Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Beauty Image

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্লিচ করুণ



শুষ্ক ত্বকের জন্য-
*আধা চা চামচ দুধের সর, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া, এক চা চামচ লেবুর রস নিন। তারপর সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে ত্বকে লাগান, পনের মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
*আধা চা চামচ মধু, দুই ফোটা বাদাম তেল বা তিলের তেল, এক চা চামচ লেবুর রস, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া, আধা চা চামচ বেসন মিশিয়ে ত্বকে লাগান। পনের মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
*এক চা চামচ লেবুর রস, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া, আধা চা চামচ তাজা টমেটোর রস, আধা চা চামচ বেসন ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগান। পুরো শুকিয়ে যাবার আগেই ধুয়ে ফেলুন।

...দুধের সরের বদলে দুধ, হলুদের গুঁড়ার বদলে কাঁচা হলুদ বাটা (পরিমাণ মত) আর বেসনের বদলে মসুর ডাল বাটা ব্যবহার করতে পারেন।

সাধারণ ত্বকের জন্য-
*এক চা চামচ লেবুর রস, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া, আধা চা চামচ বেসন মিশিয়ে ত্বকে লাগান, পনের মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
*একটি ছোট আলুর অর্ধেক বেটে নিন, এর সাথে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া যোগ করে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
*এক চা চামচ লেবুর রস, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া, আধা চা চামচ তাজা টমেটোর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। তরল মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে আবার লাগান। এভাবে তিন চার বার করুন। পনের মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য-
*আধা চা চামচ মুলতানি মাটির সাথে এক চা চামচ লেবুর রস, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
*এক চা চামচ লেবুর রস, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া, আধা চা চামচ তাজা টমেটোর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। তরল মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে আবার লাগান। এভাবে তিন চার বার করুন। পনের মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
*এক চামচ আলুর রসের সাথে আক চামচ লেবুর রস যোগ করুন, তরল মিশ্রণটি মুখে লাগান, শুকিয়ে গেলে আবার লাগান। এভাবে তিন চার বার করুন। বিশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

...তৈলাক্ত ত্বকে বেসন ব্যবহার করলে তেমন কোন ফল পাবেন না। আর আজকাল আসল মুলতানি মাটি পাওয়াই যায় না। যদি মুলতানি মাটি না পান এর বদলে চালের গুঁড়া ব্যবহার করবেন, এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী।

সেনসিটিভ ত্বকের জন্য-
যাদের ত্বক সেনসিটিভ তারা উপরে উল্লিখিত ব্লিচ গুলো ব্যবহার করবেন না।
*এক চামচ চালের গুঁড়া নিন তাতে আধা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। দশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
*এক চামচ চালের গুঁড়া, এক চামচ আলুর রস নিন। একত্রে মিশিয়ে মুখে লাগান বিশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
*এক কাপ চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি ঘোলা হয়ে গেলে সেই পানি মুখে লাগান। ধুয়ে ফেলার দরকার নেই।

...সেনসিটিভ ত্বকে যেকোনো কিছু লাগানোর আগে চিবুকে বা গলায়ে একটু লাগিয়ে দেখুন। যদি জ্বালা করে তবে মুখে লাগাবেন না। আপনারা যদি লেবুর রস ব্যবহার করতে না পারেন তবে শুধু চালের গুঁড়াও লাগাতে পারেন।

সতর্কতা-
*সাতদিনে দুইবার এর বেশি এগুলো ব্যবহার করবেন না। খুব বেশি ব্রণ যুক্ত ত্বকেও ব্যবহার করবেন না।
এগুলো ব্রণের দাগ দূর করতে বা হালকা করতে পারে। তাই পুরো মুখে ব্যবহার না করে শুধু দাগ ছোপের উপরে ব্যবহার করতে পারেন।
*ব্লিচ করার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। তারপর মুখ ফেসওয়াস দিয়ে ধুয়ে নিন, তারপর ব্লিচ করুন।
*এখানে যে উপায় গুলো বলা হয়েছে সব গুলোই কার্যকরী, কিন্তু মনে রাখবেন এগুলো মাস্ক না। সুতরাং যতক্ষণ রাখতে বলা হয়েছে ততক্ষণই রাখবেন।
*যদি ত্বকে খুব বেশি জ্বালা করে তবে ব্লিচ ধুয়ে ফেলুন। পরের বার থেকে লেবুর রস, হলুদ এগুলোর পরিমাণ কমিয়ে দিন।
*লেবুর রস, হলুদ আলুর রস ও টমেটোর রস ত্বকে ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। মেলামিন কমায় ও দাগ দূর করে। কিন্তু এগুলো খুবই acidic হয়। যা সবার স্কিনে মানাতে নাও পারে। তাই ব্যবহার করার আগে গলায় বা চিবুকে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন।
*হলুদ গুঁড়ার বদলে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। না পারলে স্কিনকেয়ার এর জন্য হলুদ আলাদা ভাবে সংরক্ষণ করুন। রান্নাঘর থেকে নেবেন না।
*হলুদ ও লেবুর রস ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়ায়। এতে করে ত্বকে রোদ লাগলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। তাই ব্লিচ রাতে করুন আর বার ঘণ্টার মধ্যে রোদে না যাওয়ার চেষ্টা করুন।

*এই ব্লিচ গুলো হাতে পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো হাত পায়ের ত্বক উজ্জ্বল করবে। আর সেক্ষেত্রে চাইলে লেবুর রস বা হলুদ বেশি নিতে পারেন।
*নিয়মিত ব্লিচ ব্যবহার করলে কোনভাবেই SPF 30 সানস্ক্রিন ব্যবহার না করে বাইরে যাবেন না।
*যাদের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ আছে তারা এগুলো ব্যবহার করবেন না। ব্রণ ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে দূর করার চেষ্টা না করে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
*রুপচর্চায় লেবু, হলুদ যারা রেগুলার ব্যবহার করেন তারা কোন ভাবেই সাবান ব্যবহার করবেন না। মৃদু ফেসওয়াস ব্যবহার করুন।
*কোন ভাবেই রাসায়নিক ব্লিচ ব্যবহার করবেন না। এগুল ত্বককে বুড়িয়ে করে দেয়। রেগুলার রাসায়নিক ব্লিচ বা রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করলে চল্লিশের কোঠায়ে পৌছে আফসোস করতে হবে। রাসায়নিক ব্লিচ এর মত এই natural ব্লিচ এর কোন side effects নেই।
*রোদে পুড়ে গেলে যত তাড়াতাড়ি পারেন ব্যাবস্থা নিন। ট্যান একবার বসে গেলে দূর করা কঠিন হয়ে যায়।

...ধৈর্য ধরে নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি সহজেই পাবেন রোদেপোড়া ছোপ্, ব্রণের জেদি দাগ থেকে মুক্তি। আর অবশ্যই আপনার ত্বকের অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ ছোপ দূর হবে।