Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

লেখাপড়া নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার কিছু নেই, জ্ঞান অর্জনের কিছু নেই।

আজ দেখি সব সিএনজির পিছনে একই বাক্য লেখা
"কিসের দুঃখ, কিসের কষ্ট, চিন্তা কইরা লাভ নাই"

বুঝলাম না সিএনজিও আমারে সান্ত্বনা দেয়? এই সান্ত্বনা টাইপ বাক্য মাঝে মাঝে নিজেকেই নিজে বলি। অহেতুক হতাশা থেকে বের হওয়ার অনেক উপায় আছে। এসময় একা থাকতে হয় না। কারো সাথে কথা বলতে হয়। আনন্দ পাও্য়া যায় এরকম কোন কাজ করা। সবই জানি কিন্তু কিছু করতেই ইচ্ছে হচ্ছে না। যেমন বসে বসে মুভি দেখা যায়। সেটাও ইচ্ছে করছে না। কিছু কিছু সময় আসে খুব ভাল ইংলিশ মুভিগুলোও এত পানসে লাগে যে ঠোঁট উলটে আসে। আমি একসময় প্রচুর টিভি দেখতাম কিন্তু এখন শুধু Remort হাতে রাখাই হয়, এই চ্যানেল ও চ্যানেল ঘুরতে থাকি কিন্তু দেখা আর হয়, বিরক্ত হয়ে উঠে যেতে হয়। আর স্টার জলসার অত্যাচার অন্যান্য বাসার মত আমার বাসাতেও আছে। যাইহোক, কি করা যায় ভাবতে ভাবতে একবার ভাবলাম গল্পগুলো লিখে ফেলা দরকার আবার ভাবলাম নাহ মুড নেই। লেখার তৃষ্ণা আছে তবে কেন যেন ইচ্ছে হচ্ছে না। এ নিয়ে নিজের উপরে সব সময় একটি থিউরি কাজ করাই। কখনোই গৎবাঁধা কাজ করতে নাই। এর মাঝে কোন আনন্দ নাই। কে যেন একদিন বলেছিল, তুমি কি হতে চাও? আমি উত্তরে বলেছিলাম ইঞ্জিনিয়ার হব, হয়েছিও। বিএসসি শেষ করে এমএসসিরও পড়াশোনা করতে হচ্ছে। আশ্চর্যজনকভাবে এর মাঝে একটা এমবিএ ডিগ্রীও নিয়ে ফেলেছি। আরো অবাক করা ব্যাপার আইটি নিয়ে সুপ্ত ইচ্ছাও বাস্তবায়নের পথে। কিন্তু এখন যদি আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও। আমি কিন্তু এগুলোর একটিও বলব না। আমি বলব, "আমি লিডার হতে চাই"। আমি আমার জীবনের সাথে লিডারশিপ  
ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে দিতে চাই। আহ, কি আবোল তাবোল লিখছি। নিশ্চয় যারা পড়ছেন তারা বোর হচ্ছেন। আসলে মনটাকে ভাল করার জন্যে উলটা পালটা কিছু লেখাই ভাল মনে হল যে!

এবার একটু অন্যপ্রসংগে যাই। আপনারা কেউ বলতে পারবেন, সরকারী অফিসের কাজগুলো এত ঢিলেমির মধ্যে হয় কেন? আমার সব সময় মনে এই গভঃ সেক্টরটা এত বড় যে, প্রত্যেকটা সরকারী কর্মচারী তাদের নিজেদের কাজগুলো যদি সঠিকভাবে করত তবে বাংলাদেশ আরো দুধাপ এগিয়ে থাকত। আমরা চিৎকার করে ব্যস্ত হই এই বলে যে, প্রাইভেট সেক্টরে ইনভেস্ট হয় না। কিন্তু ইনভেস্টটা করবে কোথায়? বিজনেস টার্মে যাকে বলে মার্কেট প্লেস সেটা কি বাংলাদেশে আদৌ তৈরি হয়েছে? বাংলাদেশ এদিক দিয়ে এতই দুর্বল যে সত্যিকারের ইনভেস্টগুলো হচ্ছে দেশের বাইরে। এমনকি দেশের লোক বাইরে ইনভেস্ট করছে। অনলাইনের কথা বললে বলতে হয় বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকার অর্থে ফেসবুক এবং বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল ছাড়া অন্য কোন সেবা পেতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত নয়। এ দায় কার? এ দায় সরকারকেই নিতে হবে। কারণ এই মার্কেট প্লেসের উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। যদি রিয়েল এস্টেটের কথা আসে তবে উঠে আসবে দুঃখের কথা। একসময় ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠা রিয়েল এস্টেট কোম্পানীগুলো বন্ধ। এর ফলে যারা এই কোম্পানীগুলোর উপর নির্ভর করে জীবিকা অর্জন করত তারা আজ কর্মহীন। অথচ সেইসব কোম্পানীর লাইসেন্স ঠিকমত নিয়ন্ত্রণ করা যেত তবে এমন হত না। রিহ্যাব রিয়েল এস্টেটের কর্তা হলেও তারা এক সময় মুড়ি মুড়কির মত রিহ্যাব মেম্বার বিলি করেছে। কোন মতে একটা প্রজেক্ট থাকলেই কোম্পানী হয়ে যায়। যার ফলাফল বর্তমান সময়। বাংলাদেশের ইন্ড্রাস্ট্রি গুলো এনট্রি এক্সিট ব্যারিয়ার খুবই ঠুনকো। আর থাকলেও তা টাকার কাছে বিকানো। তা না হলে এই ছোট্ট একটা দেশে প্রতিবছর গণহারে এত চ্যানেল লাইসেন্স পাই কি করে? 

একটা সমাজে খুব ছোট ঘটনাকে কেউ পাত্তা দেয় না। একের পর এক এই ছোট কাজগুলো হতে থাকে আর সমাজ অধঃপতনের দিকে যেতে থাকে। আমরা সেই খারাপ কাজের সুদূরপ্রসারী প্রভাব কেউ দেখতে পারে না। আজকে একটা ছেলে ড্রাগ নিচ্ছে, নকল করে পাশ করছে, প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। এগুলো ছোটখাট বিষয় নিয়ে কেউ চিন্তা করে না। এত চিন্তার সময় কোথায়? কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব হচ্ছে জাতি মেধাশূন্য হচ্ছে। আরেকটি উদাহরণ দেই। একসময় সবাই বলত যে, বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারই হতে চাই। কিন্তু প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেখল যে আসলে বাংলাদেশে এ নিয়ে তেমন বড় কিছু করার নেই তখন যাদের অদম্য ইচ্ছা ছিল তারা দেশের বাইরে চলে গেছে। যারা দেশে আছে তাদের কত ভাগ মানুষ বড় কাজের সাথে সম্পর্কিত সে শতকরার হিসাবটা বড় জানতে ইচ্ছা হয়। প্রজন্ম এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তারা বেশিরভাগ বিবিএ পড়তে ইচ্ছুক। কারণ তারা জানে এটি পড়লে যে কোন জায়গায় চাকুরী হবে। এরপর প্রজন্ম এও জানে যে সিএসই বা আইটি পড়লে ডলার কামানো অনেক সহজ হবে। সাথে সাথে ঠিক জায়গামত যেতে পারলে লাখ টাকার স্যালারীও পাওয়া যাবে। ফলে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার ইচ্ছেটা শিক্ষার্থী এবং বাবা মায়েরও কমে আসছে। কোন বাবা মা আমি পাই নি যিনি বলেন আমার ছেলেটাকে আর্টিস্ট বানাবো, খেলোয়াড় বানাবো কিংবা শিল্পী বানাব, সিনেমার নায়ক বানাব। ফলে এখনকার প্রজন্মের জন্যে পড়াশোনা অনেক ছোট হয়ে আসছে। পড়াশোনা নিয়ে তেমন পরীক্ষা নিরীক্ষার কিছু নাই, জ্ঞান অর্জনের কিছু নেই। 

০ Likes ০ Comments ০ Share ৪৪৪ Views

Comments (0)

  • - রব্বানী চৌধুরী

    মূল্যবান ও শিক্ষনীয় একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা জানবেন ভালো থাকবেন তাহমিদ ভাই।   

    • - তাহমিদুর রহমান

      ধন্যবাদ রব্বানী ভাই। আশা করি আরো কয়েক কিস্তি লিখে দিব।

    • Load more relies...
    - টোকাই

    খুব উপকারী তথ্য ।

    • - তাহমিদুর রহমান

      ধন্যবাদ টোকাই 

    - মোকসেদুল ইসলাম

    অনেক কিছুেই জানা হল

    • - তাহমিদুর রহমান

      ধন্যবাদ এবং ভাল থাকুন মোকসেদুল ভাই 

    Load more comments...