তানহা তাসনিয়া। ফেসবুক পাগল এক মেয়ে। সেলফির পর সেলফি দিয়ে ভরিয়ে রাখেন নিজের ফেসবুকের দেয়াল। টুকটাক মডেলিং আর পড়াশোনাতেই বেশ চলছিল তানহার। এমন সময়েই একদিন ফেসবুকে দেখা হয়ে যায় মডেল ও চিত্রনায়ক নিরবের সঙ্গে।
কে আগে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছিলো তা মনে না করতে পারলেও জমে ওঠে নিরবের সঙ্গে তানহার বন্ধুত্ব। এভাবে চলতে চলতেই একদিন তানহাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন নিরব। তানহার তো তখন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো অবস্থা। গল্পও পছন্দ হয়ে গেল তার। এভাবেই তানহার অভিষেক হয় সিনেমায়। রফিক শিকদার পরিচালিত 'ভোলা তো যায় না তারে' ছবিটির কাজও এখন শেষের পথে।
এদিকে ছবির কাজ শেষ হতে না হতেই তার হাতে চলে এসেছে 'শফিক হাসান পরিচালিত 'ধুমকেতু' ছবির কাজ। এ ছবিতে তার নায়ক শাকিব খান। সঙ্গে আছেন আরেক নায়িকা পরী মনি। তাতে কি! শাকিব খানের মতো বড় তারকার সঙ্গে কাজ করতে পেরেই আনন্দিত তানহা।
শাকিব খানের মতো বড় একজন তারকার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা এখনো তার কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হচ্ছে। তানহা বলেন, 'কখনো ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি শাকিব খানের মতো একজন বড় তারকার বিপরীতে কাজ করবো।'
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দিকে শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার সময় আমার নার্ভাসনেসটাই বেশি কাজ করতো, যদিও একই সঙ্গে এক্সাইটেডও হতাম। আর এখন নার্ভাসনেসটা কমে গেছে। এ ছাড়া শাকিব ভাই ও আমাকে যথেষ্ট হেল্প করছেন।'
তানহার জন্ম ব্রাহ্মণ বাড়িয়া হলেও বেড়ে ওঠেছেন ঢাকাতেই। ঢাকার মিরপুরেই কেটেছে শৈশব কৈশোরের রঙিন সময়। দুই বোন এক ভাইয়ের সংসারে তানহা সবার বড়।
ও আরেকটা খবর দিতে ভুলেই গেছি! গত (২৬মার্চ) কিন্তু তানহা তাসনিয়ার জন্মদিন। কততম জন্মদিন জানতে চাইলে বললেন মেয়েদের বয়স বলতে নেই। কেমন কাটলো নিজের জন্মদিন?
তানহা বললেন, 'সারাদিন খুব এনজয় করেছি। আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবরা সবাই উইশ করেছেন। প্রচুর গিফট পেয়েছি । কেক, কার্ড জুয়েলারি, শোকেস, শো, ফুল, চকলেটসহ নানা কিছু উপহার পেয়েছি। এর ভেতরে সবচেয়ে ভাল লেগেছে খালা মনির দেওয়া শো আর ব্যাগ পেয়ে। কারণ এ দুটি জিনিসই আমার বেশি প্রিয়। ' স্বাধীনতা দিবসে নিজের জন্মদিন হওয়ায় নিজেকে গর্বিত মনে করেন তানহা। তিনি বলেন, 'আজ স্বাধীনতা দিবস। এ দিনেই আমার জন্ম। নিজেকে এ জন্য খুব গর্বিত মনে করি। নিজের জন্মকেই এখন স্বার্থক মনে হচ্ছে।'
এই জন্মদিনে তানহার আরেকটা খবর জানিয়ে রাখি তানহা কিন্তু সহজে মরতে চান না বেঁচে থাকতে চান এক’শ বছর। অবশ্য গ্ল্যামার ধরে রেখে। মাধুরী দিক্ষিত, শর্মিলী ঠাকুরের মতো গ্ল্যামার ধরে রেখে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে চান তিনি। তার জন্য ডায়েটিং থেকে সবকিছুই করছেন বলে জানালেন।