Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Travel Image

চোখ জুড়ানো পানি সেতু



সেতু কেন তৈরি করা হয়? ভাবছেন এটা আবার কেমন প্রশ্ন! সেতু তো নদী বা এ ধরনের কোন জায়গা সহজে পারাপারের জন্যেই নির্মান করা হয়। কিন্তু সাধারণত এরকমটা হলেও পৃথিবীতে রয়েছে এমন অনেক সেতু যেগুলো পানির ওপর দিয়ে চলার জন্যে নয়, পানিতে চলার জন্যেই তৈরি করা হয়েছে। নদী, রেল, রাস্তা কিংবা পাহাড়ের ওপরে ছোট খালের মতো এই সেতুগুলোতে নৌকা কিংবা জাহাজ চলতে পারে খুব সহজেই! এমন কিছু অদ্ভূত আর প্রচন্ড সুন্দর পানি সেতুর পরিচয় নিচে দেওয়া হল।

১. মাগদেবার্গ পানি সেতু
জার্মানিতে অবস্থিত পৃথিবীর সবচাইতে বড় এই পানির প্রণালীটি ২০০৩ সালের অক্টোবরে প্রথম চালু করা হয়। ৯১৮ মিটারের এই সেতুটি এলবে নদীর ওপরে এলে-হেভেল খালের সাথে মিট্টেললান্ডকানালের সংযুক্তির জন্যেই তৈরি করা হয়েছে। এর আগেও এ দুটি স্থান একটি আরেকটির সাথে যুক্ত হতে পারতো। তবে তাতে যে কোন জাহাজকে ১২ কিলোমিটার বেশি পথ পাড়ি দিতে হত। জার্মানি পুনরায় এক হয়ে গেলে এখানকার পানিপথের চলার ব্যবস্থার ওপর বিশেষ নজর পড়ে এখানকার প্রশাসনের। ১৯৯৭ সালে নির্মান কাজ শুরু হয় পানি সেতুর। আর ৫০০ মিলিয়ন ইউরো খরচের মাধ্যমে ছয় বছরের ভেতরেই শেষ হয়ে যায় সেতুর কাজ।

২. পন্টসিসিলটে প্রণালী
প্রায় ২০০ বছর ধরে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান বলে পরিচিত ব্রিটেনের এই প্রাণালীটি নির্মিত হয় ১৭৯৫ থেকে ১৮০৫ সালের ভেতরে। সে সময় শিল্প বিপ্লবের জন্যে কয়লা খনির সাথে খালের সংযুক্তির প্রয়োজন ছিল। আর তাই ডি নদীর উপত্যকার ওপর দিয়ে তৈরি করা হয় এই সেতুটি। রেক্সহেমে অবস্থিত ৩০৭ মিটার লম্বা, ৩.৪ মিটার প্রশস্ত ও ১.৬০ মিটার গভীর পন্টসিসিলটে সেতু ব্রিটেনের ভেতরে অবস্থিত সবচাইতে দীর্ঘ ও উঁচু প্রণালী ব্যবস্থা বলে পরিচিত। নির্মানের সময় এবং ১৯ শতকে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে সেতুটির যথেষ্ট অবদান থাকলেও কয়লার কদর কমে যাওয়ায় বর্তমানে এটি পর্যটনস্থল হিসেবেই বেশি পরিচিত।

৩. বার্টন সুইং প্রণালী
ইংল্যান্ডের ম্যানচেষ্টারে অবস্থিত বার্টনের ওপর নির্মিত এই বার্টন সুইং প্রণালীটি হচ্ছে উপরের দুটো সেতুর চাইতে খানিকটা আলাদা। আর সেই আলাদা হবার জায়গাটা হচ্ছে এর ভেতরে থাকা পানির গতিশীলতা। ভিক্টোরিয়ান যুগের এই সেতুটিকে পৃথিবীর প্রথম গতিশীল পানি সেতু বলে মনে করা হয়। ১৮৯৪ সালে সেতুটি নির্মানের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়। পানির স্রোতের কারণে বেশ কিছু সমস্যা এর ভেতরে চলাচলকারী জাহাজ ও নৌকাকে পোহাতে হলেও পর্যটনের জন্যে ও ঐতিহাসিক দিক থেকে আদর্শ সেতুটি।