Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

সাইয়িদ রফিকুল হক

৫ বছর আগে লিখেছেন

রমণীর মন

রমণীর মন
সাইয়িদ রফিকুল হক
 
আজ রাস্তায় খুব ভিড় ছিল। এমন ভিড় এই শহরে তিনি অনেকদিন পরে দেখেছেন।
অফিস-ছুটির পর অনেক কষ্টে মোতালেবসাহেব বাসায় ফিরেছেন। গায়ের জামাকাপড় এখনও খোলেননি।
তবে ধীরেসুস্থে জামাকাপড় খুলে তিনি একটু বিশ্রাম নেওয়ার প্রস্তুতিগ্রহণ করছিলেন।
শীতকাল বলে তিনি আজ একটুও ঘামেননি। নইলে, বাসের ভিতরে মানুষের ভিড়ের চাপে তিনি ঘেমে-নেয়ে একেবারে একাকার হয়ে যেতেন। এজন্য তিনি অনেক কষ্টে বাসায় ফিরেও মনে মনে বিরাট স্বস্তি অনুভব করলেন।
আজ রাস্তায় খুব ভিড় ছিল। এই ভিড় দেখলে মোতালেবসাহেবের ভালো লাগে না। তিনি গ্রামের ছেলে। শুধু চাকরির সুবাদে এই ঢাকা-শহরে এসেছেন। মানুষের এতো ভিড় তার কখনওই... continue reading

১৪৭

সাইয়িদ রফিকুল হক

৬ বছর আগে লিখেছেন

জীবনের প্রশ্নোত্তর মেলে না

ছোটগল্প:
জীবনের প্রশ্নোত্তর মেলে না
সাইয়িদ রফিকুল হক
 
সমির কয়েকদিন যাবৎ খুবই বিমর্ষ। আজ সকাল থেকে তার মনটা আরও বেশি খারাপ।
তামান্নার সঙ্গে তার সম্পর্কটা ইদানীং খুব-একটা ভালো যাচ্ছিলো না। তবুও সে এতোদিনের সম্পর্কটা ভাঙতে চায়নি। সে তাদের এই সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার জন্য গত কয়েকদিন যাবৎ যারপরনাই চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার জন্য আরেক পক্ষ থেকে কোনোরকম সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।
 
গত পরশু পর্যন্ত তামান্না তার সঙ্গে দিনে দুই-চারবার কথা বলতো। কিন্তু গতকাল থেকে সে ফোনে এবং সবরকমের যোগাযোগ হঠাৎ করেই একদম বন্ধ করে দিয়েছে। এসবের কোনো মানে বুঝতে পারছে না সমির। এই জীবনে সে শুধু এই একজনকেই... continue reading

১৭৭

সাইয়িদ রফিকুল হক

৬ বছর আগে লিখেছেন

ছোটগল্প: সৌরভের হাতে ফুল ছিল

ছোটগল্প:
সৌরভের হাতে ফুল ছিল
সাইয়িদ রফিকুল হক
 
সৌরভ সেই কখন থেকে তরতাজা একুশটি গোলাপ হাতে চন্দ্রিমা-উদ্যানের লেকের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার আসার কথা ছিল বিকাল চারটায়। কিন্তু সে এসেছে তিনটায়। একঘণ্টা আগে এসেও তার খুব-একটা খারাপ লাগছে না। আজ মিথিলার আসবার কথা আছে। তাই, সে আগেভাগে এখানে চলে এসেছে। সে প্রায়শঃ এরকম করে থাকে। মিথিলার সঙ্গে দেখা করার জন্য সবসময় সে কেবলই ছটফট করে।
আজও সে বাসায় বসে থাকতে পারেনি। একঘণ্টা আগে ছুটে এসেছে। তাদের জন্য আজকের এই জায়গাটা মিথিলাই পছন্দ করেছে। কারণ, আজ ওর জন্মদিন। আর মিথিলাই গতকাল ফোন করে সৌরভকে ঠিক চারটায় এখানে আসতে বলেছিলো। সৌরভ মিথিলার কথা... continue reading

১৫৩

কবির তালুকদার।

৬ বছর আগে লিখেছেন

সাইয়িদ রফিকুল হক

৬ বছর আগে লিখেছেন

একজন মুক্তিযোদ্ধা শমসের আলীর গর্জন

ছোটগল্প:
একজন মুক্তিযোদ্ধা শমসের আলীর গর্জন
সাইয়িদ রফিকুল হক
 
সোনাপদ্মা-গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শমসের আলী গত সাতদিন যাবৎ ঘর থেকে বাইরে বের হন না। তিনি খুব মনখারাপ করে বাড়িতে শুয়ে-বসে রয়েছেন। বাইরে বের হতে তাঁর ভালো লাগছে না। মনটা তাঁর ভীষণ খারাপ।
সাতদিন আগে তিনি বাড়ির কাছে বড়বাজারে গিয়েছিলেন। বাজারের পাশে কয়েকটি চায়ের দোকান গড়ে উঠেছে। মাঝে-মাঝে তিনি এদিকটায় আসেন। পছন্দের লোকজনের সঙ্গে মনখুলে কথাবার্তা বলেন। তবে এখানে বসে তিনি যে আড্ডা দেন—তা ঠিক নয়—তবে সবার সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হয়।     সেজন্য তিনি এখানে এসে বসেন।
 
সেদিনও তিনি এখানে কিছুসময়ের জন্য এসে বসে ছিলেন। আর এককাপ চা-ও পান করেছিলেন।
এখানে, নানাজাতের নানান লোকজন আড্ডাবাজি করতে আসে। এদের... continue reading

১৪৬

সাইয়িদ রফিকুল হক

৬ বছর আগে লিখেছেন

ছোটগল্প: বিকৃত-ব্যবচ্ছেদ

ছোটগল্প:
বিকৃত-ব্যবচ্ছেদ
সাইয়িদ রফিকুল হক
 
তনুশ্রী আপনমনে হাঁটছিলো। এসময় তার অন্য কোনোদিকে খেয়াল ছিল না। তার সমস্ত মনোযোগ এখন হাঁটায়। তাই, সে খুব মনোযোগ দিয়ে হাঁটছে।
আজ তার মনটাও খারাপ। আর সে বাসা থেকে বেরও হয়েছে এই মনখারাপ নিয়ে।
সে বড় রাস্তার মোড়ে এসে দেখলো রাস্তার একপাশে একটা বিরাট জটলা। আর সেখানে লোকজনের সে-কী চিৎকার ও চেঁচামেচি! তার মনে হলো—আজকাল একশ্রেণীর মানুষ হাতের কাছে একটাকিছু পেলে তা-ই নিয়ে অহেতুক হাঁকডাক করতে খুব ভালোবাসে আর এতে উৎসাহী হয়ে ওঠে। কিন্তু  মানুষের হৈচৈ তার একদম ভালো লাগে না। তবুও তাকে এই ভিড়টার পাশ কেটেই যেতে হবে। সে প্রায় চোখ বন্ধ করে লোকের ভিড় অতিক্রম... continue reading

১৮১

রজত শুভ্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

পড়শি যদি আমায় ছুঁত

বৃষ্টিটা আসলো জোরে সোরে। ধরন দেখে মনে হচ্ছে সে পণ করেই এসেছে থামবেনা।কৈশোরর একটা সময় বৃষ্টি ভীতি ছিল খুব। আমরা থাকতাম চুয়েট গেইট এলাকায় একটা টিন শেড ভাড়া বাসায়। বৃষ্টি ভীতি কিভাবে ধরা পড়লো সে ঘটনাটা বলি। সেদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি। থেমে থেমে বিকট শব্দেবজ্রপাত। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম বিচিত্র কারণে আমার সারা শরীর কাঁপছে । বৃষ্টিরবেগ যত বাড়ছে আমার ভয় বাড়ছিল পাল্লা দিয়ে। আমার শুধু মনে হচ্ছিল মুহূর্তে বাজ পড়ে বাড়ি ঘর পুড়ে যাবে। গল গল করে বানের পানি ঢুকবে ঘরে।ভয়ে আমি কাঁথামুড়ি দিয়ে  গুটিশুটি মেরে খাটে শুয়ে পড়ি। অপেক্ষায় থাকি বৃষ্টি থামার। সেই থেকে ভীতিটা শুরু । ঠিক কতদিন ছিল... continue reading

৩৪১

রজত শুভ্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

তটিনী

                                        
“মনসুর, পাঁচ জন লেহ”,ঘাটমাঝি কে যাত্রীর হিসাব বলে সাম্পানের ইঞ্জিনে হ্যান্ডেল লাগিয়ে ঘুরাতে শুরু করে।প্রথম চেষ্টায় ইঞ্জিন ভট ভট শব্দে চালু হয়ে যায়।হাল ধরে বসে পরে হরি।বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে।ফিনফিনে বৃষ্টি না, ঝুম বৃষ্টি।বর্ষা শুরু হয়নি।তবুও এত বৃষ্টি।কেজানে,বর্ষায় কি হয়।এই কয়দিন বৃষ্টিতে নদীর পানি ঘোলের শরবতের মত ঘোলা হয়ে গেছে। ভাটি অঞ্চল থেকে গাছ বাঁশ এইসব ভেসে আসছে।অনেকে নৌকা নিয়ে ধরছে এইসব। এদের বেশির ভাগ ছোট ছেলে মেয়ে,কিশোর বা কিশোরী। পাহাড়ী নদী। তাই খুভ বেশি বৃষ্টি হলে পাহাড়ী ঢল নামে। সেই ঢলের সাথে উজানের দিকে ভেসে আসে পাহাড়ি গাছ –পালা,বাঁশ,নল-খাগড়া। একবার আস্ত সেগুন গাছ পেয়েছিল হরি। অনেক কষ্টে পাড়ে নিয়ে আসে। সেগুন কাঠের দাম মোটামুটি
অগ্নিমূল্য বলা যায়। কিন্তু পরদিন... continue reading

২৮৯

ইফ্ফাত রুপন

৬ বছর আগে লিখেছেন

প্রত্যুত্তর

অরণ্য,
এই লিখাটির শুরু তুমি যেভাবে দেখতে পাচ্ছো আমি ঠিক সেভাবে শুরু করতে চাচ্ছিলাম না। প্রারম্ভিকের ব্যাপারটা আমার মধ্যে নেই। কোন কিছুর সূচনা আমার দ্বারা হয়তো আজ পর্যন্ত সম্ভব হয় নি। অনেকটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখানোর জন্য আজ তোমাকে লিখতে বসেছিলাম। পারলাম না, হয়তো কখনো পারবোও না। তবে সূচনার কিছুটা অভিব্যাক্তি আজ তোমার হাতে আমি কিছুটা হলেও দিতে পারবো। তোমার কাছে আমার লিখার প্রথম সূচনা।
তোমাকে লিখার জন্য আজ কেন যেন কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম তোমাকে কিছু লিখবো। পারছিলাম না। কেন পারছিলাম না তার উত্তরটা আমার জানা নেই। তবে আমি আশা করি তোমার কাছে উত্তরটা নিশ্চয়ই... continue reading

২৫১

সাইয়িদ রফিকুল হক

৬ বছর আগে লিখেছেন

আজিজসাহেব ফাঁসির পরোয়ানা হাতে পেয়েছেন

ছোটগল্প: আজিজসাহেব ফাঁসির পরোয়ানা হাতে পেয়েছেন
সাইয়িদ রফিকুল হক
 
আব্দুল আজিজসাহেব আজ ক্লান্তদেহে বাসায় ফিরলেন। তার মনটিও ভালো নাই। সেখানে নানারকম হতাশা আর দুশ্চিন্তা বাসা বেঁধেছে। এগুলো তাড়াবার মতো মনোবল তিনি যেন খুঁজে পাচ্ছেন না।
 
তিনি বেসরকারি চাকরি করেন। তার চাকরি এখনও আট-বছর আছে। তবুও তার মনে বিরাট দুর্ভাবনা আর বিশাল হতাশা। তার হতাশার কারণ নতুনকিছু নয়—প্রতিবছরের হতাশা পুনর্বৃদ্ধি মাত্র। আর এটির একমাত্র কারণ হলো: হঠাৎ-হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত বাসাভাড়াবৃদ্ধি। কিন্তু প্রতিবছর তার বেতন সে তুলনায় তেমন একটা বৃদ্ধি পায় না। তার দুশ্চিন্তাটা সেখানেই।
 
আজ কদিন যাবৎ তার কেবলই মনে হচ্ছে: তিনি যেন এই শহরে আর বসবাস করতে পারবেন না। জুয়ার আসরের... continue reading

২১৮