যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরলাম
প্রযুক্তি বিশ্বের আইকন মারিসা মেয়ার
গুগলের ইতিহাসে এমন কোনো ঘটনা আছে কিনা জানা নেই। ঘটনাটি এরকম – ল্যারি পেইজ ও সের্গেই বিন গুগল এর নতুন কর্মচারী নিয়োগ দেবে। তো এখানে কর্মচারীর ইচ্ছানুযায়ী তার ইন্টারভিউ নিতে হবে। অর্থাৎ কর্মচারীর বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যদি গুগল ইন্টারভিউ নিতে পারে তাহলে সেই কর্মচারী ইন্টারভিউ এ অংশগ্রহণ করবে।
আরও একটু খোলাসা করে বলি। সময়টা ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাস। মারিসা মেয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক শেষে করে স্ট্যানফোর্ডেই স্নাতকোত্তর কোর্সে কম্পিউটার বিজ্ঞান কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। একদিন ই-মেইল খুলে দেখেন তার মেইলে বেশ কিছু কোম্পানি থেকে চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য মেইল এসেছে। এর মধ্যে একটি মেইল ছিল গুগলের। মারিসা মেয়ার গুগলের সেই মেইলের উত্তরে লিখেছিলেন – সময় কম, সিদ্ধান্ত নিতে চাই আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যেই। যদি সব সাক্ষাত্কার একদিনেই নেন তবেই কেবল আসব।
মারিসার ইচ্ছানুযায়ীই ২৭ এপ্রিল সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। ল্যারি পেইজ ও ব্রায়ান তাকে কিছুক্ষণ প্রশ্ন করার পর কোনো এক জরুরি কাজে তাদের দুজনকে অফিস থেকে বাইরে যেতে হয়। তাই সেদিন আর পুরো ইন্টারভিউ নেওয়া হয় নি। তার পরের দিন ক্রেইগ সিলভারস্টেইন মারিসার সাক্ষাৎকার নেন এবং গুগলে মারিসার চাকরি নিশ্চিত হয়। মারিসা মায়ার ১৯৯৯ সালের ২৩ জুন গুগলে যোগ দেন।
বামের ছবিতে বাবার সাথে ছোট্ট মারিসা এবং ডানের ছবিতে বান্ধবীর সাথে মারিসা মেয়ার (ডানে)
পিছনে ফিরে দেখা :
১৮ বছর বয়সের আগে পর্যন্ত মারিসার নিজের কোনো কম্পিউটার ছিল না। ১৯৯৩ সালে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হন তখন তার পড়ার ঘরে স্থান পায় নিজস্ব একটি কম্পিউটার। এটি ছিল ম্যাকিনটোশ-১২০। প্রথম দিন মারিসা কিছুতেই কম্পিউটারের অন-অফ সুইচ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। আর সেই মারিসাই কিনা এখন প্রযুক্তি জগতের অন্যতম আইকন!
শৈশবের...
সামান্য থেকে গুগল যেভাবে বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলো
“গুগল” এর শুরুটা হয়েছিল একটি গ্যারেজে। সময়টা ছিল ১৯৯৬ সাল। সে সময় ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন ল্যারি পেইজ ও সের্গেই বিন। তারা দুজন মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, তারা এমন একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করবেন যেটি ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যেকার পারস্পরিক সম্পর্ক থেকে ফলাফল বের করে আনবে।
গুগলের নামকরণ নিয়েও রয়েছে মজার ঘটনা:
প্রাথমিকভাবে ল্যারি পেইজ ও সের্গেই বিন তাদের কোম্পানির নাম রাখেন ‘ব্যাকরাব’। পরবর্তীতে এই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় গুগল। তবে আজ আমরা যেই গুগলকে চিনি ও জানি যদি ভুল না হতো তাহলে সেটি আজ আমাদের কাছে “GOOGOL” নামেই পরিচিতি পেত। পরিকল্পনা গ্রহণের ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন গুগল ডট কম নামে একটি ডোমেইন নিবন্ধন করেন। কিন্তু তারা যেই ডোমেইনটি নিবন্ধন করতে চেয়েছিলেন সেটি না হয়ে ভুলবশত নিবন্ধিত হয় “Google” নামে। এ নিয়ে অবশ্য সে সময় তারা খুব মনোকষ্টে ভুগেন। Google শব্দের মানে যেটা দাঁড়ায় সেটা হলো এমন একটা অঙ্ক যেটা ১০ এর উপর একশ পাওয়ার! 10^100 = 10,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000, 000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000, 000,000.
গুগলের পরবর্তী পথ চলা :
দেখতে দেখতে গুগল ২০১৩ সালে তাদের ১৫ তম জন্মদিন পালন করলো। কিন্তু ল্যারি পেইজ ও সের্গেই বিন গুগল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছিলেন ১৯৯৬ সালে এবং ডোমেইন নিবন্ধন করেছিলেন ১৯৯৭ সালে। সে হিসেবে তাদের ১৬ কিংবা ১৭ তম জন্মদিন পালন করার কথা। কিন্তু ল্যারি পেইজ ও সের্গেই বিন গুগলকে প্রাইভেট কোম্পানী হিসেবে গুগল প্রকল্প প্রথম ইনকর্পোরেট করেন ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ায়। সে হিসেবেই গুগলের জন্মদিন হিসাব করা হয়। এসময় গুগল কোম্পানীর নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খোলা হয়।
আগেই বলেছি গুগলের শুরুটা হয়েছিল একটি...
বাণিজ্যিক উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবে বেসিস ও জেটরো
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাপানের বিনিয়োগ বাড়াতে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও জাপান সরকারের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য প্রচারণা সংগঠন জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো)। বৃহস্পতিবার জেটরো বাংলাদেশ কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি কেই কাওয়ানোর সঙ্গে বেসিস প্রতিনিধিদলের এক বৈঠকে এ বিষয়ে তারা সম্মত হন।
বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের নেতৃত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসিসের মহাসচিব উত্তম কুমার পাল, যুগ্ম-মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল প্রমুখ।
বৈঠকে জেটরোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে জাপানের বর্তমান প্রজন্মের অনেক ভালো ধারণা রয়েছে। সরকারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। জেটরো ও বেসিস একসঙ্গে কাজ করলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাপানী বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব হবে।
বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশি বেশ কয়েকটি আইটি কোম্পানি জাপানের সঙ্গে কাজ করছে। বেসিসের পক্ষ থেকেও বিজনেস-টু-বিজনেস ম্যাচমেকিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও মানব সম্পদ উন্নয়নে কাজ করছে বেসিস। তাই জেটরোর সঙ্গেও এ বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী বেসিস।
শিগগিরই জেটরো ও বেসিসের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
শীঘ্রই আসছে ফোর-জি
দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে মিডিয়া প্যাড (ট্যাব) বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২৫ হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে ট্যাব দেওয়া হচ্ছে। ২০১৬ সালের মধ্যে দেশে ফোরজি প্রযুক্তি চালু করা হবে বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন জয়।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে কর্মকর্তাদের হাতে ট্যাব তুলে দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জয় বলেন, জণগণের সেবার করার জন্যই কর্মকর্তাদের এসব ট্যাব দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে। তিনি আরও জানান, সরকার আগামী বছরই দেশে ফোরজি প্রযুক্তি চালুর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে এ বছরই তরঙ্গ নিলাম করা হবে। আগামী বছর এই সুবিধা চালু করা হবে।
এর আগে জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, কর্মকর্তারা সব সময় যেন সংযুক্ত (কানেক্টেড) থাকেন সেই উদ্দেশ্যেই তাদের মিডিয়া প্যাড দেওয়া হচ্ছে। যেকোনও সময় যেকোনও জায়গায় থেকে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য ই-সিগনেচার’ও প্রবর্তন করা হয়েছে।
কর্মকর্তাদের হাতে হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের মিডিয়া প্যাড দেওয়া হচ্ছে। এর স্ক্রিনের আকার ১০.১ ইঞ্চি। এর অপারেটিং সিস্টেম হলো অ্যান্ড্রয়েড (আইসক্রিম স্যান্ডউইচ)। এটিকে জেলিবিন ৪.১-এ আপগ্রেড করা যাবে। এতে আরও রয়েছে এক গিগা র্যম, ৩.১৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, সেলফি তোলার জন্য ভিজিএ ক্যামেরা, কোয়াডকোর ১.২ গিগাহার্টজ প্রসেসর।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার বিষয়ক সম্মেলন
গত ৯ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আয়োজন ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫’। গতবারের মতো এবারও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) যৌথভাবে এই আয়োজন করছে। চারদিনের এই আয়োজনে থাকছে বিভিন্ন সম্মেলন, সেমিনার ও কর্মশালা। এরই অংশ হিসেবে যেসকল শিক্ষার্থী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য থাকছে একটি সম্মেলন।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেইমে ‘আইটি ক্যারিয়ার: স্টেপিং ইনটু দ্য ফিউচার’ শীর্ষক এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশের ৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের প্রায় দুই হাজার সদস্য অংশগ্রহণ করবে। এই সম্মেলনের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম।
সেমিনারে উপস্থিত থাকবেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকজন বক্তা। এই খাতে ক্যারিয়ার সংক্রান্ত নানা বিষয় তারা তুলে ধরবেন শিক্ষার্থীদের সামনে।
আয়োজকরা জানান, বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্য ছাড়াও আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সম্মেলনে অংশ নিতে http://goo.gl/n7xy7s লিংকে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। বিস্তারিত জানতে http://studentsforum.basis.org.bd/ ভিজিট করতে হবে।
পাখাবিহীন মহাকাশযান
মধ্যবর্তী পরীক্ষামূলক যান (আইএক্সভি):
ইএসএর ফ্রেন্স গায়ানার উৎক্ষেপণ প্যাড কউরু থেকে ভেগা উৎক্ষেপণকারী যানের সাহায্যে উৎক্ষেপণ
৩২০ কিমি ওপরে উৎক্ষেপণকারী যান থেকে বিচ্ছিন্ন হবে
৪৫০ কিমি উচ্চতায় ঘণ্টায় ২৫ হাজার কিমি ভ্রমণ করবে
নিয়ন্ত্রণ নজেল
ঘণ্টায় ২৭ হাজার কিমি গতিবেগে ভ্রমণের পর ১২০ কিমি ওপর থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার পথে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে
বায়ুমণ্ডলে নিয়ন্ত্রণ অংশ খুলে যাবে
নিয়ন্ত্রিত অবতরণের জন্য ২৬ কিমি ওপরে থাকতে প্যারাস্যুট খুলে যাবে
প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করবে এবং বেলুন এটিকে ভাসিয়ে রাখবে
দৈর্ঘ্য: ৫ মিটার
উচ্চতা: ১.৫ মিটার
প্রস্থ: ২.২ িমটার
ওজন: ২ টন
ইউরোপের মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) গাড়ি আকারের একটি মনুষ্যবিহীন মহাকাশযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। পাখাবিহীন এই যানটি ভবিষ্যতে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে নকশা করা হয়েছে। ‘মধ্যবর্তী পরীক্ষামূলক যান (আইএক্সভি)’ নামে মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ করা হবে।
আগামীকাল বুধবার আন্তর্জাতিক মান সময় ১৩টায় ফ্রেন্স গায়ানার ইএসএর স্পেস প্যাড কউরু থেকে ভেগা রকেটে করে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে। পাঁচ মিটার লম্বা এই যানটির ওজন দুই টন।
উৎক্ষেপণের ১৮ মিনিট পর ভূপৃষ্ঠের ৩২০ কিলোমিটার ওপরে উৎক্ষেপণযান থেকে এটি বিচ্ছিন্ন হবে। শব্দের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গতিতে এটি ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাবে।
তারপর আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে। প্রশান্ত মহাসাগরে নামার সময় গতি কমানোর জন্য এটি প্যারাস্যুট ব্যবহার করবে। পরে বিশ্লেষণের জন্য এটিকে একটি জাহাজ উদ্ধার করবে।
আইএক্সভির প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিওরগই টিউমিনো বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা মহাকাশে যেতে সক্ষম, কক্ষপথে অবস্থানে সক্ষম এবং কক্ষপথ থেকে ফিরে আসতে সক্ষম হব। এটিই মহাকাশবিজ্ঞানের সবচেয়ে জটিল অংশ।’
টিউমিনো আরও বলেন, ‘যানটিতে ইনফারেড ক্যামেরাসহ তিন শতাধিক ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। প্রথম উড্ডয়নেই এটি এমন কিছু তথ্য সরবরাহ করবে, যা সম্বন্ধে আমরা এখনো জানি না এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে এর ভবিষ্যদ্বাণীও করা যাবে...
বইমেলার কোনো তথ্য নেই বাংলা একাডেমির ওয়েবসাইটে
রাজধানীতে চলছে বইমেলা। কিন্তু মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমির ওয়েবসাইটে এর কোনো তথ্যই নেই।
http://www.banglaacademy.org.bd ঠিকানার ওয়েবসাইটের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫’ ঘরটি ফাঁকা। এতে ক্লিক করলে বইমেলার ওয়েবপেজে (http://www.banglaacademy.org.bd/GronthoMela) ঢোকা যায়। পৃষ্ঠাটির ওপরে যে তিনটি বইয়ের ছবি ও পরিচিতি আছে সেগুলো পুরোনো। এর নিচে বাঁ দিকের বক্সে লেখা আছে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫: কোন আপডেট পাওয়া যায়নি।’ ২০০৬-২০১৪-এর গ্রন্থমেলার লিঙ্কে ক্লিক করে সে পেইজটিও পাওয়া যায়নি। এর ডান দিকের ঘরে লেখা আছে ‘এবারের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত টপ ২০ লেখকের নাম ও বইয়ের সংখ্যা’ ও ‘এবারের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত টপ ২০ প্রকাশকের নাম ও বইয়ের সংখ্যা’। দুটি লিঙ্কই ফাঁকা, কোনো তথ্য নেই। আর ‘টপ ২০’ কী ধরনের ভাষা, তাও বোধগম্য নয়। সাহিত্য পুরস্কার বিভাগে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তথ্য রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য না থাকার ব্যাপারে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি একটু খোঁজ নিয়ে দেখি।’ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০৬ সালে বাংলা একাডেমির ওয়েবসাইটটি চালু হয়। ২০০৮ পর্যন্ত সাইটটির তথ্য হালনাগাদ হলেও এরপর নিয়মিত হালনাগাদের কাজটি করা হয়নি।
বাংলা একাডেমির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুরশিদ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসলে ওয়েবসাইটের প্রচারে আমার বিভাগের (সমন্বয় ও জনসংযোগ উপবিভাগ) নাম থাকলেও আমি এই ওয়েবসাইটের বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি মনে করি বাংলা একাডেমির ওয়েবসাইটটি তথ্যবহুল হওয়া উচিত।’
সাইটটির কারিগরি সহযোগিতায় আছে ঢাকার প্রফেশনালস সিস্টেমস নামের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিব রহমান বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের ফোন করে ওয়েবসাইটটি হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে। তবে সময়মতো প্রয়োজনীয় তথ্য না পাওয়ায় হালনাগাদের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না।’
গতকাল রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাইটটিতে বইমেলার তথ্য হালনাগাদ...
১৪ বছরের নীশু আবিষ্কার করলো এয়ার কুলার
১৪ বছর নীশু কুমারি আবিষ্কার করেছে এমন টেকটি এয়ার কুলার যেটি চলবে বাতাসে। যার প্রযুক্তি তাক লাগিয়ে দিয়েছে জাপানাকেও।
নীশু দশম শ্রেণির ছাত্রী। নীশুদের প্রায় অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে বস্তিটি ভারতের ঝাড়খণ্ডের আদিত্যপুর এলাকায়। নিদারুণ দারিদ্র। ছোটখাটো ব্যাপারে প্রতিবেশীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, ঝগড়া, মারপিট।
এসবই নীশুর জীবনের নিত্যসঙ্গী। এরই মধ্যে গবেষণার কাজ থামায়নি একরত্তি মেয়েটি। যার ফসল, সে আবিষ্কার করেছে এমন একটি এয়ার কুলার, যার প্রযুক্তি তাক লাগিয়ে দিয়েছে জাপানাকেও। কুলারটির শক্তির উত্স বায়ু।
কুলার-টির প্রযুক্তি সম্বন্ধে নীশু জানিয়েছে, কুলারের মাথায় একটি টারবাইন থাকছে। সেই টারবাইনটির সঙ্গে কুলারের একটি তারের মাধ্যমে যোগ রয়েছে। কুলারটি পুরোটাই বাঁশ দিয়ে তৈরি।
কুলারের পাখার গতিবেগ নির্ভর করবে টারবাইনের গতির উপর। অর্থাত্ হাওয়ার শক্তিতেই চলবে কুলার। সাধারণ কুলার-এর মতোই নীশুর আবিষ্কৃত কুলার-এও জলের মাধ্যমে হাওয়া ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা থাকছে।
আগামী ৯ মে জাপানে ‘সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট ফর সাকুরা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’-এর কনফারেন্স। যোগ দেবেন বিশ্বের কয়েক’শো বিজ্ঞানী। ওই কনফারেন্সেই নীশুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাপান। নীশুর জাপানে যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার সব খরচা দেবে উদ্যোক্তা সংস্থা।
পেশায় কারখানর শ্রমিক নীশুর বাবা অখিলেশ প্রসাদের কথায়, ‘আমার যা আয়, তাতে মেয়ের স্বপ্ন সার্থক করার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারব না। তবে এটুকু বুঝেছি, মেয়েদের শিক্ষার খুব দরকার।
নীল বাতির আলোয় নোবেল
এলইডি বাতির ব্যবহার আমাদের চারপাশে এখন নিয়মিত। সস্তা ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হওয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তাও জুটেছে এর কপালে। পদার্থবিজ্ঞানে এবারের নোবেল পুরস্কারও আলোকিত হয়েছে নীল রঙের এলইডি বাতিতে। নীল এলইডির উদ্ভাবক তিন জাপানি বিজ্ঞানী শুজি নাকামুরা, সামু আকাসাকি ও হিরোশি আমানো পেয়েছেন ২০১৪ সালের নোবেল পুরস্কার। নোবেল জয় করা উদ্ভাবন নীল এলইডি নিয়ে এই প্রতিবেদন।
একটা দৃশ্যকল্পের কথা ভাবা যাক। মনে করুন বেশ বড় অফিসের বড় কর্তা আপনি। মাস শেষে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বাসায় ফেরেন। তো শখ হলো প্রিয় বান্ধবীকে একটা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন উপহার দেওয়ার। টাকাভর্তি পকেটে গেলেন ঢাকার দামি শপিং মলে। বেশ কয়েকটা ফোন দেখতে দেখতে একটা পছন্দও হয়ে গেল। দুহাতে প্যান্টের দুপকেট বুঝে নিয়ে দোকানির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, দাম কত? দোকানির উত্তর, পাঁচ কোটি টাকা! দাম শুনে ততক্ষণে আপনার চোয়াল খুলে পড়ার দশা। বলে কী! হ্যাঁ, নীল রঙের এলইডি বাতি উদ্ভাবিত না হলে সবার পকেটে পকেটে স্মার্টফোন আর বাসার বিশাল পর্দার এলইডি টিভি বা ব্লু-রে ডিভিডি কোনোটাই সম্ভব হতো না। চলুন আজ এই নীল এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) বাতির গল্প শোনা যাক।
কমবেশি সবারই জানা, সূর্যের সাদা আলো আসলে সাতটি রঙের সমষ্টি। বেগুনি, নীল,আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। কিন্তু এদের মধ্যে শুধু লাল, সবুজ ও নীলকে মিশিয়েই সাদা আলো তৈরি করা যায়। বিজ্ঞানের এই সহজ কারসাজিকে কাজে লাগিয়েই বানানো হয় হাল সময়ের স্মার্টফোন কিংবা টিভির পর্দা। যেখানে লাল, সবুজ ও নীল আলোর অনেকগুলো বাতিকে নানা সম্মিলনে (কম্বিনেশন) সাজিয়ে সাদা থেকে শুরু করে অন্যান্য যেকোনো রংই ফুটিয়ে তোলা হয়। এখন প্রশ্ন হলো, বাতি তো অনেক ধরনেরই থাকে। ঠিক কোন ধরনের বাতি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ হবে কম?
বিদ্যুৎ...