Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"স্মৃতিচারণ" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

নূর মোহাম্মদ নূরু

৯ বছর আগে লিখেছেন

ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবসে চার জাতীয় নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

আজ ৩রা নভেম্বর, ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবস। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জঘণ্যতম ও বেদনাবিধুর একটি অধ্যায়। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্খিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে এই দিনটি অন্যতম। বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৩৯ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অভ্যন্তরীণ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই জাতীয় চার নেতাই বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখেন। অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী এই চার নেতা বাঙালি... continue reading

৪৮৫

নূর মোহাম্মদ নূরু

৯ বছর আগে লিখেছেন

বাঙালি আইনজীবী সমাজকর্মী,ভাষাসৈনিক ও রাজনীতিবিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ১২৮তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা

মহান ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক, বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান ও আইনজীবি, শহীদ বুদ্ধিজীবী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। দেশ বিভাগের আগে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের ভারত অংশে এবং পরে পূর্ব পাকিস্তানে রাজনীতিবিদ হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র; যেখানে বাঙালিরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবে, সেখানে রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা, আইন-কানুন সব হবে বাংলায়, সিভিল সার্ভিস পরীা হবে বাংলায়, টাকা হবে বাংলায়, স্ট্যাম্প হবে বাংলায়, পার্লামেন্টে বক্তৃতা হবে বাংলায় এবং তার সবকিছুই সম্ভব হয়েছে। এটাই তাঁর জীবনের সার্থকতা। নির্লোভ, নির্ভীক, সাহসী, স্পষ্টবাদী, অসাম্প্রদায়িক, রাজনীতিবিদ, নিখাঁদ দেশপ্রেমিক সমাজসেবী শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত যে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উপকরণ ভাষার স্বাধীনতা আন্দোলনে পুরোপুরি সফল হয়েছিলেন... continue reading

৫৮৮

নূর মোহাম্মদ নূরু

৯ বছর আগে লিখেছেন

জনপ্রিয় ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাংলা উপন্যাসে জনপ্রিয়তার শীর্ষবিন্দু স্পর্শকারীদের অন্যতম ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্রের পর বিশ শতকের তিনের দশক শুরুর প্রাকলগ্নে বাংলা উপন্যাসের প্রবহমান ধারায় তিনি যুক্ত হন। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯২৯ সালে পথের পাঁচালী নিয়ে উপন্যাসের ভুবনে তার প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে।পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। এরপর তাকে আর ফিরে ডাকাতে হয়নি। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও কয়েকটি ভ্রমণকাহিনি এবং দিনলিপিও রচনা করেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। ১৯৫১ সালে ইছামতী উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ... continue reading

৫৯৩

তাহমিদুর রহমান

৯ বছর আগে লিখেছেন

নিজেকে কষ্ট দিলাম

বহুদিন কিছু লিখিনা। না গল্প না কবিতা। কিছু লিখিনি তবে কিছু বাক্য, কিছু প্লট ঠিকই মুখে মুখে বলেছি। কিন্তু লেখাটা আর হয়ে উঠছে না। দুই তিন জায়গায় কথা দিয়ে রেখেছি যে গল্প দিব, কবিতা দিব কিন্তু শেষ পর্যন্ত লেখা পাঠানো আর হয়ে উঠছে না। নিজের খারাপ লাগছে তো বটেই আর কারো কাছে লেখা চেয়ে না পাওয়াটাও তাদের জন্য অত্যন্ত বিরক্তকর। সবই বুঝি তবু কেন জানি হয়ে উঠছে না। 
ছয় সাত বছর আগের কথা বললে বলতে হয় প্রতিদিন তিন চারটা কবিতা না লিখলে পেটে কিছুই হজম হত না। আর এখন প্রতিদিন লেখা হয়ে উঠে না। মাঝে মাঝে এটা কয়েক মাস... continue reading

৩৯৫

নূর মোহাম্মদ নূরু

৯ বছর আগে লিখেছেন

বিংশ শতাব্দীর সুবিখ্যাত স্পেনীয় চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর পাবলো পিকাসোর ১৩৩তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

বিংশ শতাব্দীর বরেণ্য স্পেনীয় চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর পাবলো পিকাসো। এ শতাব্দীর শিল্পকলার সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। তাকে বিশ শতকের মহত্তম শিল্পী বলে অভিহিত করা হয়। শিল্পের বিচিত্র সব মাধ্যমে তিনি সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে বিশ্বের চারুকলাকে সমৃদ্ধ করেছেন। যদি জানতে চাওয়া হয়, বিশ্বে চিত্রশিল্পের সবচেয়ে আবেদনময়ী সৃষ্টিকর্ম কোনটি? এর জবাবে প্রথমেই যে সৃষ্টির কথা চোখে ভেসে ওঠে, তার নাম গ্যোয়ের্নিকা। জার্মানদের বোমা বর্ষণে স্পেনের বিদ্ধস্ত গ্রাম গ্যার্নিকা’র দুঃখ্-দুর্দশা ও বেদনার এক গভীর প্রতিফলন গ্যোয়ের্নিকা৷ বিংশ শতাব্দীর বিশাল ক্যানভাসে কিউবিক ফর্মে সাদা-কালো ও কোলাজে আঁকা যুদ্ধ বিরোধী এক অসাধারণ ছবি৷ পিকাসোর লা ভি, ওল্ড গিটারিস্ট, থ্রিমিউজিশিয়ানসসহ আরো... continue reading

৯৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু

৯ বছর আগে লিখেছেন

বাংলাদেশের প্রথিতযশা আলোকচিত্রশিল্পী রশীদ তালুকদারের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

মানুষের চোখের তারায় হরহামেশাই বন্দি হয় নানান রকম দৃশ্য। আবার তা মুছেও যায়। তবে এমন কিছু দৃশ্য বা প্রিয় মানুষের মুখ আছে যা ব্যক্তির হৃদয়কে আলোড়িত করে। ক্যামেরার পেছনে থেকে যে মানুষটি দিনের পর দিন জাতির জন্য মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন নিরবধি তিনি বাংলাদেশের প্রথিতযশা ও জনপ্রিয় আলোকচিত্রশিল্পী রশীদ তালুকদার। রশীদ তালুকদারের ডাক নাম কাঞ্চন এবং সহকর্মীদের কাছে তিনি 'রশীদ ভাই' নামে পরিচিত ছিলেন। যৌবনে রাজশাহীতে পরিচিত ছিলেন 'প্রিন্স রশীদ' নামে। ক্যামেরার ফ্রেমে তিনি বন্দি করেছেন অনেক ইতিহাস, বাস্তবতা, মানবতা। ছবি দিয়ে তিনি প্রকাশ করেছেন অনেক সত্যকে। তাঁর ছবি বলেছে অনেক নির্যাতিতদের অব্যক্ত কথা। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই... continue reading

৮৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু

৯ বছর আগে লিখেছেন

বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

বাংলাদেশের প্রধান শক্তিমান ও প্রতিবাদী কবি শামসুর রাহমান। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ভাগে দুই বাংলায় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তাঁর দুটি কবিতা 'স্বাধীনতা তুমি' ও 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা খুবই জনপ্রিয়। কবির জীবনকথা থেকে জানা যায়, ছাত্রজীবন থেকেই তাঁকে কবিতা পেয়ে বসেছিল, এজন্য তার প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া সমাপ্ত করা হয়নি। আধুনিক কবিতার সাথে তার পরিচয় ও আন্তর্জাতিক-আধুনিক চেতনার উন্মেষ ঘটে ১৯৪৯-এ, এবং তার প্রথম প্রকাশিত কবিতা ১৯৪৯ মুদ্রিত হয় সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায়। নিভৃতচারী, শান্তিপ্রিয় কবি হওয়া সত্ত্বেও শামসুর রাহমানের বিবেক তাঁকে দিয়ে লেখিয়ে নেয় ‘১৯৫৯’ শীর্ষক কবিতা। এ কবিতার মধ্য দিয়ে তিনি প্রথম বহির্মুখী হয়েছিলেন।... continue reading

৬৯১

নূর মোহাম্মদ নূরু

৯ বছর আগে লিখেছেন

বিংশ শতাব্দীর আধুনিক বাংলার অন্যতম প্রধান কবি জীবানানন্দ দাশের ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

বিংশ শতাব্দীর আধুনিক বাংলার অন্যতম প্রধান কবি জীবানানন্দ দাশ। মর্মগত, সুমিত, নিরাবেগ ও সুস্থির গদ্যরীতির জন্যে তিনি বিশিষ্ট। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় প্রকৃতি তাঁর কাব্যে রূপময় হয়ে উঠেছে। আধুনিক নাগরিক জীবনের হতাশা, নিঃসঙ্গতা, বিষাদ ও সংশয়ের চিত্র তাঁর কবিতায় দীপ্যমান। স্বচ্ছ, সুন্দর, শান্ত ও স্নিগ্ধ রোমান্টিক কবিতার স্রষ্টা হিসেবে তিনি স্মরণীয় ও বরণীয়। তাঁর নিসর্গ বিষয়ক কবিতা ষাটের দশকে বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এদেশের সংগ্রামী জনতাকে তীব্রভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে ‘ঝরা পালক’, ধূসর পান্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা ও বেলা অবেলা। কবিতার কথা তাঁর প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি একজন কথা সাহিত্যিকও। মৃত্যুর পর... continue reading

১৭৪৭

বুলি

৯ বছর আগে লিখেছেন

বটবৃক্ষ

প্রবীণ নিবাস, শব্দটি এখন আর অপরিচিত কিছু নয়। আগে মনে হত এই নিবাসে মাছি উড়বে। কে যাবে ওখানে। খুব অবাক হয়েই লক্ষ্য করেছিলাম, দিন কয়েকের মধ্যেই প্রবীণ নিবাসে আর কোন খালি সিট নেই।
আগে মনে হত এটা বিদেশি কালচার। বিদেশি মানুষগুলো একাকীত্ব, ব্যাস্ততার দোহাই দিয়ে ঘরের প্রবীণ ব্যাক্তি টিকে ওল্ড হোমে ফেলে আসে। আমাদের দেশে এর চর্চা শুরু হয়ে গেছে। এদেশের মানুষ আর কিছু পারে আর না পারে খারাপ জিনিসগুলো খুব ভালো আয়ত্ত করতে পারে। খুব দ্রুত সিখে ফেলেছে কেমন করে ঘরের সবচেয়ে দামি মানুষ টিকে আস্তাকুরে ফেলে দিতে হয়। একক পরিবার, privacy ইত্যাদির দোহাই দিয়ে কি সুন্দর করে... continue reading

১০ ৫৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু

৯ বছর আগে লিখেছেন

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিকন্যা বিপ্লবী লীলা নাগের ১১৪তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা

লীলাবতী নাগ, লীলা নাগ বা লীলা রায় তিন নামেই তিনি পরিচিত। তিনি কে ছিলেন তা বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না। বিশ শতকের প্রথমার্ধে শুধু ঢাকা শহরেই নয়, পুরো বাংলায় অসামান্য মহিলা, রাজনিতীবিদ, সংগঠক হিসাবে যিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিকন্যা বিপ্লবী লীলা নাগ। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম ছাত্রী, সাংবাদিক এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সহকারী। উপমহাদেশের স্বাধীনতা ও নারী জাগরণের পথিকৃত, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নারী লীলা নাগ। তার পৈত্রিক বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের পাঁচগাঁও গ্রামে। লীলা রায় মহিলা সমাজে মুখপাত্র হিসেবে “জয়শ্রী” নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করে ছিলেন। লীলা রায় ছবি আঁকতেন... continue reading

৭৯৭