Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা

১০ বছর আগে লিখেছেন

আমি সাধারণ পাঠক। বাংলা এবং ইংরেজি পত্রিকায় অনিয়মিতভাবে লিখি। ব্লগে পোস্ট দেয়ার চেয়ে মন্তব্য করা বেশী পছন্দ করি। কবিতা বেশ ভালো লাগে। মনে রাখা দরকার আমি প্রথম শ্রেণির অ-কবি।

Likes Comments

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা

১০ বছর আগে লিখেছেন

মায়ের স্পর্শ মুমূর্ষ নবজাতকের অব্যর্থ জীবনীশক্তি

বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ নিউ সাউথ ওয়েলেস এর মাতৃসদনে এ ভর্তি হলেন অস্ট্রেলিয়ান কেইট(২৯)। তাঁর স্বামীর ডেভিড এর হাত ধরে হুইলচেয়ারে করে লেবার রুমে যাচ্ছেন। পাশে দুটি ছোট ট্রলি, ১৪ জন উচ্চ ডিগ্রীধারী ডাক্তার, একজন নবজাতক বিশেষজ্ঞ, প্রয়োজনীয় সংখ্যাক নার্স এবং ধাত্রী। তাদের জমজ সন্তানের প্রথম শিশুটি জন্মগ্রহন করল। কেইট এক পলক দেখে নিল। কিন্তূ এখনো জানেন না ২য় সন্তানের কি ঘটতে যাচ্ছে। ততক্ষণে ডাক্তারদের মধ্যে এদিক সেদিক ছোটাছুটি বেড়ে গেল। ডাক্তাররা ২য় বাচ্চার ফুসফুসে টিউব দিয়ে দম নিতে সাহায্য করতে লাগলেন। শিশুকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফুসফুসে ঔষধ দেয়া হল। প্রায় ২০ মিনিট ধরে দ্বিতীয় শিশুর ফুসফুসে টিউব দিয়ে অক্সিজেন দেয়ার চেষ্টা করা হল। কিন্ত সে নিশ্বাস নিতে পারল না। কিছুক্ষন পর ডাক্তাররা চুড়ান্তভাবে চেক আপ করে বাচ্চার মাকে জানালেন ‘‘আমরা দুখিত, আপনার বাচ্চাকে রক্ষা করতে পারলাম। আমরা তাকে হারিয়েছি’’ ডাক্তার সে নিথর বাচ্চাটাকে ছোট একটি বান্ডেলের মত করে কম্বল জড়িয়ে মায়ের কাছে এনে দিলেন। কিন্তু মা কেইট চাইলেন না তার সে বাচ্চা বান্ডেল বন্দি থাকুক। বাচ্চা যখন চলেই গেল মায়ের শেষ ইচ্ছা তাঁর মৃত সন্তানকে কিছুক্ষণ বুকে জড়িয়ে রাখবেন। তাই বাচ্চাকে ছোট কম্বলের বান্ডেল থেকে মুক্ত করে মায়ের খোলা বুকে নিথর বাচ্চাকে জড়িয়ে দেয়া হল। আদরের মানিক মৃত হলেও তার শরীরের শেষ স্পর্শ পেতে মা তার খোলা বুকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরলেন যেন বাচ্চা জীবিত। মা বারবার কান্নায় ভেংগে পড়ছিলেন কারণ কিছুক্ষণ পর তার আদরের মানিককে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে। পাশে স্বামী ডেভিড এর অবস্থা একই। মা পাগলের মত বুকে জড়িয়ে থাকা মৃত বাচ্চার সাথে কান্না জড়িত কণ্ঠে কথা বলছেন- তার বড় একটি বোন হয়েছে কিছুক্ষণ আগে আরো অনেক কথা ...

কয়েক... continue reading
Likes ১৩ Comments
০ Shares

Comments (13)

  • - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

    ভাই শিবাশীষ বিশ্বাস, গল্পটি কী পুরোপুরি প্রকাশ হয়েছে? আমার কাছে আংশিক মনে হচ্ছে।

    • - শিবাশীষ বিশ্বাস

      অনুগল্প তাই কিছুটা অপ্রকাশিত। ধন্যবাদ হেনা ভাই। 

    - ঘাস ফুল

    এখন মনে হচ্ছে তিনটে মোমবাতি জ্বলছে... 

    প্রিয় মানবীর জন্য কষ্টটা কেবল বেড়েই যাচ্ছে। ভেজা চোখ দিয়ে যেন এবার অশ্রু বন্যা হচ্ছে। তাই মোমবাতির সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। বিরহ ব্যথার দারুণ বহিঃপ্রকাশ। খুব ভালো লাগলো শিবাশীষ। 

    • - শিবাশীষ বিশ্বাস

      ধন্যবাদ ঘাস ফুল। 

    - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    এত ছোট দারুন গল্প কিভাবে লিখেন, বুঝিনা। 

    কষ্টের অনুভূতি প্রকাশের ভঙ্গীটায় চমৎকৃত হয়েছি। 

    • - শিবাশীষ বিশ্বাস

      যূথী আপু ধন্যবাদ। 

    Load more comments...

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা

১০ বছর আগে লিখেছেন

নতুন তথ্য নিয়ে লেখা সব ধরনের বই পড়তে ভালো লাগে। বাংলা ইংরেজি পত্রিকায় লেখার অনিয়মিত অভ্যাস আছে। অনুবাদ করতে পছন্দ করি তবে আমার নিজের কোন অনুবাদই আমাকে তৃপ্ত করতে পারেনি। আপনার সাথে আমার মতের মিল হবে এমনটি বিশ্বাস করি না তবে এক সাথে চলতে অসুবিধা দেখিনা।

Likes Comments

Comments (0)

  • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    কবিতা না এটা?? কপি পেস্ট করে প্যারাগুলো নামিয়ে স্পেস দিয়ে দিতে হতো। এডিটে যান। বাক্যগুলো নামিয়ে দিন। পড়তে ভালো লাগবে। 

     

    নতুন আগমনে ব্লগে শুভকামনা। কবিতার জয় হোক। 

    • - sheikh akm jakaria

      হচ্ছে না........আমি সবার লেখাই এরকম দেখতে পাচ্ছি.....

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা

১০ বছর আগে লিখেছেন

ইতিহাসের উপেক্ষিতাঃ সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারি রবিপত্নী মৃণালিনী

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাত্রী নির্বাচন। রবির মতো গুণবান, রূপবান,ভাগ্যবান, ধনবান এবং খ্যাতিমান বিলেত ফেরত তেইশ বছরের যুবকের জীবনে এমন একজনের দরকার যিনি দেহসৌন্দর্যে আন্না তড়খড় বা লুসি স্কট, এবং মানসপ্রবণতায় হবেন কাদম্বরী দেবী বা ইন্দিরা। বাংলাদেশের খুলনা (তৎকালিন যশোর) জেলার দক্ষিণডিহি-ফুলতলা গ্রামের শুকদেবের বংশধর- ঠাকুর এসটেটস্ এর দরিদ্র কর্মচারি বেণীমাধব রায় চৌধুরীর ন বছর ন মাসের মেয়ে ভবতারিনী রায়চৌধুরীকে রবির পাত্রীরূপে নির্বাচন করা হলো। ভবতারিনী দেখতে যেমন সুন্দরী ছিলেন না তেমনি অল্পশিক্ষিত। অনেকে অবাক হয়েছেন। কারণ এ ভবতারিনীর মধ্যে আন্না তড়খড় বা লুসি স্কটদের কিংবা কাদম্বরী দেবী বা ইন্দিরার কিছুই ছিলো না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিনাবাক্যে রবীন্দ্রনাথ পত্নী হিসেবে বরণ করে নিলেন ভবতারিনীকে। বিবাহের মন্ত্রপাঠের পর অবশ্য পদবীর সাথে সাথে নামও পাল্টে বদলে শ্রীমতী মৃণালিনী ঠাকুর করা হয়েছিলো। বোধ হয় রবির সাথে মিলিয়ে এ নাম দেয়া হয়েছে। সবার ধারণা ছিলো উভয়ের যেমন বয়সের ব্যবধান বেশী তেমনি মানসসাম্রাজ্যের দুরত্ব বিস্তর। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে অসাধারণ সব গুণাবলী দিয়ে এ শারিরিক এবং মানসিক ব্যবধান কমিয়ে এনে মৃণালিনী কেবল রবীন্দ্রনাথের যথার্থ সহধর্মীনি নয় যথার্থ সহকর্মি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। মৃণালিনী পতিদেবের বৃহত্তম স্বপ্ন বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করে তা প্রমান করেছেন। একটি উৎকৃষ্ট স্মারক শান্তি নিকেতনের আশ্রম-বিদ্যালয় যা আজকের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
মৃণালিনী ররীন্দ্রনাথকে পতিদেবতারূপে পেয়েছিলেন- নিজের পাঁচটি সন্তানের জনকরূপে পেয়েছিলেন- ঠাকুরবাড়ির কনিষ্ঠ সন্তানরূপে পেয়েছিলেন; পেয়েছিলেন “বঙ্গদর্শনের সম্পাদক, ব্রাহ্মসমাজের কর্তৃপক্ষ, পেয়েছিলেন খ্যাতিমান রবি ঠাকুরকে। বিবিধ বিপুল ভারাক্রান্ত রবীন্দ্রনাথ মৃণালিনীকে খুব বেশী সময় দিতে পারতেন না বলে অভিমান ছিলো কিন্তু অভিযোগ ছিলো বলে মনে হয়না। গাজিপুরের নিভৃত নিবাসে, শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে কাটানোর পর মৃণালিনীর জীবনের শেষের তিন বছর তিন মাস বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ১৩০৭ চৈত্র(১৯০১)... continue reading
Likes ৪২ Comments
০ Shares

Comments (42)

  • - ধ্রুব তারা

    • - নাজনীন পলি

      ইমোর অর্থ বুঝতে পারছিনা । 

    - রুদ্র আমিন

    আমার লেখা একটি কবিতার শেষের কিছু অংশ শেয়ার করলাম। সম্পূর্ণ লেখা এখানে

    দোষ কিন্তু একার নয়, একহাতে তালি বাজেঁ না আপু। ভুল বললে ক্ষমা করবেন। জীবনের হাজারও রং

     

    সারাদিন ছুটো ছুটি সংসারের তাগিদে
    ঘরে এসে বিতৃষ্ণা ঘরনীর অভিযোগে,
    কে বড় কে ছোট ভাবে না কোন কিছু
    কিভাবে একা খাবে স্বামীর টাকা ? ব্যাংক যেন আজ তার বাবা।

     

    অশান্তির সংসার কুলহীন ভাবনায়
    কলুর বলদ সেজেও একত্রিত থাকা দায়,
    ভালোবাসায় জীবনটা যদি পার করা যেত
    বেহেশত এর চেয়ে বেশি সুখ সংসার জীবনে।

    • - নাজনীন পলি

       সব পুরুষেরা তো আর একই রকম না এটা আমিও জানি । তবে কেউ কেউ আছেন যাদেরকে উদ্দেশ্য করে আমার এই লেখা ।

    - নীল সাধু

    শুভেচ্ছা পলি।

    লেখাটি পড়েছি। লেখাটি একপেশে মনে হতে পারতো কিন্তু তা হয়নি কারণ লেখাটি সকল পুরুষকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়নি। শুধু মাত্র কিছু পুরুষ পোষ্টের শুরুতেই (সেই সব পুরুষদেরকে বলছি ..........) বলায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। যাইহোক আমরা চাইলে শুদ্ধ সুন্দর হতে পারি তেমনি হতে পারি তার উলটো। এটা নীর্ভ্র করে ব্যক্তিবিশেষের উপর -

    ধন্যবাদ

     

     

    • - নাজনীন পলি

      সবাই কখনোই একই রকম না , তাহলে এই পৃথিবীটা এত দিনে ধ্বংস হয়ে যেত । 

    Load more comments...