Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Sports Image

টি - টোয়েন্টি ইতিহাস



কি ওয়ানডে! কি টি-টোয়েন্টি! সব কিছুতেই যেন জয় পাওয়া এখন বাংলাদেশের জন্যে ডাল-ভাতের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ধবল ধোলাই করার পর এবার টি-টুয়েন্টিতেও পাকিস্তানকে ধবল ধোলাই করলো বাংলাদেশ।

অথচ এই বাংলাদেশ দল ই কিনা গত এক বছরে খেলেনি একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও! তো কি! ঘরের মাঠে যখন পুরনো শত্রু পাকিস্তানকে পাওয়া গেছে তখন নতুন উদ্দীপনায় উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ যেন সত্যিকারের বাঘের মতই পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করে জিতে নিল টি-টোয়েন্টিও! প্রথমবারের মত পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারিয়ে ইতিহাসটা গড়ে বাংলাদেশ।

অথচ টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি! অভিষিক্ত মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং নৈপুণ্যে ধুকতে থাকা পাকিস্তান দলগত পঞ্চাশ করে ৫৪ বলে! টি-টোয়েন্টির সাথে যা একদম ই বেমানান। সাকিব, আরাফাত সানি এবং তাসকিনত্রয়ের বোলিং তান্ডবে পাকিস্তানকে বড্ড একঘরে লাগছিল!

আহমেদ শেহজাদকে আউট করে মাশরাফির সাথে তাসকিনের বুকে বুক মিলিয়ে উইকেট উদযাপন মনে করিয়ে দিচ্ছিল বিশ্বকাপে তাদের একই রকম উদযাপনের কথা। আফ্রিদি প্রথমে আসলেও তেমন কিছুই করতে পারেননি। বরং মোস্তাফিজুরের প্রথম টি-টোয়েন্টি উইকেটের শিকার হন পাক অধিনায়ক। শেষের দিকে হাফিজের ২৬ এবং হারিস সোহেলের ৩০ রানের সুবাদে ১৪১ রানের স্কোর গড়ে পাকিস্তান!

১৪২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই হাফিজের বলে তামিম নেন ১৪ রান! পাকিস্তানের হার তখন ই লেখা হয়ে গেছে! তামিম আর সৌম্য ফিরে গেলেও সাকিব এবং সাব্বির রহমানের হাফ সেঞ্চুরিতে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় বাংলাদেশ। সাকিব তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৫ম টি-টুয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি। সাকিবের থেকে সাব্বির একটু বেশি মারমুখী হয়েই হাফ-সেঞ্চুরি করেন মাত্র ৩১ বলে যা তার প্রথম অর্ধশতক! প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ পেল আরো একটি রেকর্ড গড়া জয়।