপ্তাহে ২-৩ বার ওয়ার্ম অয়েল ম্যাসেজ করতে পারেন। নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। আঙুলের ডগা দিয়ে চুলের গোঁড়ায় ম্যাসেজ করুন। শ্যাম্পু করার ১ ঘণ্টা আগে অয়েল ম্যাসেজ করুন। চুলের গোঁড়ায় ম্যাসেজ এর কারণে আপনি আরামও পাবেন এবং ঘুমও ভাল হবে। চুল ঘন করতে চাইলে সরিষার তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
*ভিজা চুল কখনোই আঁচড়াবেন না। চুলের জট ছাড়ানোর জন্য বড় দাঁড়ার ব্রাশ ব্যবহার করুন। কাঠের চিরুনি ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়। সপ্তাহে একবার ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট ট্রাই করুন।
চুলের বিশেষ যত্ন
*হেয়ার স্প্রে, আয়রন মেশিন বা বিভিন্ন রকমের হেয়ার ক্রিম ব্যবহারে চুল জট পাকিয়ে যায়। তাই তেল দিয়ে আগে জট ছাড়াতে হবে।
*তেল মাখা চুল কখনো একদিনের বেশি রাখবেন না, ভাল ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
*ভেজা চুল ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।
*নিয়মিত তেলের সঙ্গে মেথি, আমলকী মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে পারেন।
*চুলে নিয়মিত মেহেদি দেওয়া ভালো।
*চুলের গোড়ায় লেবুর রস দিয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন। তবে বেশি সময় ধরে না করাই ভালো, খুশকি হলে বা দুই/তিন মাস পর পর করবেন।
চোখের নিচের কালি দূরীকরণ
*শসা চাক করে চোখের পাতায় ২০-২৫ মিনিট রাখুন।
*গোল আলুর রসও ব্যবহার করতে পারেন, আলু কুচিকুচি করে নিয়ে চোখের পাতায় ২০-২৫ মিনিট রাখুন।
*বাজারে বিভিন্ন আইকেয়ার জেল পাওয়া যায়, ভাল ব্র্যান্ডের ব্যবহার করুন।
*মাঝেমধ্যে ঘড়ির কাঁটার দিকে অথবা বিপরীতে খুব হালকাভাবে চোখ ম্যাসেজ করুন।
*চোখকে বিশ্রাম দিন।
*দৈনিক অন্তত ছয় ঘটনা ঘুমান এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ শাকসবজি ও ফলমূল খান।
ত্বকের যত্নে তরমুজ
*তরমুজের রস ও প্রাকৃতিক পরিষ্কারক লেবুর রস আপনার ত্বকের জন্য হতে পারে উপকারী ক্লিনজার। প্রতিদিন সকালে এটি লাগিয়ে অল্প ম্যাসাজ করুন। এবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, নিশ্চিত উপকার পাবেন।
*মাস্ক হিসেবেও তরমুজ ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে মটর ডালের বেসন, তরমুজের রস, সয়াবিনের গুঁড়ো একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। তৈলাক্ত মুখ মুয়ে পান ত্বকে টানটান অনুভূতি।
*শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের জন্যও আছে তরমুজের রূপচর্চা। তরমুজ, পাকা কলা, সয়াবিনের গুঁড়ো নিন। সয়াবিন গুঁড়োর বদলে চালের গুঁড়ো বা ময়দা ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত একবার করে এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার সামান্য ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন, হাসছে আপনার ত্বক।
...ভিটামিন এ, বি, সি সমৃদ্ধ তরমুজ ত্বককে সজীব করে, পাশাপাশি উজ্জ্বল ও নরম রাখে। তাই খাওয়ার পাশাপাশি তরমুজ দিয়ে হোক উপযুক্ত রূপচর্চা।
বৈশাখী সাজ
বৈশাখের সাজে নিজেকে রাঙাতে প্রস্তুত সব বয়সী বাঙালি নারী। তরুণীদের মাঝে সে প্রবণতা আরও অনেক বেশি। নিজেকে ইচ্ছামতো রাঙাতে কারো নেই একটুও ক্লান্তি।
মেকআপ -
প্রচণ্ড গরম আর রোদের তাপে মেকআপ নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে। বৈশাখী সাজে মেকআপ ঠিক রাখতে বেছে নিতে পারেন হাল্কা বেইজের কিছু। তাই বেছে নিতে পারেন অয়েল ফ্রি বা ওয়াটার প্রুফ মেকআপ। তবে তা অবশ্যই স্বাভাবিক মানের হওয়া চাই।
চোখের সাজ -
চোখে লাগাতে পারেন হাল্কা আই শ্যাডো আর মাশকারা। এ ক্ষেত্রে কাজল, আই লাইনার বা মাশকারা অবশ্যই ওয়াটার প্রুফ হতে হবে। চোখের চারদিকে ছড়িয়ে পড়া এড়াতে কাজল দেওয়ার পর হাল্কা একটু পাউডার দিয়ে নেবেন। তাতে আর কাজল ছড়ানোর ভয় থাকবে না।
ঠোঁটের সাজ -
গাঢ় দিতে চাইলে অবশ্যই লাল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে হালকা রঙের লিপস্টিকও ব্যবহার করতে পারেন। তবে রঙটা যেন অবশ্যই আপনার পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। অপেক্ষাকৃত হালকা রঙই ভালো লাগে বেশি।
কপালের সাজ -
কপালে ছোট বা বড় লাল টিপই বেশি মানাবে। অন্য রঙের টিপও ব্যাবহার করতে পারেন, সেক্ষেত্রে এখানেও পোশাকের রঙের সঙ্গে মিল রাখা বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তবে, এক্ষেত্রে গাঢ় রঙ অত্যাবশ্যকীয়।
চুলের সাজ -
বড় চুলের সাজে করতে পারেন খোঁপা বা বেণী। শাড়ি বা সালওয়ার কামিজ যাই পরুন না কেন, চুলে খোঁপা বা বেণী দুটোই ভালো মানায়। এ ক্ষেত্রে হাত খোঁপা করে চুলের দু পাশে বা পুরোটা জুড়ে গেঁথে নিতে পারেন দেশি ফুলের মালা। মানানসই কাটে মাঝারি বা ছোট চুল ছেড়ে দিলেও ভালো মানায়। উৎসবের দিন সেটাকে আয়রন করে একপাশে রেখে দিতে পারেন। ছোট্ট কোনো ব্যান্ড দিয়েও হাল্কা হাতে একটু অগোছালো করে আঁটকে নিতে পারেন। তবে তাতেও ফুল থাকা চাই। এছাড়া...