Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

টোকাই

৮ বছর আগে লিখেছেন

সাক্ষী জন্মান্তর

বটবৃক্ষ- ওহে পথিক ! একটু সবুর করো । জিড়িয়ে নাও আমার ছায়াতলে ।
পথিক- নাহ, পারবো জিড়োতে । আমার পথ যে অনেক বাকি ।
বটবৃক্ষ- বন্ধুবর , তোমার বয়স কত ?
পথিক- সাতাশ পেরিয়ে দু মাস এগার দিন ।
বটবৃক্ষ- সত্যি সাতাশ !! ভেবে বল যুবক ।
পথিক- পৃথিবীর আলোয় এসেছি সাতাশ বছর । আর জঠরে ছিলাম দশ মাস । সে হিসেবে পরিপূর্ণ আটাশ । আর দুএক দিনের হিসেব বাদই দিলাম ।
বটবৃক্ষ- দশ মাসের কথা তাহলে ভুলে গেলে কেন প্রথম ? বালক , কিসের এমন তাড়াহুড়ো ?
পথিক- সেই দশ মাস ছিল ঘৃণা , সেই দশ... continue reading

৪১০

কারিম গাজী

৮ বছর আগে লিখেছেন

গল্প: মৃন্ময়ী ও আমার মিথ্যে প্রেমের ইতিকথা।

পর্ব ৫
সকল নিরবতা ভেংগে মৃন্ময়ী  দৌড়  কাছে আসল,
আমাকে বুকে জড়িয়ে নিল।আমি ভেজা অনুভব করছি,তার চোখের জলে কাপড় ভিজে গেছে,আমার বুকে এক অবর্ণনীয় আনন্দ অনুভুত হল।কারো কান্নায় এত সুখ আছে আগে জানা ছিল না।
যে মেয়েটিকে এতকাল নির্দয় ভেবে ঘৃনা জমানোর চেষ্টায় ছিলাম,তার হৃদয়ে এত কমলতা আছে জানা ছিল না।প্রিয়জনের দূরে থাকলে মায়া বাড়ে কথাটি সত্য।
মনে করছি এই সুখ আজীবন থাকুক,কিন্তু আমি কি ভাবছি  অন্যের বউকে,সে অন্যের বউ আমি তাকে পাবার বাসনা রাখতে পারি না।
কিছুক্ষন নিরবতা ভেংগে আমার বুক থেকে তার মাথা সে উঠিয়ে নিল,
-আমাকে এখনো ভালবাস রোমেন?
-আমি নিজেকে সামলে নিলাম, না আমি তোমাকে... continue reading

৩৭০

কারিম গাজী

৮ বছর আগে লিখেছেন

গল্প: মৃন্ময়ী ও আমার মিথ্যে প্রেমের ইতিকথা।

পর্ব ৪
এই যে প্রেমিক সাহেব আপনার প্যান্ট খুলে যাচ্ছে,চুলের যা অবস্তা আপনার ভদ্র ছেলে কেউ বলবে না ,এইসব জিনিষগুলো আমি অপছন্দ করি,তাই নিজেকে একটু পরিবর্তন কর।
আমি কারো মনোরঞ্জনের জন্য নিজেকে পরিবর্তন করি না,একটু জোড় দিয়েই বললাম।
রোহি,রোমেন আমি চলে যাচ্ছি আম্মু খোজা শুরু করছে হয়ত।
আচ্ছা ভাল থেকো।
আমি আর রোহি হেটে চলে আসলাম যার যার বাসায়।

আমাদের কৃষি শিক্ষার প্রেকটিকাল সবাই আছে আমি আছি,
মৃন্ময়ী আমাকে ডাক দিল আমি ছুটে চলে গেলাম।
বন্ধু রা আমাকে দেখে ঠাট্টায় মেতে উঠেছে।
পরিক্ষার পর কি করবা,রোমেন?
কলেজে ভর্তি হব।
সেটাই ভাল করে পড়,আমি... continue reading

৩৫১

কারিম গাজী

৮ বছর আগে লিখেছেন

গল্প: মৃন্ময়ী ও আমার মিথ্যে প্রেমের ইতিকথা।

পর্ব ৩
আমাদের পরিক্ষার হল ছিল স্কুল হলের তিন তলায় ৩০৫ নাম্বার রোমে।মৃন্ময়ীরর হল ছিল দুই তলায় ২০১ নাম্বার রোমে।
আমি মৃন্ময়ী দের হলে প্রবেশ করে, আমি কারো সাথে কথা বললাম না কথা বললাম না।আমাকে দেখে মৃন্ময়ী বলল চল তোমার সাথে কথা আছে,আমাকে নিয়ে আড়ালে চলে গেল,রোহি দূরে দাঁড়িয়ে।
আচ্ছা রোমেন সেদিন তুমি কি করলা?
আমি তোমাকে বন্ধু ভাবি আর কিছু না।
তুমি আমাকে ভালবাস না বাস আমার কিছু আসবে যাবে না।
তুমি এভাবে করলে হবে বল,তুমি আমি ভাল বন্ধু ছিলাম অথচ আজ তুমি আমাকে দেখলে তেমন ডাক দাও না,আমিও লজ্জায় দিতে পারি না।
আমি তোমাকে... continue reading

৫৪৫

কারিম গাজী

৮ বছর আগে লিখেছেন

গল্প: মৃন্ময়ী ও আমার মিথ্যে প্রেমের ইতিকথা।

পর্ব ২

আমি চুল গুলো এখনো হালকা ভেজা এলোচুলে হেটে চলেছি মেডামের বাসা থেকে রাস্তায় এসে পরেছি মনে নেই।,আমার ভাল কয়েকজন বন্ধু ছিল,সুখু দুখে তাদের সাথে পথ হেটেছি। অনেককে শান্তনা দিয়েছি অনেকের বাচার আশা জুগিয়েছি,আমি নিজেকেই আশা দিতে পারছি না,মানুষ যা সহজে বলা যায় তা নিজে এত সহজে মানা যায় না বহুবার শুনেছি আজ বাস্তব প্রমাণ পাচ্ছি।
আজ প্রথম মনে হচ্ছে পৃথিবীতে আমি একা,কেউ পাশে নেই যদিও সবাই ছিল।সাদকান পিছন থেকে কাদে হাত রেখে প্রশ্ন  করে  কি হইছে?
আমি কিছু বললাম না আমি জানি সে আগেই জানতে পেরেছে
আমার ভাল বন্ধুদের মধ্যে সে ছিল একজন।
রোমেন... continue reading

৪৬৭

কারিম গাজী

৮ বছর আগে লিখেছেন

গল্প: মৃন্ময়ী ও আমার মিথ্যে প্রেমের ইতিকথা।

পর্ব:১
অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে  কল আসতেছে বারবার,আমি অপরিচিত নাম্বার  ধরি না তেমন।তাই আজো স্বভাব অনুযায়ী  ধরব না  ভাবছিলাম কিন্তু না
শেষ পর্যন্ত ধরতে হলো মিনিয়াম ত্রিশ টা কল যে দিতেছে তার কল না ধরলে নিজেকে ছোট মনে হবে,হতে পারে কেউ হয়ত কোন বিপদে পড়েছে।

হ্যালো আসসালামু আলাইকুম
কে বলছেন?
আমি মৃন্ময়ী ভাল আছ?
আমি কিছু বললাম না।
হ্যালো তুমি কি আছ?
হুম্ম বল(বিরক্ত সুরে)
তুমি কি আমার সাথে দেখা করতে পারবা?
না আমি পারবো না,আর কিছু বলবা আমি একটু ব্যস্ত।
প্লিজ তোমাকে কিছু কথা বলব,তোমাকে দেখতে মনে চাইতেছে।
আমার চাইতেছে না,কারো... continue reading

৪০৩

দীপঙ্কর বেরা

৮ বছর আগে লিখেছেন

মানুষের খোঁজে ( সৃজনশীল ব্লগিং প্রতিযোগিতা ২০১৬ ক্যাটাগরি ২ গল্প)

 
 
চিত্রিতা অন্ধকার চিনত কিন্তু ভয় পেতনা।কেন না ওখানে যারা যেত বা থাকত, তাদের সবাই তো চেনা।পাড়ার।মাঝে মধ্যে বাইরেরও দেখেছে।
তাছাড়া এসব তো এখন সর্বত্র।একে কেউ আর অন্ধকার বলেও না।
বলে - একটু আধটু রিলাক্স করতেই হয়।জীবনের এটাই তো চার্ম।কি হবে নিরামিষ থেকে!
সন্ধ্যেতে পড়ে ফেরার সময়, দুপুরে বাজারে যাওয়া আসায়, কিংবা বন্ধুদের সাথে চলাফেরার আড্ডায় এসব ওপেন দেখেছে চিত্রিতা।কোনভাবে কারও কাছে অন্ধকার বলে চিহ্নিত হয়নি।
কিন্তু চিত্রিতা এর ওর মুখে মুখে খবরে স্কুলের বন্ধুদের কাছে জেনেছে বুঝেছে, কিংবা ভিড়ের মাঝে বা একা একা চলার পথে কিছু অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যে বুঝেছে, এ অন্ধকার।সেখানে কখনও কখনও হঠাৎই চেনা... continue reading

৩৪৩

আমির ইশতিয়াক

৮ বছর আগে লিখেছেন

মায়ের স্বপ্ন (সৃজনশীল ব্লগিং প্রতিযোগিতার ২০১৬ - প্রথম পর্ব, ক্যাটাগরি-০২, ছোট গল্প)

খোদেজা বেগমের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন তার সন্তান শাকিল এদেশের একজন নামকরা ডাক্তার হবে। গরিব দু:খী মানুষের সেবা করবে। অভাবের সংসারে কত কষ্ট করে খোদেজা তার সংসার চালাচ্ছেন তা শুধু আল্লাই ভালো জানেন। তার সম্পদ বলতে কিছু নেই। রেললাইনের পাশেই এক বস্তিতে তিনি তার সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে নিজে না খেয়ে শাকিলের লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছেন।
খোদেজা বেগম একজন সহজ, সরল নারী। খুব সাদা-সিধে তার জীবন যাপন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ তিনি পাননি। প্রকৃতি থেকেই শিক্ষা নিয়েছেন তিনি। অভাবের সংসারে বড় হয়েছেন বিধায় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। নিজে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে পারেননি বলে কি সন্তানকে শিক্ষিত করবেন... continue reading

১০ ৬৯৪

প্রিন্স মাহমুদ রহিম

৮ বছর আগে লিখেছেন

স্বপ্ন

শীত ঋতুটা শেষ হইয়া যাইতেছে প্রায়। উত্তরের হিমেল হাওয়া বহিতেছে অবিরাম।আমি তোমাকে একটিবার দেখিবার অপেক্ষায়।ব্যর্থ হইয়া অপেক্ষায়ই থাকা হইলো,কিন্তু তোমার দেখা মিলিল না।ইচ্ছা ছিল চাদর খানা মুড়ি দিয়া বাসার ছাদে দাড়াইয়া তোমার কোমল হাতে হাত খানা রাখিয়া উত্তরের হিমেল হাওয়া উপভোগ করিব।তা আর পারিলাম কোথা? তুমি ইত এখনও আমাকে বুঝিয়া উঠিতে পার নাই।একটি বার ভাবিয়া দেখনা উত্তরের হিমেল হাওয়াটা কতটা মিস করিয়া ফেলিলাম। 'আসিতেছে বসন্ত! ফুটিবে অগনিত সুভাষে পরিপূর্ণ নানা রকমের ফুল। নতুন করিয়া ইচ্ছা গুলো মনের ঘরে খুবই যত্ন করিয়া সাজাইব আমি। শনশন শব্দে দক্ষিণা বাতাস হৃদয়ে দোলা দিয়া যাইবে।তখন তুমি আর আমি দুজনে মিলিয়া বারান্দায় দাড়াইয়া হাতে... continue reading

৩৭০

সাইফুল বিন হানিফ

৮ বছর আগে লিখেছেন

মা

মা
শব্দটি খুবই ছোট। ছোট হলেও এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় শব্দ। কারণ মায়ের মতো এত মিষ্টি শব্দ আর একটিও নেই। মা-ই হলো আমাদের সবচেয়ে আপনজন। এমন আপন যে মা, তা কিন্তু অনেকেরই নেই। আমরা সবাই কোনো না কোনো মায়ের সন্তান হলেও পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের মা নেই,বাবাও নেই। তাই মায়ের আদর-ভালোবাসা কিংবা বাবার স্নেহ কী তা ওরা একেবারেই জানে না। আবার কারো কারো বাবা-মা থাকলেও আদর-সোহাগ থেকে বঞ্চিত। কেউ মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত, কেউ বাবার স্নেহ-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত।
অন্যের সন্তানকে যে নিজের সন্তান ভাবে সেই প্রকৃত মা। এমনই একজন মা আমার বন্ধু Jenis Akter । ওকে দেখে কঠিন মনে হলেও ওর ভিতরে... continue reading

৩৪৫