Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Sports Image

ওয়ান ইন ইলেভেন




বিশ্বে প্রায় পাঁচ কোটি ৮০ লাখ শিশু স্কুলে যাওয়ার সুযোগই পায় না। সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশু যেন তাদের প্রাপ্যটুকু উপভোগ করতে পারে, সে জন্য ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ফাউন্ডেশন, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং রিচ আউট টু এশিয়া (রোটা) যৌথভাবে একটি বৈশ্বিক সংগঠন গড়ে তোলে। নাম ‘ওয়ান ইন ইলেভেন’। আপাতত বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও নেপালের শিশুদের শিক্ষার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে সংগঠনটি। বাংলাদেশের নাম তারা তালিকার প্রথমেই রেখেছে। এই কার্যক্রম বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।

এফসি বার্সেলোনা ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ‘ওয়ান ইন ইলেভেন’-এর জন্য একটি বড় দিন। কারণ বার্সেলোনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আঁকা তিনটি চিত্রকর্মসহ মোট ১৭টি চিত্রকর্ম কাল লন্ডনে নিলামে উঠবে। আর এই নিলামের অর্থ ব্যয় হবে তিন দেশের শিশুদের শিক্ষার জন্য। ব্রিটেনের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় লন্ডনের সোদেবিসে অনুষ্ঠেয় নিলামের সময় বার্সেলোনার একজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকবেন।

বার্সেলোনা ফাউন্ডেশনের জানিয়েছে, শিল্পীদের নিজস্ব চিত্রকর্ম দান করতে বলা হয়েছিল। তাঁরা চাইলে বার্সেলোনার কাজে অনুপ্রাণিত হয়েও ছবি আঁকতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল। আর সেটাই করেছেন তাকাশি মুরাকামি, দেমিয়েন হার্সট ও ফ্রান্সেসকো ভেজ্জোলি।

ওয়ান ইন ইলেভেন প্রজেক্টের প্রতিচ্ছবি হয়ে গেছেন লিওনেল মেসি। কারণ দুজন শিল্পী তাঁরই ছবি এঁকেছেন। জাপানি চিত্রশিল্পী তাকাশি মুরাকামি তাঁর আঁকা ছবির শিরোনাম দিয়েছেন, ‘লিওনেল মেসি ও ফুলের মহাবিশ্ব’। ছবিটির দাম শুরু হতে পারে দুই লাখ ৫৬ হাজার ইউরো থেকে তিন লাখ ৮৪ হাজার ইউরো।

জীবিত শিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হিসেবে পরিচিত দেমিয়েন হার্সট এঁকেছেন ‘ওয়ান ইন ইলেভেনের জন্য মেসির চমৎকার ঘূর্ণন চিত্রকর্ম’। এই ছবিটির দাম হাঁকা হতে পারে তিন লাখ ২০ হাজার ইউরো থেকে চার লাখ ৪৮ হাজার ইউরো।

তৃতীয় ছবিটি এঁকেছেন ফ্রান্সেসকো ভেজ্জোলি। রোমান ভাস্কর্যের আদলে তিনি এঁকেছেন বার্সেলোনার সেন্টার ব্যাক খেলোয়াড় জেরার্ড পিকের মুখ। এই ছবিটির দাম শুরু হতে পারে ৩৮ হাজার ৪০০ ইউরো থেকে ৫১ হাজার ৫০০ ইউরো থেকে।

এই চিত্রকর্মগুলো ছাড়াও নিলামে উঠবে আয়না, আসবাবপত্র বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির আলোকচিত্র। এ ছাড়া মুকারামি ও মেসির সঁই করা বল এবং বার্সেলোনা ক্লাবের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগও নিলামে তোলা হবে। এর মধ্যে আছে ভিআইপি আসনে বসে চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলা দেখা, বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের সঁই করা শার্ট, মেসির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ, ন্যু ক্যাম্পে ঘোরার সুযোগসহ অনেক আকর্ষণীয় ব্যবস্থা।

তাই এই নিলামের দিনটির জন্য বার্সাভক্তরা যেমন মুখিয়ে আছেন, তেমনি মুখিয়ে ওয়ান ইন ইলেভেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। নিলাম থেকে যত বেশি অর্থের জোগান আসবে ততই বেশি উপকৃত হবে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও নেপালের শিশুরা।