Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

রজত শুভ্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

তুই

                  
তুই আমার কবিতা হবি?
খাগের কলমে কাল কালি লাগিয়ে ডায়েরির রুক্ষ কাগজে
লাইনের পর লাইন তোকে লিখব।।
তুই আকাশের এককোনে পড়ে থাকা পঞ্চমীর চাঁদ হবি?
মোলায়েম ফ্যাকাসে আলোয় দূর করতে চাইবি
মহাকালের অমানিশা।।
হবি? মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মেঘ বালিকা?
তোর কাদনে বর্ষা নামবে এই নিসর্গে।
বাদল দিনের কদম ফুল হতে তো বাধা নেই?
আসিস তুই একদিন সোনালি ধনের ক্ষেতে ঘন কুয়াশা হয়ে।
শিশিরে হবে তোর সমাপ্তি।।
জানি ,আমার আখির অশ্রু হয়ে
একদিন ঠিকি ঝড়ে পরবি।।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

রজত শুভ্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

পড়শি যদি আমায় ছুঁত

বৃষ্টিটা আসলো জোরে সোরে। ধরন দেখে মনে হচ্ছে সে পণ করেই এসেছে থামবেনা।কৈশোরর একটা সময় বৃষ্টি ভীতি ছিল খুব। আমরা থাকতাম চুয়েট গেইট এলাকায় একটা টিন শেড ভাড়া বাসায়। বৃষ্টি ভীতি কিভাবে ধরা পড়লো সে ঘটনাটা বলি। সেদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি। থেমে থেমে বিকট শব্দেবজ্রপাত। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম বিচিত্র কারণে আমার সারা শরীর কাঁপছে । বৃষ্টিরবেগ যত বাড়ছে আমার ভয় বাড়ছিল পাল্লা দিয়ে। আমার শুধু মনে হচ্ছিল মুহূর্তে বাজ পড়ে বাড়ি ঘর পুড়ে যাবে। গল গল করে বানের পানি ঢুকবে ঘরে।ভয়ে আমি কাঁথামুড়ি দিয়ে  গুটিশুটি মেরে খাটে শুয়ে পড়ি। অপেক্ষায় থাকি বৃষ্টি থামার। সেই থেকে ভীতিটা শুরু । ঠিক কতদিন ছিল মনে নেই।সাইকোলোজিকাল দিকদিয়ে এটা কে কী বিলতে পারি? বৃষ্টি ভীতি?!! কেজানে।তবে এখন সেই সমস্যা নেই।এস এস সি পরীক্ষার পর পুরো পরিবার সহ চিটাগং টাউনে চলে আসি। এর পর বৃষ্টি আমাকে ভয় দেখায় নি। আমি এখনো আগের সেই ভীতির কারণ খুঁজে পাইনি।
অদ্ভুত হলেও সত্যি, আমার জীবনে অনেক স্মরনীয় মুহূর্তের সাথে বৃষ্টি জড়িত। ঠিক এইরকম ভর বাদলের রাতে আমি রাহার লেখা চিঠিটা খুঁজে পাই আমার কলেজ ব্যাগে।কলেজ থেকে ফিরে ব্যাগটা ফেলে রেখেছিলাম একপাশে।কলেজে খুব একটা  যেতাম না ।  প্র্যাক্টিকাল ক্লাস ছিল। নাগেলে সমস্যা। সেদিন আর ব্যাগ খুলিনি। পরদিন কী মনে করে খুলে দেখলাম একটা গোলাপি খাম। তার উপরে লেখা ছিল           
                                          প্রাপক                
                                                      "পিয়াস"
বাইরে তখন অঝোর ধারার বৃষ্টি। চিঠির শেষের দিকের লাইন গুলো ছিল এরকম। "তোমাকে কিছু কথা বলার ছিল।অনেক দিন বলব বলব করে বলা হয়নি......   .........  .........."  চিঠিটা পুরো পড়তে মন চাইছিল না ,যদি শেষ হয়ে যায়! এধরণের চিঠি সেই বারই প্রথম। হয়তো সেবারই শেষ।পরদিন কলেজে গেলাম।  সেদিন রাহা কলেজে আসেনি। ছুটির পর বাসায় চলে আসছি।এমন সময়  পেছন থেকে নীলার কন্ঠ শুনি, "পিয়াস,শুনে যা"
-"হ্যা বল"
-"এইনে ,রাহার চিঠি", বলেই চলে গেল। আমাকে কিছু বলার সু্যোগ নাদিয়েই। সেদিনের চিঠিটাও গোলাপি খামে ছিল। সেদিন ও উপরে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

রজত শুভ্র

৬ বছর আগে লিখেছেন

তটিনী

                                        
“মনসুর, পাঁচ জন লেহ”,ঘাটমাঝি কে যাত্রীর হিসাব বলে সাম্পানের ইঞ্জিনে হ্যান্ডেল লাগিয়ে ঘুরাতে শুরু করে।প্রথম চেষ্টায় ইঞ্জিন ভট ভট শব্দে চালু হয়ে যায়।হাল ধরে বসে পরে হরি।বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে।ফিনফিনে বৃষ্টি না, ঝুম বৃষ্টি।বর্ষা শুরু হয়নি।তবুও এত বৃষ্টি।কেজানে,বর্ষায় কি হয়।এই কয়দিন বৃষ্টিতে নদীর পানি ঘোলের শরবতের মত ঘোলা হয়ে গেছে। ভাটি অঞ্চল থেকে গাছ বাঁশ এইসব ভেসে আসছে।অনেকে নৌকা নিয়ে ধরছে এইসব। এদের বেশির ভাগ ছোট ছেলে মেয়ে,কিশোর বা কিশোরী। পাহাড়ী নদী। তাই খুভ বেশি বৃষ্টি হলে পাহাড়ী ঢল নামে। সেই ঢলের সাথে উজানের দিকে ভেসে আসে পাহাড়ি গাছ –পালা,বাঁশ,নল-খাগড়া। একবার আস্ত সেগুন গাছ পেয়েছিল হরি। অনেক কষ্টে পাড়ে নিয়ে আসে। সেগুন কাঠের দাম মোটামুটি
অগ্নিমূল্য বলা যায়। কিন্তু পরদিন সেটি হাওয়া। মানুষ আজকাল চুরি করতে বাছ-বিচার করেনা। আর একটা সেগুন গাছ তো সে তুলনায়........., হরি ভাবে,কেন গাছটা ঘরে নিয়ে আসেনি,বাইরে ফেলে রেখেছিল।কয়েক হাজার টাকা টাকি মাছের মত হাত পিছলে বেরিয়ে গেল।
-‘অ শালম বদ্দা ,সাম্মান গান ইক্কিনি সাইড গর,আর গান ঘাডত লাগাই’।(অ শাহলম ভাই, সাম্পান টা একটু সাইড কর।আমারটা ঘাটে লাগাই।)
দেখতে দেখতে হরি অপর পাড়ে চলে এসেছে। সাম্পান টা পাকা ঘাটে ভিড়ায়।
একজন যাত্রী ভাড়া তুলে তার হাতে দেয়।
--‘এই ল, পোনের জনর উনপঞ্চাশ টেয়া। আত্তে একটেয়া ভাংতি নাই’।(পনের জনের উনপঞ্চাশ টাকা।আমার একটাকা ভাংতি নাই)
টাকা হাতে নিতে হরি ভাবে ,একটাকা নেই তো সাম্পানে উঠিস কেন। সাঁতার কেটে নদী পার হ।মনে মনে ওই যাত্রীর চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে।তার মত মানুষের কাছে একটাকা নেহাত কম না। সবাই   নেমে গেলে সাম্পান একপাশে নিয়ে যায়।
-‘হরি,অ হরি,মিনতির পোয়া বলে হালত সেন গইত্তু নামি আর ন উডে?’(মিনতির ছেলে নাকি নদীতে গোছল করতে নেমে আর উঠেনি?)
তার পাশে সাম্পানে বসে থাকা রহমান মাঝি তাকে জিজ্ঞেস... continue reading
Likes Comments
০ Shares