Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

Blog Moderator

১০ বছর আগে

এক্সক্লুসিভ ব্লগার সাক্ষাৎকার :: কবির য়াহমদ

সুপ্রিয় ব্লগারবৃন্দ, শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আপনারা গত কয়েক দিনে নক্ষত্র ব্লগের আয়োজন :: এক্সক্লুসিভ ব্লগার সাক্ষাতকার :: এর ৬টি পর্ব উপভোগ করেছেন। ব্লগারদের মাঝে পারস্পারিক যূথবদ্ধতা তৈরিতে এই আয়োজন নিঃসন্দেহে ভূমিকা রাখবে বলে নক্ষত্র আশা প্রকাশ করে।  আনন্দের কথা ইতিমধ্যে বাংলা ব্লগিং কমিউনিটির অনেক সদস্য আগ্রহ নিয়ে এই আয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রাখছেন। এই আয়োজনে সকলের অংশগ্রহণের নিমিত্তে ব্লগারদের কাছ থেকে আমরা কিছু প্রস্তাবনা পেয়েছি। তারই আলোকে পাক্ষিক এই আয়োজনের এক সপ্তাহ পূর্বে অতিথির নাম প্রকাশ করে আমরা আগ্রহী ব্লগারদের কাছ থেকে প্রশ্ন আহবান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে নক্ষত্র ব্লগের প্রশ্নমালার সঙ্গে অতিথিকে আমরা এই পোষ্টে প্রাপ্ত প্রশ্নমালাও জানিয়ে দেবো এবং অতিথি নক্ষত্র ব্লগের প্রশ্নমালার পাশাপাশি পোষ্টে প্রাপ্ত ব্লগারদের নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তরও জানাবেন বলে আশা করি। লেখালেখি, ব্লগ এবং সাম্প্রতিক ব্লগিং এর নানা দিক নিয়ে আমরা কথা বলেছি গুণী ব্লগার, পোষ্ট এবং মন্তব্যে সহ ব্লগারদের প্রিয় মুখ   কবির য়াহমদ এর সাথে। ব্লগার কবির য়াহমদ দীর্ঘদিন ধরে ব্লগিং করছেন। বেশ কয়েকটি ব্লগে রয়েছে তার দৃপ্ত পদচারনা।  এছাড়া ব্লগের বাইরেও মুলধারার সাথেও রয়েছে তার সুন্দর অবস্থান। ইতিমধ্যে শালীন সুন্দর এবং দায়িত্বশীল ব্লগিং এবং লেখালেখি করে সকলের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন।  আমরা তার সঙ্গে আলাপের বিস্তারিত দিচ্ছি পোষ্টে। আশা করি সবাই উপভোগ, আত্মস্থ করবেন তার মূল্যবান কথা গুলো। আমরা আমাদের অতিথির কাছ থেকে শুনবো তিনি কি ভাবছেন সাম্প্রতিক ব্লগ এবং ব্লগিং নিয়ে। আসুন পড়ি সে সব কথা।

ব্লগার সাক্ষাতকারের জন্য ব্লগারের প্রতি প্রশ্ন

নক্ষত্র ব্লগঃ শুভেচ্ছা আপনার জন্য! কেমন আছেন?

উত্তরঃ শুভেচ্ছা নক্ষত্র ব্লগ। আমাকে সম্মানিত করার জন্যে আপনাদের ধন্যবাদ। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল।

নক্ষত্র ব্লগঃ ব্লগ,ফেসবুক সহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম সাময়িক লেখালেখি নিয়ে আপনার কি মতামত?

উত্তরঃ লেখালেখি মন-মননকে সতেজ করে। সমসাময়িক বিষয়ে লেখালেখি এবং মিথস্ক্রিয়া মানুষকে এগিয়ে দেয় অনেক খানি। আমি একে স্বাগত জানাই।

নক্ষত্র ব্লগঃ বর্তমানে ব্লগ, ফেসবুকসহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে যারা লিখছেন তাদের মাঝে কাদের লেখা আপনার কাছে ভালো লাগে?

উত্তরঃ বিভিন্ন মাধ্যমে যারা লিখছেন আমি চেষ্টা করি তাদের লেখাগুলো পড়তে। সব লেখাপড়া সম্ভব নয় তবু সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চোখ বুলিয়ে যাই, চেষ্টা করে যাই মগজে গেঁথে নিতে। যখন আমি পড়ি তখন লেখকনা পড়ে লেখাকেই পড়ি। তাই অনেক ক্ষেত্রে নামোল্লেখ শোভনীয় হয়ে ওঠে না। তাই সচেতনভাবে এড়িয়ে যাই। এইএড়িয়ে যাওয়ার সময়ে আমি দুঃখপ্রকাশ করি। এক্ষেত্রেও তাই...

নক্ষত্রব্লগঃ ব্লগ ফেসবুক সহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে যারা লিখছেন তাদের সমাজের প্রতিকতটুকু দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে করেন? তারা কি তা পালন করছে বলে মনে করেন?

উত্তরঃ সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গাকে আমি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। ব্লগ এবং ফেসবুকে এই দায়বদ্ধতা অনেক বেশি লক্ষ্যণীয়।

এখানে অনেক সময় ব্যক্তির দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রধান হয়ে উঠে। অনেকেই দলীয় চিন্তাএবং ভাবধারাকে প্রতিষ্ঠা করতে উঠে পড়ে লাগেন! তবে সবাই একই গোত্রভুক্ত না, এটাই স্বস্তির। 

নক্ষত্র ব্লগঃ সাম্প্রতিক সময়ের লেখক/ব্লগারদের মাঝে কাদেরকে আপনি প্রতিশ্রুতিশীল বলে ভাবছেন?

উত্তরঃ অনেকেই আছেন। নামোল্লেখ এড়িয়ে যাওয়াকে শ্রেয় মনে করছি। কারণ যখন লেখা সামনে আসে তখন লেখক নয় লেখাই পড়তে চাই। তাছাড়া কোন লেখকের সবগুলো লেখাই যে ভাল হয়ে যাবে- সে রকমও সম্ভবত হয়ে উঠে না।

 নক্ষত্র ব্লগঃ ব্লগকে বলা হচ্ছে বিকল্প মিডিয়া? এই বিষয়ে আপনার কি মত?

উত্তরঃ ব্লগকে বিকল্প মিডিয়া বলা হচ্ছে এটা এক সময় খুব উচ্চ কণ্ঠে বলা হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সব ধরণের তথ্য পেতে ফেসবুকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এমন হচ্ছে ঘটনার সাথে সাথেই আপডেট- আগে যা ব্লগগুলোতে সম্ভব ছিল। কয়েক বছর আগে আমি নিজেও একটা জায়গায় বলেছিলাম ব্লগই হচ্ছে বিকল্প মিডিয়া কিন্তু এই সময়ের মধ্যে এত এত অনলাইন প্ল্যাটফরমের ভীড়ে আমরা খেই হারিয়ে ফেলেছি। আমি এমন এক জায়গার কথা জানি যেখানে যতটা পরিবার আছে তার চেয়ে বেশি আছে ডোমেইনের মালিক।

আজকাল সর্দি হলে মানুষ ফেসবুকে এসে নাক মুছে! ব্লগের দিকে তাকালে দেখা যায় অনেকেই নিজে পোস্ট করে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। আগেও এমন কিছু ঘটনা ছিল। তবু ব্লগস্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে এক সময় এগিয়ে গিয়েছিল।  তবে আমি আশাবাদি আবারও ফিরবে সুদিনের হাওয়া। শুধু সাহিত্য নয় সামাজিক এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা নিয়েও কাজ হবে অনেক। 

নক্ষত্র ব্লগঃ আপনার পড়া সবশেষ পোষ্ট কোনটি এবং তা কোন ব্লগে পড়েছেন?

উত্তরঃ সর্বশেষ পড়েছি “ইস্টিশন ই-বুক কর্নারঃ লাইব্রেরীর নতুন ধারণা.”http://www.istishon.com/node/6685

নক্ষত্র ব্লগঃ ব্লগে ফেসবুকে লেখকদের লেখার মান কেমন বলে মনে করেন আপনি?

উত্তরঃআমি আসলে খুব বড় ধরণের বিশ্লেষণি ক্ষমতা রাখিনা। তাই মানের প্রশ্নে খুবকিছু বলতেও পারিনা। তবে নিজের ক্ষুদ্র অবস্থান থেকে বলতে পারি- ফেসবুক যদি হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় তবে ব্লগগুলো হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

নক্ষত্র ব্লগঃ ব্লগ ফেসবুক সহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে লেখালেখি করে সাহিত্যের মুল স্রোতে কি মিশতে পারছেন লেখক ব্লগাররা?

উত্তরঃ পেরেছেন এবং পারবেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষে মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং অন্যান্য দিকে যাত্রা হয়, হবে এবং হয়েছেও। আমি খুব আশাবাদি।

নক্ষত্রব্লগঃ সম্প্রতি ব্লগারদের লেখা বিভিন্ন সংকলন/বই প্রকাশিত হচ্ছে ফেসবুক সহভার্চুয়াল মাধ্যমে লেখালেখি করে আসছে। এ বিষয়ে আপনার অবস্থান জানতে চাই

উত্তরঃএটা একটা উল্লেখযোগ্য দিক অনেক ব্লগারদের বই বেরুচ্ছে। যদিও আমি খুব বেশি বিশ্লেষণী ক্ষমতা রাখিনা তবু বলি কিছু কিছু  ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকেই লেখার আগেই লেখক হয়ে যায়- এটা পরিহার করা উচিত।

নক্ষত্র ব্লগঃ একটি ব্লগ এবং ব্লগারদের ইতিবাচক দিক কোনটি বলে মনে করেন আপনি?

উত্তরঃ ব্লগ এবং ব্লগারেরা যখন মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন থাকেন সেটাই ভাল লাগে।

নক্ষত্র ব্লগঃ আপনার শৈশব কোথায় কেটেছে? পারিবারের কথা এবং শিক্ষাজীবন নিয়ে কিছু কথা জানতে চাই।

উত্তরঃ আমার শৈশব-কৈশোর সব কেটেছে সিলেটে। সিলেট থেকে কর্মজীবনের শুরু। এরপর ঢাকা হয়ে আবারও সিলেট। আমি আমাদের সাত ভাই-বোনের মধ্যে ৩য়। বাবা মুক্তিযোদ্ধা, মা গৃহিনী। শিক্ষাজীবনে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর।

নক্ষত্র ব্লগঃ আপনার জীবনের আনন্দময় স্মৃতি কোনটি যা মনে হলে এখনো আপনার ভালো লাগে।

উত্তরঃ আমি যখন বাড়ি যাই তখন আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে, এগিয়ে এসে নাকে নাক ঘষে আদর করে দেয় - এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের ঘটনা।

নক্ষত্র ব্লগঃ প্রিয় বই এর নাম?

উত্তরঃ মার্কেটে গেলে যখন আমি কাপড় দেখি তখন আমি প্রিয়/পছন্দের জিনিস খুঁজতে পারি কিন্তু বইয়ের ক্ষেত্রে তা হয়ে উঠে না।

নক্ষত্র ব্লগঃ আপনার প্রিয় লেখক কারা?

উত্তরঃ আমাকে যখন প্রশ্ন করা হয় আপনার প্রিয় কবি/সাহিত্যিক কে? আমি আশপাশ তাকিয়ে খেয়াল করে দেখি আমি কী কোন কাপড়ের দোকানের বিজ্ঞাপনী ভাষার গর্বিত ক্রেতা? যখন বুঝতে পারি আমি কোন ক্রেতা নই তখনই মুখ ভারী করে বলি- কাপড়ের দোকানে ত আসিনি প্রিয়-অপ্রিয় খুঁজতে!

নক্ষত্র ব্লগঃ অবসর সময়ে আপনি নিশ্চয় সিনেমা দেখেন। আপনি কি জানাবেন আপনার প্রিয় মুভী/সিনেমার নামগুলো।

উত্তরঃ আমি যতবার দেখি ‘জীবন থেকে নেয়া’ সিনেমাটি ঠিক ততবার আমি মুগ্ধ হয়ে যাই।

নক্ষত্রব্লগঃ আপনার প্রিয় গান কোনটি?

উত্তরঃ জাগরণের সবগুলো গানই আমার কাছে ভাল লাগে।

নক্ষত্রব্লগঃ আপনার প্রিয় শিল্পী কারা?

উত্তরঃ প্রিয় শিল্পী কে এভাবে ভাবিনি কখনও। অনেকেরই গান ভাল লাগে।

 নক্ষত্রঃ আমাদের সময় দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

উত্তরঃ আমাকে সম্মানিত করার জন্যে আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।

 

::::::::::::::ব্লগারদের প্রশ্ন:::::::::::

 

কামাল উদ্দিন 

কবি কবির ভাই কেমন আছেন?

: কামাল ভাই, ভালো আছি। আপনিও ভাল আছেন নিশ্চয়ই।   

 আপনি কয়টা ব্লগে লিখেন ?

:যখন নিয়মিত ব্লগে লিখতাম তখন অনেকগুলো ব্লগেই যাওয়া হত। তবে এক সময় প্রথম আলো ব্লগে বেশি লিখেছিলাম।

 ইদানিং আপনাকে ব্লগে খুব কম দেখা যায় কেনো ?

: ব্যক্তিগত ব্যস্ততা এবং বিভিন্ন ইস্যুতে রাস্তার ব্যস্ততা আমাকে কেন জানি ব্লগ বিমূখ করে দিয়েছে। তাছাড়া এক সময় লক্ষ্য করি ব্লগ পোস্ট মানে তুমুল আড্ডাবাজি ফলে ইচ্ছা থাকা সত্বেও ছোটখাটো এসব ব্যাপার কেন জানি ভাল লাগেনি। হ্যাঁ, আমরাও কিছু কিছু ব্যাপারে আড্ডা দিয়েছি তবে নিকট অতীতে ব্যাপার গুলো ছিল অনেকটা পীড়াদায়ক। তবে হয়ত ফিরব আবারও।

 

ব্লগিংটা শুরু করেছিলেন কিভাবে ?

:অনলাইনে আসার পর একটা সময়ে সহজাত ভাবে স্পেস খুঁজছিলাম। এক সময় দেখলাম সেখানে পোস্টের সাথে সাথে অন্যান্যদের মিথস্ক্রিয়া। এটা আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। অনলাইন বা ব্লগিংয়ে যে কোন বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশের সুযোগ ছিল বলেব্লগিং শুরু করা হয়েছিল। ব্লগে এক সময় শুধুমাত্র সাহিত্য নিয়েই লিখতাম পরে অন্যান্য। ভাবিনি এত এত ব্লগ লিখা হবে, তবু হলো এবং ভবিষ্যতে অনিয়মিত ভাবে হলেও হবে হয়ত। তবে খুব সম্ভবত সামহোয়্যার ইন অথবা আমার ব্লগে আইডি খোলা হয়েছিল।

 

ব্লগিং করতে গিয়ে কখনো কি কোন রকম বাধার সম্মুখ্খীন হয়েছেন ?

: বাঁধার সম্মুখিন হইনি তবে বেশ কয়েকবার বিব্রত হয়েছি বিভিন্ন ভাবে।

 

ব্লগিং এর ভালো এবং মন্দ দিক কি কি বলে আপনি মনে করেন ?

: অনেকের সাথে না মিললেও বলি ভালো দিক হলো অনেকেই লেখার সুযোগ পাচ্ছে, লিখছেএবং মিথস্ক্রিয়া হচ্ছে। খারাপ দিক হলো, লেখা শুরুর আগেই লেখক হয়ে যাচ্ছে কিংবা লেখক হবার ভাব নিচ্ছে।

 

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা 

এক-কবিতা লেখার ক্ষেত্রে আগে অনেকে কোন এক শব্দ পেয়েই তৈরি করে নেন পূর্ণ কবিতা। আবার অনেকের মনের অনুভূতি আগে আসে সেই অনুভূতি ভাষায় পরিণত হয়েকবিতা হয়ে যায়। আপনার ক্ষেত্রে কোনটি?

:আমি কবিতাকে দেখি সব মানুষের মুখে মুখে। যারা লিখে না আর যারা লিখে তাদের মধ্যকার পার্থক্য টুকু শুধুমাত্র প্রকাশে। কবিতার ক্ষেত্রে শব্দ নয় আমি দৃশ্য কল্পটাই গুরুত্ব দিই অধিকাংশ ক্ষেত্রে। যদিও আমি এ পর্যন্ত কিছু হতে পারিনি তবু বলি, কবিতা বুদ্ধি দিয়েও লিখা হয় তবে তার স্থায়িত্ব খানিকক্ষণের, টিকে থাকার উপায় নাই সেটার।

প্রসঙ্গক্রমে বলছি, হুট করে একদিন বাড়ি থেকে ফেরার পথে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম আত্মহত্যা করি। পরক্ষণে মনে পড়ে আমার বাবা-মা’র কথা। মাঝপথ থেকে ফিরে গিয়েছিলাম বাড়িতে। আমার আম্মা আমাকে দেখলেও জড়িয়ে ধরে। আব্বাকে আমি জড়িয়ে ধরতে পারিনা। আমার এই ফিরে যাওয়াটা ভালোবাসা আর আবেগের প্রকাশ ছিল। এটাই ছিল আমার কবিতা, যা আমি ধারণ করি।

এনিয়ে আমি অনেক ভেবেছি কিন্তু কুলকিনারা করতে পারিনি কিছুর। যখন লিখিত ভাবনাগুলো এক পথ থেকে শুরু করে হাজার পথ দেখিয়ে দেয় তখন তাকে আমি কবিতা বলে সম্ভোধন করতে চাই। তাই শব্দ দিয়ে কবিতাকে আমি এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করি। অবশ্য এমন না শুধু শব্দপ্রধান লেখাতে যাইনি তা না, গিয়েছি তবে ভাব এবং ভাবনাটা মূখ্য।

দুই-বর্তমানে ফেবু এবং ব্লগে ব্যাপক কবিতা চর্চা হচ্ছে। এতে কবি এবং কবিতা দুই বাড়ছে। তরুন প্রজন্ম কবিতা লিখছে বেশ ভালো লাগে। অনেকে মনে করেন কবিতা বেড়েছে কিন্তু কবি বাড়েনি। আপনার মন্তব্য কী?

: ফেসবুক কিংবা ব্লগে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। খেয়াল করলে দেখবেন লেখার পর সবাই অপেক্ষা করে লাইক পড়লো কী পড়লো না। কমেন্ট নিয়ে অনেকেই ভাবছে না। ফেসবুকে সবাই লাইক চায়, আমিও হয়ত এর ব্যতিক্রম নই। অনেককে দেখবেন বিরূপ মন্তব্যকে ব্যক্তিগত ভাবে নিচ্ছে ফলে গঠনমূলক আলোচনার সুযোগ কমে আসছে।

কবি ও কবিতা বাড়ছে এই প্রসঙ্গে- আমার নাম কবির। আমার কবির নামের একটা অক্ষর ‘র’ বাদ দিয়ে দিলে আমি শুধু ‘কবি’। নামেই যখন কবি তখন কবিতার আর দরকার কি? এখনকার অবস্থা আমরা নামের মধ্যে কবি অভিধাটা যোগ করছি কিন্তু কবিতার দিকে লক্ষ্য নাই। লেখার আগে লেখক হয়ে যাওয়াটা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কারণ।

তিন. পোস্ট মডার্ণ এবং উত্তারাধূনিক কবিতা সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

: মানুষকে মানুষ বলে সম্ভোধন করেছে মানুষই। পোস্ট মডার্ণ আর উত্তরাধুনিক কবিতা বলে যে অভিধাটা যোগ করতে যাচ্ছি আদৌ আমরা কী জানি কী সেটা? আমি নিশ্চিত না। আপনি-আমি যদি আকাশে এক পাল ভেড়া চরাতে যাই এবং ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্যে তার কাছে দুধ চাই অথবা আকাশ কিংবা আকাশে চরানো ভেড়ার পাল আমার হাতে এক থালা ভাত দিয়ে যায় তখন আমি ভেবে পাইনা কত আজগুবি কত কী হয়?

আমি কবিতাকে এভাবে শ্রেনি বিন্যাসের পক্ষে যেতে চাইনা। হতে পারে এটা আমার অজ্ঞতা। তবে নতুনত্বের স্থায়িত্বকে অস্বীকার করতে পারিনা।  

 

সকাল রয় 

সাদর সম্ভাষন  কবিকে  পেয়ে।  ধন্যবাদ প্রথমেই।

: কৃতজ্ঞতা।

আমার তিনটি কথা ছিল।

 

১। দৃষ্টিভঙ্গি শব্দটি নিয়ে  আপনার নিজস্ব মতামত বলুন অন্য কারো কথার সাথে মিল না রেখে।

:চোখ, মন-মনন এগুলোকে যখন আলাদাভাবে ভাবতে যাই তখন দেখি আমার চোখ বলে দিচ্ছে কী দেখছি, আমার মন চোখকে ব্যাখ্যা করছে এবং মনন তার সৃজনশীলতাকে উসকে দিচ্ছে। এখানে আমি বিজ্ঞানকে আনব না যদিও কোন কিছুই বিজ্ঞানের বাইরে নয়। মানুষের মগজের সুক্ষ্ম চিন্তার সমষ্টিকে যখন আমরা প্রকাশ উদ্যোগি হয়ে যাই তখন সেটা একটা ভঙ্গিমা। এখানে মুল দৃষ্টিটা চোখে থাকেনা মগজ মন হয়ে চোখ দিয়ে হয়ে মুখনিঃসৃত। বংশ পরম্পরা অথবা ব্যক্তিচিন্তার সুস্পষ্ট প্রকাশ।

 

২। বর্তমান সমযের পাঠক কেন কবিতা পড়তে আগ্রহী নয়?  এ বিষয়ে  আপনার মতামত কি? 

:কবিতা পড়তে আগ্রহী কত জন তার হিসাব নেবার দরকার কী? মিছিলে স্লোগান দেয় শত লোক অথচ অন্তরে ধারণ করে মাত্র কজন। এই মাত্র কজনই প্রকৃত স্বজন। কবিতা স্বজনখুঁজে, এই স্বজনেরাই বাঁচিয়ে রাখে পৃথিবী।

 

৩। নতুনদের লেখালেখি স্মপর্কে কিছু বলুন? অবশ্যই অন্য সকল কবিদের মতো করে পুরোনো কোন কিছু বলবেন না।  আপনি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে বলুন?

 

:আমি যখন লিখছি তখন লেখার আগেই কবি-সাহিত্যিক হয়ে যেতে চাইছি। আমি যখন পড়ছি তখন ভাবছি আমার চিন্তাটাই সর্বশেষ চিন্তা। আদৌ কী সম্ভব এটা? সম্ভব নয়! আমাদেরএই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে; বেরিয়ে আসা ছাড়া ছাড়া উপায় নাই। যদিও কঠিন, তবুও।

 

লিখতে হবে বলে লিখা এটা একটা সমস্যা। আমার পরিচিত কাউকে যখন বলি- কী ব্যাপার অনেক দিন কিছু লিখছেন না। তখন তিনি কিন্তু ফরমায়েশি একটা কিছু লিখার চেষ্টা করেই যান। তার মনের অবস্থা হয়ে যায়- পাঠক আমার লেখার অপেক্ষায় আছে, আমাকে লিখতেই হবে। ফলে ভাল কিছু আসাটা স্বাভাবিক থাকে না। সংশ্লিষ্ট লেখক ভাবতে থাকেন যা লিখব সেটাই হয়ত কাঙ্ক্ষিত কিছু। এটা আমাদেরকে পেছনে টানে, উত্তরণ অনেকটা কঠিন হয়ে যায়। যখন আমি-আপনি লেখা নয় লেখককে পড়ি তখন ভালো কিছু আশাকরাটা অন্যায়। ভালোবাসা আর বিশ্লেষণ ভিন্ন ভিন্ন বিষয়- আমরা গভীর ভাবে নিপতিত এই বৃত্তে।

 

 তাহমিদুর রহমান 

আপনার এ পর্যন্ত কয়টি কাব্যগ্রন্থ, গল্পগ্রন্থ এবং উপন্যাস বের হয়েছে? প্রথম বইগুলোর নাম বলুন। সর্বপ্রথম কবে এটি প্রকাশিত হয়েছিল?

:আমার প্রকাশিত কাব্য সংখ্যা ৩।একক গল্পগ্রন্থ নাই।উপন্যাসও নাই। লেখালেখি জীবনের প্রথম দিকে মানে মধ্য নব্বুইয়ের দিকে একটা উপন্যাস লিখেছিলাম, এখনও আছে সেটা। এটা কোনদিনও প্রকাশ হবে না।

কাব্যগুলোরনাম- রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ, আমাদের ঈশ্বরের অ্যাপয়েনমেন্ট দরকার এবং নিরবচ্ছিন্ন পাখিসমূহ। প্রকাশ কাল যথাক্রমে ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১১।

বইমেলা২০১৪ তে প্রকাশিত হচ্ছে রাজাকার বিরোধি আন্দোলন এবং তৎপরবর্তি বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে লেখা ‘জাগরণের পূর্বাপর’। এই বইটিকে আমি ইতিহাসের দলিল বলে মনে করছি। কারণ উত্তুঙ্গু সময়ের একটা চিহ্ন আছে এই বইয়ে। এছাড়াওআরো দুটি কাব্য পাণ্ডুলিপি প্রকাশের অপেক্ষায় আছে- ‘আগুনজলে ভূকম্প’ এবং ‘রাত জেগে আমরা ঠকিনি’।

 

ঘাস ফুল 

কবিকবির য়াহমদ এর সাথে কখনো ব্লগিং করা হয় নাই। আফসোস! সাক্ষাৎকার পর্বে কবিকে আনার ধন্যবাদ সঞ্চালক সাহেব আর কবির জন্য রইলো অনেক অনেক অভিনন্দন আরশুভেচ্ছা।

আপনার মতো একজন গুণী লেখকের কাছ থেকে অনেক কিছুই জানার ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু অনেকের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে বলে নিজেকে কিছুটা গুঁটিয়ে নিয়ে দুটো প্রশ্ন রাখছি। আশা করছি উত্তর দিয়ে ধন্য করবেন।

 

:আমি আদতে খুব সাধারণ মানুষ। আমার সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়েছে সব ভালোবাসা থেকে উৎসারিত। আমি দুঃখ প্রকাশ করি সময় দিতে পারিনি বলে। অনেক বার বলেছি আবারো নিয়মিত হবে, কখনো কথা রাখতে পারিনি। তবু আবারো বলছি- এবার হয়ত কথা রাখতে পারব।

 

প্রশ্ন-১ আপনাকে নিয়ে সঞ্চালকের সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন থেকে জানতে পাড়লাম মূল ধারার সাহিত্যে আপনার দৃপ্ত পদচারণা আছে। মূল ধারায় থেকে আপনি ভার্চুয়াল জগতে যারা লেখালেখি করছেন তাদের কীভাবে মূল্যায়ন করেন এবং শুধু মাত্র ভার্চুয়াল জগতে থেকেই কী প্রতিষ্ঠিত লেখক হওয়া সম্ভব? একটু বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।

:মূলধারা বলে যা কিছু প্রচলিত তা আদতে একটা সাধারণীকরণ। এখানে মুলধারা-ভুলধারা কিংবা উপধারা নাই। কে কোথায়, কীভাবে, কী লিখলো তার মূল্যায়ন যেহেতু মহাকালের কাছে সুতরাং ভার্চুয়াল আর নন ভার্চুয়ালের মধ্যকার বিভাজন নাই। লেখকের প্রতিষ্টা সমকাল করে বলে মনে করিনা, মহাকালের কাছে আমি-আপনি-সবাই সবকিছু গচ্ছিত রাখছি। এখন নিত্যদিন হাজার হাজার লিখা লিখিত হচ্ছে তার কতখানি আগামীকাল কে মনে রাখে তা কেউ জানে না।

কোন লেখা যখন কালে বসে মহাকালকে ধারণ করে তখন সে লেখা প্রতিষ্টিত হয়ে যায়। আর লেখা প্রতিষ্টিত কিংবা বেঁচে থাকলে লেখককে ভুলে যাবার সাধ্য কারো নাই।

 

প্রশ্ন-২ আপনার প্রিয় কবিতার প্রিয় চারটি লাইন আমাদের সাথে শেয়ার করুন প্লীজ। কবিতার নামটিও জানতে চাচ্ছি।

: এক বাক্যে কোন কবিতার কোন লাইনকে প্রিয় বলা যায় না, উচিতও হবে না। যখন আমি প্রিয় কিছু উল্লেখ করি তখন বাকি সব কম প্রিয়বৎ হয়ে যায়। সে হিসেবে আমার প্রিয় কোন কবিতা কিংবা প্রিয় লাইনের কথা আমি এড়িয়ে যাই সব সময়। তবে চিরকাল যে কথাগুলো প্রিয় বলে মনে করি এবং উল্লেখও করি তা হলো- আমার সোনার বাংলাআমি তোমায় ভালোবাসি।

 

বৈশাখী ঝড় 

প্রশ্নঃ ব্লগের কবি এবং ফেসবুকের কবিদের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে বলে মনে করেন কি? এই দুইয়ের মধ্যে কারা ভাল করছে বলে আপনার মনে হয়।

:ব্লগকবি, ফেসবুক কবি- এ নিয়ে বিভাজন কিংবা শ্রেণী বিন্যাসে যেতে চাইছিনা। কবিতা বলে যা লিখিত হচ্ছে তার কতখানি মহাকালকে ধারণ করে সেটাই মূখ্য বিষয়, আলাদা আলাদা প্ল্যাটফরমকে মুখোমুখি দাঁড় করা ঠিক হয়ত হবে না। তবে ফেসবুক যদি হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় তবে ব্লগগুলো হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

 

প্রশ্নঃ আপনি কিভাবে লেখালেখির জগতে প্রবেশ করলেন?

: আমাদের পরিবারে বই পড়ার সুযোগ ছিল। ছোট কালে অনেক বই পড়েছি। নব্বুই দশকের শুরুতে আমি পত্রিকার নিয়মিত পাঠক ছিলাম। আমাদের পরিবারে নিয়মিত পত্রিকা আসতো। এক সময় পত্রিকায় লেখা পাঠাতাম। তার কিছু ছাপা হতো, বেশীরভাগ ছাপা হতোনা। সেভাবেই লেখালেখিতে আসা।

 

প্রশ্নঃ আপনি প্রথম কবিতা না গল্প লিখেছিলেন?

:প্রথমে কি লিখেছিলাম সেটা মনে নাই। তবে প্রকাশিত প্রথম লেখা ছিল ছড়া যা সিলেটের স্থানীয় একটা পত্রিকায় ১৯৯৪ সালে প্রকাশ হয়েছিল।

 

এস এম পাশা

শুভেচ্ছা কবির ভাই

: আপনাকেও শুভেচ্ছা পাশা ভাই।

 

আপনাকে প্রশ্ন করার জন্যই কাঠ গড়ায় দাড় করানো হয়েছে।

১। ইদানিং ব্লগে কম দেখা যাচ্ছে কেন?

: ব্যক্তিগত ব্যস্ততা এবং বিভিন্ন ইস্যুতে রাস্তার ব্যস্ততা আমাকে কেন জানিব্লগবিমূখ করে দিয়েছে। তাছাড়া এক সময় লক্ষ্য করি ব্লগ পোস্ট মানে তুমুল আড্ডাবাজি ফলে ইচ্ছা থাকা সত্বেও ছোটখাটো এসব ব্যাপার কেন জানি ভাল লাগেনি। হ্যাঁ, আমরাও কিছু কিছু ব্যাপারে আড্ডা দিয়েছি তবে নিকট অতীতে ব্যাপার গুলোছিল অনেকটা পীড়াদায়ক।

 

২। কবিদের মান উন্নয়নে কি করা প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?

: Excellence has no limit. আমরা কেউ জানি না সর্বোচ্চ মান কতখানি। তাই মানোন্নয়নের জন্যে দরকার অতি আত্মবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে এসে বেশি, আরো বেশি করে লেখাপড়া করা।

 

৩। আপনি কি মুল ধারার সাথে মিশতে পেরেছেন নাকি চেস্টা করছেন? মুল ধারার সাথে মিশাটা কত টুকু জরুরী।

:মূলধারা বলে যা কিছু প্রচলিত তা আদতে একটা সাধারণীকরণ। এখানে মুলধারা-ভুলধারাকিংবা উপধারা নাই।কে কোথায়, কীভাবে, কী লিখলো তার মূল্যায়ন মহাকালের কাছে। আমরা কালে বসে কেবল মহাকালের লিখাই লিখব।

কোন লেখা যখন কালে বসে মহাকালকে ধারণ করে তখন সে লেখা প্রতিষ্টিত হয়ে যায়। আর লেখা প্রতিষ্টিত কিংবা বেঁচে থাকলে লেখককে ভুলে যাবার সাধ্য কারো নাই। তাই মূলধারার লেখক সাকুল্যে একটা সন্তুষ্টির নাম, এর বেশি কিছু নয়।

 

আলমগীর সরকার লিটন

কবি দা কে

ফুলেল শ্রদ্ধা---

প্রশ্নঃ এক জন কবি বা লেখক পাঠাকের কি কি গুনাবলি থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন?

:সৎ সজ্জন থাকতে হয় বলে মনে করি।

প্রশ্নঃ এক জন সমালক পাঠকের কি কি  গুনাবলি থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন?

:সমালোচনার ক্ষেত্রে সৎ এবং জানাশোনার পরিধি বিস্তৃত হওয়া আবশ্যক

ভাল থাকুন সর্বদা-----------

আপনিও ভাল থাকবেন

 

মাসুম বাদল

প্রশ্ন-১. ব্লগারদের প্রতি আপনার একমাত্র পরামর্শ কি?

:লেখার আগে লেখক না হয়ে যাওয়া

 

চারু মান্নান

ধন্যবাদ কবি ভাই,,,,,,,,,,এমন একটা জায়গায় আপনাকে পাওয়াতে একটুক প্রশ্ন করতে পারছি,,,,,,,,,,,,

কৃতজ্ঞতা মান্নান ভাই

১. নৈতিক কবিতার ক্ষেত্রে কবির নৈতিকতা ধারন সম্পর্কে বলুন???

:কবিতার ক্ষেত্রে শ্রেণী বিভাজনে পক্ষপাতি নই। আলোচনার সুবিধার্থে ভিন্ন ভিন্নশ্রেণীতে ফেলা যায় কিন্তু কবিতার সামগ্রিকতা এবং ভাবের সাথে একে মিলিয়ে নেয়া ঠিক হয় না।

২. জীবনের সাথে কবিতা কি সাংঘর্সিক? যদি না হয় বলুন?

:কবিতাও জীবনের অনুষঙ্গ। জীবনের সাথে কোন কিছু সাংঘর্ষিক হতে পারেনা। যদি একান্তই হয়ে যায় তবে উত্তরণ দরকার প্রথমেই। কবিতা জীবনের বাইরের কিছু নয়। আমি-আপনি যা ভাবছি, ভাববো কোন না কোন রূপ নিয়ে তা কবিতারূপ হয়ে ধরা দেয়। তাই একে আলাদা ভাবে ভাবার সুযোগ খুব কম।

৩. কবিতায় আমি তুমি বেড়াজাল কতটুকু প্রযোজ্য বলে আপনার মনে হয়???

:’তুমি’ একটা প্লট যদি হয় তবে সেখানে ভিন্ন ভিন্ন কাজের মাধ্যমে ফ্ল্যাট ওঠে, বসতিগাড়ে সবে। যখন আমি সুরমা তীর ধরে হাঁটি তখন আমি টেমসের গল্পও বলতে পারি।লক্ষ্যণীয় যে, আমি টেমসকে ধরতে পারি কীনা? জালে আঁটকে গেলে হাঁসফাঁস সৃষ্টিহয়, জালে আঁটকে থেকে বাইরেও যাওয়া সম্ভব।

‘তুমি’ প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলা যায় একমাত্র গণমানুষের কবি দিলওয়ারের সাহিত্য কর্মে কোথাও ‘তুমি’ খুঁজে পাইনি। তবু তিনি লিখে গেছেন অগুনতি এবং টিকে আছে সেটা, থাকবেও। ‘প্রযোজ্য’ শব্দটা যদি আরোপকে ধারণ করে তবে আমি এর বিরুদ্ধবাদি। ‘তুমি’ নিয়ে হতে পারে তবে সেটা সর্বশেষ আশ্রয় করে নয়।

৪. কবিতায় যৌণতা, আধুনিক কবিতার সাথে কি সাংঘর্সিক, ব্যাখ্যা করুন??

:যৌনতা যদি শিল্পমূল্যকে ধারণ করে তবে সেটা সাংঘর্ষিক হবার কথা না।

৫. বাম সাহিত্যের বিস্তার কি আমাদের সাহিত্যে প্রয়োজন মনে করেন? ব্যাখ্যা করুন??

:বামসাহিত্য বিষয়টি পরিষ্কার নয়। বামধারা একটা পলিসি কিংবা প্রকরণ। যদি এধারাকে লেখনির সর্বশেষ এবং একমাত্র উপকরণ হয়ে যায় তবে গণ্ডিবদ্ধ হয়ে যায় সব।

৬. মৌলবাদির নিক্তিতে, আমাদের কবিতা কি মিথ্যাচার,ব্যাখ্যা করুন??

:মৌলবাদচিন্তাকে সংকীর্ণ করে দেয়। ধর্মীয় কিংবা সবক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। সংকীর্নমনা যারা তারা অনেক কিছুই ভাববে, ভাবুক তাদের গুরুত্ব না দিয়ে বর্জনকরা উচিত। কবিতা যদি হয় মিথ্যাচার তবে তারা যে ভ্রূণের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে সেটাও তবে মিথ্যা হয়ে যায়। মানুষের জন্মের ইতিহাসের সাথে সৃষ্টিশীলতা জড়িয়ে আছে, কবিতার সাথেও। যারা সৃষ্টিশীলতাকে অস্বীকার করে তারা যেন তাদের জন্মকেও অস্বীকার করে! 

৭. আপনি কি মনে করেন, নারী সঙ্গমে আপনার কবিতার উত্তরণ ঘটে?

:শুধু নারী সঙ্গমেই না হাতের মধ্যে কেউ চিমটি কাটলেও কবিতার জন্ম হতে পারে। মুল বিষয় হলো ব্যক্তি কিভাবে এটাকে মূল্যায়ন আর গ্রহণ করবে। 

কবিকে আমার মাঘের ভালোবাসা,,,,,,,

আপনাকেও শুভেচ্ছা

 

এই মেঘ এই রোদ্দুর

 এই ভাইয়ের সাথে আমার তেমন পরিচয় নাই বলতে গেল

লেখাও  বুঝি কম পড়েছি ।

: এখন পরিচয় হয়ে গেলো।

১। আচ্ছা আহমদে আ না লিখে য় দিয়েছেন ঠিক কি কারণে?

: অন্তঃস্থ আর বহিঃস্থ এ দুয়ের মধ্যে আমি অন্তঃস্থকে প্রাধান্য দিতে চেয়েছি হয়ত। এ নিয়ে আমি একটা লেখা লিখেছিলাম, যার শিরোনাম কবির য়াহমদ। এ লেখাটি আমার ৩য় কাব্যে আছে। তবু আবারও দিলাম...

কায়মনোবাক্য কায়মনোবাক্যে জড়ায় একদিন দিন হয় প্রখর রৌদ্রতাপে জানালার আরশীতে দেখে যায় সে আপনার মুখ এ মুখ পোড়ামুখি সাজে অবেলার তরে বেলা বেলা কত বেলা যায় আমার সময় হয় না কেবল বেলা ধরার! জন্মে জেনেছি আমি জন্মালেই হাঁটা ধরা হয় হেঁটে যাওয়া পথে, এ পথ বন্ধুর কোনো পূর্বপুরুষের দেখানো পথ তবু হাঁটাধরা চাই নূতন করে তাই জন্মান্ধক্ষণে সামনে আসে আমার নিশ-পিশ করা হাত, হাতে হাতে হাত পাতে একটূকরো জলে জমে সখ্যতা জলে জলে জলকেলি বেলা জানে বেলাময়খেলা এ এক আচানক কোনো আমাকে নিয়ে খেলে আমি খেলি তার ছলাকলা নিয়ে- আমাকে হারায় আমার খোলস; এক নিরীহ কর্পোরেট চাকর। আমার বলে দেয়া কাল কাল রাতে ঝড় হয়েছিল ওড়াতে চাইছিল সমূহ কাল তবু মাঝপথ মাঝপথে থামে পথে পথে আর একটা পথ যোগ দিলে এ অহর্নিশ পথে থামে এক বেকুব কবি। শুনেছি, আমার অবিশ্রান্ত সময়ে আমাতে বিতর্ক হয়েছিল অন্তঃস্থ “আ” নিয়ে। আমিও বলেছি আমি ঠাঁঠ নাবাইরের নাচিনি কোনকালেও বাঈজী নাচ তাই কোন হাতেও ওঠেনি কোন উপঢৌকন নিজে নিজেতে একেশ্বর হয়েও সব কালের কাছে হয়েছি নত ক্ষমা চেয়েছি নিজেতে করজোরে একান্ত নিজস্বতায় আমি আমাতে সমর্পণ করে তোমাদের কাছে বলেছি দৃঢ়তায় আমিই কেবল আমাকে জানি তাই চুপি চুপি বলি চলো নষ্ট হই, নষ্ট হয়ে যাই নিজের মাঝে আপনাকে বিলোনোর কালে।

আমার হাতে জন্মে আর এক হাত পায়ে জাগে আর এক পা মগজে মগজে জন্মায় নূতন কবির, আচানক কবির নষ্টের সংজ্ঞা পাল্টে যায় আমার হাতে, স্বভাব কবিরের হাতে এ এক আজব কাল তাই আমিই কেবল বলে দিতে পারি এ আমার পূর্বপুরুষের দায় কবির করেছেব লে তাই শেষবেলায় এসে কবিরের কাছে কবির হারে খোলস পাল্টে হয় য়াহমদ ____________এক সাদামাটা কবির য়াহমদ।

 

২। ব্লগিং কবে থেকে শুরু করেছেন ।

: ব্লগিংয়ের বয়স হিসাব করে দেখি ছয়ের বেশি।

৩। কি পেশায় নিয়োজিত আছেন

: ব্যাংকে কাজ করি।

৪। থাকেন কোথায়?

: সিলেট

৫। আমার সাথে তো আপনার পরিচয় নাই? বা আপনি আমাকে জানেন বা চিনেন কি? :D

: এই ত জানলাম, চিনলাম!

৭। বিয়ে শাদি তো অবশ্যই করছেন । কয় বাবু আপনার । ভাবীও কি চাকুরজীবি :D

: বাবু নামে আমার মেয়ে কিংবা ছেলে নেই!

৮। ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রানবন্ত অবস্থায় । বাস্তবেও কি এমন থাকতে পছন্দ করেন?

: আমি আমাকে প্রাণবন্ত দেখতে চাই। তাই চেষ্টা করি বাস্তবেও… আমি জানি মানুষের মন খারাপের জন্যে বেশীরভাগ সময়ে সে নিজে দায়ী থাকে না।

৯। কখনো কোন কারণে নিজেকে অহংকারী ভাবেন কি?

: আমি খারাপ কিছু করিনা বলে ইতিবাচক অর্থে অহংকারী ভাবি নিজেকে। এবং তা অতি অবশ্যই সমাজের জন্যে কোন প্রকার নেতিবাচক প্রভাব রেখে নয়।

১০। বিয়ে  করেছেন প্রেম করে কি?

: প্রেম করেই…

আল্লাহ হাফেজ । আশাকরি প্রশ্নগুলিতে বিব্রতবোধ করবেন না ।

 

: বিব্রত হলে প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যেতাম।

 

কামরুন নাহার ইসলাম 

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই আপনাকে। আপনার হাস্যজ্জ্বল ছবিটা দেখতে খুব ভাল লাগছে, এমনই আনন্দময় থাকবেন সারা জীবন !!!!!

: আপনাকেও শুভেচ্ছা।

প্রশ্নঃ  আপনার কাছে সুখের সংজ্ঞা কি?

: মানুষের জীবনে যখন সে ভাবে সুখী তখন কোন দুঃখ তার ধারে কাছে আসতে পারে না।তাই সুখ হচ্ছে মানুষের ইতিবাচক চিন্তার সমষ্টি যা গভীর ভাবে ব্যক্তিক জীবনকে প্রভাবিত করে।

প্রশ্নঃ জীবনকে কিভাবে উপভোগ করেন?

: জীবনকে উপভোগের জন্যে আলাদা করে প্রস্তুতি নেয়ার দরকার নাই। খুব স্বাভাবিক কাজের মাধ্যমেই জীবনকে উপভোগ সম্ভব।

প্রশ্নঃ কখোনো কি জীবনটাকে অর্থহীন মনে হয়, যদি হয় তবে তার কারণ কি?

 

কবি কবির য়াহমদকে অসংখ্য ধন্যবাদ ব্লগে সময় দেওয়ার জন্য।

: যখন নিজের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি মনে হয় তখন জীবনকে অর্থহীন মনে হয়।

প্রশ্নঃ একা থাকতে কেমন লাগে?

: একা থাকাটা স্বর্গীয়। যখন মানুষ একা থাকে তখন সে স্বর্গের দূত হয়ে যায়।আমি মাঝে মাঝে এটাকে উপভোগ করি। তবে সব সময় একা একা থাকাটা সুখের হয় না।খেয়ালি একা থাকাটা স্বর্গীয় সুষমা।

প্রশ্নঃ ব্লগার হিসেবে আপনি নিজেকে কতটা সার্থক মনে করেন?

: স্বার্থক মনে করিনা।

প্রশ্নঃ চাঁদনী রাত কি কখোনো কাঁদায়?

: চাঁদনী রাত কাঁদায়নি কখনও। তবে ভাবিয়েছে অনেক!

 

জাকিয়া জেসমিন যূথী 

তেমন কোন প্রশ্ন মাথায় আসছেনা। আপনি আর আমি ফেসবুকেও বন্ধু; কিন্তু নাগরিক ব্যস্ততায় কথা বলার সময় হয়ে উঠে না। 

কেমন আছেন? 

: আমি আগের ফেসবুক একাউন্ট এখন আর ব্যবহার করিনা। সে একাউন্ট অনেক দিন ধরে ব্যবহার না করায় সেটা ডিএক্টিভ করে রেখেছি। নতুন একটা একাউন্ট ব্যবহার করছি ‘কবির য়াহমদ কবির য়াহমদ’ নামে।

ভাল আছি। আপনিও ভাল আছেন নিশ্চয়ই।

 

এম রহমান 

১। কবির ভাই কেমন আছেন?

: ভাল আছি ভাই। আপনিও নিশ্চয়ই ভাল আছেন।

২। দীর্ঘদিন ব্লগে আপনার বিরতির কারন কি? 

: ব্যক্তিগত ব্যস্ততা এবং বিভিন্ন ইস্যুতে রাস্তার ব্যস্ততা আমাকে কেন জানিব্লগ বিমূখ করে দিয়েছে। তাছাড়া এক সময় লক্ষ্য করি ব্লগ পোস্ট মানে তুমুল আড্ডাবাজি ফলে ইচ্ছা থাকা সত্বেও ছোটখাটো এসব ব্যাপার কেন জানি ভাল লাগেনি। হ্যাঁ, আমরাও কিছু কিছু ব্যাপারে আড্ডা দিয়েছি তবে নিকট অতীতে ব্যাপার গুলোছিল অনেকটা পীড়াদায়ক। তবে হয়ত ফিরব আবারও।

 

১ Likes ৫৫ Comments ০ Share ৭০০ Views

Comments (55)

  • - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

    আজ ভাষা সংগ্রামের মাসের প্রথম দিনে চমৎকার একটি কবিতা পড়লাম। ধন্যবাদ, ভাই মোস্তাফিজুর রহমান ফরহাদ।

    • - মোস্তাফিজুর রহমান ফরহাদ

      ধন্যবাদ । আপনার মন্তব্য আমার উৎসাহ হয়ে থাকবে।

       

    - আলমগীর সরকার লিটন

     দাদা

    মাতৃভাষার শুভেচ্ছা রইল

    ভোট দানে আমন্ত্রিত

    • - মোস্তাফিজুর রহমান ফরহাদ

      ধন্যবাদ । আপনার মন্তব্য আমার উৎসাহ হয়ে থাকবে।

    • Load more relies...