Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Entertainment Image

বলিউডের পাঁচ পরকীয়া প্রেম



সেলুলয়েডের পর্দায় তাদের জুঁটি হিট। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে কত ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেই না তাদের ধরা পড়তে হয়েছিলো! কত রসায়নই দেখেছেন পর্দার দর্শক। কত মাখামাখিই না ছিলো এর ভিতরে! কত দর্শকের হৃদয় হাসপাশ করেছিলো তাদের অভিনীত ছবি দেখে। কিন্তু কখন যে তাদের সেলুলয়েডের এ প্রেম বাস্তব জীবনে এসে গড়াল তা কেউই বুঝতে পারেননি! কিন্তু মনের অজান্তে গড়ে তোলা এ প্রেম আজীবনই থেকে গিয়েছে অন্ধকারে। এ নিয়ে মুখোরোচক খবরের যেন অন্ত নেই। বারবারই ঘুরেফিরে আসে তাদের এ পরকীয়া প্রেমকাহিনী। কিন্তু কেউই তাদের এ প্রেমেরই চূড়ান্ত রূপ দিয়ে যেতে পারেননি।

মিঠুন-শ্রীদেবী
চুপিচুপি প্রেমের ক্ষেত্রে সবার থেকে একটু হলেও বা একধাপ হলেও এগিয়ে আছেন হার্ট থ্রব শ্রীদেবী। যোগিতা বালির সঙ্গে প্রণয়ের পরে শুরু হয় মিঠুন-শ্রীদেবীর প্রেম পর্ব। এমনও খবর চাউর হয়েছিলো গোপনে বিয়ে করেছেন মিঠুন-শ্রীদেবী। এ খবর শোনার পরে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন যোগিতা বালি। এরপর বনি কাপুরের প্রথম স্ত্রী মোনা শ্রীদেবীকে সাহায্য করার জন্য বাড়িতে আশ্রয় দেন। তিনি জানতেনই না তার ঘরে রেখে তার নিজের কপাল পুড়েছেন। তার স্বামীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এ ঘটনার পরেই বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তারা।

হৃতিক রোশন ও কারিনা কাপুর
বলিউডে এমন ঘটনা প্রচলিত রয়েছে যে ছোটবেলা থেকেই সুজানের সঙ্গে প্রেম করতেন হৃতিক রোশন। তাদের এ প্রেমের চিত্রনাট্যেও ছবি তৈরি হয়। কিন্তু সাতপাকে বাঁধা না পড়লেও সুজানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন কারিনার সঙ্গে প্রেম করতেন তিনি। তবে এখন সাইফ আলী খানের সঙ্গে চিরবাধনে বাধিত হয়ে সুখের সংসার করছেন কারিনা। তবে সম্প্রতি হৃতিক ও সুজানের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে।

সঞ্জয় দত্ত ও মাধুরী
সঞ্জয় দত্তের প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মার মৃত্যুর পরেই মাধুরী দিক্ষিতের সঙ্গে সঞ্জয় দত্তের সম্পর্ক তৈরি হয়। চলচ্চিত্রের পর্দায়ও ধরা পড়ে তাদের এ প্রেমের রসায়ন। কিন্তু ১৯৯৩ সালে ভয়াবহ মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনায় সঞ্জয় দত্ত ধরা পরার পর ছেদ পরে তাদের এ প্রেমে।

অমিতাভ-রেখা
চলচ্চিত্রের পর্দায় অমিতাভ বচ্চন ও রেখার কত রং মাখানো প্রেমকাহিনী না দর্শকরা দেখেছেন। আর এরই ছাপ পড়েছে তাদের বাস্তব জীবনেও। 'দো আনজানে' নামে একটি ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে তাদের মধ্যে এ পরকীয়া প্রেমের সৃষ্টি হয় বলে বলি পাড়ার চলচ্চিত্র বোদ্ধারা মনে করেন। সেসময় জয়ার সঙ্গে সাতপাঁকে বাধা পড়েছেন অমিতাভ। তখন এমন ঘটনা শোনা গিয়েছিলো ছবির শুটিংয়ের সময় রেখার একজন বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে একান্তে তারা দুজন দেখা করেন। এছাড়া আরো বেশকিছু ছবিতে শুটিং করার সময় তারা আরও কাছাকাছি আসেন। একথা জয়ার কানে পৌঁছাতেই স্বামীর সংসার রক্ষা করার জন্য রেখার সঙ্গে কথা বলেন। রেখা সাফ জানিয়ে দেন, কোনও মতেই তিনি স্বামী অমিতাভের সঙ্গে সম্পর্কও ভাঙবেন না ও তাঁকে ছাড়বেন না"। এরপর আবার রঙিন পর্দায়ও তাদের জীবন কাহিনী ফুটে উঠে। যে ছবিতে রেখা, অমিতাভ এবং জয়ার ত্রিকোণ প্রেমের গল্প তুলে ধরা হয়েছিলো। এ ছবির পরেই তাদের সম্পর্কে ছেদ পরে।

আদিত্য পাঞ্চোলি-কঙ্গনা
একটা সময় পিজ থ্রি এর হেড লাইন এমনটাই ছিলো পাঞ্চোলি ও কঙ্গনার প্রেমকাহিনী। ঘরে স্বীকৃত স্ত্রী থাকা স্বত্বেও বয়সে ছোট কঙ্গনার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন আদিত্য। এরপর সম্পর্কের টানা পোড়নে যা হওয়ার কথা তাই হলো। টানাপোড়নের এক পর্যায়ে গিয়ে গায়ে হাতাহাতি থেকে শুরু করে পারিবারিক সম্পর্ক আরো খারাপ হতে লাগল। এরপর একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এ সম্পর্কে ইতি ঘটান তিনি।