একদল পড়ল আমার কবিতা নিয়ে
তাদেরকে দিলাম শিক্ষা
এবার পড়ল আমার ছবি নিয়ে
কি সমস্যা ভাই
উত্তর তো নাহি পাই।
continue reading
একদল পড়ল আমার কবিতা নিয়ে
তাদেরকে দিলাম শিক্ষা
এবার পড়ল আমার ছবি নিয়ে
কি সমস্যা ভাই
উত্তর তো নাহি পাই।
continue reading
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা, সিনেমা চিত্রশিল্পী ও অভিনেতা সুভাষ দত্ত। ষাটের দশক থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ সুভাষ দত্ত। এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে তিনি একাধারে চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও শিল্প নির্দেশক ছিলেন এবং এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিল তাঁর সৃজনশীল কর্মের ঈর্ষণীয় সাফল্য।বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত একুশে পদক-এ ভূষিত হন। সুভাষ দত্তের কর্মজীবনের শুরু হয়েছিল সিনেমার পোস্টার এঁকে। এ দেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর পোস্টার ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন তিনি। মাটির পাহাড় চলচ্চিত্রে আর্ট ডিরেকশনের মধ্যে দিয়ে তাঁর পরিচালনা জীবন শুরু হয়। এরপরে তিনি এহতেশাম পরিচালিত... continue reading
পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের বাংলা গানের কিংবদন্তী, পশ্চিম বাংলার প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী শ্যামল মিত্র। বাবা সাধন কুমার মিত্র চেয়েছিলেন ছেলে হোক তাঁর মতো এক আদর্শ স্বনামধন্য চিকিৎসক | বাবার চাওয়ার আগেই সুরের সরগম ছুঁয়েছিল তার মন। তাই আর মানা হয়নি পিতৃ আদেশ। পিতা-পুত্রের সম্পর্কে পড়েছিল অসম ভাঁজ। তবুও গানেই ভুবন ভরিয়েছিল সে। সিনেমার মতো্ই অতীতের ছোট ছেলেটি একদিন হয়ে উঠেছিলেন বাংলা আধুনিক সঙ্গীতের অন্যতম সুরকার গায়ক শ্যামল মিত্র। আধুনিক আর সিনেমার গান বাদেও অতুলপ্রসাদী, রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং নজরুল গীতিতেও শ্যামল মিত্রের কীর্তি স্মরণীয়। তবে ঠিক সিনেমার মতো জীবন নয় শ্যামল মিত্রের। তার সাফল্য নিয়ে কোন সংশয় না থাকলেও সংসয় রয়েছে... continue reading
বিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ প্রতীম কথাশিল্পী হুমায়ুন আহমেদ। তিনি একাধারে কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র র্নিমাতা ছিলেন। সত্তুর দশকে ছাত্রবস্থায় তিনি লেখালেখি শুরু করেন। নন্দিত নরকে উপন্যাস লিখেই হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য জীবনের শুরু। কিন্তু তা প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২-এ, আহমেদ ছফার উদ্যোগে। নন্দিত নরকে প্রকাশিত হলে পাঠকমহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়। এরপর শঙ্খনীল কারাগার, রজনী, এপিটাফ, জ্যোত্স্না ও জননীর মতো একের পর এক উপন্যাস লেখেন তিনি। প্রখ্যাত ভাষাশাস্র পন্ডিত আহমদ শরীফ উক্ত গ্রন্থটির ভুমিকায় বাংলা সাহিত্যের আকাশে হুমায়ূন আহমেদ নামক এক উজ্জল নক্ষত্রের ঘোষনা করেন। দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’কে কবি শামসুর রাহমান বিশ্ব সাহিত্যের... continue reading
প্রগতিশীল চিন্তার বাহক, খ্যাতিমান বাগ্মী, আপসহীন আদর্শবান ব্যক্তিত্ব, স্বাধীনচেতা বুদ্ধিজীবী ও খ্যাতনামা লেখক, শিক্ষাবিদ ও ভাষাসৈনিক অজিতকুমার গুহ। এই প্রজন্মের অনেকেই হয়তো তাঁকে চেনেন না। কিন্তু পাকিস্তান আমলে বৈরী পরিবেশে তিনি দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য বিকাশে এবং মানবতার মূল্যবোধ ও সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইয়ে যে অবদান রেখে গেছেন, তার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। একজন মুক্তচিন্তার মানুষ হিসেবে এদেশের অসাম্প্রদায়িক ও র্ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার ধারা নির্মাণে তাঁর অবদান ও সাফল্য অপরিসীম। রবীন্দ্রসাহিত্যের অধ্যাপক এবং সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল। অজিতকুমার রাজনীতি না করেও সংস্কৃতি চর্চার কারণে পাকিস্তান সরকারের রোষানলে পড়ে দুইবার কারারুদ্ধ হন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার জন্য... continue reading
আবুল কালাম মহিউদ্দিন আহমেদ, যিনি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ নামেই অধিক পরিচিত। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, সুবক্তা , বিখ্যাত বুদ্ধিজীবী, অতলদর্শী তাফসীরবিদ, অমর মর্যাদায় মহীয়ান নেতা এবং ভারতের সিংহ-সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। তরুণ বয়সে তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির প্রবক্তা ছিলেন এবং দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের বিরোধিতা করেছিলেন এমনকি নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে সামরিক শাসন ও পাকিস্তান ভাগ সম্পর্কেও তিনি ভবিষ্যবাণী করে গিয়েছিলেন। দুঃখের বিষয় মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নাম এ দেশে বিস্মৃতির ধুলোয় ধূসরিত হচ্ছে ক্রমেই যা মোটেই কাম্য নয়। আজ এই মনিষীর ১২৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৮৮ সালের আজকের দিনে সৌদি আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ... continue reading
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে স্মরণীয় নাম শহীদ নূর হোসেন। যিনি মিটিং-মিছিল ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অধিকার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সবসময় তিনি সক্রিয় ছিলেন মিছিল মিটিং সমাবেশে। সময়ের সাহসী সন্তান নূর হোসেন সেদিন বুকে পিঠে "স্বৈরাচার নিপাত যাক, গনতন্ত্র মুক্তি পাক" শ্লোগান লিখে জীবন্ত পোস্টার হয়ে রাজপথের মিছিলে স্বৈরাচারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পেটোয়া বাহিনী গুলি চালিয়ে বিদীর্ণ করেছিল তার বুক। তবে গণতন্ত্রের জন্য তার আত্মদান বৃথা যায়নি। তার রক্তের ধারা বেয়েই নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটে।
১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ সরকারের...
continue reading
আজ দেখি সব সিএনজির পিছনে একই বাক্য লেখা
"কিসের দুঃখ, কিসের কষ্ট, চিন্তা কইরা লাভ নাই"
বুঝলাম না সিএনজিও আমারে সান্ত্বনা দেয়? এই সান্ত্বনা টাইপ বাক্য মাঝে মাঝে নিজেকেই নিজে বলি। অহেতুক হতাশা থেকে বের হওয়ার অনেক উপায় আছে। এসময় একা থাকতে হয় না। কারো সাথে কথা বলতে হয়। আনন্দ পাও্য়া যায় এরকম কোন কাজ করা। সবই জানি কিন্তু কিছু করতেই ইচ্ছে হচ্ছে না। যেমন বসে বসে মুভি দেখা যায়। সেটাও ইচ্ছে করছে না। কিছু কিছু সময় আসে খুব ভাল ইংলিশ মুভিগুলোও এত পানসে লাগে যে ঠোঁট উলটে আসে। আমি একসময় প্রচুর টিভি দেখতাম কিন্তু এখন শুধু Remort হাতে...
continue reading
বিংশ শতাব্দীর মুসলিম জাগরণের অন্যতম নকীব, মানবতাবাদী অমর কবি আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল। ইকবাল ছিলেন একাধারে কবি, সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ, দার্শনিক এবং ইসলামি চিন্তাবিদ। ১৯০৮ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে কবি ও দার্শনিক হিসেবে ইকবালের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। তার ক্ষুরধার লেখনী ও জাদুমন্ত্রবত্ বর্ণনায় ইসলামি শিক্ষা সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্য যেভাবে প্রতিভাত হয়ে উঠে তা সত্যিকার অর্থেই একজন সচেতন পাঠককে রীতিমতো পুলকিত ও চমকিত করে। তার ফার্সী ও উর্দু কবিতা আধুনিক যুগের ফার্সী ও উর্দু সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফার্সি সৃজনশীলতার জন্য ইরানে তিনি ইকবাল-ই-লাহোরী নামে পরিচিত। ইকবাল তার ধর্মীয় ও ইসলামের রাজনৈতিক দর্শনের জন্যও বিশেষভাবে সমাদৃত ছিলেন।... continue reading
সপ্তদশক শতাব্দীর ইংরেজ কবি (John Milton), প্রসিদ্ধ কালজয়ী মহাকাব্য প্যারাডাইস লস্ট এর লেখক জন মিল্টন। যিনি একাধারে লিখেছেন- গদ্য ও কবিতা; কবিতার মধ্যে আছে- শোকগাথা, মহাকাব্য, ছন্দনাটক, সনেট, পল্লীগাথা ও আরো নানারকম পদ্য। তার গদ্য ও পদ্যে ব্যক্তিগত প্রত্যয়ের প্রতিফলন লক্ষণীয়। ইংরেজি, লাতিন এবং ইতালীয় ভাষায় লিখতেন তিনি। তার বিতর্কমূলক সাহিত্যকর্ম অ্যারোপেগিটিকা (মূলত অনিবন্ধিত মুদ্রণগুলোকে ইংল্যান্ডের সংবিধান কর্তৃক বৈধতাদানের পক্ষে মিল্টনের বক্তৃতা) বাক স্বাধীনতার রক্ষাকবচ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে। ইংরেজি সাহিত্যের এই কবি ১৬৭৪ সালের আজকের দিনে ইংল্যান্ডের বানহিলে মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ৩৪০তম মৃত্যুবাষিীকী। বিভিন্ন সামাজিক ও সাহিত্য জার্নালের কল্যাণে মিল্টনের অবদান একুশ শতাব্দীতেও অটুট রয়েছে। বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ... continue reading