Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বুলি

৮ বছর আগে লিখেছেন

মেয়েরা এবং সমসাময়িক...

আমার সাথে একবার এক পশুর দেখা হয়েছিল। চলন্ত বাসে আমি শুধু খাবলে ধরেছিলাম আমার বড় ভাইয়ের হাত টুকু। ভাইয়া আমার খাবলে ধরা হাত, আর আতংকে ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া মুখ দেখেই যা বুঝার বুঝে নিয়েছিল। লিকলিকে গড়নের হালকা পাতলা শরীর নিয়ে তাঁর চাইতে একহাত লম্বা বছর দশেক বড়, আমার সিটের পেছনে বসা সেই পশুর দিকে তাকিয় বাঘের মতই হুংকার করে উঠেছিল...*** বাচ্চা...
মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মদ্ধেই সেই পশু চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নেমে গিয়েছিল। এই পুঁচকে ছেলেটার মুখোমুখি হবার সাহস তার হয়নি। আমি কাউকে বলিনি এ কথা। এ যে লজ্জা...
অনেক পরে বুঝেছি, এ আমার লজ্জা কেন? এখানে আমার কি ! আমি বলব। সবাইকে বলব। বাসে চলাচল করা প্রতি টা মেয়েকে বলব। যেন একবার শুধু রুখে দাড়ায়। পশুদের সাহস থাকেনা প্রতিবাদের।
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমার জানায় ভুল ছিল। পশু রা এখন আর কাউকে ই ভয় পায় না। পরোয়া করেনা। দিনে দিনে তাদের সাহস শুধু বাড়েই। কারন এর কখনোই বিচার হয় না। 
সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হচ্ছে মাইর... ধরে ধরে শেয়াল, কুকুরের মত মেরে ফেলে দিতে হবে। কুকুর পাগল হয়ে গেলে ভালো করার দরকার নাই... রাস্তা ঘাট পরিস্কার হওয়াই মুল কথা। 
পশুদের ভয়ে খাঁচায় নিজেই ঢুঁকে বসে থাকা কোন সলুসান না। হয় পশুদের ঢুকা ও, নয় রাস্তা পরিস্কার কর, যেভাবে পার...। continue reading
Likes Comments
০ Shares

বুলি

৯ বছর আগে লিখেছেন

প্রিয় সুন্দর বন

সাত সকালে পেপার খুলেই আরেক দফা মন খারাপ হল। কালো তেলে ছড়াছড়ি সুন্দরবন। বাংলাদেশের যে কয়টা জিনিস নিয়ে এখন ও আমরা চিল্লাই, ভাব নেই... দেখ ব্যাটা, আমাদের আছে, তোদের নাই...তেমন ই একটা জিনিস হচ্ছে সুন্দর বন। কিন্তু কারো যেন কোন মাথা ব্যাথাই নাই। 
কয়টা কাঁকড়া, কুমির, মাছ মরলে আমাগো কি! মানুষ মরলেই আমরা পাট দেইনা! 
এমনই বুঝি হবার কথা। এদেশে মানুষের ই দাম নাই, আর জঙ্গলের দাম!
বিশ্ব ঐতিহ্য বাদ দিলেও, এমন সবুজ একটা বন, এমন কালো হয়ে গেছে দেখে... কেমনে কারো খারাপ লাগে না। 
সুন্দরবনের সাধারণ মানুষ গুলো তাদের নিজেদের চেষ্টায় এই তেল অপসারণ করছে, এই টুকুই কি সব... যথেষ্ট?????? এর মধ্যে আজ দেখলাম ডলফিন মারা যাবার প্রতিবেদন। সুন্দর এক ডলফিন মরে পরে আছে। কাঁকড়া গুলো কালো তেলে নাভিসসাস।এর মধ্যেই কেউ বলছে, এই তেলে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না। এতো জ্ঞান পাবলিক কই পায়!
অক্ষম মানুষ আমরা, ভালো বাসা শুধু বুকে ধারণ ই করি। কিছু করার আসলেই কোন মুরোদ নাই।  continue reading
Likes Comments
০ Shares

বুলি

৯ বছর আগে লিখেছেন

ট্রাইসাইকেল

ছোট বেলা থেকেই সাইকেলের প্রতি তীব্র দুর্বলতা। একটা ট্রাই সাইকেলের খুব শখ ছিল।কখনই বাবাকে বলিনি এই কথা। বললেই হয়ত কিনে দিতেন কিংবা দিতেন না। জানি না। এমন না বাবার কেনার সামর্থ্য ছিল না। ছিল। ভালোভাবেই ছিল। বাবা ব্যাংক ম্যানেজার। একটা ট্রাই সাইকেল কেনা হয়ত তার জন্য কোন বড় ব্যাপার হত না। তবু ও চাইনি।
 
ছোট বেলা থেকেই আমাদের শিখানো হয়েছে অপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য বায়না না ধরতে। খেলনা কেনা বিলাসিতা মাত্র। বড় ভাই বোন দের খেলনা দিয়েই খেলে কাটিয়েছি ছোট বেলাটা। সেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত খেলনার তালিকায় কোন ট্রাই সাইকেল ছিল না। কয়েকটা খালি স্নো ক্রিমের ডিব্বা, কিছু পুতুল, কয়েকটা গাড়ি। এই রকম কিছু খেলনা দিয়েই ছোট বেলাটা রঙিন।
 
এমনই এক দিনে আমাদের কলোনির পাশের বাসায় বদলি হয়ে এলেন থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এক MBBS ডাক্তার। সাথে আমার ছোট বোনের বয়সি তাদের একমাত্র মেয়ে। সুন্দর। তবে আমার বোনের মত অত সুন্দর না। প্রথম টক্করেই আমি জিতলাম ভেবে সেই রকম এক চাহুনি দিয়ে বোনটাকে নিয়ে ওদের বাসার সামনে সারা বেলা ঘুর ঘুর করলাম। আর একটু পর পর অহংকারী এক চাহুনি দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্টা করলাম।
ঘটনা ঘটল পরদিন বিকেল বেলা। হায়! হায়! কি সুন্দর এক গোলাপি সাইকেল!
তাতে বসা সেই পিচ্চি। তাকে ঠেলে ঠেলে নিয়ে ঘুরছে তাদের বাসার কাজের মেয়েটা। আর সেই পিচ্চি রাজ রানীর মত বসে আছে। লোভী বিড়ালের মত হা করে তাকিয়ে থাকলাম। কথা বলব কিনা ওদের সাথে বুঝতে পারছিলাম না। আমার বোনটা যেন একই চিন্তা করছিল।
আমরা কি ওদের সাথে খেলব, বুলি?
আরে নাহ!
ওরা আগে আসুক আমাদের সাথে খেলতে। চল, তুই আর আমি খেলি।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

বুলি

৯ বছর আগে লিখেছেন

বটবৃক্ষ

প্রবীণ নিবাস, শব্দটি এখন আর অপরিচিত কিছু নয়। আগে মনে হত এই নিবাসে মাছি উড়বে। কে যাবে ওখানে। খুব অবাক হয়েই লক্ষ্য করেছিলাম, দিন কয়েকের মধ্যেই প্রবীণ নিবাসে আর কোন খালি সিট নেই।
আগে মনে হত এটা বিদেশি কালচার। বিদেশি মানুষগুলো একাকীত্ব, ব্যাস্ততার দোহাই দিয়ে ঘরের প্রবীণ ব্যাক্তি টিকে ওল্ড হোমে ফেলে আসে। আমাদের দেশে এর চর্চা শুরু হয়ে গেছে। এদেশের মানুষ আর কিছু পারে আর না পারে খারাপ জিনিসগুলো খুব ভালো আয়ত্ত করতে পারে। খুব দ্রুত সিখে ফেলেছে কেমন করে ঘরের সবচেয়ে দামি মানুষ টিকে আস্তাকুরে ফেলে দিতে হয়। একক পরিবার, privacy ইত্যাদির দোহাই দিয়ে কি সুন্দর করে এই নিস্তুর সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়।
আমিখুব কাছ থেকে এরকম প্রবীণদের দেখেছি। প্রবীণ নিবাসে থাকে, কিন্তু মন পড়ে থাকে সন্তানের কাছে। নিজের পরিচয়, সন্তানের পরিচয় আড়াল করার চেষ্টা অনবরত। পাছে আমি বলি, আপনার লালন পালনে ভুল ছিল। কিংবা কেমন করে পারল আপনার সন্তান আপনাকে এভাবে রেখে যেতে।
নিজের সম্মান নয়, এখনও তিনি/ তারা সন্তানের সম্মানের কথাই ভাবেন।
ভীষণ স্মার্ট এক ৭০ ঊর্ধ্ব প্রবীণের সাথে কথা বলে জানলাম, কর্ম জীবী পুত্র ও পুত্র বধুর সময় নেই তার জন্য রান্না করার, দেখাশুনা করার। তাই তিনি এখানে। এর বেশি কিছু বলতে চাইলেন না। চোখ জুরে বিষণ্ণতা। তাদের ঘরে বাচ্চা এলে সময় মেনেজ করবে কিভাবে জিজ্ঞেস করা হয়নি।
এক মাত্র ছেলে এম বি এ করতে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল। বুড়ো বুড়ি ভালোই ছিল। বুড়ি মরে যাবার পর থেকেই এখানে। ছেলে জানিয়েছে ফিরবেনা।
ছেলের বউ দের খোটা ভালো লাগেনি, প্রতিবাদ করায় ছেলে বলেছে নিজেও শান্তি পাওনা, আমাদের শান্তি দেখলেও তোমার মাথা খারাপ হয়ে যায়। নিজের... continue reading
Likes ১০ Comments
০ Shares

Comments (10)

  • - টোকাই

    সন্ন্যাসীও এবার মুখ লুকিয়ে ফেলে লজ্জায় আড়ষ্ট কুমারী জননীর মতো করে
    কবির কাব্যাকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখে মাথা নুইয়ে বার বার সেলাম ঠুকে।

বুলি

৯ বছর আগে লিখেছেন

ঝরে পরা বকুল

মেয়ের পরীক্ষা। অনেকদিন পর স্কুলে গেলাম। যেহুতু অল্প সময়, ভাবলাম কিছুক্ষণ বসে থেকে মেয়েকে নিয়েই বাসায় ফিরি।
 
মুখটা দেখলেই বুঝা যায়, এক কালে তিনি মার মার কাট কাট সুন্দরী ছিলেন। এককালে কেন বলছি, হয়ত বছর সাতে'ক আগেই ছিলেন। বিশাল ভুঁড়ি, দ্বিতীয় চিবুক থাকার পরেও তাঁর রুপের ঝলক চোখে পরে। আরেক টু সামনে যে মহিলাটি বসা, তাঁর চোখ দুটিতে বুদ্ধির ঝিলিক ঠিকরে বেরুচ্ছে। মায়াময় মুখের মেয়েটি একটু পর পর টিস্যু দিয়ে ঘামে ভেজা মুখ মুছে নিচ্ছে। একটু ভালো করে খেয়াল করতেই দেখলাম, এখানে বসে থাকা মহিলাদের বয়স ২৫ থকে ৩৫ এর মধ্যেই বেশি। কেউ তাঁর এক সন্তানকে স্কুলে দিয়েছেন বছর দুয়েক হল।দুজন, তিন জন সন্তান স্কুলে পড়ে এমন মা ও আছেন। যদিও সংখ্যায় তুলনা মুলক ভাবে কম।
তবে সবাই মা। সবাই বসে আছেন ধানমণ্ডি লেকের গাছের ছায়ায় দল বেঁধে। সন্তানদের ছুটি হবার আগ পর্যন্ত এরা দল বেঁধে বসে থাকে। আড্ডা দেয়। খাওয়া দাওয়া করে, শপিং ও করে। এই মায়েদের জন্যই লেকের পাড়ে ছোট খাট এক মার্কেট জমে উঠেছে। স্কুল ছুটি হবার সাথে সাথেই মার্কেট ও ছুটি।
 
কি পাওয়া যায়না এখানে! জামা, জুতা, চুড়ি, আংটি, গয়না, ক্লিপ ব্যান্ড , গেঞ্জি, মোজা, ট্রাউজার, ব্যাডকভার ,হাড়িপাতিল, সব ধরনের সবজি, গরম মশলা, ফল, দুধ, পোলাওয়ের চাল, আচাড়, হজমি, ফুচকা, সিঙ্গাড়া, চা, সেন্ডউইচ, সিগারেট, পিঠা, মুড়ি, পরোটা, ভাজি, ডিম, আর ও কত কি।
ডাইবেটিস পরীক্ষা করার ডাক্তার, মিনি পোর্টেবল জিম। সব আছে। খুঁজে দেখিনি। হয়ত বাঘের দুধ ও আছে।
মোট কথা সে এক বিশাল আয়োজন।
 
হাসি, আড্ডায় উচ্ছল মায়েদের পাশাপাশি কিছু পুরুষ মানুষের ও দেখা পাওয়া যায়। কিছু হয়ত... continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...